India is today the world’s fastest growing large economy: PM Modi
Our policies are focussed on improving India’s long term economic and social prospects, rather than on short term headlines: PM
While the global economy is going through a period of uncertainty, India has shown tremendous resilience: PM
Foreign Direct Investment in India was at the highest level in 2015-16, at a time when global FDI has fallen: PM Modi
Hydrocarbons will continue to play an important part in India’s growth: PM Narendra Modi
As a responsible global citizen, India is committed to combating climate change, curbing emissions & ensuring a sustainable future: PM
Energy sustainability, for me, is a sacred duty. It is something India does out of commitment, not out of compulsion: PM Modi
To make India a true investor friendly destination, we have come up with a new Hydrocarbon Exploration and Production Policy, says PM
My message to global hydrocarbon companies is: We invite you to come and Make in India, says PM Modi
Our commitment is strong and our motto is to replace Red Tape with Red Carpet: PM Narendra Modi

আমার সহকর্মীশ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানজি,

বিভিন্ন দেশেরতেল ও গ্যাস দপ্তরের মন্ত্রী মহোদয়গণ,

হাইড্রো কার্বনক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সিইও ও বিশেষজ্ঞরা

সম্মানিতঅতিথি, ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ,

অর্থনৈতিকঅগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি হল জ্বালানি। অর্থনৈতিক বিকাশের সুফল সমাজের শেষপ্রান্তের ব্যক্তিটির কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থায়ী, নিরন্তর এবং সুলভমূল্যের জ্বালানি শক্তি একান্ত প্রয়োজন। ভবিষ্যতে বহু বছর ধরেই জ্বালানির এক বিশেষউৎস হিসেবে হাইড্রো কার্বন-এর গুরুত্ব অটুট থাকবে। সুতরাং, ‘ভবিষ্যতের জ্বালানিশক্তি রূপে হাইড্রো কার্বন-এর গুরুত্ব, বিকল্প ও চ্যালেঞ্জ’ – এই বিষয়টি আজকেরসম্মেলনের পক্ষে খুবই উপযোগী ও সময়োচিত।

ভারত হলবর্তমানে বৃহত্তম গতিতে বেড়ে ওঠা এক বিশ্ব অর্থনীতি। এই অগ্রগতির মূলে রয়েছে বেশকিছু নীতিগত পদক্ষেপ। ভারতের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক তথা সামাজিক প্রেক্ষিতটিরবিকাশের ওপরই দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে আমাদের নীতিগুলিতে, স্বল্পমেয়াদি কিছুব্যবস্থামাত্র নয়। অর্থনৈতিক বিকাশ ও অগ্রগতিতে আমাদের এই প্রচেষ্টার সুফলও আমরালক্ষ্য করেছি।

দ্রততার সঙ্গেঅগ্রগতি ছাড়াও অন্যান্যদের তুলনায় আমাদের অর্থনীতি এখন অনেক বেশি স্থিতিশীল। বিশ্বঅর্থনীতি যখন এক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাত্রা করছে, ভারত তখন পরিস্থিতির সামালদেওয়ার কাজে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। আমাদের চলতি হিসাব ঘাটতির ক্ষেত্রেওক্রমাগত উন্নতির ভাব লক্ষ্য করছি আমরা। জুনের পর থেকে যে তিনটি মাস আমরা অতিক্রমকরে এসেছি, তাতে এই ঘাটতির হার ছিল গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যখন মন্দার পরিস্থিতি, ভারতেপ্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ সেখানে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বৃহত্তম বলে প্রমাণিত হয়েছে। ‘ব্যাঙ্কঅফ ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টস্‌’-এর মতে বড় বড় অর্থনীতির তুলনায় ভারতেরব্যাঙ্কগুলির পরিস্থিতি এখন অনেক বেশি স্থিতিশীল।

আগামী ২০৪০সালের মধ্যে ভারতীয় অর্থনীতি পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এক হিসাবেদেখা গেছে, ২০১৩-২০৪০ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জ্বালানি শক্তির মোট চাহিদাবৃদ্ধির এক-চতুর্থাংশেরই দাবিদার হল ভারত। ২০৪০ সাল নাগাদ ভারতে যে পরিমাণ তেলেরপ্রয়োজন ঘটবে, তা সমগ্র ইউরোপের চাহিদা থেকে অনেক বেশি। দেশের উৎপাদন শিল্প আগামী২০২২ সাল নাগাদ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২৫ শতাংশ অংশ দখল করবে। বর্তমানে এই হার১৬ শতাংশ মাত্র।

পরিবহণপরিকাঠামো বৃদ্ধি পাবে বহুগুণে। বাণিজ্যিক যানবাহনের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লক্ষ থেকে২০৪০ সাল নাগাদ পৌঁছে যাবে ৫ কোটি ৬০ লক্ষে। অসামারিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রেবিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম স্থানটি বর্তমানে অধিকার করে রয়েছে ভারত। আগামী ২০৩৪ সালনাগাদ ভারত এক্ষেত্রে হয়ে উঠবে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। অসামারিক বিমান পরিবহণক্ষেত্রের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে পরিবহণ খাতে জ্বালানির চাহিদা ২০৪০ সাল নাগাদবৃদ্ধি পাবে চারগুণ। এ সমস্ত কিছুই জ্বালানি চাহিদার প্রেক্ষিতটিকে সম্পূর্ণ বদলেদেবে।

বন্ধুগণ,

ভারতেরঅগ্রগতিতে হাইড্রো কার্বন-এর গুরুত্ব অব্যাহত থাকবে। দ্রুত বিকাশের সম্ভাবনা একগুরুদায়িত্ব তুলে দিয়েছে ভারতের জ্বালানি ক্ষেত্রটির ওপর। ভারত এবং বিদেশের অনেকেইআজ এখানে অংশগ্রহণ করতে এসেছেন জেনে আমি আনন্দিত। একে অন্যের অভিজ্ঞতা এবংবিশেষজ্ঞদের আলোচনা থেকে উপকৃত হবেন বলে আমি নিশ্চিত। এই প্রসঙ্গে হাইড্রো কার্বনক্ষেত্রটি থেকে প্রত্যাশা সম্পর্কে কিছু কথা এবং আমার চিন্তাভাবনা আপনাদের সামনেআমি তুলে ধরতে চাই। সেই সঙ্গে, জ্বালানি নিরাপত্তার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টারকথাও আজ আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব।

ভারতেরভবিষ্যতের লক্ষ্যে আমার চিন্তাভাবনার সাধারণ বিষয়টি হল জ্বালানি শক্তি, বিশেষত উৎসহিসেবে হাইড্রো কার্বনের গুরুত্ব। দরিদ্র মানুষদের কাছে সুলভে পৌঁছে দেওয়ারলক্ষ্যে জ্বালানির চাহিদা রয়েছে ভারতে। সেই সঙ্গে, জ্বালানি শক্তির দক্ষ ব্যবহারেরপ্রয়োজনীয়তার কথাও আমরা অনুভব করেছি। দায়িত্বশীল এক বিশ্ব নাগরিক হিসাবে জলবায়ুপরিবর্তন ও দূষিত গ্যাস নির্গমনের মোকাবিলায় এবং নিরন্তর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আমরাপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তার মধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তার অন্বেষণেব্যস্ত রয়েছে ভারত। এই কারণে, ভারতে জ্বালানির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমার চিন্তাভাবনামোটামুটিভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে চারটি স্তম্ভের ওপর :

· সুলভ জ্বালানি

· জ্বালানিব্যবহারের ক্ষেত্রে দক্ষতা

· নিরন্তরজ্বালানি শক্তি এবং

· জ্বালানিনিরাপত্তা

সুলভ জ্বালানিপ্রসঙ্গ দিয়ে আমি শুরু করি। ভারতে কিছু কিছু ধনী ব্যক্তি যখন নামীদামি গাড়ি কিনেচলেছেন, ভারতের দরিদ্র জনসাধারণ তখন রান্নার জন্য জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে ব্যস্ত।রান্নার কাজে জ্বালানি কাঠ এবং অন্যান্য বায়োমাসের ব্যবহার গ্রামের মহিলাদেরস্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। এর ফলে, তাঁদের উৎপাদনশীলতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৫কোটি পরিবারে রান্নার গ্যাসের সুযোগ পৌঁছে দিতে আমরা সূচনা করেছি ‘উজ্জ্বলা’কর্মসূচির। এই একটি মাত্র উদ্যোগের মধ্য দিয়েই স্বাস্থ্যের উন্নতি, উৎপাদনশীলতাবৃদ্ধি এবং দূষিত গ্যাস নির্গমনের মাত্রা হ্রাস সম্ভব হয়ে উঠবে। রান্নার গ্যাসেরসংযোগ পৌঁছে দেওয়ার এককালীন খরচ বহন করবে সরকার। কিন্তু গ্যাসের পুরো দাম মিটিয়েদেবে সংশ্লিষ্ট পরিবার। মাত্র সাত মাসের মধ্যেই এই কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি পরিবারেরান্নার গ্যাসের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।



আগামী পাঁচবছরে দেশের ১ কোটি বাড়িতে পাইপ লাইন মারফৎ প্রাকৃতিক গ্যাস পৌঁছে দেওয়ারলক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। গ্যাস সরবরাহের জন্য জাতীয় গ্রিডের নেটওয়ার্কটিরসম্প্রসারণে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এই লক্ষ্যে ১৫ হাজার কিলোমিটার ব্যাপী দীর্ঘ গ্যাসপাইপ লাইনকে ৩০ হাজার কিলোমিটারে উন্নীত করতে লক্ষ্য স্থির করেছি আমরা। অপেক্ষাকৃতস্বল্পোন্নত পূর্বাঞ্চলের জন্য আমরা একটি নতুন গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণের কাজ শুরুকরে দিয়েছি, যার মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারিত হবে আরও বহুমানুষের কাছে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ভারতে প্রত্যেকটি গ্রামে যাতেনিশ্চিতভাবেই বিদ্যুৎ-এর সুযোগ পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি আমরা।

জ্বালানির দক্ষব্যবহার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ভারতের বাণিজ্যিক পরিবহণ ক্ষেত্রটি বর্তমানেঅত্যন্ত চাপ সহ্য করে চলছে। পণ্যসামগ্রীর এক বৃহৎ অংশ পরিবাহিত হয় সড়ক পথে। তাই,জ্বালানি শক্তির দক্ষ ব্যবহারের লক্ষ্যে আমার সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেরেল ব্যবস্থার সম্প্রসারণের ওপর। ২০১৪-১৫ এবং ২০১৬-১৭-র মধ্যে রেলে সরকারি মূলধনবিনিয়োগের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ শতাংশেরও বেশি। ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডরগুলিসম্পূর্ণ করার কাজেও ব্যস্ত রয়েছি আমরা। মুম্বাই ও আমেদাবাদের মধ্যে এক উচ্চ-গতিররেল করিডর বর্তমানে নির্মাণ করা হচ্ছে, যেখানে বিমানের তুলনায় জ্বালানির ব্যবহারহবে দক্ষতর। অন্তর্দেশীয় এবং উপকূল উভয় ক্ষেত্রেই জলপথের পরিবহণের ওপর বিশেষগুরুত্ব দিয়েছি আমরা। ভারতের সুদীর্ঘ উপকূল রেখাকে যুক্ত করবে আমদের ‘সাগরমেলা’প্রকল্প। বড় বড় নদীগুলিতে অন্তর্দেশীয় জাহাজ চলাচলের পথ আমরা উন্মুক্ত করে দিয়েছি।একটি জাতীয় পণ্য ও পরিষেবা কর আইন রচনার প্রস্তাবটি বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে অনুমোদনওলাভ করেছে। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ছিল রাজ্যগুলির, তা দূর করতেপরিবহণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির কাজে জিএসটি গতিসঞ্চার করবে।

জ্বালানিরমূল্য নির্ধারণ যে একটি স্পর্শকাতর বিষয় সে সম্পর্কে অবগত বিকাশশীল দেশগুলির তেলদপ্তরের মন্ত্রীরা। তা সত্ত্বেও পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যে বি-নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আমরাচালু করেছি। রান্নার গ্যাসের মূল্য স্থির করে দেয় বাজার। দুর্বল ও মধ্যবিত্তশ্রেণীকে সুরক্ষাদানের লক্ষ্যে ১৬ কোটি ৯০ লক্ষ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরিভর্তুকি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি আমরা। এর ফলে, রান্নার গ্যাসের ভর্তুকিরক্ষেত্রে যাবতীয় ফাঁকফোকর ও অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এই সমস্ত ব্যবস্থাগ্রহণের মধ্য দিয়েও জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি আমরা সম্ভব করেতুলেছি।



জ্বালানিরউৎপাদন ও তার যোগান অব্যাহত রাখাকে আমি একটি পবিত্র দায়িত্ব বলেই মনে করি।বাধ্যবাধকতার ফলে নয়, বরং অঙ্গীকারের মধ্য দিয়েই ভারত এই লক্ষ্যে কাজ করে যেতেআগ্রহী। বিদ্যুৎ উৎপদনের ক্ষেত্রে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম বহির্ভূত উৎসব্যবহারের মাত্রা ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী ২০২২ সালেরমধ্যে ১৭৫ গিগাওয়াট পরিমাণ পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের এক বড় ধরণেরলক্ষ্যমাত্রা আমি স্থির করেছি। আমাদের এই প্রচেষ্টার সুবাদে উৎপাদন ক্ষমতা যেমনএকদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির মূল্যও তেমনই অনেকটা কমে এসেছে।এলইডি বাল্ব ব্যবহারের ওপরও বিশেষ জোর দিয়েছি আমরা।

পরিবহণক্ষেত্রে সিএনজি, এলপিজি ও জৈব জ্বালানি হল বিশুদ্ধ জ্বালানি শক্তি। অনুর্বরভূমিতে জৈব ডিজেল উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখারও প্রয়োজন অনুভব করেছি আমরা। এরমধ্য দিয়ে কৃষকদের আমরা আরও বেশি করে আর্থিক সহায়তা দিতে পারব। জ্বালানি ক্ষেত্রেরচ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের জৈব জ্বালানি সম্পর্কে গবেষণাও উন্নয়নেরও যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে।

এবার আমরাদৃষ্টি ফেরাই জ্বালনি নিরাপত্তার দিকটিতে। দেশে তেল ও গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধিরপশাপাশি আমদানির ওপর নির্ভরশীলতাও আমাদের কমিয়ে আনতে হবে। আগামী ২০২২ সালের মধ্যেআমদানির ওপর নির্ভরশীলতা ১০ শতাংশ কমিয়ে আনার একটি লক্ষ্যমাত্রা আমি স্থির করেছি।তেলের ব্যবহার যখন ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে, তখন এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কাজআমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

দেশে হাইড্রোকার্বন উৎপাদনের বিষয়টিকে উৎসাহদানের লক্ষ্যে আমাদের রয়েছে এক শক্তিশালীবিনিয়োগ-বান্ধব নীতিগত কাঠামো। প্রায় দু’দশক আগে জ্বালানি অনুসন্ধানের ক্ষেত্রেলাইসেন্স পদ্ধতি চালু করেছিল ভারত। এর মাধ্যমে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশিবিনিয়োগের অনুমতি যেমন দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই ভারতের প্রধান প্রধানক্ষেত্রগুলিতে এদেশে বিনিয়োগ ও কাজ করার সুযোগ প্রসারিত করা হয়েছে বেসরকারিক্ষেত্রগুলির কাছে। তবে কিছু কিছু সমস্যার কারণে দেশের তেল ও গ্যাস রপ্তানিরবিষয়টি সময়ে সময়ে ব্যাহত হয়েছে।

ভারতকে এক সঠিকবিনিয়োগ-বান্ধব গন্তব্য রূপে তুলে ধরতে আমরা স্থির করেছি এক নতুন হাইড্রো কার্বনঅনুসন্ধান ও উৎপাদন নীতি, যার মধ্যে রয়েছে – সমস্ত ধরণের হাইড্রো কার্বন অনুসন্ধানও উৎপাদনের জন্য এক অভিন্ন লাইসেন্স ব্যবস্থা।

গত বছর বিভিন্নপ্রান্তিক ক্ষেত্রের উপযোগী নতুন নীতি আমরা ঘোষণা করেছি। এর আওতায় ৬৭টি ক্ষেত্রেটেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় যে সাড়া পাওয়া গেছে, তা যথেষ্টউৎসাহব্যঞ্জক। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থাও সাড়া দিয়েছে আমাদের এই আহ্বানে।

অন্যান্যক্ষেত্রগুলিকেও এখন যথেষ্ট উদার করে তোলা হয়েছে, যাতে অংশগ্রহণকারী সকলেই এখানেযুক্ত থাকার সুযোগ লাভ করেন। কারণ আমরা মনে করি যে, প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমাদেরবিপণন সংস্থাগুলির দক্ষতা ও কার্যকারিতা বিশেষভাবে বৃদ্ধি পাবে।

আমাদের ইতিবাচকবিদেশ নীতি এবং জ্বালানি ক্ষেত্রে দৌত্য প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে আমাদেরসম্পর্ককে আরও নিবিড় করে তুলেছে। দেশের তেল ও গ্যাস সংস্থাগুলি এই সুযোগ গ্রহণ করেসহযোগিতার মধ্য দিয়ে আরও বেশি পরিমাণ তেল আহরণে যুক্ত হবে বিদেশি সংস্থাগুলিরসঙ্গে। সম্প্রতি ৫.৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে রাশিয়ায় হাইড্রো কার্বন সম্পদঅধিগ্রহণ করা হয়েছে। জ্বালানি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় সংস্থাগুলিকে এখনবহুজাতিক সংস্থা হয়ে উঠতে হবে, কাজ করতে হবে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য, ভারত-মধ্য এশিয়াএবং ভারত-দক্ষিণ এশিয়া জ্বালানি করিডরগুলির মধ্যে।

জ্বালানির উৎসহিসেবে জীবাশ্মের পরেই হল প্রাকৃতিক গ্যাস, যা যথেষ্ট ব্যয়সাশ্রয়ী এবং যাতে দূষণেরমাত্রাও থাকে তুলনায় অনেক কম। তাই, গ্যাস-ভিত্তিক অর্থনীতির ওপর আমরা এখন আরও বেশিকরে অগ্রাধিকারদান করেছি। প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদেরএই প্রচেষ্টাকে অবশ্যই নিরন্তর রাখতে হবে। এর পাশাপাশি আমদানি পরিকাঠামো সৃষ্টিরদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন, যাতে দেশের চাহিদা আশানুরূপভাবে পূরণ করা যায়। ভারতেরপুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে একগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসের। বিদ্যুৎ-এর উৎপাদন বৃদ্ধি এবংভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি হল খুবইগুরুত্বপূর্ণ।

বন্ধুগণ, এইলক্ষ্য পূরণে প্রকল্প এবং সম্পদ রূপায়ণে যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে আমাদের এগিয়ে যেতেহবে। কারণ, ভারতের প্রতিযোগিতামুখিনতার তা বিশেষভাবে সাহায্য করবে। এই ব্যবস্থাআমাদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকল্পের সময়োচিত রূপায়ণও নিশ্চিত করে তুলবে।

মেধা ওপরিশ্রমের দিক থেকে ভারত বরাবরই অন্যান্যদের কাছে অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত হয়েউঠেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’ এবং ‘স্ট্যান্ডআপ ইন্ডিয়া’র মতো যে কর্মসূচি রূপায়ণের উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি, তা ভারতীয় তেল ওগ্যাসের ক্ষেত্রে এবং উদ্ভাবনমূলক চিন্তাভাবনার কাজে দেশের যুবসমাজকে গভীরভাবেঅনুপ্রাণিত করবে। ইন্ডিয়ান অয়েলের ‘ইন্ডম্যাক্স’ প্রযুক্তির কার্যকর উদ্ভাবনআমাদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার এক বিশেষ উদাহরণ। এই প্রযুক্তি বর্তমানেবাণিজ্যিকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।

হাইড্রো কার্বনউৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কাছে আমি এই বার্তা পৌঁছে দিতে চাইযে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে আপনারা সকলেই স্বাগত। বাণিজ্যিক কাজকর্মকে সহজতরকরে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টাই র‍্যাঙ্কিং-এর মর্যাদায় ভারতকে আরওওপরে নিয়ে যেতে পেরেছে। আমি আপনাদের নিশ্চিতভাবে একথা জানাতে চাই যে, আমাদের রয়েছেএক দৃঢ় অঙ্গীকার এবং দীর্ঘসূত্রিতাকে আমরা রূপান্তরিত করতে চাই সাদর অভ্যর্থনায়।

বন্ধুগণ,

একদিকে যেমনক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে আমাদের প্রয়োজন সুলভ ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানি উৎসের,অন্যদিকে তেমনই পরিবেশের প্রতিও আমাদের হয়ে উঠতে হবে সংবেদনশীল। আমি নিশ্চিত যে,আজকের এই বিশেষ সমাবেশ থেকে জন্ম নেবে অনেক নতুন নতুন চিন্তাভাবনা এবং হাইড্রোকার্বন ভবিষ্যতের জ্বালানি ক্ষেত্রটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আরও সুদক্ষভাবে এবংনিরন্তর উপায়ে।

সরকারের পক্ষথেকে সম্ভাব্য সকল রকমের সহযোগিতার আমি আশ্বাস দিতে চাই। আজ এখানে সমবেত হয়েভারতের জ্বালানি ক্ষেত্রের রূপান্তরের সহযোগী হয়ে ওঠার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদজানাই।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to participate in ‘Odisha Parba 2024’ on 24 November
November 24, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will participate in the ‘Odisha Parba 2024’ programme on 24 November at around 5:30 PM at Jawaharlal Nehru Stadium, New Delhi. He will also address the gathering on the occasion.

Odisha Parba is a flagship event conducted by Odia Samaj, a trust in New Delhi. Through it, they have been engaged in providing valuable support towards preservation and promotion of Odia heritage. Continuing with the tradition, this year Odisha Parba is being organised from 22nd to 24th November. It will showcase the rich heritage of Odisha displaying colourful cultural forms and will exhibit the vibrant social, cultural and political ethos of the State. A National Seminar or Conclave led by prominent experts and distinguished professionals across various domains will also be conducted.