প্রধানমন্ত্রী মোদী চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, কর্মসংস্থান ও নবীন প্রজন্মকে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি সম্পর্কে দক্ষতা প্রদান করার কথা বলেন

আগামী দিনে শিল্প উৎপাদন, ডিজাইন এবং নির্মাণ শিল্পে মৌলিক পরিবর্তন আসবে: প্রধানমন্ত্রী মোদী

বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যক্রমকে এভাবে নতুন করে সাজাতে হবে, যাতে আমাদের নবীন প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে পারি: প্রধানমন্ত্রী

মাননীয় রাষ্ট্রপতি সিরিল রেমাফোসা,

রাষ্ট্রপতি টেমার,

রাষ্ট্রপতি পুতিন,

রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং,

 

আজ বিশ্ব অনেক পরিবর্তনের চৌ-মাথায় দাঁড়িয়ে আছে।

 

নতুন শিল্প প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল ইন্টারফেস যে নতুন বিশ্বকে নির্মাণ করছে, তা একটি সুযোগ অবশ্যই, প্রতিস্পর্ধাও।

 

নতুন নতুন পদ্ধতি এবং পণ্যের মাধ্যমে আর্থিক উন্নয়নের নতুন নতুন পথ খুলবে।

 

উন্নয়ন ও প্রগতির কেন্দ্রে সর্বদাই জনগণ ও মানবিক মূল্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য প্রযুক্তি জগতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিণামগুলি নিয়েও আমাদের গুরুত্ব সহকারে ভাবনাচিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে, যাতে তা আমাদের মতো দেশগুলির জনগণের জীবনে এবং অর্থ ব্যবস্থায় সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে।

 

Industry 4.0 (four point zero) –র একটি গ্রহণযোগ্য পরিণাম হবে আরও নিবিড় সম্পর্ক। ‘দ্য ওয়ার্ল্ড উইল বি ফ্ল্যাটার’ যাঁরা একে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন, তাঁরাই উন্নতি করতে পারবেন। অনেক বঞ্চিত মানুষ প্রযুক্তি এবং উন্নয়নের বেশ কয়েকটি ধাপ দ্রুত অতিক্রম করতে পারবে।

 

কিন্তু ক্রমবর্ধমান অসাম্য এবং দ্রুত পরিবর্তন সমাজ ও মূল্যবোধের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা বলা মুশকিল।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পুঁজির চেয়েও গুরুত্ব বেশি হবে প্রতিভার। উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কিন্তু অস্থায়ী কাজের মাধ্যমে রোজগারের নতুন চেহারা বিকশিত হবে।

শিল্প উৎপাদন, ডিজাইন এবং নির্মাণ শিল্পে মৌলিক পরিবর্তন আসবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, অটোমেশন এবং ডেটা ফ্লো-র মাধ্যমে ভৌগোলিক দূরত্বের গুরুত্ব কমবে। আবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, ই-কমার্স এবং বাজারগুলি যখন এমন প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হবে, তখন একটি নতুন ধরণের শিল্প ও বাণিজ্য নেতৃত্ব এগিয়ে আসবে।

 

তাঁরা যেভাবে এবং যত দ্রুত যতটা সম্পত্তি, শিল্প সরঞ্জাম এবং ভাবনাচিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, অথবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাবে, তা মানবতার ইতিহাসে আগে কখনও সম্ভব ছিল না। আমরা এটা জানি না যে – এর পরিণাম কী হবে, কিন্তু এটা স্পষ্ট যে, যাই হবে তা গভীর এবং গুরুতর হবে।

 

এহেন পরিস্থিতিতে, আমি মনে করি যে ব্রিক্‌স ফ্রেমওয়ার্কে আমাদের আলোচনা আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্যে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।

 

আমাদের এই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত যে আগামী দিনে আমরা কিভাবে নিজেদের তৈরি করতে পারি!

 

একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কর্মসংস্থানের প্রকার এবং সুযোগ নিয়ে উঠবে। আমরা যতদূর দেখতে পাচ্ছি, পারম্পরিক নির্মাণ শিল্পই নবীনদের জন্য কর্মসংস্থানের প্রধান উপায় হিসাবে থেকে যাবে। অন্যদিকে, আমাদের কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে।

 

সেজন্য শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী এবং নীতিতে দ্রুত পরিবর্তন আনতে হবে।

বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যক্রমকে এভাবে নতুন করে সাজাতে হবে, যাতে আমাদের নবীন প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে পারি। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য পরিবর্তনের দিকে আমাদের অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে, যাতে পাঠ্যক্রমে সেগুলি সমান গতিতে স্থান পায়।

 

ভারতে সেই উদ্দেশ্যসাধনের জন্য ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট চালু করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল, আমাদের নবীন প্রজন্মকে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান এবং পেশাগত দক্ষতা প্রদান করতে পারে।

আমাদের সরকার সুলভ, উৎকৃষ্ট প্রযুক্তি এবং পেশাগত জ্ঞান এবং উচ্চ শিক্ষায় মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে সমাজের সকলবর্গের মানুষকে সমানভাবে শিক্ষিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

 

মাননীয় রাষ্ট্রপ্রধানগণ,

 

নতুন সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে একটি গোষ্ঠী অন্যদের কর্মসংস্থান করতে পারে। অন্যদিকে, বেকারদের সামাজিক সুরক্ষার সুচারু ব্যবস্থা অনিবার্য হয়ে উঠবে।

 

সামাজিক সুরক্ষার সুবিধাগুলি পোর্টাবিলিটি থেকে ডিজিটাল যুগে দক্ষ কর্মীদের ভ্রাম্যমানতা সুনিশ্চিত হবে।

 

মাননীয় রাষ্ট্রপ্রধানগণ,

 

উন্নততর পরিষেবা প্রদান উৎপাদনের মানোন্নয়ন এবং নানা শ্রমিক সমস্যার উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনগুলি সহায়ক হয়ে উঠতে পারে।

 

ভারতে আমাদের অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক। শ্রম আইনগুলির যথাযথ পালন, সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য বিমা এবং অনেক সরকারি প্রকল্পের সুবিধার্থীদের সরাসরি প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অর্থ প্রদান, উন্নত সরবরাহের উদাহরণ।

 

আজকের সময়ে প্রযুক্তি সবচেয়ে বড় ধ্বংসাত্মক ব্যাপার হয়ে উঠেছে। Industry 4.0 (four point zero)-র পরিণামগুলি কল্পনা করা মুশকিল।

 

এভাবে ধ্বংস থেকে বিশ্বায়ন এবং স্থানান্তরণকে উন্নত দ্বিপাক্ষিক সমন্বয় এবং সহযোগিতার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

 

বিশেষ করে, অসংগঠিত ক্ষেত্রে দক্ষ, অর্ধদক্ষ এবং অদক্ষ – সমস্ত কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদান আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

সাইবার নিরাপত্তার সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাবার লক্ষ্যে একজোট হয়ে কাজ করার গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা ভালোভাবেই পরিচিত। উঠেছে। Industry 4.0 (four point zero)-র এই সমস্যাগুলি অন্যান্য প্রয়োজনকে আরও বাড়িয়ে দেবে।

 

ভারত চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে ব্রিক্‌স দেশগুলির সঙ্গে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে চায়। এক্ষেত্রে আমাদের মিলেমিশে শ্রেষ্ঠ অনুশীলন ও নীতিগুলি আদান-প্রদান করা উচিৎ।

 

আজ যে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হচ্ছে, তা নিয়ে ব্রিক্‌স দেশগুলি ও গোটা বিশ্বের গুরুত্বকে মাথায় রেখে আমি এই পরামর্শ দিতে চাই যে, আমাদের মন্ত্রীরা যেন এ বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। আর প্রয়োজন অনুসারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া উচিৎ।

 

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...

Prime Minister Shri Narendra Modi paid homage today to Mahatma Gandhi at his statue in the historic Promenade Gardens in Georgetown, Guyana. He recalled Bapu’s eternal values of peace and non-violence which continue to guide humanity. The statue was installed in commemoration of Gandhiji’s 100th birth anniversary in 1969.

Prime Minister also paid floral tribute at the Arya Samaj monument located close by. This monument was unveiled in 2011 in commemoration of 100 years of the Arya Samaj movement in Guyana.