তামিলনাড়ুরমাননীয় রাজ্যপাল,
তামিলনাড়ুরমাননীয় মুখ্যমন্ত্রী,
মন্ত্রিসভায়আমার সহকর্মীবৃন্দ,
তামিলনাড়ুরমাননীয় উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং
মঞ্চেউপবিষ্ট অন্যান্য বিশিষ্টজন
ভদ্রমহিলাও ভদ্রমহোদয়গণ
১৪এপ্রিল বিলম্ভি তামিল নববর্ষের দিন। এই উপলক্ষে বিশ্বের সমস্ত তামিলভাষী মানুষকেআমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আদিয়ারের ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে আজ উপস্থিত থাকতেপেরে আমি আনন্দিত। এটি হল ভারতের প্রাচীনতম এবং সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ সুসংহতক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্রগুলির অন্যতম।
মানুষেরজীবনশৈলীর পরিবর্তন অসংক্রামক বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির বোঝা ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে। কিছুকিছু তথ্য ও পরিসংখ্যানে প্রকাশ যে আমাদের দেশের মোট মৃত্যুর ঘটনার প্রায় ৬০শতাংশের কারণই হল এই সমস্ত অসংক্রামক রোগ-ব্যাধি।
দেশেরবিভিন্ন প্রান্তে ২০টি রাজ্য ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র এবং ৫০টি প্রাথমিকক্যান্সার পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাথমিকক্যান্সার পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ৪৫ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থ সহায়তামঞ্জুর করা হবে। অন্যদিকে রাজ্য ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তুলতে মঞ্জুরি দেওয়াহবে ১২০ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থ সহায়তার। এ সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলি অনুমোদিত হলেএই অর্থ মঞ্জুরির কথা ঘোষণা করা হবে। আজ এখানে আমি একথা জানাতে পেরে খুবই আনন্দিতযে ১৫টি রাজ্য ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র এবং ২০টি প্রাথমিক ক্যান্সার পরিচর্যাকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়াও, স্থাপিত হচ্ছে ১৪টিনতুন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট্স অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এইম্স)।
‘প্রধানমন্ত্রীস্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা’র আওতায় আটটি বর্তমান প্রতিষ্ঠানকে ক্যান্সার সম্পর্কেসমীক্ষা ও গবেষণার ব্যবস্থা সমন্বিত কেন্দ্র রূপে উন্নীত করে তোলা হচ্ছে।প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ২০১৭-র জাতীয়স্বাস্থ্য নীতিতে।
‘আয়ুষ্মানভারত’-এর সুসংহত প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থার আওতায় সাধারণ মানুষেরবসবাসের নিকটবর্তী এলাকাতেই আমরা প্রতিরোধমূলক এবং নিরাময় সম্পর্কিত সুযোগ-সুবিধারপ্রসার ঘটাব।
মধুমেহ,উচ্চ রক্তচাপ এবং সাধারণ ক্যান্সারের মতো বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ,রোগ নির্ণয় ব্যবস্থা এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিশেষ উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। জনসাধারণকেভিত্তি করেই আমাদের এই প্রচেষ্টা।
‘আয়ুষ্মানভারত’-এর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল ‘প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি’।
এরআওতায় স্বাস্থ্য পরিচর্যার প্রসার ঘটবে ১০ কোটিরও বেশি পরিবারে। আমাদের এইকর্মসূচির মাধ্যমে উপকৃত হবেন প্রায় ৫০ কোটি মানুষ। এই কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছরপরিবারপ্রতি ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা সুরক্ষার সুযোগ সম্প্রসারিত হবে।
সরকারিঅর্থানুকূল্যে এটিই হবে বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি। এই কর্মসূচিরসুফল পৌঁছে যাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সরকারি এবং সরকারিভাবে অনুমোদিত বিভিন্নবেসরকারি সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারিত হবে এর আওতায়। স্বাস্থ্য খাতে সাধারণ মানুষেরব্যয়ের বোঝা কমাতেই আমাদের এই বিশেষ উদ্যোগ।
ক্যান্সারেরমতো একটি রোগের প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এগিয়ে আসা উচিৎস্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং বেসরকারি সংগঠন সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের।
চেন্নাইয়েরডব্ল্যুআইএ ক্যান্সার ইনস্টিটিউটটি একটি দাতব্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। বেশ কিছুস্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমাজকর্মীর উদ্যোগে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই কাজে নেতৃত্বদিয়েছেন প্রয়াত ডঃ মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি।
ছোট্টএকটি সাধারণ হাসপাতাল রূপেই প্রথমে এটি স্থাপিত হয়েছিল। দক্ষিণ ভারতে এটিই ছিল প্রথমক্যান্সার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং দেশে এটি ছিল এই ধরনের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান। কিন্তুআজ এই প্রতিষ্ঠান ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি বড় ক্যান্সার হাসপাতাল রূপে গড়ে উঠেছে। এখানকার৩০ শতাংশ বেডই ফ্রি, অর্থাৎ এই ধরনের বেডের সুযোগ পাওয়ার জন্য রোগীদের কোনরকম ব্যয়করতে হয় না।
এইপ্রতিষ্ঠানটির মলিকিউলার অঙ্কোলজি বিভাগটি ২০০৭ সালে একটি উৎকর্ষকেন্দ্র রূপেঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এটিই হল ভারতের প্রথম সুপারস্পেশালিটি কলেজ। এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে এই ধরনের সেবামূলক কর্মপ্রচেষ্টার ক্ষেত্রেপথপ্রদর্শক। এই সাফল্য প্রশংসার দাবি রাখে।
ডঃশান্তা তাঁর প্রারম্ভিক ভাষণে সংস্থার বেশ কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন। আমিতাঁকে আশ্বাস দিতে চাই যে এই সমস্যাগুলি আমরা খতিয়ে দেখব এবং তামিলনাড়ুরমুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাব এই সমস্যার সমাধানে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সেসম্পর্কে চিন্তাভাবনা করার জন্য। পরিশেষে, এমন একটি বিষয়ের দিকে আমি আপনাদেরদৃষ্টি ফেরাব যার কথা গত কয়েকদিন ধরে তুলে ধরা হয়েছে কোন কোন কায়েমি স্বার্থেরপক্ষ থেকে।
পঞ্চদশঅর্থ কমিশনের কাজকর্ম সম্পর্কে কিছু কিছু নিরর্থক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। কয়েকটিরাজ্যের প্রতি এবং কোন একটি বিশেষ অঞ্চলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও করা হয়েছে।কিন্তু আমি আপনাদের সামনে এমন কিছু কথা তুলে ধরতে চাই যা হয়তো আমাদের সমালোচকরা কোনদিনভেবেও দেখেননি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে যে সমস্ত রাজ্য ভালো কাজ করেছে তাদের কিছুকিছু সুযোগ-সুবিধাদানের জন্য আমরা প্রস্তাব পেশ করেছি অর্থ কমিশনের কাছে। এইমাপকাঠিতে বিচার করলে, তামিলনাড়ুর মতো একটি রাজ্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে প্রচুরউদ্যম, শক্তি ও সম্পদকে কাজে লাগিয়েছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে তাদের এই উদ্যোগনিঃসন্দেহে সুফল এনে দেবে বলে আমরা মনে করি। এর আগে কিন্তু কোনদিন এ ধরনের ঘটনাআমরা ঘটতে দেখিনি।
বন্ধুগণ,
সহযোগিতামূলকযুক্তরাষ্ট্রীয়তার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের মন্ত্রই হল ‘সব কাসাথ, সব কা বিকাশ’। আসুন, আমরা সকলে মিলে একত্রে এক নতুন ভারত গড়ে তুলি। আমাদের এইউদ্যোগ মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিঃসন্দেহে গর্বিত করে তুলবে।
ধন্যবাদ।
আপনাদেরঅনেক অনেক ধন্যবাদ।
A baseless allegation is being made about the Terms of Reference of the 15th Finance Commission, being biased against certain states or a particular region: PM
— PMO India (@PMOIndia) April 12, 2018
The Union Government has suggested to the Finance Commission to consider incentivizing States who have worked on population control. Thus, a state like Tamil Nadu, which has devoted a lot of effort, energy and resources towards population control would certainly benefit: PM
— PMO India (@PMOIndia) April 12, 2018