আম্বেদকর জন্মজয়ন্তী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কর্মসূচি ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর সূচনা উপলক্ষে আজ ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার জাঙ্গলা উন্নয়ন কেন্দ্রে একটি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাকেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
সেখানে এক ঘন্টার এক অনুষ্ঠানে বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতায় মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী। জাঙ্গলা উন্নয়ন কেন্দ্রের উন্নয়ন সংক্রান্ত কর্মপ্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করা হয়তাঁকে।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাকেন্দ্রের উদ্বোধনকালে আশা কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। একটি আদর্শ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করে সেখানকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং পুষ্টি অভিযানের সুফলভোগী ছেলে-মেয়েদের সঙ্গেও আলাপচারিতায় মিলিত হন তিনি। শ্রী মোদী পরিদর্শন করেন একটি হাটবাজার স্বাস্থ্য কিয়স্কও। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। জাঙ্গলায় একটি ব্যাঙ্কের শাখা উদ্বোধন করে কয়েকজন সুফল গ্রহীতাদের হাতে ‘মুদ্রা’ যোজনার আওতায় ঋণ মঞ্জুরিপত্রও তুলে দেন তিনি।
এরপর প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন একটি জনসমাবেশে। আদিবাসী সম্প্রদায়গুলির ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সূচনা করেন ‘বন-ধন যোজনা’র। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ছোটখাট বনজ উৎপাদনের বিপণনের ব্যবস্থা রয়েছে এই কর্মসূচির আওতায়।
এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শ্রী মোদী ভানুপ্রতাপপুর-গুদাম রেলপথটি উৎসর্গ করেন জাতির উদ্দেশে। দাল্লি রাজারা এবং ভানুপ্রতাপপুরের মধ্যে একটি ট্রেন যাত্রারও আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন তিনি। বিজাপুর হাসপাতালে উদ্বোধন করেন একটি ডায়ালিসিস কেন্দ্রের।
উগ্রপন্থী উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা’র আওতায় ১৯৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কপথ নির্মাণ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। উগ্রপন্থী উপদ্রুত এলাকাগুলিতে অন্যান্য সড়কপথেরও সূচনা করেন তিনি। বিজাপুরে একটি জলসরবরাহ প্রকল্প এবং দুটি সেতু প্রকল্পেরও শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী।
এক জনসমাবেশে ভাষণদানকালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাদের উদ্দেশে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ঐ অঞ্চলে নকশাল ও মাওবাদী হানায় নিহত প্রতিরক্ষা কর্মীদের উদ্দেশেও শ্রদ্ধা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন যে এর আগে ‘শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রারবান মিশন’ এবং ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা’ নামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছিল ছত্তিশগড় রাজ্য থেকে। আর আজ এই রাজ্যটি থেকে সূচিত হচ্ছে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ এবং ‘গ্রাম স্বরাজ অভিযান’ নামে আরও দুটি কর্মসূচি। গত চার বছরে কেন্দ্রীয় সরকার রূপায়িত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সুফল যাতে সমাজের দরিদ্র এবং অবহেলিত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতেই ‘গ্রাম স্বরাজ অভিযান’-এর সূচনা। এই অভিযানটি আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্ম দিয়েছিলেন বাবাসাহেব আম্বেদকর।
বিজাপুরে এদিনের এই অনুষ্ঠান আয়োজনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শ্রী মোদী বলেন, দেশের যে ১০০টি জেলা এখনও উন্নয়নের নিরিখে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও উন্নয়ন প্রচেষ্টার জন্য উন্মুখ, বিজাপুর হল তারই অন্যতম। পিছিয়ে পড়া এই জেলাগুলি উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা রূপে পরিগণিত হোক, এই তাঁর কামনা। ভবিষ্যতে এই সমস্ত জেলা আর কখনওই অনগ্রসর বা অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকবে না। শ্রী মোদী বলেন যে যদি জেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং জনসাধারণ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেন, তাহলে উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে জন-আন্দোলনের রূপ দেওয়া যেতে পারে। আর তা থেকে নিশ্চিত হবে এক নজিরবিহীন সাফল্য। দেশের ১১৫টি জেলায় যে এক বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কর্মসূচি রূপায়ণে সচেষ্ট রয়েছে তাঁর সরকার, একথাও প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে প্রত্যেকটি জেলারই রয়েছে নিজের নিজের কিছু সমস্যা। এই কারণে, প্রত্যেকটি জেলার জন্যই প্রয়োজন ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
শ্রী মোদী বলেন, আমাদের সমাজ জীবনে ভারসাম্যের যে অভাব রয়েছেতা পূরণ করবে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কর্মসূচিটি। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হবে সামাজিক ন্যায়বিচার। কর্মসূচি রূপায়ণের প্রথম ধাপেই প্রাথামিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসা হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন,দেশের ১.৫ লক্ষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে উন্নতমানের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাকেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হবে। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি দরিদ্র সাধারণ মানুষের কাছে পারিবারিক চিকিৎসার সুযোগ পৌঁছে দেবে।
শ্রী মোদী বলেন, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কর্মসূচির পরবর্তী লক্ষ্য হবে চিকিৎসার জন্য দরিদ্র সাধারণ মানুষকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তাদান।
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ রমন সিং-এর বিশেষ প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে গত ১৪ বছর ধরে এই রাজ্যে নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে। বিশেষত, সুকমা, দান্তেওয়াড়া এবং বিজাপুরের মতো দক্ষিণ জেলাগুলিতে যে উন্নয়ন প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হয়েছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। ঘোষণা করেন যে বস্তার জেলাকেও অনতিবিলম্বে একটি অর্থনৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্রের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক স্তরে যে ভারসাম্যহীনতা রয়ে গেছে, তা দূর করতে সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। প্রসঙ্গত তিনি উল্লেখ করেন এদিনের উদ্বোধন করা সংযোগ ও যোগাযোগ প্রকল্পগুলির কথা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে কেন্দ্রীয় সরকার গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও সিদ্ধান্তগুলি সমাজের দরিদ্র এবং দুর্বলতর মানুষদের কল্যাণের লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই প্রসঙ্গে তিনি অবতারণা করেন ‘বন-ধন যোজনা’র কথা। আদিবাসী সম্প্রদায়গুলির অবস্থার উন্নয়নে কল্যাণমূলক যে সমস্ত প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে, তারও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’, ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ এবং ‘উজ্জ্বলা’ যোজনার মতো কর্মসূচিগুলি দেশের মহিলাদের প্রভূত কল্যাণসাধন করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের মূল শক্তি ও স্তম্ভই হল জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণ।এর মধ্য দিয়েই আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এক নতুন ভারতের অভ্যুদয় ঘটতে চলেছে।
14 अप्रैल का आज का दिन देश के सवा सौ करोड़ लोगों के लिए बहुत महत्वपूर्ण है। आज भारत रत्न बाबा साहब भीमराव आंबेडकर की जन्म जयंती है। आज के दिन आप सभी के बीच आकर आशीर्वाद लेने का अवसर मिलना, मेरे लिए बहुत सौभाग्य की बात है: PM
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2018
विकास की दौड़ में पीछे छूट गए और पीछे छोड़ दिए गए समुदायों में आज जो चेतना जागी है, वो चेतना बाबा साहब की ही देन है। एक गरीब मां का बेटा, पिछड़े समाज से आने वाला आपका ये भाई अगर आज देश का प्रधानमंत्री है, तो ये भी बाबा साहेब की ही देन है: PM
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2018
आज बाबा साहेब की प्रेरणा से, मैं बीजापुर के लोगों में, यहां के प्रशासन में, यही भरोसा जगाने आया हूं। ये कहने आया हूं कि केंद्र की आपकी सरकार, आपकी आशाओं-आकांक्षाओं, आपकी ‘aspirations’ के साथ खड़ी है: PM
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2018
स्वतंत्रता के बाद, इतने वर्षों में भी ये जिले पिछड़े बने रहे, इसमें उनकी कोई गलती नहीं। बाबा साहेब के संविधान ने इतने अवसर दिए, आगे बढ़ने के लिए प्रेरित किया, लेकिन फिर भी बीजापुर जैसे जिले, विकास की दौड़ में पीछे क्यों छूट गए?: PM
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2018
क्या इन जिलों में रहने वाली माताओं को ये अधिकार नहीं था, कि उनके बच्चे भी स्वस्थ हों, उनमें खून की कमी न हो, उनकी ऊँचाई ठीक से बढ़े?
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2018
क्या इन जिलों के लोगों ने, आपने, देश से ये आशा नहीं रखी थी उन्हें भी विकास में साझीदार बनाया जाए?: PM
क्या इन क्षेत्रों के बच्चों को, बेटियों को, पढ़ाई का, अपने कौशल के विकास का अधिकार नहीं था, उम्मीद नहीं थी?: PM
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2018
मैं आज इसलिए आया हूं, ताकि आपको बता सकूं, कि जिनके नाम के साथ पिछड़ा जिला होने का लेबल लगा दिया गया है, उनमें अब नए सिरे से, नई सोच के साथ बड़े पैमाने पर काम होने जा रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2018
मैं इन 115 Aspirational Districts को सिर्फ आकांक्षी नहीं, महत्वाकांक्षी जिले कहना चाहता हूं: PM
तीन महीने का हमारा अनुभव कहता है कि अगर जिले के सभी लोग, जिले का प्रशासन, जिले के जन प्रतिनिधि, हर गली-मोहल्ला,गांव, इस अभियान में साथ आ जाए, एक जनआंदोलन की तरह हम सब इसमें योगदान करें, तो वो काम हो सकता है, जो पिछले 70 वर्षों में नहीं हुआ: PM
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2018
आयुष्मान भारत योजना के पहले चरण को शुरू किया गया है जिसमें प्राथमिक स्वास्थ्य से जुड़े विषयों में बड़े बदलाव लाने का प्रयास किया जाएगा। देश की हर बड़ी पंचायत में, लगभग डेढ़ लाख जगहों पर सब सेंटर और प्राइमरी हेल्थ सेंटर्स को हेल्थ एंड वेलनेस सेंटर के रूप में विकसित किया जाएगा: PM
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2018
कुछ देर पहले मुझे यहां के जिला अस्पताल में डायलिसिस यूनिट का शुभारंभ करने का अवसर मिला।प्रधानमंत्री डायलिसिस योजना के तहत अब देश के 500 से ज्यादा अस्पतालों में मुफ्त डायलिसिस की सुविधा उपलब्ध कराई जा रही है। इसका लाभ लगभग ढाई लाख मरीज उठा चुका हैं: PM
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2018
बस्तर नेट परियोजना के माध्यम से 6 जिलों में लगभग 400 किलोमीटर लंबा ऑप्टिकल फाइबर नेटवर्क बिछाया गया है। मुझे अभी जांगला के ग्रामीण बीपीओ में भी दिखाया गया है कि कैसे इसका इस्तेमाल लोगों की आय तो बढ़ाएगा ही, उनकी जिंदगी को आसान बनाने का भी काम करेगा: PM
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2018
आज मुझे सविता साहु जी के ई-रिक्शा पर सवारी का अवसर भी मिला। सविता जी के बारे में मुझे बताया गया कि उन्होंने नक्सली - माओवादी हिंसा में अपने पति को खो दिया था। इसके बाद उन्होंने सशक्तिकरण का रास्ता चुना, सरकार ने भी उनकी मदद की और अब वो एक सम्मान से भरा हुआ जीवन जी रही हैं: PM
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2018