“ঊষা স্কুলঅফ অ্যাথলেটিক্স”-এর সিন্থেটিক ট্র্যাকের উদ্বোধন উপলক্ষে সকল ক্রীড়াপ্রেমীকেজানাই অভিনন্দন।
ঊষা স্কুলেরউন্নয়নের ক্ষেত্রে এই ট্র্যাকের সূচনা এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। প্রশিক্ষণার্থীদেরকাছে তা আধুনিক সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটাবে। এই স্কুলের উন্নয়নের জন্য আমাদেরনিজস্ব পাওলি এক্সপ্রেস ‘উড়ান পরী’ তথা ভারতের ‘স্বর্ণ বালিকা’ পি টি ঊষাজির অবদানওঅনস্বীকার্য ।
ভারতেরক্রীড়া জগতে পি টি ঊষা হলেন এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক।
জীবনে অনেকচ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েও তিনি উন্নীত হয়েছিলেন অলিম্পিক্সের ফাইনালে। কিন্তুএকটুর জন্য পদক তাঁর হাতছাড়া হয়ে যায়।
ভারতীয়অ্যাথলেটিক্সের ইতিহাসে এ ধরনের ট্র্যাক রেকর্ড মেলা ভার।
ঊষাজি, দেশআপনার জন্য গর্বিত। দেশের পক্ষে আরও ভালো হয়েছে ঊষাজি খেলাধূলার সঙ্গে নিজেকেযুক্ত রাখার জন্য। তাঁর ব্যক্তিগত দৃষ্টি ও মনযোগ আমাদের সুফল এনে দিয়েছে। কুমারীটিন্টু লুকান্ত, কুমারী জিসনা ম্যাথু-এর মতো তাঁর শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিকপর্যায়ে আজ এক বিশেষ সুনামের অধিকারী।
ঊষাজির মতোইঊষা স্কুলও সাধারণ অথচ সীমিত সহায়সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার সম্ভব করে তুলেছে।
এই সুযোগেকেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রক, স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এবং কেন্দ্রীয়পূর্ত দপ্তরকে অভিনন্দন জানাই এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য। অনেকবাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে এই কাজ শেষ করতে কিছুটা বিলম্বও ঘটেছে।
কিন্তু যাইহোক, একেবারেই না হওয়ার থেকে দেরিতে হলেও ভালো। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুততারসঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ে সম্পূর্ণ করার বিষয়টিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে আমাদেরসরকার ।
প্রকল্পটিঅনুমোদিত হয় ২০১১ সালে। কিন্তু সিন্থেটিক ট্র্যাক নির্মাণের জন্য বরাত দেওয়া হয়২০১৫-তে। এই ট্র্যাকটি যে সম্পূর্ণরূপে একটি পিইউআর ট্র্যাক, সে সম্পর্কেও আমিঅবহিত।
এটির নকশাতৈরি করা হয়েছে এমনভাবে যাতে আঘাত লাগার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। শুধু তাইনয়, এটি নির্মাণ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী।
যে কোনসমাজের মানবসম্পদ বিকাশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ক্রীড়াক্ষেত্রের।
আমি বরাবরইমনে করি যে শরীরকে শুধুমাত্র সুস্থ রাখাই বড় কথা নয়, সেইসঙ্গে প্রয়োজন খেলাধূলারও।কারণ, তা আমাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশে সাহায্য করে। আর এইভাবেই সার্বিক বিকাশ ঘটেএকজন ব্যক্তি মানুষের । তা কঠোর পরিশ্রমের নীতি ও শৃঙ্খলা এনে দেয় আমাদের মধ্যে ।
খেলাধূলাজীবন সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছুই শিক্ষা দেয় যা আমাদের মননশীলতাকে সমৃদ্ধ করে।খেলার মাঠ হল আমাদের কাছে এক শিক্ষক বিশেষ । কারণ ক্রীড়াক্ষেত্রে আমাদের শ্রেষ্ঠ লাভের বিষয়টি হল এই যে জয় বা পরাজয়উভয়কেই জীবনের অঙ্গ রূপে আমরা গ্রহণ করতে শিখি।
একদিকে যেমনজয়লাভের পর আমরা বিনীত ও নম্র হতে শিখি, অন্যদিকে তেমনই পরাজয় আমাদের দমিয়ে রাখতেপারে না। কারণ, পরাজয় মানেই সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়, বরং, তা উঠে দাঁড়ানোর এবংঘুরে দাঁড়ানোর এক সূচনা মাত্র। আর এইভাবেই পৌঁছে যাওয়া যায় এক কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
খেলাধূলামানুষকে দলবদ্ধভাবে কাজ করার শক্তি যোগায়। মানুষকে তা করে তোলে উদার এবং অন্যদেরসহজ স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করার ক্ষমতা যোগায় তাদের মধ্যে। দেশের তরুণ ও যুবকদেরজীবনযাত্রার একটি অঙ্গ হিসেবে তাই ক্রীড়াকে গ্রহণ করা আমাদের পক্ষে একান্ত জরুরি।
আমার কাছেখেলাধূলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর গুণের সমাহার।
স্পোর্টস –এই কথাটিকে আমি ব্যাখ্যা করতে চাই এইভাবে :
এস – যারঅর্থ হল দক্ষতা;
পি – এরঅর্থ অধ্যবসায়;
ও – এর অর্থহল আশাবাদ;
আর – বোঝায়স্থিতিশীলতাকে;
টি – মানুষের অদম্য মনোবলের প্রতীক;
এস – একাগ্রথাকার মতো শক্তি বা মনোবল ।
ক্রীড়াসুলভশক্তি ও মানসিকতার জন্ম দেয় খেলাধূলাই, যা খেলার মাঠে বা তার বাইরে উভয় ক্ষেত্রেইএকান্ত প্রয়োজন।
এই কারণেইআমি প্রায়ই বলে থাকি – জো খেলে, ও খিলে – অর্থাৎ, যে খেলাধূলা করে, সেইজীবনে সফল হয়।
বর্তমানবিশ্ব পরস্পর সংযুক্ত এবং পরস্পর নির্ভরশীল। এই পরিস্থিতিতে একটি জাতির মসৃণক্ষমতার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন জাতিরই অর্থনৈতিক এবং সামরিক শক্তিরবাইরেও সবদিক দিয়ে সে কতটা বল বা ক্ষমতার অধিকারী তা দিয়েই একটি দেশের অবস্থানচিহ্নিত হয়। এই কারণে মসৃণ শক্তি বা ক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছেখেলাধূলা।
ক্রীড়া এবংক্রীড়া ব্যক্তিত্বের প্রেক্ষাপটে একটি দেশ খেলাধূলার মাধ্যমেই তার নিজের অবস্থানকেগড়ে তুলতে পারে।
ক্রীড়াক্ষেত্রেযাঁরা সফল, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁরা উৎসাহ-উদ্দীপনার উৎস । তরুণ ও যুবসমাজ এই সফল ব্যক্তিদের কাছথেকেই জীবনে সাফল্য ও সংগ্রামের জন্য অনুপ্রেরণা লাভ করে। অলিম্পিক বা বিশ্বকাপকিংবা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের যে কোন বড় ধরনের মঞ্চেই একটি দেশের সাফল্যে আনন্দিতহয় সমগ্র বিশ্ববাসীই। তা সেই দেশ ছোট বা বড় যাই হোক না কেন।
এইভাবেইমানুষের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার শক্তি যোগায় খেলাধূলা। মানুষে মানুষে নিবিড় ওশক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির রয়েছে এক রূপান্তরমুখীসম্ভাবনা। এমনকি, ভারতের মতো একটি দেশেও একজন মাত্র খেলোয়াড়কে ঘিরেই গড়ে উঠেতেপারে এক কল্পনার জগৎ। ক্রীড়াক্ষেত্র জন্ম দেয় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শক্তি। কারণ সকলেইমনে-প্রাণে প্রার্থনা জানায় ক্রীড়াক্ষেত্রে একজন খেলোয়াড়ের সাফল্যের জন্য।
অ্যাথলিটদেরএই জনপ্রিয়তা কাল বা সময়কে অতিক্রম করে যায়। বহু বছর ধরেই জ্ঞান সাধনার মতোইখেলাধূলা হল ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক বিশেষ অঙ্গ।
তীরন্দাজি,তরবারি খেলা, কুস্তি এবং নৌকা বাইচ-এর মতো খেলাধূলা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।
কেরলেকুট্টিয়ামকোলাম এবং কালাড়ির মতো খেলাধূলা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ফুটবলও যেকতটা জনপ্রিয় তাও আমার অজানা নয়। আমি নিশ্চিত যে আপনাদের অনেকেই পরিচিত ‘সাগ্লকাংজেই’ – এই নামটির সঙ্গে। এর জন্ম মূলত মণিপুরে। জানা গেছে যে এই খেলাটি পোলোরথেকেও অনেক অনেক বেশি সুপ্রাচীনকালের। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপভোগ করতেন এইবিশেষ খেলাটি।
প্রাচীনকালেরএই সমস্ত খেলাধূলা যাতে কোনভাবেই জনপ্রিয়তা না হারায়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদেরই । তাই যে সমস্ত খেলাধূলা আমাদের দেশেরএকান্তই নিজস্ব, সেগুলির উন্নয়নেও আমাদের অবশ্যই সচেষ্ট হতে হবে। কারণ, আমাদেরজীবনযাত্রা থেকে খুব স্বাভাবিকভাবেই উত্থান ঘটেছে এই সমস্ত খেলাধূলার।
মানুষ সহজেইআকৃষ্ট হয় এই ধরনের খেলাধূলার প্রতি। খেলাধূলার সঙ্গে যুক্ত থাকলে আমাদেরব্যক্তিত্বের ওপর তার এক ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর এইভাবেই গড়ে ওঠে আত্মসম্ভ্রম বোধও মানসিকতা।
আমরা যত্ননিলে এই সমস্ত খেলাধূলার শিকড় আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। যোগাভ্যাস তথা যোগসাধনারপ্রতি আজ আবার নতুন করে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে সমগ্র বিশ্ব। শারীরিক ও মানসিকদিক থেকে ভালো ও দক্ষ থাকার একটি উপায় হিসেবে দেখা হয় যোগকে, যা আমাদের উদ্বেগ ওউৎকন্ঠাকে প্রশমিত রাখতে সাহায্য করে। এই কারণে আমাদের অ্যাথলিটদের উচিৎ তাঁদেরদৈনন্দিন কাজ ও প্রশিক্ষণের একটি নিয়মিত অঙ্গ হিসেবে যোগসাধনার অভ্যাস গড়ে তোলা।এর সুফল প্রত্যেকেই অনুভব এবং উপলব্ধি করতে পারবেন।
যোগেরপীঠস্থান হল আমাদের দেশ। এই কারণে সমগ্র বিশ্বে যোগকে জনপ্রিয় করে তোলার একঅতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে আমাদের। ঠিক যেভাবে যোগ আজ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, আমাদেরসুপ্রাচীন অন্যান্য খেলাধূলাকেও সেইভাবে বিশ্বে জনপ্রিয় করে তোলার উপায় আমাদেরখুঁজে দেখতে হবে।
সাম্প্রতিকবছরগুলিতে আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে কবাডি কিভাবে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রীড়াপ্রতিযোগিতায় এক বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করেছে। এমনকি, বর্তমানে আমাদের দেশেও বড় আকারেকবাডি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। এই সমস্ত টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকতা করছেশিল্প জগৎ।
কবাডির মতোইদেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্থানীয় ও আঞ্চলিক খেলাধূলাকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে আসারজন্য আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এই কাজে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি, বিভিন্নক্রীড়া সংস্থা এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরও এক বড় ভূমিকা রয়েছে।
সাংস্কৃতিকবৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ আমাদের দেশ। এই দেশে রয়েছে ১০০টির মতো ভাষা এবং ১,৬০০-রও বেশিউপ-ভাষা। রয়েছে নানা পোশাক বৈচিত্র্য, খাদ্যাভ্যাস এবং পালা-পার্বণও। তাই, আমাদেরঐক্যবদ্ধ করে তোলার কাজে খেলাধূলার রয়েছে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
নিরন্তরযোগাযোগ, ম্যাচ প্রশিক্ষণ এবং প্রতিযোগিতার জন্য সফর আমাদের সুযোগ এনে দেয় দেশেরঅন্যান্য অঞ্চলের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার।
‘এক ভারতশ্রেষ্ঠ ভারত’ – এই অনুভব ও উপলব্ধিকে তা জোরদার করে তোলে এইভাবেই। জাতীয় সংহতির বিকাশেও রয়েছে তার এক বিশেষ অবদান।
মেধা বাপ্রতিভার কোন অভাব আমাদের দেশে নেই। কিন্তু এজন্য প্রয়োজন সঠিক সুযোগ-সুবিধারব্যবস্থা করা। শুধু তাই নয়, মেধা ও প্রতিভা বিকাশের উপযোগী এক পরিবেশ গড়ে তোলাওএকান্ত জরুরি। এই লক্ষ্যেই আমরা সূচনা করেছি ‘খেলো ইন্ডিয়া’ – এই বিশেষকর্মসূচিটির। এর আওতায় স্কুল এবং কলেজ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়েপ্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত। মেধা ও প্রতিভা চিহ্নিত করেপ্রয়োজনীয় সাহায্য ও সহযোগিতা প্রসারের জন্য আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে।
‘খেলোইন্ডিয়া’য় জোর দেওয়া হবে ক্রীড়া পরিকাঠামো প্রসারের ওপরও। দেশের মহিলারা খেলাধূলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অর্জিত সাফল্যের মধ্য দিয়ে আমাদের গর্বিত করে তুলেছেন।
বিশেষভাবেউৎসাহ দিতে হবে আমাদের কন্যাসন্তানদের। খেলাধূলাকে যাতে তাঁরা জীবনের অঙ্গ হিসেবেগ্রহণ করতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধারও ব্যবস্থা করতে হবে তাঁদের জন্য।আনন্দের বিষয় যে গত প্যারালিম্পিক্স-এ আমাদের ক্রীড়াবিদরা বিশেষ কৃতিত্বেরস্বাক্ষর রেখেছেন।
ক্রীড়াক্ষেত্রেএই সাফল্যের বাইরেও প্যারালিম্পিক্স থেকে আমরা অর্জন করেছি আরও বেশি কিছু। তা হল,আমাদের অ্যাথলিটদের এই সাফল্য দিব্যাঙ্গ ভাই-বোনদের প্রতি সকলের দৃষ্টিভঙ্গি ওমানসিকতারও বিশেষ পরিবর্তন ঘটিয়েছে। ভারতের ঘরে ঘরে আজ সুপরিচিত একটি নাম দীপামালিকের কথা আমি কখনই বিস্মৃত হব না। যখন তাঁকে পদক দিয়ে সম্মানিত করা হয়, তখনতিনি বলেছিলেন, “এই পদক জয়ের মাধ্যমে আমি প্রতিবন্ধকতাকে পরাস্ত করেছি । ”
তাঁর এই উক্তিরমধ্যে ছিল এক বিশেষ জোর বা শক্তি। তাই, খেলাধূলাকে সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য করেতুলতে আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
বিগতদশকগুলিতে এমন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল যখন খেলাধূলাকে জীবনের একটি বিশেষ অঙ্গহিসেবে অনুসরণ করা হত না। কিন্তু এই চিন্তাভাবনা এখন বদলাতে শুরু করেছে। খেলারমাঠে এর প্রতিফলন ঘটবে অদূর ভবিষ্যতে। যে দেশে রয়েছে এক বলিষ্ঠ ক্রীড়া সংস্কৃতি,সেই দেশই জন্ম দিতে পারে এক বলিষ্ঠ অর্থনীতির ।
ক্রীড়া গড়েতুলতে পারে এমন এক পরিবেশ যোগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি, আমাদেরঅর্থনীতিও আরও বিকশিত হয়ে উঠতে পারে। পেশাদারী লিগ, ক্রীড়া সরঞ্জাম, ক্রীড়াবিজ্ঞান, চিকিৎসা, পোশাক, পুষ্টি, দক্ষতা বিকাশ, ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা সহ বিভিন্নক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটাতে পারে ক্রীড়া শিল্প।
ক্রীড়া হলকোটি কোটি বিলিয়ন ডলারের এক আন্তর্জাতিক শিল্প যার পেছনে রয়েছে এক বিশাল চাহিদা।আন্তর্জাতিক ক্রীড়া শিল্পের মূল্যমান প্রায় ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতে সমগ্রক্রীড়াক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক মূল্য সেক্ষেত্রে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মাত্র।
তবেপরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের রয়েছে এক বিশাল সম্ভাবনা। কারণ,আমাদের দেশ হল ক্রীড়াপ্রেমীদের দেশ। আমার তরুণ বন্ধুরা যে আবেগ ও উৎসাহ নিয়ে এখনক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলা দেখে চলেছেন, তাঁরাই আবার সমান উৎসাহ ও আবেগনিয়ে প্রত্যক্ষ করবেন ইপিএল ফুটবল কিংবা এনবিএ বাস্কেট বল প্রতিযোগিতা অথবা এফ-১দৌড় প্রতিযোগিতা।
আমিইতিপূর্বেই উল্লেখ করেছি যে কবাডির মতো একটি খেলার প্রতিও তাঁরা আকৃষ্ট হতে শুরুকরেছেন। এই পরিস্থিতিতে আমাদের স্টেডিয়াম ও খেলার মাঠগুলিকে এখন সর্বোচ্চ মাত্রায়ব্যবহারের জন্য উদ্যোগী হতে হবে। এমনকি, ছুটির দিনগুলিতেও বাইরে গিয়ে খেলাধূলারঅভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। স্কুল-কলেজের মাঠ কিংবা আধুনিক সাজে সজ্জিত জেলাস্টেডিয়ামগুলিকেও এই লক্ষ্যে ব্যবহার করা উচিৎ।
আমারবক্তব্য শেষ করার আগে খেলাধূলার ক্ষেত্রে কেরলের অবদানের কথা আমি অবশ্যই স্বীকারকরব। ভারতে যাঁরা খেলাধূলা করেছেন, তাঁদের সকলকেই জানাই আমার অভিনন্দন। উৎকর্ষসাধনায় যে সমস্ত ক্রীড়াবিদ পরিশ্রম করে চলেছেন, তাঁদের সঙ্কল্পকে আমি সম্মানজানাই।
ঊষা স্কুলেরএক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমি কামনা করি। নতুন সিন্থেটিক ট্র্যাক এই প্রতিষ্ঠানটিকে একনতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি। আমি আরও আশাবাদী যে ২০২০-রটোকিও অলিম্পিক্স সহ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের বড় বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্যপ্রস্তুতির কাজেও তা বিশেষভাবে সাহায্য করবে।
আগামী ২০২২সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ক্রীড়াক্ষেত্রে এক বিশেষ লক্ষ্য স্থির করারজন্য আমি আহ্বান জানাই দেশের ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে। এই লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার জন্য তাদেরসঙ্কল্পবদ্ধ হওয়ারও আবেদন জানাই আমি।
আমি আশাবাদীযে অলিম্পিক্স এবং বিশ্বের অন্যান্য প্রতিযোগিতায় আরও বেশি সংখ্যায় চ্যাম্পিয়ন গড়েতোলার কাজে সফল হবে ঊষা স্কুল। ভারত সরকার এই কাজে পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা যুগিয়েযাবে। অ্যাথলেটিক্সে উৎকর্ষের লক্ষ্যে সম্ভাব্য সকল রকম সহযোগিতার জন্য সরকারপ্রস্তুত।
ধন্যবাদ।
আপনাদেরঅনেক অনেক ধন্যবাদ।
I heartily congratulate all sports enthusiasts on the inauguration of the synthetic track in ''Usha School of Athletics': PM @narendramodi
— narendramodi_in (@narendramodi_in) June 15, 2017
P.T. Usha has been a shining light of sports in India: PM @narendramodi
— narendramodi_in (@narendramodi_in) June 15, 2017
Sports is an important investment for the human resource development of a society: PM @narendramodi
— narendramodi_in (@narendramodi_in) June 15, 2017
Sports can be expanded to mean S for Skill; P for Perseverance; O for Optimism; R for Resilience; T for Tenacity; S for Stamina: PM
— narendramodi_in (@narendramodi_in) June 15, 2017
We have no dearth of talent. But we need to provide right kind of opportunity & create an ecosystem to nurture the talent: PM @narendramodi
— narendramodi_in (@narendramodi_in) June 15, 2017
Women in our country have made us proud by their achievements in all fields- more so in sports: PM @narendramodi
— narendramodi_in (@narendramodi_in) June 15, 2017
During earlier decades there was an environment in which sports was not pursued as a career. Now this thinking has begun to change: PM
— narendramodi_in (@narendramodi_in) June 15, 2017
A strong sporting culture can help the growth of a sporting economy: PM @narendramodi
— narendramodi_in (@narendramodi_in) June 15, 2017