প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষার বিষয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে পৌরহিত্য করেছেন। রাজ্য সরকারগুলি সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত এবং নিবিড় আলোচনার বিষয়ে আধিকারিকরা এই বৈঠকে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন।
কোভিডের কারণে যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবছর দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র – ছাত্রীদের ফলাফল সিবিএসই, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করে তৈরি করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ছাত্র – ছাত্রীদের স্বার্থের দিক বিবেচনা করে সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোভিড – ১৯ মহামারির ফলে শিক্ষাবর্ষ প্রভাবিত হয়েছে এবং বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ে ছাত্র – ছাত্রী, অভিভাবক – অভিভাবিকা ও শিক্ষক – শিক্ষিকাদের মধ্যে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা শেষ হওয়া প্রয়োজন।
শ্রী মোদী বলেছেন, দেশজুড়ে কোভিডের কারণে একটি অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দেশে, কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, কয়েকটি রাজ্যে মাইক্রোকনটেনমেন্ট তৈরির মধ্য দিয়ে পরিস্থিতির ভালোভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে। আবার কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র – ছাত্রীদের স্বাস্থের বিষয়টি নিয়ে স্বভাবতই ছাত্র – ছাত্রী, অভিভাবক – অভিভাবিকা ও শিক্ষক – শিক্ষিকা উদ্বিগ্ন। সঙ্কটের এই সময়ে তাদের পরীক্ষায় বসতে জোর করা উচিত নয়।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, আমাদের ছাত্র – ছাত্রীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই এর সঙ্গে কোনো আপোষ করা হবে না। আমাদের যুবক – যুবতীদের আজকের এই সময়ে পরীক্ষায় বসানোর মধ্য দিয়ে সঙ্কটে ফেলার কোনো যুক্তি নেই।
শ্রী মোদী বলেছেন, ছাত্র – ছাত্রীদের প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলের সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন। স্বচ্ছভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সব দিক বিবেচনা করে তিনি আধিকারিকদের পরীক্ষার ফলাফল তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।
বিস্তারিত আলোচনার পর ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার প্রশংসা করেছেন। ভারতের সব অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলাপ – আলোচনার পর এধরণের একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের মতো এবছরও যদি কোনো কোনো ছাত্র – ছাত্রী পরীক্ষায় বসতে চান, তাহলে সিবিএসই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুনভাবে চিন্তা-ভাবনা করবে।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২১শে মে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। ঐ বৈঠকে বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী ও আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এর পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পৌরহিত্যে ২৩শে মে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিবিএসই-র পরীক্ষা আয়োজন করার বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মতামত শোনা হয় এবং তা নিয়ে আলোচনা হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, অর্থ, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, তথ্য ও সম্প্রচার, পেট্রোলিয়াম, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব, ক্যাবিনেট সচিব, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের সচিব, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সচিব সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আজকের বৈঠকে যোগ দেন।