আমাদের সরকার জল সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং আমরা প্রতিটি বাড়িতে জল সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী মোদী
আজ ঝাড়খণ্ডে যে প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করা হয়েছে, তা দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন: প্রধানমন্ত্রী মোদী
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের দৃঢ় সংকল্প গোটা প্রত্যক্ষ করেছে। আমরা এই সরকারের ১০০ দিনের মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইন মজবুত করেছি: প্রধানমন্ত্রী মোদী

কৃষকদের জীবনযাপনকে সুরক্ষিত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সূচনা করেছেন। ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে বৃহস্পতিবার তিনি কিষাণ মান ধন যোজনার সূচনা করেন।

     এই প্রকল্পে পাঁচ কোটি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জীবনযাপন সুরক্ষিত করতে ৬০ বছর বয়স থেকে ন্যূনতম মাসিক তিন হাজার টাকা পেনশনের সংস্হান রয়েছে।

     প্রধানমন্ত্রী মোট ব্যবসায়ী ও স্বনিযুক্তি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় পেনশন প্রকল্পেরও সূচনা করেন। এই প্রকল্পের আওতায় ছোট ব্যবসায়ী ও স্বনিযুক্তি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ন্যূনতম তিন হাজার টাকা পেনশন দেওয়া হবে। এরফলে প্রায় তিন কোটি ছোট ব্যবসায়ী উপকৃত হবেন।

     প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক মজবুত সরকার নির্বাচনের সময় যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সমর্থ হবে।

     “নতুন সরকার গঠনের পর আমি বলেছিলাম দেশের প্রত্যেক কৃষক পিএম কিষাণ সম্মান নিধির সুবিধা পাবেন। এখনও পর্যন্ত, দেশের প্রায় ৬ কোটি ৫০ লক্ষ কৃষক পরিবারের অ্যাকাউন্টে ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি বন্টন করা হয়েছে। এরমধ্যে ঝাড়খন্ড থেকে আট লক্ষ কৃষক পরিবার রয়েছে, যাদের অ্যাকাউন্টে ২৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে” বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

     “অঙ্গিকারের মতো উন্নয়নও আমাদের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, “আমাদের সরকার প্রত্যেক ভারতীয়কে সামাজিক নিরাপত্তা দিতে সচেষ্ট রয়েছে।”

     প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাদের সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন রয়েছে, তাদের কাছে সরকার সাথী হয়ে উঠছে। চলতি বছরের মার্চ থেকে দেশের কোটি কোটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের জন্য একই ধরণের পেনশন কর্মসূচি চালু হয়েছে।”

     শ্রমযোগী মান ধন যোজনায় ৩২ লক্ষ শ্রমিক যোগ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২২ কোটির বেশি মানুষ প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। এই দুই প্রকল্পে কেবল ঝাড়খন্ড থেকেই সুফলভোগীর সংখ্যা ৩০ লক্ষের বেশি। এমনকি, আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় প্রায় ৪৪ লক্ষ গরিব রোগী উপকৃত হয়েছেন। ঝাড়খন্ড থেকে উপকৃতের সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ বলেও তিনি জানান।

     আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের ক্ষমতায়ণের লক্ষ্যে দেশের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলায় একলব্য মডেলের ৪৬২টি বিদ্যালয়ের সূচনা করে শ্রী মোদী বলেন, এই বিদ্যালয়গুলিতে উচ্চমাধ্যমিক, সেকেন্ডারি ও সিনিয়ার সেকেন্ডারি গুনগত মানের শিক্ষা প্রদান করা হবে।

     প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একলব্য মডেলের এই বিদ্যালয়গুলি আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের কাছে কেবল শিক্ষার মাধ্যম হিসেবেই কাজ করবে না, একইসঙ্গে খেলাধুলা ও দক্ষতা উন্নয়নেরও কেন্দ্র হয়ে উঠবে। এমনকি, স্হানীয় শিল্পকলা ও সংস্কৃতির সুরক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের শিক্ষাখাতে সরকার বার্ষিক এক লক্ষ টাকার বেশি ব্যয় করবে।”

     সাহেবগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী একটি মাল্টি-মোডাল টার্মিনালেরও উদ্বোধন করেন।

     “সাহেবগঞ্জে আজ আমার মাল্টি-মোডাল টার্মিনাল উদ্বোধনের সুযোগ হয়েছে। এটি কেবল একটি প্রকল্পই নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলে পরিবহনের ক্ষেত্রে একটি নতুন বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। এই জলপথ দেশের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে কেবল ঝাড়খন্ডকে যুক্তই করবে না, বিদেশের সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তুলবে। এখন থেকে আদিবাসী ভাই-বোন ও কৃষকরা এই টার্মিনালের মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজেই বাজারে পৌঁছে দিতে পারবেন” বলেও শ্রী মোদী উল্লেখ করেন।

     প্রধানমন্ত্রী ঝাড়খন্ডের নতুন বিধানসভা ভবনের ও উদ্বোধন করবেন।

     এ প্রসঙ্গে, শ্রী মোদী বলেন, “এই রাজ্য গঠনের প্রায় দু’দশক পর ঝাড়খন্ডে গণতন্ত্রের মন্দিরের উদ্বোধন হল।” এই ভবন এমন এক পবিত্র স্হান, যেখানে ঝাড়খন্ডের মানুষের সোনালী ভবিষ্যতের রূপরেখা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। পরে, প্রধানমন্ত্রী ঝাড়খন্ডে নব সচিবালয় ভবনেরও শিলান্যাস করেন।

     একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনে তিনি সাধারণ মানুষের প্রয়াসের প্রশংসা করেন।

     সদ্য শুরু হওয়া স্বচ্ছতা হি সেবা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গতকাল থেকেই সারা দেশে ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ অভিযানের সূচনা হয়েছে। এই অভিযানের আওতায় আগামী ২ অক্টোবর থেকে আমরা আমাদের বাড়ি-ঘর, বিদ্যালয়, কার্যালয় প্রভৃতি স্হান থেকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সংগ্রহের কাজ শুরু করব। আগামী ২ অক্টোবর, গান্ধিজীর সার্ধশত জন্মবাষিকীতে আমরা সমস্ত প্লাস্টিক জঞ্জাল নির্মূল করব।”

Click here to read PM's speech

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
ASER report brings good news — classrooms have recovered post Covid

Media Coverage

ASER report brings good news — classrooms have recovered post Covid
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 31 জানুয়ারি 2025
January 31, 2025

PM Modi's January Highlights: From Infrastructure to International Relations India Reaching New Heights