India is one of the most investor-friendly economies in the world. Investors look for growth and macro-economic stability: PM Modi
India has emerged as a bright spot in the global economy which is driving global growth as well: PM Modi
Global confidence in India’s economy is rising: PM Modi From the point of a foreign investor, India counts as an extremely low risk political economy: PM Modi
Government has taken a number of steps to boost investment. We have simplified rules and regulations for businesses and undertaken bold reforms: PM Modi
We have provided investors an environment which is efficient, transparent, reliable and predictable: PM
We have liberalized the FDI regime. Today, most sectors are on automatic approval route: Prime Minister
GST is one of the most significant systemic reforms that our country has undergone. It works on the One Tax - One Nation principle: PM
India has jumped forty-two places in three years to enter the top hundred in the World Bank’s Ease of Doing Business Report 2018: PM
Agriculture is the lifeblood of the Indian economy. We are promoting investments in warehouses and cold chains, food processing, crop insurance & allied activities: PM Modi
A ‘New India’ is rising. It is an India that stands on the pillars of economic opportunity for all, knowledge economy, holistic development, and futuristic, resilient and digital infrastructure: PM

এশীয় পরিকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক-এর প্রেসিডেন্ট

মঞ্চে উপবিষ্ট অন্যান্য বিশিষ্টজন,

ভারত এবং বিদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দ,

ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,

 

এশীয় পরিকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাঙ্কের তৃতীয় সাধারণ বৈঠক উপলক্ষে আজ মুম্বাইতে উপস্থিত থাকার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এই ব্যাঙ্ক এবং তার সদস্যদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে নিবিড়তর করে তোলার এ ধরণের এক সুযোগলাভের জন্যও আমি আনন্দিত।

 

এআইআইবি-এর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচনা ২০১৬-র জানুয়ারি মাসে। তিন বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭। ব্যাঙ্কের প্রতিশ্রুত মূলধনের মাত্রা বর্তমানে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এশিয়ায় এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে এই ব্যাঙ্ক এখন প্রস্তুত।

বন্ধুগণ,

 

জনসাধারণের জন্য এক উন্নততর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে তোলার লক্ষ্যে এশিয়ার দেশগুলির মিলিত প্রচেষ্টার ফসল হ’ল এশীয় পরিকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক। উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আমাদের সকলকেই প্রায় একই ধরণের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে একটি হ’ল পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সহায়সম্পদের চাহিদা পূরণ। একথা জেনে আমি খুবই খুশি যে, এ বছরের বৈঠকের মূল থিম বা আলোচ্য বিষয় হ’ল ‘পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগ : উদ্ভাবন ও সহযোগিতা’। নিরন্তর পরিকাঠামো প্রক্রিয়ার স্বার্থে এআইআইবি-র বিনিয়োগ প্রচেষ্টা কোটি কোটি মানুষের জীবনে সুফল এনে দিতে পারে।

 

শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, আর্থিক পরিষেবা এবং ব্যবহারিক দিক থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে এশিয়ার দেশগুলিতে এখনও বিভেদ ও বৈষম্য রয়ে গেছে।

 

এআইআইবি-র মতো আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলি সহায়সম্পদের প্রসার ও বৃদ্ধিতে এক কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

 

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পরিবহণ, দূর সঞ্চার, গ্রামীণ পরিকাঠামো, কৃষি বিকাশ, জল সরবরাহ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, পরিবেশ সুরক্ষা, নগরোন্নয়ন ইত্যাদির মতো ক্ষেত্রগুলিতে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে প্রদেয় সুদের হারকে সুলভ ও স্থায়ী করে তুলতে হবে।

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এআইআইবি প্রায় ১২টির মতো দেশে ২৫টি প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পগুলিতে মোট লগ্নির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। নিঃসন্দেহে এ হ’ল এক শুভ সূচনা।

 

এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুত মূলধনী সহায়তার পরিমাণ যেমন ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, সদস্য রাষ্ট্রগুলির পরিকাঠামো খাতে চাহিদা ও প্রয়োজনও তেমনই বিশাল। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের মাত্রা ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে তা ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার জন্য এআইআইবি কর্তৃপক্ষকে আমি আহ্বান জানাই।

 

এজন্য প্রয়োজন সরল প্রক্রিয়াকরণ এবং দ্রুত অনুমোদন পদ্ধতি। শুধু তাই নয়, এজন্য আবার প্রয়োজন উন্নত মানের প্রকল্প ও কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বলিষ্ঠ প্রকল্প গড়ে তোলার প্রস্তাব।

 

ভারত এবং এআইআইবি উভয়েই অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরন্তর করে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে আমার বিশ্বাস। ভারতে আমরা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মডেলগুলিকে অনুসরণ করে চলেছি। পরিকাঠামো খাতে লগ্নির জন্য আমরা চালু করেছি পরিকাঠামো ঋণ তহবিল এবং পরিকাঠামো বিনিয়োগ ট্রাস্ট। পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যে ভারত এমন কিছু কিছু সম্পদ গড়ে তুলতে সচেষ্ট, যেখানে জমি অধিগ্রহণ এবং পরিবেশ ও অরণ্য সংক্রান্ত ছাড়পত্র আদায়ের ক্ষেত্রে ঝুঁকির হার প্রায় নেই বললেই চলে। এর ফলে, এই ধরণের সম্পদ গড়ে তোলার কাজে পেনশন, বিমা এবং সার্বভৌম সম্পদ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে অনস্বীকার্য।

 

আমাদের আরেকটি উদ্যোগ হ’ল জাতীয় বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো তহবিল এর লক্ষ্য হ’ল – দেশের নিজস্ব এবং বিদেশি সহায়সম্পদকে পরিকাঠামো খাতে ব্যবহার করা। বিনিয়োগ খাতে এআইআইবি ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ফলে এই তহবিলটি এখন আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার মতো অবস্থায় পৌঁছে গেছে।

ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,

 

বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বিনিয়োগ-বান্ধব অর্থনীতির অন্যতম হ’ল ভারত। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং বৃহদায়তন অর্থনীতির স্থিতিশীলতার দিকে লক্ষ্য রেখেই বিনিয়োগকর্তারা লগ্নিতে আগ্রহী। সেই সঙ্গে, তাঁদের প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতি এবং সহযোগিতামূলক নিয়ন্ত্রক কাঠামো যাতে তাঁদের বিনিয়োগ সর্বদাই সুরক্ষিত থাকে। বৃহদাকারের কর্মপ্রচেষ্টা এবং অধিকতর মূল্য সংযোজনের দিক থেকে এক বড় ধরণের বিপণন ব্যবস্থা, দক্ষ শ্রমিক এবং বেশ ভালো রকমের ব্যবহারিক পরিকাঠামো বিনিয়োগ কর্তাদের আকৃষ্ট করে। এর সবকটি দিক থেকেই ভারতের অবস্থান কিন্তু অনুকূল ও সদর্থক। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে ভারতের সাফল্যও উল্লেখ করার মতো। আমাদের অভিজ্ঞতা এবং অর্জিত সাফল্যের কিছু কিছু বিষয় আমি আপনাদের সঙ্গে বিনিময় করতে আগ্রহী।

 

বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি উজ্জ্বল বিন্দু রূপে ভারতের আবির্ভাব বিশ্বের অগ্রগতিকেও সঠিক পথে চালিত করেছে। আমাদের দেশে বর্তমান বিনিয়োগের পরিমাণ ২.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক্ষেত্রে বিশ্বে ভারতের অবস্থান এখন সপ্তম। আবার ক্রয় ক্ষমতার দিক থেকে ভারত এখন রয়েছে তৃতীয় বৃহত্তম অবস্থানে। ২০১৭ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে আমাদের দেশে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭.৭ শতাংশে। অন্যদিকে, ২০১৮’তে বৃদ্ধির হারকে ৭.৪ শতাংশে ধরে রাখতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।

 

স্থিতিশীল মূল্য পরিস্থিতি এবং এক বলিষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পাশাপাশি দেশের আর্থিক পরিস্থিতিও রয়েছে কঠোর নিয়ন্ত্রণে। এই কারণে আমাদের বৃহদায়তন অর্থনীতি বর্তমানে রয়েছে বেশ মজবুত অবস্থায়। তেলের মূল্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। আর্থিক সংহতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সরকার দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন অর্থাৎ জিডিপি যেমন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে, সরকারি ঋণের বোঝাও তেমনই হ্রাস পেতে চলেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর রেটিং-এর দিক থেকেও ভারতের বর্তমান অবস্থান বেশ উঁচুতেই রয়েছে।

 

বিদেশের সঙ্গে আমরা এক বলিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পেরেছি। ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিদেশি মুদ্রার মজুত ভাণ্ডার আমাদের আরও কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে। ভারতীয় অর্থনীতিতে বিশ্বের আস্থা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের মাত্রাও অপ্রতিহতভাবেই বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। গত চার বছরে আমরা পেয়েছি ২২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আঙ্কটাডের বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের একটি গন্তব্য হিসাবে ভারত এখন বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।

ভদ্র মহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,

 

বিদেশি বিনিয়োগ কর্তারা মনে করেন যে, ভারতের রাজনৈতিক অর্থ ব্যবস্থায় ঝুঁকির হার প্রায় নগণ্য। বিনিয়োগ প্রচেষ্টাকে উৎসাহ দিতে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাণিজ্যিক কাজকর্মের স্বার্থে নিয়মনীতিকে আমরা অনেকটাই সরল করে তুলেছি। আবার বিনিয়োগ কর্তাদের জন্য আমরা গড়ে তুলেছি এক দক্ষ, নির্ভরযোগ্য, স্বচ্ছ এবং সহজেই অনুমেয় এক পরিবেশ ও পরিস্থিতি।

 

প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশকে আমরা অনেকটাই উদার করে তুলেছি। বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনুমোদন সম্পর্কিত প্রক্রিয়াকরণের কাজ পরিচালিত হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে।

 

আমাদের দেশে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি পদ্ধতিগত সংস্কার প্রচেষ্টা হ’ল পণ্য ও পরিষেবা করের প্রচলন। ‘এক জাতি – অভিন্ন কর’ এই নীতি অনুসরণ করে তা চালু করা হয়েছে। এর ফলে, কর বৃদ্ধির প্রবণতাকে যেমন নিয়ন্ত্রণ করা গেছে, অন্যদিকে তেমনই কাজকর্মে স্বচ্ছতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে সার্বিক দক্ষতাকেও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। তাই, ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এখন বিনিয়োগকারীদের কাছে অনেকটাই সহজ হয়ে উঠেছে।

 

আমাদের এই সমস্ত পরিবর্তন লক্ষ্য করেছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিও। বাণিজ্যিক কাজকর্ম সহজতর করে তোলার প্রসঙ্গে বিশ্ব ব্যাঙ্কের ২০১৮ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪২টি স্থান অতিক্রম করে ভারতের অবস্থান এখন শীর্ষস্থানীয় ১০০টি দেশের মধ্যে।

 

ভারতীয় বাজারের আকার ও আয়তন যথেষ্ট সম্ভাবনাপূর্ণ। ভারতে মাথাপিছু আয় গত ১০ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ। মধ্যবিত্ত ক্রেতা সাধারণের সংখ্যাও বর্তমানে ৩০ কোটিরও বেশি। এই সংখ্যা আগামী ১০ বছরে আরও দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের চাহিদা ও প্রয়োজন বর্তমানে এতটাই বিশাল যে বিনিয়োগ কর্তারা এদেশের অর্থনীতির অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধাগুলি কাজে লাগাতে পারবেন। যেমন – ভারতে বাসস্থান নির্মাণ কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা হ’ল দেশের শহরাঞ্চলগুলিতে ১ কোটি বাসস্থান নির্মাণ করা। বেশ কয়েকটি দেশের এ সম্পর্কিত চাহিদাগুলিকে যোগ করলেও তা ভারতের চাহিদার সঙ্গে কোনওভাবেই তুলনীয় নয়। সুতরাং, ভারতে বিনিয়োগে আগ্রহী হলে বাসস্থান নির্মাণের ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহার অনেকগুলি সুযোগ-সুবিধাই এনে দিতে পারে।

 

এক্ষেত্রে আরেকটি উদাহরণ হ’ল ভারতের পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি কর্মসূচি। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে ১৭৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আমরা স্থির করেছি। এর মধ্যে সৌর জ্বালানি উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০০ গিগাওয়াট। এই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার জন্যও আমরা সচেষ্ট রয়েছি। ২০১৭ সালে আমরা প্রচলিত এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করেছি। আন্তর্জাতিক সৌর সমঝোতা গঠনের মধ্য দিয়ে সৌরশক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে মিলিত প্রচেষ্টার ওপর আমরা জোর দিয়েছি। এই মঞ্চ প্রতিষ্ঠার প্রথম সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় এ বছর নয়াদিল্লিতে। ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ১ হাজার গিগাওয়াট সৌর জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে এই মঞ্চটিতে।

 

বৈদ্যুতিন পদ্ধতি ও প্রচেষ্টার ওপর আমরা এখন কাজ করে চলেছি। আমাদের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ হ’ল প্রযুক্তির এক মজুত ভাণ্ডার গড়ে তোলা। এ সম্পর্কিত একটি সম্মেলনও আমরা আহ্বান করেছি এ বছর। এই প্রচেষ্টা আমাদের আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে আমি আশাবাদী।

বন্ধুগণ,

 

ভারতের সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আমরা সর্বস্তরে আরও উন্নত করে তুলছি। জাতীয় করিডর ও মহাসড়ক নির্মাণের মাধ্যমে সড়ক সংযোগকে আরও উন্নত করে তুলতে রূপায়িত হচ্ছে ভারতমালা কর্মসূচি। অন্যদিকে, বন্দরগুলির সঙ্গে যোগাযোগ, বন্দর আধুনিকীকরণ এবং বন্দর-ভিত্তিক শিল্প প্রচেষ্টার কাজকে উৎসাহ দিতে আমরা গ্রহণ করেছি সাগরমালা প্রকল্পটিকে। দেশের রেল নেটওয়ার্ককে জটমুক্ত করতে নির্মিত হচ্ছে ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর। অন্তর্দেশীয় জল পরিবহণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজের সুবিধার জন্য জাতীয় জলপথগুলির পরিবহণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে রূপায়িত হচ্ছে জল মার্গ বিকাশ প্রকল্প। আকাশপথে যোগাযোগকে আরও সহজ ও উন্নত করে তুলতে এবং আঞ্চলিক বিমানবন্দরগুলিকে উন্নত করে তোলার লক্ষ্যে আমরা চালু করেছি উড়ান কর্মসূচিও। পরিবহণ এবং পণ্য চলাচলের জন্য ভারতের যে দীর্ঘ উপকূল রেখা রয়েছে, তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়টি এখনও বাকি রয়ে গেছে। এই দিকটিতেও এখন দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

পরিকাঠামো সম্পর্কে প্রচলিত ধ্যানধারণার পাশাপাশি আধুনিক যুগের উপযোগী কিছু কিছু পরিকাঠামো সম্পর্কেও কাজ শুরু হয়ে গেছে আমাদের দেশে। ভারতনেট-এর মাধ্যমে দেশের সর্বশেষ প্রান্তটিকেও যুক্ত করা হবে ইন্টারনেট ব্যবস্থার সঙ্গে। বর্তমানে ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৬ কোটি। অন্যদিকে, দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১.২ বিলিয়ন-এ। ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনের বিষয়টিকেও আমরা উৎসাহিত করছি। ভীম অ্যাপ এবং রুপে কার্ডের সঙ্গে আমাদের ইউনাইটেড পেমেন্টস্‌ ইন্টারফেস সিস্টেম অর্থাৎ ইউপিআই ডিজিটাল অর্থনীতির প্রকৃত সম্ভাবনার সফল প্রয়োগকে কাজে লাগিয়েছে। অন্যদিকে, উমঙ্গ অ্যাপ এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ১০০টি সরকারি পরিষেবা লাভের সুযোগ গ্রহণ করছেন দেশের নাগরিকরা। দেশের গ্রাম ও শহরাঞ্চলের মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে ফাঁক বা ব্যবধান রয়ে গেছে, তা পূরণ করাই হ’ল আমাদের ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

 

কৃষি হ’ল ভারতীয় অর্থনীতির এক জীবনরেখা। তাই, গুদামঘর ও কোল্ডচেন গড়ে তোলা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও শস্য বিমার মতো প্রচেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজকর্মের ক্ষেত্রেও আমরা এখন বিনিয়োগের প্রসার ঘটিয়ে চলেছি। জলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার সাথে সাথে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা এখন উৎসাহিত করছি অতিক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থাগুলিকেও। সম্ভাবনাময় এই ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতাবদ্ধ হওয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাই এআইআইবি-কে।

 

শৌচাগার, জল এবং বিদ্যুতের সুযোগ-সুবিধা সহ একটি করে বাসস্থানের সুযোগ আমরা পৌঁছে দিতে চাই দেশের প্রত্যেকটি দরিদ্র ও নিরাশ্রয় পরিবারে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সফল করে তুলতেও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের আমরা পক্ষপাতী।

 

সম্প্রতি আমাদের জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা মিশন আয়ুষ্মান ভারতের সূচনা হয়েছে। দেশের ১০০ মিলিয়ন দরিদ্র ও অসহায় পরিবারগুলির কাছে বছরে ৭ হাজার ডলারের চিকিৎসা সহযোগিতার সুযোগ পৌঁছে দেবে এই প্রকল্পটি। স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ প্রসারের পাশাপাশি এই ক্ষেত্রটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে প্রচুর। এই প্রচেষ্টার পথ ধরে উন্নতমানের ওষুধ ও সংশ্লিষ্ট ব্যবহার্য এবং চিকিৎসা প্রযুক্তির সাজসরঞ্জাম উৎপাদনও প্রসার লাভ করবে। কল সেন্টার, গবেষণা, মূল্যায়ন এবং তথ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ সম্পর্কিত কর্মপ্রচেষ্টা সহ বিভিন্ন সহায়ক কাজকর্মেও কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারিত হবে। এর ফলে, সার্বিকভাবে উৎসাহ লাভ করবে স্বাস্থ্য পরিচর্যা শিল্পটিও।

 

শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য পরিচর্যার দায়িত্ব সরকার বহন করার ফলে একটি পরিবারের আর্থিক সাশ্রয় বা সঞ্চয়কে অন্যান্য প্রয়োজন ও বিনিয়োগের কাজে লাগানো যাবে। একটি দরিদ্র পরিবারের কাছে ব্যয় করার মতো অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ পৌঁছে যাওয়ার ফলে দেশের অর্থনীতিতে চাহিদাও উত্তরোত্তর-ও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। বিনিয়োগকারীদের কাছে এর সুযোগ ও সম্ভাবনা কিন্তু কোনও দিক থেকেই কম কিছু নয়।

 

বন্ধুগণ,

 

ভারতীয় অর্থনীতির এই পুনরুত্থানের কাহিনী এশিয়ার অন্যান্য প্রান্তেও আজ পৌঁছে গেছে। তাই, বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের এক বিশেষ মধ্যভাগে বর্তমানে অবস্থান করছে সমগ্র এশিয়া মহাদেশ। সত্যি কথা বলতে কি, তা হয়ে উঠেছে বিশ্ব অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। ‘এশিয়ার শতক’ বলে প্রায়শই যা উচ্চারিত হয়, বস্তুতপক্ষে তার মধ্যেই এখন বাস করছি আমরা।

 

অভ্যুদয় ঘটতে চলেছে এক ‘নতুন ভারত’-এর। এই ভারত দাঁড়িয়ে রয়েছে সকলের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা, জ্ঞান-নির্ভর অর্থনীতি, সার্বিক বিকাশ প্রচেষ্টা এবং ভবিষ্যতের এক দৃঢ় ডিজিটাল পরিকাঠামোর স্তম্ভের ওপর। এআইআইবি সহ আমাদের সবকটি উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে নিরন্তর কর্মপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে রয়েছি।

 

পরিশেষে, আজকের এই মঞ্চে আলোচনা ও মতবিনিময় ফলপ্রসূ হয়ে উঠবে এবং তা সকলের কাছে সমৃদ্ধির বার্তা বহন করে নিয়ে আসবে বলেই আমি আশাবাদী।

 

ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।