বন্ধুগণ,
চিবই বেক ওলে
ইন দম এম
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রথমবারের মত মিজোরাম আসার সুযোগ হয়েছে|উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো, যাদের আমরা আট বোন হিসেবে উল্লেখ করি, এদের মধ্যে এটাই একরাজ্য ছিল যেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখন পর্যন্ত আমি আসতে পারিনি| এর জন্য আমিসবার আগে আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী| যদিও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে আমি অনেকবারমিজোরাম এসেছি| এখানকার শান্ত ও সুন্দর পরিবেশের সঙ্গে আমি ভালোভাবে পরিচিত|
এখানকার সদালাপি মানুষদের মধ্যে আমি অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছি| এখনআপনাদের মধ্যে আসার পর সেই পুরনো দিনের স্মৃতি আবার সতেজ হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক|
আপনাদের এই সুন্দর রাজ্যে আজ আমার সফর মিজোরামের বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষদেরসঙ্গে কাটানো সুসময়ের সেই পুরনো স্মৃতি ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে| আমি আপনাদের সবাইকে এবংঅবশ্যই মিজোরামের সমস্ত মানুষদের মেরি ক্রিস্টমাস ও হ্যাপি নিউ ইয়ার জানিয়ে শুরুকরছি|
নতুন বছর সবার জন্য সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক|
কিছুক্ষণ আগে যখন আমি আইজলে এসে পৌঁছেছি, তখন আরও একবার মিজোরামের মনোরমসৌন্দর্য দেখে রোমাঞ্চিত হয়েছি|
মিজোরাম: “পাহাড়ি মানুষদের ভূমি”|
শান্তি ও প্রশান্তির এক ভূমি|
উষ্ণ ও অতিথিবত্সল এখানকার মানুষ|
দেশের মধ্যে সর্বাধিক সাক্ষরতার হারের এক রাজ্য|
উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন নিয়ে অটলজির মেয়াদকালে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণউদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল| অটলজি বলতেন, আর্থিক সংস্কারের এক বড় উদ্দেশ্য হচ্ছে,আঞ্চলিক ভেদাভেদকে সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত করা| এই লক্ষ্যে তিনি বেশকিছু পদক্ষেপওগ্রহণ করেছিলেন|
২০১৪ সালে আমাদের সরকার গঠন হওয়ার পর আবারও আমরা এই অঞ্চলকে সরকারের নীতি ওসিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সামনে নিয়ে এসেছি| আমি তো একটা নিয়ম তৈরি করে দিয়েছিলাম যে,প্রতি পনেরো দিনে মন্ত্রিসভার কোনো না কোনো মন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যঅবশ্যই সফর করবেন| তাই বলে এটা হবেনা যে, সকালবেলা এসে দিনের কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সন্ধ্যায় আবার ফিরে যাবেন| আমি চেয়েছি মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগীরা এখানেএসে আপনাদের মধ্যে থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয়তাকে উপলব্ধি করে সেই অনুযায়ী যাতে নিজেরমন্ত্রকের নীতি তৈরি করেন|
সাথীগণ, আমাকে বলা হয়েছে যে গত তিন বছরে আমার সহযোগী মন্ত্রীদের দেড়শোবারেরওবেশি উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে সফর হয়ে গেছে| আমরা এমন দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কাজ করছি,যাতে আপনাদের সমস্যা আপনাদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বলার জন্য আপনাদেরকে দিল্লিতে খবরপাঠাতে না হয়, যাতে দিল্লিই আপনাদের সামনে এসে হাজির হয়|
এই নীতির আমরা নাম দিয়েছি, ‘আপনাদের দোরগোড়ায় ডোনার মন্ত্রক’| মন্ত্রীদেরছাড়াও উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবও নিজের আধিকারিকদের নিয়ে প্রত্যেকমাসে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোনো না কোনো রাজ্যে শিবির করেন| সরকারের এই প্রয়াসেরই ফলাফলহচ্ছে যে, উত্তর-পূর্বের যোজনায় এখন গতি এসেছে| বছরের পর বছর ধরে আটকে থাকাপ্রকল্প যেগুলো ছিলো, সেগুলো আজকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে|
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রচেষ্টার ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুবিধারপ্রকল্পগুলো বিশেষ গতি লাভ করেছে| বহুবছর ধরে আটকে থাকা প্রকল্পগুলো এখন এগিয়েযাচ্ছে| উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্য থেকে আসা উত্পাদিত সামগ্রী নিয়ে স্ব-সহায়কদলের আকর্ষণীয় প্রদর্শনীর এক ঝলক আমি দেখতে পেলাম| আমি সেইসব স্ব-সহায়ক দলগুলোরসদস্যদের তাদের অপার প্রতিভা ও সম্ভাবনার জন্য অভিনন্দন জানাই| এটা এমন একসম্ভাবনাময় ক্ষেত্র যার উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ| এটা দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনার এক প্রধান ক্ষেত্র|
স্ব-সহায়ক দলগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রদত্ত সুদের ভর্তুকি সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলউন্নয়ন অর্থ নিগমের ঋণ সংযুক্তির মধ্য দিয়েও উপকৃত হচ্ছে|
আমাকে বলা হয়েছে, উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রক বিভিন্ন দিক দিয়েউত্তর-পূর্বাঞ্চল হস্তকারু ও হস্ততাঁত উন্নয়ন নিগমের এবং উত্তর-পূর্বের আঞ্চলিককৃষি বিপণন নিগমের কাজকর্মে সহায়তা করে চলেছে|
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং কারিগর, তাঁতি ও কৃষকদেরসঙ্গে হাত মিলিয়ে বাজার ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য সহায়তা করছে|
সি.এস.আই.আর., আই.সি.এ.আর. এবং আই.আই.টি.গুলো যেসব প্রযুক্তি ও পণ্য তৈরিকরেছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেগুলোর সম্ভাব্য ব্যবহারের বিষয়টির গবেষণা করা দরকার,যাতে স্থানীয় উত্পাদনকে মূল্যযুক্ত করা যায়|
বন্ধুগণ! আজ আমরা মিজোরামের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইল-ফলক উদযাপনেরজন্য এখানে জমায়েত হয়েছি—৬০ মেগা ওয়াটের তুইরিয়াল জলবিদ্যুত প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হওয়াএবং একে জাতির উদ্দেশে উত্সর্গ করার এই অনুষ্ঠান| উত্তর পূর্বাঞ্চলের শেষবারের মতবড় আকারের কেন্দ্রীয় ক্ষেত্রের জলবিদ্যুত প্রকল্প ‘কপিলি স্টেজ-টু’ হওয়ার তেরো বছরপর এটা হয়েছে|
তুইরিয়াল জলবিদ্যুত প্রকল্প হচ্ছে মিজোরামে সফলভাবে তৈরি হওয়া প্রথম কোনোবড় আকারের কেন্দ্রীয় ক্ষেত্রের প্রকল্প| এটাই রাজ্যের প্রথম বড় আকারের জলবিদ্যুতপ্রকল্প| প্রতিবছর এখানে ২৫১ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুত শক্তি উত্পাদন হবে এবং রাজ্যেরআর্থ-সামাজিক মানোন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে|
এই প্রকল্প রূপায়িত হওয়ার মধ্য দিয়ে মিজোরাম উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যেত্রিপুরা ও সিকিমের পর তৃতীয় বিদ্যুত-উদ্বৃত্ত রজ্যে পরিণত হলো|
এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীজি’র সরকারের সময় ১৯৯৮ সালে ঘোষিতহয়েছিল এবং এর মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সম্পূর্ণ হতে দেরী হয়ে যায়|
এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চলতি কাজগুলোসমাপ্ত করা এবং উন্নয়নের এক নতুন যুগে এই অঞ্চলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরপ্রতিশ্রুতিই প্রতিফলিত হয়েছে|
এখানে বিদ্যুত উত্পাদনের পাশাপাশি এই জলাধারের জল নৌ-চলাচলের জন্য এক নতুনপথ খুলে দেবে| এর মধ্য দিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোর মধ্যে যোগাযোগ সম্ভব হবে|পাঁয়তাল্লিশ বর্গ কিলোমিটার ব্যপী ছড়িয়ে থাকা এই জলাধার মত্স্যচাষের উন্নয়নেওব্যবহার করা যেতে পারে|
এই প্রকল্প জৈব-পর্যটনের উন্নয়নে গতি নিয়ে আসবে এবং পানীয় জল সরবরাহের একসুনিশ্চিত উত্স হিসেবে কাজ করবে| আমি জানতে পেরেছি যে, এই রাজ্যের ২১০০ মেগা ওয়াটজলবিদ্যুত তৈরির ক্ষমতা রয়েছে, এর মধ্যে আমরা মাত্র সামান্য অংশই এখন পর্যন্তব্যবহার করতে পেরেছি|
মিজোরাম একটি বিদ্যুত রফতানিকারী রাজ্য হয়ে না ওঠার কোনো কারণ আমি দেখতেপাইনা| উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোকে বিদ্যুত উত্পাদনে উদ্বৃত্ত করে তোলাই শুধুআমাদের লক্ষ্য নয়| আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে একটি অত্যাধুনিক বিদ্যুত-পরিবহন পদ্ধতি,যার মধ্য দিয়ে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ঘাটতি রাজ্যগুলোতে বিদ্যুত পৌঁছে দেওয়াসুনিশ্চিত করা যায়|
আমার সরকার উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিদ্যুত পরিবহন পদ্ধতির ব্যাপক উন্নয়নেরজন্য প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে|
বন্ধুগণ, স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও আমাদের দেশে এমন ৪ কোটি ঘর রয়েছে, যেখানেএখন পর্যন্ত বিদ্যুতের সংযোগ নেই| আপনারা ভাবতে পারেন ঐসব মানুষ কীভাবে অষ্টাদশশতকের জীবন যাপন করার জন্য বাধ্য হয়ে আছেন| এখানে মিজরামেও হাজার হাজার এমন পরিবাররয়েছে, যারা এখনও অন্ধকারে জীবন কাটাচ্ছেন| এই সমস্ত পরিবারগুলিকে বিদ্যুত পৌঁছেদেওয়ার জন্য সরকার সম্প্রতি ‘প্রধানমন্ত্রী সহজ বিদ্যুত প্রতি ঘরে’ প্রকল্প অর্থাত‘সৌভাগ্য’-এর সূচনা করেছে| আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, যত শীঘ্র সম্ভব প্রত্যেক বাড়িতেযাতে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া যায়|
এই প্রকল্পে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে| যেসব গরিব পরিবারকে এইপ্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হবে, তাদের সেই সংযোগের জন্য সরকার কোনোপয়সা নেবেনা| আমরা চাই যে, দরিদ্রদের জীবনে উজ্জ্বলতা আসুক, তাদের জীবন আলোকিতহোক|
বন্ধুগণ, যদি দেশের বাকি অংশের সঙ্গে তুলনা করা যায়, তাহলে দেখা যাবে যেউত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন উদ্যোগীদের বৃদ্ধি যত সংখ্যায় হওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি| এরএকটা বড় কারণ হচ্ছে, নিজের ব্যবসা শুরু করার জন্য যুব অংশের মানুষ প্রয়োজনীয় পুঁজিপেতেন না| নবযুবদের এই প্রয়োজনীয়তাকে উপলব্ধি করে সরকার ‘প্রধানমন্ত্রী মুদ্রাযোজনা’, ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া যোজনা’, ‘স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া যোজনা’র মতপ্রকল্পগুলোর সূচনা করেছে| উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ডোনারমন্ত্রক ১০০ কোটি টাকার এক ‘ভেনচার ক্যাপিটেল ফান্ড’ তৈরি করেছে| মিজোরামেরনবযুবদের প্রতি আমার আহ্বান এই যে, তারা যেন কেন্দ্রীয় সরকারের এইসব প্রকল্পগুলোরসুবিধা গ্রহণ করেন| এখানকার নবযুবদের উদ্যোগ শুরু করার ক্ষেত্রে অর্থাত‘স্টার্ট-আপ’-এর ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা রাখার ক্ষমতা রয়েছে| ভারত সরকার এই ধরনেরযুবদেরকে সহায়তা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ|
আমরা ভারতের যুব অংশের মধ্যে দক্ষতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি| আমরা‘উদ্যোগের মাধ্যমে সক্ষমতা’য় বিশ্বাস করি, যা উদ্ভাবনা ও উদ্যোগের সঠিকবাস্তুতন্ত্র তৈরি করে, যাতে আমাদের ভূমি মানবতার রূপান্তরকারী ধারণার স্থান হতেপারে|
২০২২ সালে ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করবে, পরবর্তী এই পাঁচ বছরউন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি লাভ করার সাফল্য অর্জনে পরিকল্পনা ও রূপায়ণেরক্ষেত্রে এক সুযোগ প্রদান করছে|
২০২২ সালের মধ্যে এক নব-ভারত গঠনের জন্য দুটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করাপ্রয়োজন–এর একটি হচ্ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বৃদ্ধি এবং দ্বিতীয়য়টি হচ্ছেএকইসঙ্গে এই প্রবৃদ্ধির সুফলকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া| ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ছাড়াও জাতি, লিঙ্গ, ধর্ম, শ্রেণী নির্বিশেষে সবাই যাতে এই নতুন সমৃদ্ধির সুফলেশামিল হতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে|
আমার সরকার প্রতিযোগিতামূলক ও সমবায়ভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের ভাবনায় বিশ্বাসকরে, যেখানে রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় থাকবে| আমি বিশ্বাস করিযে, রাজ্যগুলো হচ্ছে পরিবর্তনের প্রধান চালিকা শক্তি|
আমরা রাজ্যগুলোর মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণকরেছি| কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে যুক্তিযুক্ত করে তোলার জন্যমুখ্যমন্ত্রীদের একটি কমিটি সুপারিশ করেছে| আমরা সেই প্রস্তাব সমূহকে যথাযথভাবেগ্রহণ করেছি|
আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্বেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানপ্রকল্পগুলোর শেয়ার কাঠামো ৯০:১০ অনুপাতেই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে| অন্য প্রকল্পগুলোরক্ষেত্রে তা হচ্ছে ৮০:২০ অনুপাতে|
বন্ধুগণ, উন্নয়নের সুফল যদি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তাহলেই নব-ভারতেরস্বপ্ন বাস্তব হতে পারে|
কেন্দ্রীয় সরকার দেশের মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক সূচকের ভিত্তিতে তুলনামূলকভাবেপিছিয়ে রয়েছে এমন প্রায় ১১৫টি জেলার দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার পরিকল্পনানিয়েছে| এর ফলে মিজোরাম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলেরও পিছিয়ে পড়া জেলাগুলো উপকৃত হবে|
গতকালই আমরা নতুন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছি| এই ‘উত্তর-পূর্ববিশেষ পরিকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রকল্প’ দুটি ক্ষেত্রে পরিকাঠামো নির্মাণেরঘাটতি পূরণ করবে|
একটি হচ্ছে জল সরবরাহ, বিদ্যুত, যোগাযোগ এবং পর্যটনের উন্নয়নের বিশেষপ্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবহারিক পরিকাঠামো|
অন্যটি হচ্ছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সামাজিক ক্ষেত্রের প্রকল্প| এই নতুনপ্রকল্প রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনাক্রমে রূপায়ণ করা হয়েছে| তবুধারাবাহিকতা সুনিশ্চিত করতে নন-ল্যাপ্সেবল সেন্ট্রাল পুল অফ রিসোর্সেস(এন.এল.সি.পি.আর.)-এর অধীনে চলতে থাকা প্রকল্পগুলোকে ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যেসম্পূর্ণ করার জন্য তহবিল প্রদান করা হবে|
এন.এল.সি.পি.আর.-এ যেখানে রাজ্য সরকারগুলো ১০ শতাংশ অর্থ প্রদান করে থাকে,তার পরিবর্তে নতুন প্রকল্পটি সম্পূর্ণরূপেই অর্থাৎ একশ শতাংশই কেন্দ্রীয় তহবিলেরমাধ্যমে পরিচালিত হবে|
কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে আগমী তিন বছর ধরে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোকে৫৩০০ কোটি টাকা দিয়ে যাবে|
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা হচ্ছে এর যোগাযোগের সমস্যা|আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, এই অঞ্চলের পরিকাঠামোয় বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে পরিবহনেরক্ষেত্রে রূপান্তর|
কেন্দ্রীয় সরকার গত তিন বছরে ৩২০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩৮০০কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণের জন্য মঞ্জুরি দিয়েছে| যার মধ্যে প্রায় ১২০০কিলোমিটার সড়ক ইতোমধ্যেই নির্মাণ হয়ে গেছে|
কেন্দ্রীয় সরকার আগামী দুই-তিন বছরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মহাসড়ক ও সড়কের একটিনেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিশেষ দ্রুততর সড়ক উন্নয়ন কর্মসূচি’রঅধীনে আরও ৬০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে এবং ভারতমালা’র অধীনে আরও ৩০,০০০ কোটিটাকা বিনিয়োগ করবে|
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবগুলি রাজ্যের রাজধানীকে রেল মানচিত্রে নিয়ে আসার জন্যআমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ|
ভারত সরকার ৪৭,০০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে ১৩৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৫টি নতুনরেলপথ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে|
আসামের শিলচরের সঙ্গে মিজোরামের ভৈরবীর মধ্যে রেললাইন সংযোগের মধ্য দিয়ে গতবছর মিজোরামে রেল এসেছে|
আমি ২০১৪ সালে আইজলের সঙ্গে রেল সংযোগের জন্য নতুন রেললাইনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি|
রাজ্য সরকারের সহায়তায় আমরা রাজ্যের রাজধানী আইজলকে ব্রডগেজ রেল লাইনেসংযুক্ত করব|
কেন্দ্রীয় সরকার সক্রিয়ভাবে ‘অ্যাক্ট ইস্ট নীতি’ অনুসরণ করে আসছে|দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে হিসেবে মিজোরাম এ থেকে বিশেষ লাভ পাবে| মায়ানমার ওবাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তা প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে|
বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক প্রকল্প এখন সমাপ্তির বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে| এর মধ্যেউল্লেখযোগ্য হিসেবে রয়েছে কালাদান মাল্টি-মডেল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট,রিহ-টেডিম রোড প্রজেক্ট এবং সীমান্ত হাট|
এই সমস্ত উদ্যোগ অর্থনৈতিক সংযোগের সুযোগ বৃদ্ধি করবে এবংউত্তর-পূর্বাঞ্চলের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে অবদান রাখবে|
বন্ধুগণ, মিজোরামের উচ্চ সাক্ষরতার হার, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ইংরেজিভাষায় কথাবলা মানুষের বেশিমাত্রায় সহজলভ্যতা মিজোরামকে এক আদর্শ পর্যটনের গন্তব্যরাজ্য হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছে|
এই রাজ্য এডভেঞ্চার পর্যটন, সংস্কৃতি পর্যটন, জৈব-পর্যটন, বন্যপ্রাণ পর্যটনএবং কমিউনিটি নির্ভর গ্রামীণ পর্যটনের জন্য এক উল্লেখযোগ্য সুযোগ প্রদান করে|উন্নয়ন যদি সঠিকভাবে করা যায়, তাহলে এই রাজ্যের জন্য পর্যটন সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থানতৈরি করবে| কেন্দ্রীয় সরকার জৈব-পর্যটন ও এডভেঞ্চার-পর্যটনে উত্সাহ দিতে গত দুইবছরে মিজোরামের জন্য ১৯৪ কোটি টাকার দু’টি পর্যটন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে| এইপ্রকল্প দু’টোর রূপায়ণে কেন্দ্রীয় সরকার ইতোমধ্যেই ১১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে|
পর্যটকদের আকর্ষণ করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার মিজোরামের বিভিন্ন বন্যপ্রাণীঅভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যানকে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার জন্য সহায়তা প্রদানেপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ| আসুন মিজোরামকে দেশের মধ্যে পর্যটনের এক প্রধান গন্তব্যে পরিণতকরার জন্য একসঙ্গে মিলে কাজ করি|
বন্ধুগণ, আমাদের দেশের এই অংশ খুব সহজেই নিজেকে কার্বন নেগেটিভ হিসেবে ঘোষিতকরতে পারে| আমাদের প্রতিবেশী ভুটান এই কাজটা করে দেখিয়েছে| রাজ্য সরকারগুলোর পক্ষথেকে যদি প্রয়াস বৃদ্ধি পায়, তাহলে উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যই কার্বন নেগেটিভ হতেপারে| কার্বন নেগেটিভ রাজ্যের এই পরিচয় দেশের এই অংশকে গোটা বিশ্বের মানচিত্রে একবিশেষ ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে| যেভাবে সিকিম নিজেকে ১০০ শতাংশজৈব-রাজ্য হিসেবে ঘোষিত করেছে, সেভাবেই উত্তর-পূর্বের অন্য রাজ্যগুলোও এই লক্ষ্যেনিজের প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে|
জৈব-চাষে উত্সাহ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার পরম্পরাগত কৃষি উন্নয়নপ্রকল্প শুরু করেছে| এর মাধ্যমে সরকার দেশে ১০ হাজারেরও বেশি জৈব-গুচ্ছগ্রামবিকশিত করছে| উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও ১০০টি কৃষক উত্পাদক সংস্থা তৈরি করা হয়েছে| এরসঙ্গে ৫০ হাজারেরও বেশি কৃষককে যুক্ত করা হয়ে গেছে| এখানকার কৃষকরা যাতেজৈব-উত্পাদন দিল্লিতে বিক্রি করতে পারেন, তার জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে|
বন্ধুগণ, ২০২২ সালে আমাদের দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করবে|সেক্ষেত্রে মিজোরাম এই সংকল্প নিতে পারে যে, ২০২২ সালের মধ্যে নিজেকে ১০০ শতাংশজৈব ও কার্বন নেগেটিভ রাজ্য হিসেবে উন্নত করে নেবে| আমি মিজোরামের মানুষদের এইনিশ্চয়তা দিতে চাই যে, এই সংকল্পের সিদ্ধিলাভের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সমস্তরকমভাবে তাদের পাশে রয়েছে| আমরা আপনাদের ছোট ছোট অসুবিধাগুলোকে উপলব্ধি করে সেগুলোকেসমাধান করছি| যেমন আমি আপনাদেরকে এক্ষেত্রে বাঁশের উদাহরণ দিতে চাই|
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকার উত্স ‘বাঁশ’ একটা সীমাবদ্ধনিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার মধ্যে ছিল| আপনি অনুমতি ছাড়া আপনার নিজের জমিতেই উত্পাদিতবাঁশকে কোথাও নিয়ে যেতে বা বিক্রি করতে পারতেন না| আমাদের সরকার এই সমস্যা ওযন্ত্রণার নিরসনের লক্ষ্য নিয়ে এই নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করছে| এখন কোনোকৃষককে তাঁর নিজের জমিতে উত্পাদিত বাঁশের এবং এ থেকে উত্পাদিত পণ্যের পরিবহন ওবিক্রিতে কোনো ধরনের পারমিট বা অনুমতির প্রয়োজন হবে না| এর ফলে লক্ষ লক্ষ কৃষকউপকৃত হবেন এবং ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয়ের পরিমাণ দ্বিগুণ করার প্রচেষ্টারমধ্যেও তা যুক্ত হবে|
আমি মিজোরাম এসে ফুটবলের কথা বলবো না, এটা হতে পারেনা| এখানকার বিখ্যাতখেলোয়াড় জেজে লালপেখলুয়া গোটা দেশের মনোযোগ আকর্ষিত করেছেন| আর মিজোরামে তো ফুটবলপ্রতিটি ঘরেরই যেন অংশ| আমাকে বলা হয়েছে যে, ফিফা’র পাইলট প্রজেক্ট এবং আইজল ফুটবলক্লাব স্থানীয় প্রতিভাকে আরও শক্তিশালী করছে|
মিজোরাম যখন ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো সন্তোষ ট্রফি জয় করেছিল, তখন গোটাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা মিজোরামের প্রশংসা করেছিলেন| আমি মিজোরামের মানুষদেরকেখেলাধুলার জগতে তাদের কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানাই| ফুটবল এমন এক সফ্ট-পাওয়ারযার মধ্য দিয়ে মিজোরাম গোটা দুনিয়াতে নিজের পরিচয় তৈরি করতে পারে|
ফুটবলের সফ্ট পাওয়ার মিজোরামের বৈশ্বিক পরিচয় হতে পারে| মিজোরামের আরও অনেকবিখ্যাত খেলোয়াড় রয়েছেন যারা রাজ্য ও দেশের নাম উজ্জ্বল ও গৌরবান্বিত করেছেন| এদেরমধ্যে আছেন অলিম্পিয়ান তীরন্দাজ সি. লালরেমসাঙ্গা, মুষ্টিযোদ্ধা শ্রীমতি জেনিলালরেমলিয়ানি, ভারোত্তলক শ্রীমতি লালছাহিমি এবং হকি খেলোয়াড় শ্রীমতি লালরুয়াতফেলি|
আমি নিশ্চিত যে, মিজোরাম বিশ্বের মঞ্চে বিখ্যাত হওয়ার মতো খেলোয়াড়দের দেওয়াঅব্যাহত রাখবে|
বন্ধুগণ, বিশ্বের বেশকিছু দেশের অর্থব্যবস্থা শুধুমাত্র খেলাধুলার ওপরনির্ভর করেই চলছে| নানা ধরনের খেলাধুলার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশের সৃষ্টি করে এরকমদেশ গোটা বিশ্বের মানুষদের আকর্ষিত করে থাকে| উত্তর-পূর্বাঞ্চলে খেলাধুলার অপারক্ষমতাকে দেখেই কেন্দ্রীয় সরকার এই অঞ্চলের ইম্ফলে ক্রীড়া-বিশ্ববিদ্যালয়েরও স্থাপনকরছে|
ক্রীড়া-বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হওয়ার পর এখানকার যুবসমাজের কাছে খেলাধুলা ও এরসঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানা ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা সহজ হয়ে যাবে| আমাদের প্রস্তুতিতো এমনও রয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর এর ক্যাম্পাস শুধুমাত্র ভারতেই নয়,বিশ্বের অন্য দেশেও খোলা হবে, যাতে এখানকার খেলায়াড়গণ অন্য দেশেও গিয়ে খেলাধুলারসঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন|
আমি দেখতে পাচ্ছি বড়দিন উদযাপনের জন্য আইজল এক রঙিন ও উত্সবের চেহারায়সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়ে আছে| আমি আরও একবার আপনাদের সবাইকে এবং মিজোরামের সমস্তমানুষকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি|
ইন বায়া ছুঙ্গ ক-লৌম এ মঙ্গছা|
I am delighted to be in Mizoram. This is my first visit here as PM but I have visited this state before that. I admire the beauty of Mizoram and friendly nature of the people of this state: PM @narendramodi in Aizawl https://t.co/vbG9VFN31Q pic.twitter.com/BPXLSzVScq
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
During the tenure of Shri Atal Bihari Vajpayee significant work was done for the development of the Northeast. We have taken forward this vision and are devoting resources for the progress of the Northeast. My ministerial colleagues are frequently visiting the Northeast: PM
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
There have been over 150 Ministerial visits. Our initiative- the Ministry of DoNER at your doorstep has added impetus to the development of the Northeast. It has enabled us to understand the aspirations of the Northeast even better: PM @narendramodi in Mizoram
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
Today we gather here to celebrate a significant mile-stone in the history of Mizoram: the completion and dedication of the 60 Mega-Watt Tuirial Hydropower Project: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
It is the first large hydropower project in Mizoram. It will boost the socio-economic development of the State: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
The project was first cleared by the Union Government of PM Vajpayee ji, way back in 1998 but got delayed. The completion of this project is a reflection of our commitment to complete ongoing projects and usher in a new era of development in the North Eastern region: PM
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
Besides electricity the reservoir water will also open new avenues for navigation. This will provide connectivity to remote villages. The huge reservoir, spread over an area of 45 square kilometres can also be used for development of fisheries: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
This project will boost eco-tourism and provide a source of assured drinking water supply: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
उत्तर-पूर्व को विशेष ध्यान में रखते हुए DONER मंत्रालय ने 100 करोड़ रुपए की राशि से एक वेंचर कैपिटल फंड भी बनाया है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
मेरा मिजोरम के नौजवानों से आग्रह है कि वो केंद्र सरकार की इन योजनाओं का ज्यादा से ज्यादा फायदा उठाएं। यहां के नौजवान Start up की दुनिया में छा जाने का हौसला रखते हैं, क्षमता रखते हैं। भारत सरकार ऐसे नौजवानों की हैंड होल्डिंग के लिए प्रतिबद्ध है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
We are betting on the skills and strengths of India's youth. We believe in 'empower through enterprise' - which is creating the right ecosystem for innovation and enterprise to flourish so that our land is home to the next big ideas that can transform humanity: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
Building a New India by 2022 requires us to work towards the twin goals of increasing economic growth as well as ensuring that the fruits of growth are shared by all: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
In the spirit of 'सबका साथ, सबका विकास' every Indian, irrespective of caste, gender, religion, class must have equal opportunities to partake in the new prosperity: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
Vision of New India can be realized only if fruits of development reach all. Government plans to focus on around 115 districts which are relatively backward when evaluated on various indicators. This will benefit backward districts of North Eastern States including Mizoram: PM
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
It is said that the lack of connectivity is one of the biggest hurdles in the path of development of the North Eastern Region. My Government wants to do 'Transformation by Transportation' through investment in infrastructure to change the face of the North Eastern Region: PM
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
We are committed to bring all the State Capitals of North East Region on the Rail map. The Government of India is executing 15 New Rail Line projects of 1385 kilometers length, at a cost of over Rs.47,000 crore: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
The Union Government has been proactively following the ‘Act East Policy’. As a gate-way to South East Asia, Mizoram stands to gain immensely from this. It can emerge as a key transit point for trade with Myanmar and Bangladesh: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
The high literacy rate, scenic beauty and availability of large English speaking population in Mizoram make for a perfect blend to develop the State as a model tourist destination: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
The Bamboo which is the livelihood for lakhs of people of North East, has been under a very restrictive regulatory regime. Because of this, you cannot transport or sell the Bamboo produced in your own field without the permit: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
Our Government with an aim to reduce this pain, has changed the regulatory regime and now there will be no requirement of any permit or permission for producing, transporting and selling Bamboo and its products produced by farmers in their own fields: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017
This will benefit lakhs of farmers and will add to the efforts to double the farmers income by 2022: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 16, 2017