সৌদি আরবের মাননীয় শক্তি মন্ত্রী,
ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী,
আন্তর্জাতিক শক্তি ফোরামের মহাসচিব,
বিশিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দ,
ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,
আমি আপনাদের ভারতে স্বাগত জানাই।
ষোড়শ আন্তর্জাতিক শক্তি ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে স্বাগত জানাই।
আমি এখানে এত বিরাট সংখ্যায় তেল উৎপাদক ও গ্রাহক দেশগুলির শক্তি মন্ত্রীদেরও আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন সংস্থার সিইও-দের দেখে খুব খুশি হয়েছি।
আপনারা আজ এখানে বিশ্বব্যাপী শক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য সমবেতহয়েছেন। সমগ্র বিশ্ব বর্তমানে শক্তি সরবরাহ ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তনেরমুখোমুখি হয়েছে।
শক্তির ব্যয়ের হার ওইসিডি নয় এই ধরনের দেশগুলিতে বৃদ্ধি পেয়েছে : মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং উন্নয়নশীল এশিয়া।
অন্যান্য সমস্ত শক্তির উৎসের তুলনায় সৌরশক্তি অনেকটাই অর্থনৈতিক দিক থেকেসুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। এরফলে, সরবরাহের ব্যবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে।
বিশ্বের সর্বত্র প্রাকৃতিক গ্যাসের পর্যাপ্ত প্রাপ্তিযোগ্যতা এবং এলএনজি ওপ্রাকৃতিক গ্যাসের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার প্রাথমিক শক্তি ভাণ্ডারে অবদান যোগাচ্ছে।
খুব শীঘ্রই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদক দেশ হয়ে উঠতেচলেছে। আগামী কয়েক দশকের জন্য অতিরিক্ত তেলের চাহিদার এক বিরাট অংশ তারাই মেটাতেপারবে বলে ভবিষ্যৎ বাণী করা হয়েছে।
বিশ্বের ওইসিডি-ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে প্রাথমিক শক্তি ক্ষেত্রে সর্বপ্রধানঅবদান হিসাবে ক্রমশ কয়লা আকর্ষণ হারাচ্ছে। পরে, উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও একই প্রবণতাদেখা দিতে পারে।
বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রচলন ব্যাপকভাবে শুরু হলে আগামী কয়েক দশকে পরিবহণক্ষেত্রেও এক বিরাট পরিবর্তন আসবে।
বিশ্ব সিওপি-২১ চুক্তি অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণেপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিবেশ-বান্ধব শক্তি এবং শক্তি ব্যবহারে দক্ষতার ওপর জোরআগামীদিনে অর্থনীতিগুলি শক্তি ব্যবহারে নিবিড়তা পরিবর্তন করবে।
গতমাসে আমি একটি এজেন্সির প্রস্তুত করা শক্তি সংক্রান্ত পূর্বভাষ হাতেপেয়েছিলাম। এই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে, আগামী ২৫ বছরে ভারত বিশ্বের শক্তি চাহিদাপ্রধান চালক হয়ে উঠবে। আগামী ২৫ বছরে ভারতের শক্তি ব্যবহার বার্ষিক ৪.২ শতাংশ হারেবৃদ্ধি পাবে। বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারত হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল। এই রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে যে, ২০৪০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসেরচাহিদা ৩ গুণ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, বর্তমানের ৩০ লক্ষ থেকে বৈদ্যুতিক যানবাহনেরসংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়ে ৩২ কোটিতে পৌঁছে যাবে।
আমরা শক্তি প্রাচুর্যের এক যুগে প্রবেশ করতে চলেছি। কিন্তু বিশ্বের প্রায়১২০ কোটি মানুষের নাগালের মধ্যে এখনও বিদ্যুৎ নেই। আরও অনেক মানুষই পরিচ্ছন্নরান্নার জ্বালানি নেই। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে এই পরিস্থিতিকে যেন বঞ্চিতমানুষদের ক্ষতি করার জন্য ব্যবহার করা না হয়। সমস্ত মানুষের পরিচ্ছন্ন, সুলভ, সুষমএবং সমতার ভিত্তিতে শক্তির সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার।
হাইড্রো কার্বন ক্ষেত্রে আমি আমার চিন্তাভাবনা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেচাই এবং আমাদের শক্তি নিরাপত্তা অর্জনে আমাদের উদ্যোগের কথাও আমি জানাতে চাই। তেলও প্রাকৃতিক গ্যাস কেবলমাত্র বাণিজ্যিক পণ্য নয়, এগুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তু।সে কোনও সাধারণ মানুষের রান্নাঘরের জন্যই হোক অথবা বিমানের জ্বালানি-ই হোক, শক্তিসর্বত্রই প্রয়োজন।
বিশ্ব বহুদিন ধরে শক্তির মূল্যে অনেক ওঠা-পড়া দেখেছে। আমাদের দায়িত্বশীলশক্তিমূল্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে উৎপাদক ও গ্রাহক উভয়েরই স্বার্থ রক্ষা হয়।আমাদের তেল ও গ্যাস – এই উভয় ক্ষেত্রেই স্বচ্ছ ও স্থিতিস্থাপক বাজার ব্যবস্থারদিকেও এগিয়ে যাওয়া দরকার। একমাত্র তখনই আমরা যথাযথভাবে মানবসভ্যতার শক্তির প্রয়োজনমেটাতে সক্ষম হব।
সমগ্র বিশ্বকেই যদি অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অর্জন করতে হয়, তা হলে উৎপাদক ওগ্রাহকদের মধ্যে পারস্পরিক সমর্থন-ভিত্তিক এক সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন। উৎপাদকদেরস্বার্থেই অন্যান্য অর্থনীতিগুলিরও দ্রুত বৃদ্ধির প্রয়োজন। এরফলে, শক্তি বাজারেচাহিদার বৃদ্ধিও নিশ্চিত হবে।
ইতিহাস আমাদের দেখিয়েছে, কৃত্রিমভাবে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করা উৎপাদকদেরস্বার্থ হানিকর। তাছাড়া, উন্নয়নশীল এবং সবচেয়ে কম উন্নত দেশগুলির একেবারে নীচুতলায় এর ফলে অনর্থক সমস্যা তৈরি হয়।
আসুন আমরা এই মঞ্চ ব্যবহার করে দায়িত্বশীল মূল্য নির্ধারণ বিষয়েবিশ্বব্যাপী ঐকমত্য গড়ে তুলি। এর ফলে, উৎপাদক ও গ্রাহক উভয়েরই স্বার্থ সুরক্ষিতহবে।
বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যে ভারতেরও শক্তি নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে।ভারতের শক্তির ভবিষ্যৎ বিষয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গী ৪টি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।এগুলি হ’ল – শক্তির যোগান, শক্তির দক্ষতা, শক্তির সুষমতা এবং শক্তির নিরাপত্তা।
সাধারণভাবে শক্তি এবং বিশেষভাবে হাইড্রো কার্বন ভারতের ভবিষ্যতের জন্য আমারদৃষ্টিভঙ্গীতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের দরিদ্রদের জন্য নাগালের মধ্যে সুলভশক্তির প্রয়োজন। ভারতের শক্তি ব্যবহার দক্ষতারও বিশেষ প্রয়োজন।
বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে এক দায়িত্বশীল সদস্য হিসাবে ভারত আবহাওয়া পরিবর্তনমোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া, কার্বন গ্যাস নির্গমন মোকাবিলা করে সুষমভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার বিষয়েও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সৌর জোটের সূচনাএই লক্ষ্য পূরণে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে ভারত বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম বৃদ্ধির এক বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণতহয়েছে। আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে অদূর ভবিষ্যতেভারতের বৃদ্ধি হার ৭-৮ শতাংশে পৌঁছে যাবে বলে অনুমান করা হয়েছে। আমাদের সরকার উচ্চহারে জাতীয় আয় বৃদ্ধি, কম মুদ্রাস্ফীতির হার, সুনিয়ন্ত্রিত রাজকোষ ঘাটতি এবংস্থিতিশীল মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বৃহত্তর অর্থনৈতিকক্ষেত্রে এই স্থিতিশীলতা দেশের অর্থনীতিতে ব্যয় এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে।
ভারতের জনসংখ্যায় যুবশক্তি সুবিধার আশীর্বাদ রয়েছে। মোট জনসংখ্যার মধ্যেকর্মক্ষম জনসংখ্যার অনুপাত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সেরা। আমাদের সরকার মেক ইনইন্ডিয়ার মতো কর্মসূচির মাধ্যমে উৎপাদন এবং বস্ত্র বয়ন, পেট্রোকেমিকেল,ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি শিল্প ক্ষেত্রে যুবকদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।এর ফলে, আবার একই সঙ্গে আমাদের শক্তির ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে।
আমরা হাইড্রো কার্বন অনুসন্ধান এবং লাইসেন্স নীতির সূচনার মধ্য দিয়ে এইক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং প্রতিযোগিতা আনার চেষ্টা করেছে। এজন্য আমাদের নীতি এবংনিয়ম-কানুন পরিবর্তন করা হয়েছে। নিলামে অংশগ্রহণের বৈশিষ্ট্য রাজস্ব ভাগাভাগিরধাঁচে বদলে দেওয়ার ফলে সরকারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন কমিয়েছে। বর্তমানে ২ মেপর্যন্ত বিভিন্ন তৈল ক্ষেত্রে নিলামের জন্য একটি রাউন্ড চলছে। আমাদের উৎপাদনবৃদ্ধির লক্ষ্যে এই উদ্যোগে আপনাদের অংশগ্রহণে অনুরোধ জানাই। ওপেন একারেজ এবংজাতীয় তথ্য ভাণ্ডার বিভিন্ন কোম্পানিকে তাদের আগ্রহের ক্ষেত্রে অংশগ্রহণে সহায়তাকরবে এবং ভারতীয় তৈল ক্ষেত্রে তৈল অনুসন্ধানের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি করবে।
তেল উদ্ধার সংক্রান্ত বর্ধিত নীতি আপস্ট্রিম ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিব্যবহারকে উৎসাহিত করবে। আমাদের ডাউন স্ট্রিম ক্ষেত্রটিকে বাজারের প্রবণতা অনুযায়ীপেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য নির্ধারণ এবং অপরিশোধিত খনিজ তেলের মূল্য পরিবর্তনের ওপরভিত্তি করে সম্পূর্ণভাবে উদার করে তোলা হয়েছে। জ্বালানির খুচরো এবং আর্থিকলেনদেনের ক্ষেত্রে আমরা ডিজিটাল মঞ্চের দিকে অগ্রসর হয়েছি।
আমাদের সরকার আপস্ট্রিম তেল উৎপাদন থেকে ডাউন স্ট্রিম খুচরো ব্যবসায় তেল ওগ্যাসের মূল্য শৃঙ্খলে বেসরকারি অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আমাদের সরকার শক্তি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে একটি সুসংহত দৃষ্টিভঙ্গীতে বিশ্বাসকরে এবং ভারতের শক্তি কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত, বাজার-ভিত্তিক এবং জলবায়ুর প্রতিস্পর্শকাতর করে তোলা হয়েছে। এর ফলে, আমাদের বিশ্বাস, রাষ্ট্রসংঘের সুষম উন্নয়নকর্মসূচি শক্তি সংক্রান্ত তিনটি প্রধান লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে। এগুলি হ’লনিম্নরূপ –
২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য আধুনিক শক্তির যোগান;
প্যারিস চুক্তি অনুসারে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি উদ্যোগ;
বাতাসের গুণমান উন্নয়নে ব্যবস্থা।
বন্ধুগণ,
আমরা বিশ্বাস করি, মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নজ্বালানির যোগান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মহিলারাই এ থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পান।পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহৃত হলে গৃহের অভ্যন্তরে দূষণ কমে এবং জৈব জ্বালানি ওজ্বালানি কাঠ সংগ্রেহের কষ্টও লাঘব হয়। এর ফলে, মহিলারা তাঁদের আত্মোন্নয়নের জন্যবর্ধিত সময় পান এবং অতিরিক্ত অর্থনৈতিক কাজকর্মে যুক্ত হতে পারেন।
ভারতে উজালা যোজনার মাধ্যমে আমরা দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের নিঃশুল্করান্নার গ্যাসের সংযোগ দিচ্ছি। দেশের ৮ কোটি দরিদ্র পরিবারে পরিচ্ছন্ন রান্নারগ্যাসের সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্য হাতে নেওয়া হয়েছে। মাত্র দু’বছরেরও কম সময়ে ইতিমধ্যেইসাড়ে তিন কোটি গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
আমরা ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে ইউরো-৬ মানের সমতুল বিএস-৬ শ্রেণীরজ্বালানি ব্যবহারের দিকে যাওয়ার প্রস্তাব করেছি। আমাদের তৈল শোধনাগারগুলিকেবিপুলভাবে উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রাপূরণের লক্ষ্যে তাঁরা এগিয়ে চলেছে। প্রকৃতপক্ষে এখানে নতুন দিল্লিতে আমরা এই মাসথেকেই বিএস-৬ মানের জ্বালানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছি। আমরা এছাড়াও, ইতিমধ্যেইপুরনো গাড়ি বাতিলের নীতি গ্রহণ করেছি। এর ফলে, পরিচ্ছন্ন এবং জ্বালানি ব্যবহারেরক্ষেত্রে দক্ষ যানবাহনের প্রচলন হবে।
আমাদের তেল সংস্থাগুলি শক্তি ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনার কৌশল মাথায় রেখেতাঁদের বিনিয়োগের পুনর্মূল্যায়ন করছে। আজ আমাদের তেল কোম্পানিগুলি বায়ু এবংসৌরশক্তি ক্ষেত্রে এবং গ্যাস পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে। এছাড়া, তারাবৈদ্যুতিক যানবাহন এবং বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করার চিন্তাভাবনা করছে।
বন্ধুগণ,
যেমনটা আমরা সকলেই জানি, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে চলেছি।নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যতের শিল্প পরিচালিত হবে। ইন্টারনেট অফ থিংস,কৃত্রিম মেধা, রোবোটিক্স প্রসেস অটোমেশন, মেশিন লার্নিং, প্রেডিকটিভ অ্যানালিটিক্সএবং থ্রিডি প্রিন্টিং-এর মতো অত্যাধুনিক পদ্ধতি আগামীদিনে শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহৃতহবে।
আমাদের কোম্পানিগুলিও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে। এর ফলে, দক্ষতাও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে এবং শুধুমাত্র ডাউন স্ট্রিম খুচরো ব্যবসার ক্ষেত্রেই নয়,আপ স্ট্রিম তেল উৎপাদন, সম্পদ পরিচালন এবং দূর নিয়ন্ত্রিত নজরদারির মতো কাজের জন্যব্যয় হ্রাস করবে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এই ধরনের অনুষ্ঠানের সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা, যেখানেভবিষ্যতের শক্তি ক্ষেত্র নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে কিভাবেবিশ্বব্যাপী পরিবর্তন, নীতি এবং নতুন প্রযুক্তি, বাজারের স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎবিনিয়োগকে প্রভাবিত করতে পারে, তা নিয়ে এই ধরনের মঞ্চে আলোচনা হওয়া উচিৎ।
বন্ধুগণ,
আন্তর্জাতিক শক্তি ফোরামের ষোড়শ সম্মেলনের মূল সুর হচ্ছে ‘বিশ্বব্যাপীশক্তি নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ’। আমাকে জানানো হয়েছে যে, সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতেউৎপাদক-গ্রাহক সম্পর্ক, সর্বজনীন শক্তির যোগান, সুলভতা, শক্তি ও গ্যাস ক্ষেত্রেবিনিয়োগে উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে শক্তির ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণের বিষয়গুলি রয়েছে।শক্তি নিরাপত্তা বজায় রাখা এবংব নতুন ও পুরনো প্রযুক্তির সহাবস্থান নিয়েও এখানেআলোচনা হবে। আমাদের সমষ্টিগত শক্তি নিরাপত্তার ভবিষ্যতের জন্য এগুলি বিশেষভাবেপ্রাসঙ্গিক।
আমার বিশ্বাস, এই মঞ্চে এসব বিষয়ে আলোচনা বিশ্বের নাগরিকদের পরিচ্ছন্ন সুলভএবং সুষম শক্তি ব্যবহারের সুবিধা দিতে আমাদের দূর এগিয়ে দেবে।
আমি এই মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে সফলতা কামনা করি।
ধন্যবাদ।