প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার (২৬শে অক্টোবর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লক্ষ্ণৌতে আয়োজিত কৃষি কুম্ভ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।
কৃষকদের এই সমাবেশ নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা নেবে এবং কৃষিক্ষেত্রে আরও সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আস্থা প্রকাশ করেন।
খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থার সুবিধা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি করার জন্য শ্রী মোদী উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, কৃষকরাই সেইসব ব্যক্তি যাঁরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। ২০২২ সাল নাগাদ কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গীকারের কথাও তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে, তিনি কৃষকদের কল্যাণে উৎপাদন খরচ কমিয়ে লাভ বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারের একাধিক পদক্ষেপের উল্লেখ করেন। অদূর ভবিষ্যতে দেশ জুড়ে কৃষিক্ষেত্রে বিরাট সংখ্যায় সৌরবিদ্যুৎচালিত পাম্প বসানো হবে বলেও তিনি জানান। বিজ্ঞানের সুফল কৃষিক্ষেত্রে পৌঁছে দিতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। বারাণসীতে ধান গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন এই লক্ষ্যে এক পদক্ষেপ বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেন।
কৃষিতে মূল্য সংযুক্তিকরণের প্রয়োজনীয়তার কথাও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সবুজ বিপ্লবের পর এখন দুগ্ধ উৎপাদন, মধু উৎপাদনের পাশাপাশি পোল্ট্রি ও মৎস্যচাষের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
কৃষি কুম্ভ অনুষ্ঠান চলাকালীন জলসম্পদের যুক্তিসম্পন্ন ব্যবহার, খাদ্যশস্য মজুত রাখার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি আরও ভালো প্রয়োগ এবং কৃষিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আলাপ-আলোচনার আহ্বান জানান। ফসল কাটার পর গাছের গোড়া পুড়িয়ে ফেলার ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য তিনি নতুন প্রযুক্তি ও পন্থাপদ্ধতি উদ্ভাবনের ওপরও গুরুত্ব দেন।