#GES2017 brings together leading investors, entrepreneurs, academicians, think-tanks and other stakeholders to propel the global entrepreneurship ecosystem: PM
In Indian mythology, woman is an incarnation of Shakti - the Goddess of power. We believe women empowerment is crucial to our development: PM at #GES2017
#GES2017: Indian women continue to lead in different walks of life. Our space programmes, including the Mars Orbiter Mission, have had immense contribution from women scientists, says PM Modi
In India, we have constitutionally provided for not less than one third of women representation in rural and urban local bodies, ensuring women’s participation in grass-root level decision-making: PM at #GES2017
I see 800 million potential entrepreneurs who can work towards making the world a better place: PM Modi at #GES2017
Our Start-Up India programme is a comprehensive action plan to foster entrepreneurship and promote innovation. It aims to minimize the regulatory burden and provide support to startups: PM at #GES2017
We have launched the MUDRA scheme to provide easy finance of upto one million rupees to entrepreneurs; more than 70 million loans have been sanctioned to women entrepreneurs: PM at #GES2017
A historic overhaul of the taxation system has been recently undertaken, bringing in the Goods and Services Tax across the country: PM at #GES2017
To my entrepreneur friends from across the globe, I would like to say: Come, Make in India, Invest in India - for India, and for the world, says PM Modi at #GES2017

নয়া দিল্লি ও হায়দ্রাবাদ:  আমরা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকারেরসহযোগিতায় বিশ্ব উদ্যোগ শীর্ষ সম্মেলন (জি.ই.এস.) ২০১৭-এর আয়োজন করতে পেরেআনন্দিত|  
  

দক্ষিণ এশিয়ায় এবারই প্রথম এ ধরনের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে| বিশ্বেরউদ্যোগের বাস্তুতন্ত্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে প্রথম সারিরবিনিয়োগকারী, উদ্যোগী, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের একসঙ্গে নিয়েআসে এই ধরনের আয়োজন| 

এই আয়োজন শুধুমাত্র সিলিকন ভ্যালির সঙ্গে হায়দ্রাবাদের সংযুক্তিই ঘটাবে না,এর মধ্য দিয়ে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যেকার নিবিড় সংযোগও প্রদর্শিত হবে|উদ্যোগ ও উদ্ভাবনাকে উত্সাহ প্রদান করার ক্ষেত্রে আমাদের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতিকেওগুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরবে|

এ বছরের এই শীর্ষ সম্মেলনে যেসব বিষয় আলোচনা হবে তার মধ্যে রয়েছে,স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবন বিজ্ঞান, ডিজিট্যাল অর্থব্যবস্থা ও আর্থিক প্রযুক্তি,বিদ্যুত ও পরিকাঠামো এবং প্রচার মাধ্যম ও বিনোদন| এইসব বিষয়গুলো মানব সমাজেরকল্যাণ ও সমৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট|  
  

এবারকার জি.এ.এস. এর মূল ভাবনা “সবার সমৃদ্ধির জন্য মহিলারাই প্রথম”-এরজন্য স্বতন্ত্র হয়ে উঠেছে| ভারতীয় ভাবধারায় মহিলাদের শক্তির স্বরূপ অর্থাত শক্তিরদেবী বলে উল্লেখ করা হয়| আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সমস্ত রকম উন্নয়নের জন্য নারীক্ষমতায়ন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ| 

আমাদের ইতিহাসে অসাধারণ প্রতিভা ও দৃঢ়চেতা নারীদের উল্লেখ রয়েছে|খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীর সময়ের এক মহিলা দার্শনিক গার্গী, তিনি একজন ঋষিকেদার্শনিক বিতর্কে আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা সেই সময়ের জন্য এক অশ্রুত ঘটনা| রানিঅহল্যাবাই হোলকার ও রানি লক্ষীবাই-এর মত আমাদের যোদ্ধা রানিগণ তাঁদের রাজত্বরক্ষার জন্য সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন| আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামও এই ধরনেরঅনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্তে পরিপূর্ণ|  
  

ভারতীয় মহিলারা জীবনের বিভিন্ন পেশায় নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন| মঙ্গলগ্রহপরিক্রমাকারী অভিযান সহ, আমাদের সমস্ত মহাকাশ কর্মসূচিতে মহিলা বিজ্ঞানীদেরঅপরিসীম অবদান রয়েছে| ভারতীয় বংশোদ্ভূত কল্পনা চাওলা ও সুনীতা উইলিয়ামস আমেরিকারমহাকাশ অভিযানে অংশ গ্রহণ করেছেন|  
  

ভারতের সবচেয়ে পুরনো চারটি হাইকোর্টের মধ্যে তিনটিই এখন মহিলা বিচারপতিদেরনেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে| আমাদের মহিলা খেলোয়াড়রা দেশকে গর্বিত করেছেন| এইহায়দ্রাবাদ শহরেরই সাইনা নেহওয়াল, পি.ভি. সিন্ধু, সানিয়া মির্জা ভারতের জন্যজয়মাল্য নিয়ে এসেছেন|  
  

ভারতে তৃণমূল পর্যায়ের নীতি-নির্ধারণে মহিলাদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করারজন্য গ্রামীণ ও শহুরে স্থানীয় সংস্থাগুলোতে আমরা মহিলাদের ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশপ্রতিনিধিত্ব প্রদান করেছি| 

আমাদের কৃষি ও সহযোগী ক্ষেত্রগুলোতে ষাট শতাংশেরও বেশি কর্মী হচ্ছেনমহিলারাই| গুজরাটে দুগ্ধ সমবায় এবং শ্রী মহিলা গৃহ উদ্যোগ লিজ্জত পাপড় হচ্ছেবিশেষভাবে সফল ও বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত মহিলা পরিচালিত সমবায় আন্দোলনের উদাহরণ|  
  
বন্ধুগণ,  

এখানে এই বিশ্ব উদ্যোগ শীর্ষ সম্মেলনে পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি প্রতিনিধিহচ্ছেন মহিলা| আগামী দু ’ দিন ধরেআপনাদের সঙ্গে এমন অনেক মহিলার সাক্ষাত হবে, যারা তাঁদের নিজের জীবনের পেশায় ভিন্নধরনের দিক সূচিত করার সাহস দেখিয়েছেন| তাঁরা এখন মহিলা উদ্যোগীদের নতুন প্রজন্মকেঅনুপ্রাণিত করছেন| আমি আশা করি যে, মহিলা উদ্যোগীদের কীভাবে আরও সহায়তা করা যায়,এই শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনা সেদিকেই গুরুত্ব দেবে|   

ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,  

ভারত যুগ যুগ ধরেই উদ্ভাবনা ও উদ্যোগের জন্মভূমি| ভারতের প্রাচীন পুঁথি  ‘ চরকসংহিতা ’  পৃথিবীর সামনে আয়ুর্বেদকে নিয়েএসেছে| যোগ হচ্ছে এরকমই আরেকটি ভারতীয় উদ্ভাবনা| এখন প্রতিবছর ২১ জুন যোগ দিবসউদযাপনের জন্য গোটা পৃথিবী এগিয়ে আসে| প্রচুর উদ্যোগী এখন যোগ, অধ্যাত্মিকতা,ঐতিহ্যগত আয়ুর্বেদিক পণ্যের প্রচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন|    

বর্তমানে আমরা যে ডিজিট্যাল যুগে বাস করছি, তার মূল ভিত্তি হচ্ছে বাইনারিপদ্ধতি| আর এই বাইনারি পদ্ধতির মূল ভিত্তি  ‘ শূন্যবা জিরো ’ র উদ্ভাবন ভারতে আর্যভট্ট-এর কাজেরমাধ্যমে হয়েছে| একইরকমভাবে আধুনিক যুগের অর্থনৈতিক নীতি, কর পদ্ধতি ও জন অর্থনীতিরনানা বিষয় আমাদের প্রচীন পুঁথি কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের রূপরেখায় চিত্রিত|

প্রাচীন ভারতের ধাতুবিদ্যায় পারদর্শিতা সবার জানা| আমাদের অনেক বন্দর ওপোতাশ্রয় এবং প্রথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন জাহাজঘাটা  ‘ লোথাল ’ আমাদের অসাধারণ বাণিজ্য সংযোগের প্রমাণই বহন করে| বিদেশের মাটিতে ভারতীয় নাবিকদেরভ্রমণের কাহিনী আমাদের পূর্বপুরুষদের উদ্যোগের মানসিকতা ও উত্সাহকেই প্রতিফলিতকরে|  
  
একজন উদ্যোগীকে চিহ্নিত করার প্রধান গুণাবলী কী কী?  

একজন উদ্যোগী কোনো উদ্দেশ্য পূরণের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতা ব্যবহার করেন|প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও একজন উদ্যোগী সুযোগ খুঁজে বের করেন| তারা ব্যবহারকারীরজন্য আরও সুবিধাজনক ও আরামদায়ক পদ্ধতি তৈরির চেষ্টার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন|তাঁরা ধৈর্যশীল ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ| স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, প্রতিটি কাজকে তিনটিপর্যায়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয় — উপহাস,বিরোধিতা এবং তারপর স্বীকৃতি| যারা সময়ের চেয়ে অনেক আগে কিছু ভেবে থাকেন, তাদেরকেসবসময়ই ভুল বোঝা হয়ে থাকে| অধিকাংশ উদ্যোক্তাই এর সঙ্গে পরিচিত থাকবেন|  

মানব সমাজের ভালোর জন্য ভিন্নভাবে ও সময়ের চেয়ে এগিয়ে চিন্তা করার ক্ষমতাইএকজন উদ্যোগীকে স্বতন্ত্র করে থাকে| আমি ভারতের নব প্রজন্মের মধ্যে সেই ক্ষমতাকেইদেখতে পাচ্ছি| আমি ৮০ কোটি সম্ভাব্য উদ্যোগীকে দেখতে পাচ্ছি, যারা বিশ্বকে একউন্নত স্থান তৈরির পথে কাজ করতে পারেন|    

ভারতে স্মার্টফোনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০১৮ সালের মধ্যে ৫০ কোটি ছাড়িয়েযাবে বলে বলা হচ্ছে| মানুষের কাছে পৌঁছানো ও কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে এই বিষয়টিযেকোনো উদ্যোগের বৃদ্ধির জন্য দারুণ সম্ভাবনা প্রদান করছে|

আমাদের স্টার্ট-আপ কর্মসূচি হচ্ছে উদ্যোগকে লালন করার জন্য এবং উদ্ভাবনাকেউত্সাহ দেওয়ার জন্য এক ব্যাপক কর্ম পরিকল্পনা| এর মধ্য দিয়ে পরিচালনগত ভার কমিয়েস্টার্ট-আপকে সহায়তা করা হচ্ছে| ১২০০-এর বেশি অপ্রয়োজনীয় আইন বাতিল করা হয়েছে,২১টি ক্ষেত্রের এফ.ডি.আই. ’ র জন্য ৮৭টিনিয়ম লাঘব করা হয়েছে এবং সরকারের বিভিন্ন পদ্ধতি এখন অনলাইনে করা হয়েছে|    

আমাদের সরকার বাণিজ্যিক পরিবেশকে উন্নত করার জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণকরেছে| এর ফলেই বিশ্ব-ব্যাঙ্কের বাণিজ্য সহজতার প্রতিবেদনে ভারতের স্থান গত তিনবছরে ১৪২ থেকে ১০০ তম স্থানে উঠে এসেছে|    

আমরা আমদের বিভিন্ন সূচক যেমন নির্মাণ অনুমতি পাওয়া, ঋণ পাওয়া, সংখ্যালঘুবিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, কর প্রদান, চুক্তি প্রয়োগ করা, অর্থশূন্যতা স্থির করাইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নতি করেছি|    

এই প্রক্রিয়া এখনও সমাপ্ত হয়নি| এটা হচ্ছে এমন এক যুগ যখন আমরা ১০০তম স্থাননিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছি না| আমরা ৫০তম স্থানের দিকে ধাবিত হওয়ার চেষ্টা করছি|    

আমরা উদ্যোগীদের দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহজে অর্থ সহায়তা প্রদান করার জন্যমুদ্রা প্রকল্পের সূচনা করেছি| ২০১৫ সালে এর সূচনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯ কোটিরওবেশি ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে, অর্থমূল্যে যা প্রায় ৪.২৮ লক্ষ কোটি টাকা| এর মধ্যে ৭কোটিরও বেশি ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে মহিলা উদ্যোগীদের জন্য| 

আমার সরকার “অটল উদ্ভাবনা মিশন”-এর সূচনা করেছে| আমরা ৯০০টিরও বেশি স্কুলেনানারকম মেরামতির গবেষণাগার খুলছি, যাতে ছেলেমেয়েদের মধ্যে উদ্ভাবনা ও উদ্যোগেরসংস্কৃতিকে উত্সাহ দেওয়া যায়| আমাদের “মেন্টর ইন্ডিয়া” উদ্যোগের সূচনা এক্ষেত্রেদক্ষদের তাদের এই মেরামতির গবেষণাগারের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া ওশেখানোর জন্য করা হয়েছে| এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ১৯টিইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে| উদ্ভাবনামূলক স্টার্ট-আপ বাণিজ্যকে পরিমাপযোগ্যও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য এই কেন্দ্রগুলো কাজ করে যাবে|  
  

আমরা আধারের সূচনা করেছি, যা বিশ্বের সর্ববৃহত বায়োমেট্রিক নির্ভরডিজিট্যাল ডাটাবেস| এখন পর্যন্ত এর আওতায় ১১৫ কোটি মানুষ এসেছেন এবং প্রতিদিন ৪কোটিরও বেশি লেনদেনকে ডিজিট্যাল নির্ভর পদ্ধতিতে প্রামাণিকতা করা হচ্ছে| আমরা এখনআধার ব্যবহার করে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে সুবিধাপ্রাপকদের বিভিন্নধরনের সরকারি আর্থিক সুবিধা প্রদান করছি|  
  

জনধন যোজনার মাধ্যমে ৩০ কোটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে জমাপড়েছে ৬৮৫ বিলিয়ন টাকা বা ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ| এর মধ্য দিয়ে আগে সমাজেরযে অংশ ব্যাঙ্কের আওতায় ছিলেন না, তাদেরকে প্রথাগত আর্থিক পদ্ধতিতে নিয়ে আসাহয়েছে| এর মধ্যে ৫৩ শতাংশ একাউন্টই হচ্ছে মহিলাদের|  
  

আমরা কম নগদ অর্থনীতির দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছিএবং ভিম (বি.এইচ.আই.এম.) নামের এক ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস অ্যাপ-এর সূচনাকরেছি| এক বছরেরও কম সময়ে এই পদ্ধতি এখন প্রতিদিন ২৮০ হাজার লেনদেন করছে|    

আমরা  ‘ সৌভাগ্য প্রকল্প ’ চালু করেছি, যার সাহায্যে প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়ার কর্মসূচি প্রায়শেষের পথে| এর মাধ্যমে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সব পরিবারকেই বিদ্যুতপরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে|    

আমরা ২০১৯ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সমস্ত গ্রামীণ এলাকায় হাই-স্পিডব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার জন্যও একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছি|  

আমাদের পরিচ্ছন্ন বিদ্যুত কর্মসূচির অধীনে শুধুমাত্র গত তিন বছরে আমরাআমাদের পুনর্নবীকরণ বিদ্যুতের ক্ষমতা ৩০ হাজার মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে৬০ হাজার মেগাওয়াট করেছি| গত বছরে সৌরবিদ্যুত উত্পাদনের ক্ষমতা ৮০ শতাংশেরও বেশিবৃদ্ধি পেয়েছে| আমরা একটি জাতীয় গ্যাস গ্রিড নির্মাণের জন্য কাজ করছি| একটি ব্যাপকজাতীয় বিদ্যুত নীতি গঠনের পথেও কাজ চলছে|

স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতার উন্নয়নে আমাদের স্বচ্ছ ভারত মিশন এবং গ্রামীণও শহুরে আবাস যোজনা অভিযান, মর্যাদাপূর্ণ জীবনের প্রতি আমদের প্রতিশ্রুতিকেইউল্লেখ করে|    

সাগরমালা ও ভারতমালার মতো আমাদের পরিকাঠামো ও সংযোগকারী কর্মসূচিগুলিউদ্যোগীদের বিনিয়োগের জন্য অনেক বাণিজ্য-সুযোগ প্রদান করেছে|    

আমাদের সাম্প্রতিক  ‘ বিশ্ব খাদ্যভারত ’  উদ্যোগ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ওকৃষি ক্ষেত্রের অপচয় নিয়ে উদ্যোগীদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে|    

আমার সরকার অনুধাবন করে যে, উদ্যোগের বিস্তৃতির ক্ষেত্রে সবার জন্য স্বচ্ছনীতি ও আইনের শাসন প্রদানকারী পরিবেশের প্রয়োজন|    

দেশজুড়ে পণ্য ও পরিষেবা কর চালু করে সম্প্রতি ঐতিহাসিক কর পদ্ধতি গ্রহণ করাহয়েছে| ২০১৬ সালে চালু হওয়া আমাদের অর্থশূন্যতা ও দেউলিয়া অবস্থার আইন (ইনসলভেন্সিএন্ড ব্যাংকরাপ্সি কোড) হচ্ছে সমস্যায় পড়া উদ্যোগের সময়মত সমাধান সুনিশ্চিত করারএক পদক্ষেপ| ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের এর থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আমরা সম্প্রতি একে আরওউন্নত করেছি|    

সমান্তরাল অর্থনীতি মোকাবিলা করা, কর ফাঁকি প্রতিরোধ করা এবং কালো টাকানিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে|   

আমাদের এই প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়ে মুডি ’ জসম্প্রতি ভারতের সরকারি বন্ড রেটিংকে উন্নত করেছে| এই অগ্রগতি প্রায় ১৪ বছর পরহয়েছে|  

বিশ্বব্যাংকের লজিস্টিক পারফরম্যান্স সূচকে ভারতের স্থান ২০১৪ সালের ৫৪তমস্থান থেকে এগিয়ে ২০১৬ সালে ৩৫তম স্থানে এগিয়ে এসেছে| এর মাধ্যমে কোনো দেশ থেকেপণ্য আমদানি বা রফতানির ক্ষেত্রে সহজতা ও দক্ষতা চিহ্নিত হয়|    

একটি বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশকে ম্যাক্রো-অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে স্থিতিশীলকরা প্রয়োজন| আমরা রাজকোষ ও চলতি খাতে ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং মুদ্রাস্ফীতিকমাতে সফল হয়েছি| আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছেএবং আমরা বড় আকারের বৈদেশিক তহবিলের প্রবাহকে আকৃষ্ট করে যাচ্ছি|    

ভারতের যুব উদ্যোগীদের প্রতি আমি বলব:- ২০২২ সালের মধ্যে এক নবভারতের নির্মাণে আপনারা প্রত্যেকেই কিছু না কিছু মূল্যবান অবদান রাখতে পারেন|আপনারা ভারতের পরিবর্তনের বাহন এবং রূপান্তরের হাতিয়ার|    

বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আমার উদ্যোগী বন্ধুদের প্রতি আমি বলব:-আসুন, ভারত ও বিশ্বের জন্য —‘ ভারতেনির্মাণ করুন ও ভারতে বিনিয়োগ করুন ’  ( ‘ মেকইন ইন্ডিয়া ’  ও  ‘ ইনভেস্টইন ইন্ডিয়া ’ )| আমি আপনাদের প্রত্যেককে ভারতেরবিকাশের কাহিনীতে অংশীদার হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি| এবং আরও একবার আমাদেরআন্তরিক ও ঐকান্তিক সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিচ্ছি|    

আমি জানতে পেরেছি যে, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প নভেম্বর ২০১৭-কে  ‘ জাতীয়উদ্যোগী মাস ’  হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন| আমেরিকাও ২১নভেম্বরকে  ‘ জাতীয় উদ্যোগী দিবস ’ হিসেবে পালন করছে| এই শীর্ষ সম্মেলন অবশ্যই সেই ভাবনাকে অনুরণিত করবে| এই শীর্ষসম্মেলনে ফলপ্রসূ, চিত্তাকর্ষক ও কার্যকর আলোচনার আশা প্রকাশ করে আমি আমার ভাষণসমাপ্ত করছি| 

আপনাদের ধন্যবাদ| 

 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।