গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতজী, উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল এবং গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দিবেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিন প্যাটেলজি এবং এখানে উপস্থিত সকল মাননীয় ব্যক্তিবর্গ, ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ,

আজ অনেকের সঙ্গে ১২-১৫ বছর পর দেখা হ’ল। এরকম কয়েকজন এখানে রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের যৌবন গুজরাটের উন্নয়নে উৎসর্গ করেছেন। কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের কর্মজীবনে গুজরাটকে অনেক কিছু দিয়েছেন, তাঁদের জন্যই আজ গুজরাটের প্রদীপ অন্যদের আলোকিত করছে।

আমি গুজরাট সরকারের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। এই ভবন উদ্বোধনের ফিতে যে কেউ কাটতে পারতেন, কিন্তু আপনারা আমাকে সুযোগ দিয়েছেন, আপনাদের সকলের দর্শনলাভের সৌভাগ্য হয়েছে। সবার আগে আমি আপনাদের সবাইকে গণেশ চতুর্থী উৎসবের শুভেচ্ছা জানাই। ভগবান গণেশের কৃপা দেশবাসীর উপর বর্ষিত হতে থাকুক। রাষ্ট্র নির্মাণের সমস্ত সংকল্প সফল হোক। এই পবিত্র অবসরে আপনাদের সকলকে, দেশবাসীকে, গুজরাটের কর্মসূচি উপলক্ষে গুজরাটবাসীকে শুভেচ্ছা জানাই।

 

আর গণেশ চতুর্থীর পরিক্রমণ পূর্ণ হওয়ার পর আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করি, আর জৈন পরম্পরায় এটি অত্যন্ত উত্তম সংস্কার। তা হল – ‘মিচ্ছামি দুকরম’। মনে, কথায়, কর্মে কখনও কাউকে দুঃখ দিয়ে থাকলে ক্ষমতা চাওয়ার এই পরব হ’ল ‘মিচ্ছামি দুকরম’। আমার পক্ষ থেকে গুজরাটবাসীকে, ভারতবাসী এবং বিশ্ববাসীকে ‘মিচ্ছামি দুকরম’ জানাই।

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ভগবান সিদ্ধি বিনায়কের এই উৎসবে আমরা এখানে একটি সিদ্ধির উৎসব পালনের জন্য এখানে একত্রিত হয়েছি। গরবি গুজরাট সদন গুজরাটের কোটি কোটি মানুষের ভাবনা, পরম্পরা এবং সংস্কৃতির অনুকূল সবাইকে পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুত। আমি আপনাদের সবাইকে, গুজরাটবাসীদের এর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

এখন আপনারা গুজরাট ভবনের একটি ফিল্ম দেখেছেন, কিন্তু আমি এখন সেখান থেকে ঘুরে এসেছি। একটু আগে এখানে আমরা গুজরাটি সংস্কৃতির অনুপম ঝলক দেখতে পেয়েছি। যেসব শিল্পীরা এখানে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁরা এত কম সময়ে এত স্বল্প পরিসরে অসাধারণ অনুষ্ঠান করেছেন।

বন্ধুগণ,

গুজরাট ভবনের পর এখন গরবি গুজরাট সদন অনেক ধরনের পরিষেবা নিয়ে আসবে। আমি এই ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সাথীদের ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের আগেই এই সুন্দর অট্টালিকাটি নির্মাণ করেছেন।

দু’বছর আগে সেপ্টেম্বর মাসে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী এটির শিলান্যাস করেছিলেন। আর আজ সেপ্টেম্বরের গোড়াতেই আমার এটি উদ্বোধনের সৌভাগ্য হ’ল। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার অভ্যাস ক্রমে সমস্ত সরকারি সংস্থা এবং সরকারি এজেন্সিতে বিকশিত হচ্ছে।

আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন বুক ফুলিয়ে বলতাম যে, আমি যে প্রকল্পের শিলান্যাস করবো, সেই প্রকল্পের উদ্বোধনও আমিই করবো! ঐ বক্তব্যে কোনও অহঙ্কার ছিল না, সার্বজনিক দায়বদ্ধতা ছিল। আর সেজন্য আমার সমস্ত সঙ্গীদের প্রতিনিয়ত এই কাজে লেগে থাকতে হ’ত এবং তা থেকে পরিণামও পাওয়া যেত। এই কর্মসংস্কৃতি শুধু নিজেরা পালন করলে চলবে না। সর্বস্তরে এর বিস্তার হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

বন্ধুগণ, এই ভবন মিনি গুজরাট মডেল হলেও এটি ‘নিউ ইন্ডিয়া’র সেই ভাবনার প্রত্যক্ষ প্রমাণ, যার মধ্যে আমরা নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে আধুনিকতার সঙ্গে যুক্ত করে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলি। আমরা শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত হতে চাই আবার আকাশকেও ছুঁতে চাই।

এই ভবনে যেমন বলা হয়েছে, পরিবেশ-বান্ধব জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা, জল পুনর্ব্যবহারযোগ্যকরণের মতো আধুনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি রানী গিওয়াবের চিত্রও রয়েছে। একদিকে যেমন সৌরশক্তির ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে, অন্যদিকে মোঢেরা সূর্য মন্দিরও স্থান পেয়েছে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি, এই ইমারত কচ্ছের লিপণকলার দ্বারা সজ্জিত হয়েছে। এতে পশুর বর্জ্যকে শিল্পে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা, নিশ্চিতভাবেই এই সদন গুজরাটের কলা ও হস্তশিল্পের পাশাপাশি, ঐতিহ্য পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দেশের রাজধানীতে যেখানে সারা পৃথিবী থেকে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের আসা-যাওয়া লেগে থাকে, সেখানে এই ধরনের পরিষেবা অত্যন্ত উপযোগী হয়ে উঠবে।

এভাবে গুজরাটি সংস্কৃতি-ভিত্তিক প্রদর্শনীগুলির জন্য সদনের কেন্দ্রীয় প্রদর্শশালা ব্যবহারের ভাবনাও অত্যন্ত অভিনন্দনযোগ্য।

আমি মুখ্যমন্ত্রী মহোদয়কে অনুরোধ করবো যে, এখানে গুজরাট পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাগুলিকে আরও শক্তিশালী করা হোক। সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ও খাদ্য মেলার মতো নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিল্লি ও এই শহরে আগত দেশ তথা বিশ্বের পর্যটকদের গুজরাটের সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে।

একটা সময় ছিল যখন গুজরাটের খাবার-দাবার, বিশেষ করে উত্তর ভারতের মানুষ পছন্দ করতেন না। বলতেন, আপনারা এতো মিষ্টি দেন কেন? করলা রান্না করলেও তাতে মিষ্টি দেন। কিন্তু আজকাল দেখছি, অনেকেই ভালো গুজরাটি খাবারের খোঁজ করেন। গুজরাটের মানুষের একটি বৈশিষ্ট্য হ’ল, তাঁরা যখন গুজরাটে থাকেন, শনি ও রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে রান্না করেন না। তাঁরা বাইরে খাবার খান। গুজরাটে থাকলে তাঁরা শনি ও রবিবারে ইটালিয়ান, মেক্সিকান কিংবা দক্ষিণ ভারতীয় খাবার খোঁজেন। কিন্তু গুজরাটের বাইরে গেলে তাঁরা গুজরাটি খাবারই খেতে চান। আর এখানে খমণ-কেও ঢোকলা বলে আবার হাঁডোয়াকেও ঢোকলা বলে। এই খাবারগুলি একই পরিবারের হলেও ভিন্ন। গুজরাটিরা যদি এগুলির ভালো মতো ব্র্যান্ডিং করেন, তা হলে অগুজরাটিরা বুঝতে পারবেন যে, খমণ, ঢোকলা আর হাঁডোয়া একরকম দেখতে হলেও পরস্পরের থেকে আলাদা আর স্বাদও ভিন্ন।

নতুন সদনে গুজরাটে বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য, গুজরাটের শিল্পোদ্যোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য নতুন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই পরিষেবার মাধ্যমে গুজরাটে বিনিয়োগে ইচ্ছুক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি সুবিধা হবে।

বন্ধুগণ, এমন আবহে এই সদনের আধুনিক ডাইনিং হলে যাঁরা বসবেন, আর তাঁদের সামনের টেবিলে থাকবে ঢোকলা, ফাফড়া, খান্ডভি, পুদিনা মুঠিয়া, মোহনথাল, থ্যাপলা, আপেল ও টমেটোর চাট আরও কত কী ….. একবার এক সাংবাদিক আমার কাছে সময় চেয়েছিলেন, আমি তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। সেই সাংবাদিকের স্বভাব ছিল যে, তিনি প্রাতঃরাশের টেবিলে সময় চাইতেন। আর খাবার খেতে খেতে সাক্ষাৎকার নিতেন। যাই হোক, সাক্ষাৎকার তো ভালোই হ’ল। কারণ, আমাই জানতাম কী বলতে হবে আর কী বলতে হবে না। এই ধরনের সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে কী বলতে হবে না, সেটাই আগে মনে মনে ভেবে নিতে হয়। কিন্তু সাক্ষাৎকারের পর তিনি তাঁর প্রতিবেদনে লিখেছিলেন যে, ‘আমি গুজরাট ভবনে গিয়েছিলাম, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে তিনি প্রাতঃরাশে গুজরাটি খাবার না খাইয়ে দক্ষিণ ভারতীয় খাইয়েছেন’। আমি চাইবো যে, ভবিষ্যতে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে এই ধরনের কথা আর না শুনতে হয়। গুজরাট ভবনের নিজস্ব একটা পরিচয় গড়ে ওঠা উচিৎ, যাতে মানুষ খুঁজতে খুঁজতে এখানে আসেন।

গুজরাট সর্বদাই উন্নয়ন, শিল্পোদ্যম ও পরিশ্রমকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। উন্নয়নের জন্য গুজরাটের প্রত্যাশার প্রাবল্যকে প্রায় দেড় দশক ধরে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে আমি নিবিড়ভাবে অনুভব করেছি। বিগত পাঁচ বছর ধরেও আমি অনুভব করছি যে, গুজরাট তার উন্নয়নযাত্রাকে আরও দ্রুত করেছে। আগে শ্রদ্ধেয়া আনন্দীবেন প্যাটেল উন্নয়নের গতিকে নতুন প্রাণশক্তি ও সামর্থ্য জুগিয়েছেন। পরে, রুপানিজী মুখ্যমন্ত্রী হয়ে নতুন উচ্চতা স্পর্শ করার লক্ষ্যে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে গুজরাটের উন্নয়নের হার ১০ শতাংশেরও অধিক রয়েছে।

বন্ধুগণ, কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপি’র নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর থেকে উভয় সরকারের যৌথ প্রয়াসে গুজরাটের উন্নয়নের পথে অনেক বাধা দূর হয়েছে। তেমনই একটি বাধা ছিল নর্মদা বাঁধ নিয়ে। এ বিষয়ে একটু আগেই বিজয়জী বিস্তারিত বলেছেন। আজ আমরা অনুভব করছি যে, এই সমস্যার সমাধানের পরই নর্মদার জল কিভাবে গুজরাটের অনেক গ্রামের তৃষ্ণা নিবারণ করছে, কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।

বন্ধুগণ, সোনি যোজনা কিংবা সুজলাম সুফলাম যোজনা – এই দুটি প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগোনোর ফলে এই দুটির মাধ্যমেও গুজরাটের লক্ষ লক্ষ পরিবার উপকৃত হচ্ছেন। গুজরাটে জলের অভাব নিশ্চিতভাবে দূর করা যাচ্ছে।

আমি আনন্দিত যে, জল সঞ্চয় হোক কিংবা গ্রামে গ্রামে জল পৌঁছে দেওয়ার অভিযান – গুজরাট এক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল। সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করে যে সাফল্য এসেছে, তাতে গুজরাটের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, আমরা যে ২০২৪ সালের মধ্যে সারা দেশের প্রত্যেক বাড়িতে জল পৌঁছনোর সংকল্প নিয়ে কাজ করছি, এই গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে তা-ও সফল হবে।

বন্ধুগণ, গুজরাটে বিগত পাঁচ বছরে সেচ ছাড়াও অন্যান্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বিনিয়োগ হয়েছে। পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির নির্মাণের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেদাবাদে মেট্রো সহ আধুনিক পরিকাঠামোর অনেক প্রকল্প দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হয়েছে। বরোদা, রাজকোট, সুরাট এবং আমেদাবাদের বিমানবন্দরগুলির আধুনিকীকরণ হয়েছে। এছাড়া, ধোলেরা বিমানবন্দর ও এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প মঞ্জুর হয়েছে। গত পাঁচ বছরে বিজয়জি যেভাবে যা বলেছেন – দ্বারকার জন্য একটি সেতু, রেলওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়, সামুদ্রিক সংগ্রহশালা, মেরিন পুলিশ অ্যাকাডেমি, গান্ধী মিউজিয়াম – এরকম অনেক কাজই হয়েছে। স্ট্যাচু অফ ইউনিটি তো বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে ভারতের আরও সম্মান বৃদ্ধি করেছে। বিশ্বের জনপ্রিয় ম্যাগাজিনগুলিতে, বিশেষ করে পর্যটন সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলিতে স্ট্যাচু অফ ইউনিটির প্রশংসা করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই পড়ে খুব আনন্দ পেয়েছি যে, শুধু জন্মাষ্টমীর দিনেই সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তি স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে ৩৪ হাজার মানুষ গিয়েছিলেন।

বন্ধুগণ, সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের উত্তম ব্যবস্থার জন্য গুজরাট প্রশংসনীয় কাজ করেছে। বিগত ৫-৬ বছরে গুজরাটে চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে। আমেদাবাদ সহ রাজ্যের অনেকাংশে আধুনিক হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজের জাল বিছানো হচ্ছে। এগুলির মাধ্যমে দেশের তরুণরা গুজরাটে চিকিৎসা বিষয়ক পড়াশুনা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন।

স্বাস্থ্যের পাশাপাশি, উজ্জ্বলা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও গুজরাট অনেকটা এগিয়ে। গুজরাটের জনগণের জীবনকে সহজ করে তুলতে এই উন্নয়নের গতিকে আমাদের আরও ত্বরান্বিত করতে হবে।

বন্ধুগণ, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং আর্থিক শক্তিই সেই রাজ্যকে মহান করে তোলে, শক্তিশালী করে তোলে। দেশের প্রত্যেক প্রান্তের প্রতিটি রাজ্যের শক্তিকে চিনে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সেই শক্তিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরতে হবে। এগুলির মিলিত শক্তির মাধ্যমেই আমরা  আগামী পাঁচ বছর ধরে যা যা করবো বলে ঠিক করেছি সেই সংকল্পগুলি বাস্তবায়িত করতে পারবো।

দিল্লিতে দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যেরই নিজস্ব ভবন রয়েছে। সেই ভবনগুলি যেন নিছকই গেস্ট হাউস রূপে সীমিত না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিৎ। প্রতিটি রাজ্যের এই ভবনগুলি দিল্লিতে সঠিক অর্থে রাজ্যের ব্র্যান্ডকে যেন দেশ ও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে ভবনগুলি পর্যটন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের আদান-প্রদানের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে, সেই লক্ষ্যেও কাজ করতে হবে।

বন্ধুগণ, দেশের অনেক রাজ্য যোগাযোগ ব্যবস্থার নিরিখে একটু দূরে রয়েছে। দেশ-বিদেশের বাণিজ্যিক নেতা ও শিল্পপতিরা দিল্লি থেকে সেসব রাজ্যে যেতে অনেকটা সময় লেগে যায়। যখন তাঁদের হাতে সময় কম থাকে, তখন দেশের রাজধানীতেই সেই রাজ্যের বাণিজ্য কেন্দ্র থাকলে, সেই রাজ্যের সংস্কৃতি, কলা ও হস্তশিল্পের প্রদর্শনী থাকলে তা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে পারবে।

জম্মু, কাশ্মীর এবং লে – লাদাখ থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে, বিন্ধ্য পর্বতের আদিবাসী অঞ্চলগুলি থেকে শুরু করে দক্ষিণের সমুদ্র পর্যন্ত আমাদের কাছে দেশ ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরার মতো অনেক কিছু রয়েছে। এখন আমাদের সেগুলিকে তুলে ধরার জন্য বিশেষভাবে সক্রিয় হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি রাজ্যের ভবনগুলিতে এমন ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিৎ, যাতে যে কেউ সেখানে এসে পর্যটন থেকে শুরু করে বিনিয়োগ পর্যন্ত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন।

আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে গরবি গুজরাট সদনের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আর আশা করি যে, গুজরাটের রান্নার স্বাদ নেওয়ার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন যে, আমাদের দেশকে সিঙ্গল ইয়ুজ প্লাস্টিক থেকে মুক্তি দিতে হবে। আমার বিশ্বাস যে, এই আন্দোলনের ক্ষেত্রেও গরবি গুজরাট সদন উদাহরণ স্থাপন করবে।

আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে এই ভবনের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। অনেক মিশনের মানুষকে এখানে আসতে দেখে খুব ভালো লেগেছে। মাঝেমধ্যেই এভাবে মিশনের প্রতিনিধিদের গুজরাট ভবনে নিমন্ত্রণ জানালে আপনাদের ব্যবসায় উন্নতি হবে। সেজন্য এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 নভেম্বর 2024
November 21, 2024

PM Modi's International Accolades: A Reflection of India's Growing Influence on the World Stage