কোরিয়া সাধারণতন্ত্রের শিল্প, বাণিজ্য ও শক্তি দপ্তরের মন্ত্রী,
ভারত সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী,
চোসান-ইলবো গ্রুপের প্রেসিডেন্ট তথা সিইও
ভারত ও কোরিয়ার বাণিজ্যিক নেতৃবৃন্দ এবং
ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ,
আজ এখানে এইভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। কোরিয়ানসংস্থাগুলির ভারতে এই ধরণের বিশাল সংখ্যায় উপস্থিতি নিঃসন্দেহে একটি আন্তর্জাতিকঘটনা। এই সুযোগে আমি আপনাদের সকলকে ভারতে স্বাগত জানাই। জনশ্রুতি রয়েছে যে, একভারতীয় রাজকুমারী কোরিয়া সফরে গিয়ে শেষ পর্যন্ত সেখানকার রানী হওয়ার সম্মান অর্জনকরেছিলেন। আমাদের এই দুটি দেশই এক বৌদ্ধ ঐতিহ্যের অংশীদার। আমাদের নোবেলপুরস্কারজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোরিয়ার গৌরবময় অতীত এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎসম্পর্কে ১৯২৯ সালে ‘ল্যাম্প অফ দ্য ইস্ট’ নামে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন। বলিউডেরছবিগুলিও কোরিয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কয়েক মাস আগে ভারতে অনুষ্ঠিত কাবাডি লিগেরখেলায় কোরিয়ার কাবাডি খেলোয়াড়দের সমর্থনে সোচ্চার অভিনন্দনও ধ্বনিত ও প্রতিধ্বনিতহয়েছিল। ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া দুটি দেশই তাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে ১৫ আগস্টতারিখে। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে এক বিশেষ সমাপতন। রাজকুমারী থেকে কাব্য রচনা এবং বুদ্ধথেকে বলিউড সর্বত্রই আমরা একে অপরের অংশীদার।
আমি আগেই উল্লেখ করেছি যে, কোরিয়া আমার এক বিশেষ পছন্দের দেশ। গুজরাটেরমুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে আমি ঐ দেশ সফরে গিয়েছিলাম। গুজরাটের মতো আকার ও আয়তনের একটিদেশ যে কিভাবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সম্ভব করে তুলেছে, তা আমার কাছে ছিল এক গভীরবিস্ময়। যেভাবে বিশ্বে একটি ব্র্যান্ড নাম তৈরি করে তার ধারা অক্ষুণ্ন রাখতেপেরেছে, তাতে আমি ঐ দেশের প্রশংসা না করে পারি না। তথ্য প্রযুক্তি থেকে বৈদ্যুতিনকিংবা যান শিল্প থেকে ইস্পাত – সবকটি ক্ষেত্রেই বিশ্বকে নজর কাড়া উৎপাদন উপহারদিয়েছে কোরিয়া । সেখানকার শিল্প সংস্থাগুলি নিজস্ব উদ্ভাবন এবং বলিষ্ঠউৎপাদন ক্ষমতার জন্য প্রশংসিত হয়েছে সর্বত্র।
বন্ধুগণ!
খুবই আনন্দের বিষয় যে, আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মাত্রা বিগত ছ’বছরেরমধ্যে এই প্রথম গত বছর ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। ২০১৫ সালে আমার ঐদেশ সফরের পরবর্তীকালে ভারত সম্পর্কে সেখানে এক ইতিবাচক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।আপনাদের মুক্ত বাণিজ্য নীতি ভারতে অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং ‘পূবে তাকাও নীতির’ই একবিশেষ প্রতিফলন। কোরিয়ান শিল্প সংস্থাগুলি ভারতেও তাদের কাজকর্মের প্রসার ঘটিয়েছে।সত্যি কথা বলতে কি, আপনাদের অনেকগুলি উৎপাদিত পণ্যের নামই আজ ভারতের ঘরে ঘরে। তবে,ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে মাত্র ষোড়শ স্থানে রয়েছেদক্ষিণ কোরিয়া। বিশাল বিপণন সম্ভাবনা এবং নীতি বাস্তবায়নের উপযুক্ত পরিবেশ ওপরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কোরিয়ার বিনিয়োগ কর্তাদের কাছে অফুরন্ত সুযোগ-সুবিধারদ্বার উন্মুক্ত করতে আমরা বিশেষভাবে আগ্রহী।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই যেহেতু ইতিমধ্যেই ভারতে তাঁদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন,প্রকৃত বাস্তব সম্পর্কে তাঁরা এর মধ্যে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল হয়ে উঠেছেন। ভারতীয়সিইও-দের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে ভারত বর্তমানে কোন্ লক্ষ্যে এগিয়েচলেছে, সে সম্পর্কেও আপনারা অবহিত ও অবগত হয়েছেন। তা সত্ত্বেও এই বিষয়টি ব্যাখ্যাকরার জন্য আমি আরও কিছুটা সময় আপনাদের কাছ থেকে চেয়ে নেব। এই ধরণের মঞ্চগুলি থেকেআমি ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকি তাঁদের উদ্দেশে, যাঁরা এখনও ভারতে তাঁদেরকাজকর্ম শুরু করে উঠতে পারেননি। বিশ্ব পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের দিকে যদি আপনারাএকবার তাকিয়ে দেখেন, তা হলে উপলব্ধি করবেন যে খুব কম সংখ্যক দেশেই অর্থনীতির তিনটিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একত্র সমাবেশ ঘটেছে। গণতন্ত্র বলতে আমি বুঝি এমন এক ব্যবস্থা,যা উদার মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এর মাধ্যমে সকলের জন্যই নিশ্চিত করা হয় মুক্তএবং ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা। জনসংখ্যা বা জন গোষ্ঠীর অর্থ আমার কাছে মেধাসম্পন্ন একবিশাল সংখ্যক উৎসাহী তরুণের শ্রম শক্তি। আমার কাছে চাহিদার অর্থ হ’ল, পণ্য ওপরিষেবা প্রসারের উদ্দেশ্যে এক বিশাল এবং ক্রমবর্ধমান বিপণন ব্যবস্থা। দেশের এইবাজার বা বিপণন ব্যবস্থায় ক্রমশ আবির্ভাব ঘটছে এক মধ্যবিত্ত শ্রেণীর, যাঁরা এইবাজারকে আরও প্রসারিত করে তুলছেন। আইনের শাসন নিশ্চিত করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণেরক্ষেত্রে একচেটিয়া মনোভাব দূর করে এক স্থায়ী বাণিজ্য পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরাকাজ করে চলেছি। দৈনন্দিন কেনাবেচা বা লেনদেনে আমরা ইতিবাচকভাবেই বিশ্বাসী। দ্বিধাও সংশয়ের গভীরে ডুবে যাওয়া নয়, বরং আস্থার পরিসর আরও প্রশস্ত করে তুলতে আমরাআগ্রহী। এ সমস্ত ঘটনাই সরকারি মানসিকতার সম্পূর্ণ পরিবর্তনই সূচিত করে। ‘ন্যূনতমসরকারি হস্তক্ষেপ সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ব্যবস্থা’র লক্ষ্যে কর্তৃত্ব ও হুকুম জারিরপরিবর্তে বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের নীতিতে আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করেছি আমরা। এইঘটনা যখন বাস্তবে প্রতিফলিত হয়, তখন নিয়মনীতি এবং পন্থাপদ্ধতি আরও সরল হয়ে ওঠে একস্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
সর্বোপরি এই সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণের ফলশ্রুতিতে বাণিজ্যিক কাজকর্ম সহজতরহয়ে উঠতে বাধ্য । একই সঙ্গে জীবনযাত্রার মানকে সহজতর করে তুলতেও আমরাকর্মপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিনিয়ন্ত্রণ এবং লাইসেন্স প্রথা রদ করার উদ্দেশ্যেওআমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিল্প লাইসেন্সের বৈধতার মেয়াদ তিন বছর থেকে বাড়িয়ে করাহয়েছে ১৫ বছর বা তারও বেশি সময়কালের জন্য। প্রতিরক্ষা উৎপাদনেরক্ষেত্রে শিল্প লাইসেন্স দানের বিষয়টিও বর্তমানে অনেক উদার করে তোলা হয়েছে।লাইসেন্স প্রথার আওতায় আগে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশের মতো পণ্য উৎপাদিত হ’ত। এখন থেকেকোনও রকম লাইসেন্স ছাড়াই সেগুলির উৎপাদন সম্ভব। আমরা একথাও জানিয়েছি যে, উৎপাদনকেন্দ্র পরিদর্শনের বিষয়টিকে শুধুমাত্র প্রয়োজন-ভিত্তিক করে তোলা হবে। এজন্যউচ্চতর কর্তৃপক্ষের অনুমোদনকে প্রয়োজনে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ বিদেশিবিনিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা উদার দেশগুলির অন্যতম হ’ল ভারত। ৯০ শতাংশেরও বেশিঅনুমোদন প্রক্রিয়ার কাজ সম্পূর্ণ করা হয় স্বয়ংক্রিয় উপায় ও পদ্ধতিতে। প্রতিরক্ষাছাড়া উৎপাদনের আর কোনও ক্ষেত্রে বর্তমানে বিনিয়োগের জন্য সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজনহয় না বললেই চলে। সংস্থা নথিভুক্তির বিষয়টি এখন মাত্র এক দিনের ঘটনা। বাণিজ্য,বিনিয়োগ, প্রশাসন এবং আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই ধরণেরই হাজার হাজারসংস্কার প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত করেছি আমরা।
জিএসটি’র মতো কিছু কিছু ঘটনা তো রীতিমতো ঐতিহাসিক তাৎপর্য অর্জন করেছে।জিএসটি চালু হওয়ার ফলে আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ইতিমধ্যেই বাণিজ্যিক কাজকর্ম আরওসহজ হয়ে ওঠার বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। ১ হাজার ৪০০-রও বেশি মান্ধাতা আমলের আইন ওআইনের ব্যাখ্যাগুলিকে আমরা সম্পূর্ণভাবে বাতিল বলে ঘোষণা করেছি। এই ধরণের আইনগুলিআমাদের প্রশাসন ও পরিচালন ব্যবস্থায় যথেষ্ট জটিলতার সৃষ্টি করেছিল। তাই সেগুলিরবিলোপসাধনের মধ্য দিয়ে আমাদের অর্থনীতির চাকা আবার দ্রুততার সঙ্গে সামনের দিকেএগিয়ে চলেছে। গত তিন বছরে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে সর্বোচ্চমাত্রায়। দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিতে এসেছে উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং কাজকর্মে একনতুন জোয়ার। এক নতুন স্টার্ট আপ কর্মসূচি গ্রহণ করার ফলে পরিস্থিতিরও আমূলপরিবর্তন ঘটেছে। এক অভিন্ন পরিচিতি বা আইডি এবং মোবাইল ফোনের সাহায্যে ডিজিটালঅর্থনীতির লক্ষ্যে আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি। আমাদের মূল কৌশলটিই হ’লসাম্প্রতিক বছরগুলিতে যে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় নাগরিক অনলাইন পদ্ধতিতে লেনদেনেরবিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন, তাঁদের শক্তির ক্রমবিকাশ ঘটানো। আর এইভাবেই অভ্যুদয় ঘটতেচলেছে এক নতুন ভারতের, যা একাধারে আধুনিক ও প্রতিযোগিতামুখী হয়ে ওঠার পাশাপাশিযত্নশীল এবং অনুভূতিপ্রবণ হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন। গত তিন বছরে বাণিজ্যিককাজকর্ম সহজতর করে তোলার নিরিখে বিশ্ব ব্যাঙ্কের এক সমীক্ষায় ভারত অতিক্রম করেএসেছে ৪২টি স্থান। সার্বিক সাফল্যের মাপকাঠিতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের ২০১৬’র সূচকঅনুযায়ী আমরা অতিক্রম করে এসেছি ১৯টি স্থান। বিশ্ব অর্থনৈতিক মঞ্চের আন্তর্জাতিকপ্রতিযোগিতামুখিনতার সূচক অনুযায়ী গত দু’বছরে আমাদের অবস্থান এখন ৩১-এরও ওপরে।আঙ্কটাডের ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্বের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের লক্ষ্যে যে ১০টিগন্তব্য স্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার শীর্ষস্থানীয় দেশগুলির মধ্যে রয়েছে আমাদেরভারত। বিশ্বে উৎপাদন ব্যয়ের দিক থেকে এক বিশ্ব মানের প্রতিযোগিতামুখি পরিবেশ আমরাগড়ে তুলতে পেরেছি। জ্ঞান ও উৎসাহ রয়েছে এই ধরণের দক্ষ পেশাদার কর্মীর সংখ্যাও এখনআমাদের দেশে প্রচুর। বর্তমানে ভারতের রয়েছে এক উচ্চমানের ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাব্যবস্থা এবং বলিষ্ঠ গবেষণা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা। এক অব্যবহারিকঅর্থনীতিকে আমরা রূপান্তরিত করেছি এক ব্যবহারিক অর্থনীতিতে। এই ঘটনা থেকেই আপনারাকল্পনা করে নিতে পারবেন আমাদের কর্মপ্রচেষ্টার বিশাল ক্ষেত্রটি সম্পর্কে। এমনকিক্রয় ক্ষমতার দিক থেকেও ভারত হ’ল বর্তমানে এক তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। অচিরেইজিডিপি’র দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসাবে উত্থান ঘটতে চলেছেভারতের। বর্তমান বিশ্বে আমরাই হলাম দ্রুততম গতিতে বৃদ্ধি পাওয়া এক অর্থনীতির দেশ।ভারত হ’ল এমন একটি দেশ, যা বিশ্বের বৃহত্তম স্টার্ট আপ পরিবেশ গড়ে তোলার কাজে সফলদেশগুলির মধ্যে নিজের স্থান করে নিয়েছে।
আমাদের লক্ষ্য ও চিন্তাভাবনা হ’ল আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামুখী একশিল্প ও পরিষেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যার মধ্যে সমন্বয় ঘটবে গতি, দক্ষতা ও প্রসারপ্রচেষ্টার। বিনিয়োগের পরিবেশ ও পরিস্থিতিকে আরও উন্নত করে তোলার নিরন্তরপ্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। দেশের তরুণ ও যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগসৃষ্টির লক্ষ্যে নির্মাণ ও উৎপাদন শিল্পের প্রসারের ওপর আমরা বিশেষভাবে জোরদিচ্ছি। এই লক্ষ্যেই আমরা সূচনা করেছি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির। আমাদের শিল্পপরিকাঠামো, নীতি ও পন্থাপদ্ধতিকে সেরা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে ভারত’কেবিশ্বের এক উৎপাদন তালুক রূপে তুলে ধরতে আমরা আগ্রহী। আমাদের এই উদ্যোগের সঙ্গেযুক্ত হয়েছে ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং স্কিল ইন্ডিয়া নামে আরও দুটি কর্মসূচি। আমাদেরঅঙ্গীকার হ’ল দূষণমুক্ত এবং পরিবেশ-বান্ধব এমন এক শিল্প পরিবেশ গড়ে তোলা, যেখানেউৎপাদিত পণ্য হবে ত্রুটি মুক্ত।
উন্নততর পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি অবলম্বনের লক্ষ্যে আমরা দ্রুততার সঙ্গেএগিয়ে চলেছি। এই কাজে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সমগ্র বিশ্বের কাছে। ভারতের সফটওয়্যারশিল্প ও কোরিয়ার তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের মধ্যে সহযোগিতার যে এক বিশাল দিগন্তউন্মোচিত হয়েছে, একথার আমি আগেই উল্লেখ করেছি। আপনাদের গাড়ি উৎপাদন এবং আমাদের নক্শানির্মাণ প্রযুক্তির মধ্যে সমন্বয়সাধন সম্ভব। ইস্পাত উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে যদিওভারত বৃহত্তম উৎপাদক রাষ্ট্রগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে, তা সত্ত্বেও আমাদেরউৎপাদিত পণ্যের মূল্যমান বৃদ্ধির প্রয়োজন আমরা অনুভব করেছি। উন্নত মানের পণ্যউৎপাদনের লক্ষ্যে আপনাদের ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতার সঙ্গে আমাদের আকরিক লোহা সম্পদেরসমন্বয় ও সংযুক্তি প্রচেষ্টা অসম্ভব কোনও ঘটনা নয়।
আর এইভাবেই আপনাদের জাহাজ নির্মাণ ক্ষমতা ও দক্ষতা এবং আমাদের বন্দর চালিতউন্নয়ন প্রচেষ্টার কর্মসূচি এই দুটি দেশের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের একচালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে। আমাদের দেশে আবাসন, স্মার্টনগরী, রেল স্টেশন, জল,পরিবহণ, রেল, সমুদ্র বন্দর, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি সহ বিভিন্ন শক্তির উৎস,তথ্য প্রযুক্তি পরিকাঠামো ও পরিষেবা এবং বৈদ্যুতিন সবকটি ক্ষেত্রই যথেষ্টসম্ভাবনাময়। এই অঞ্চলে দুটি প্রধান অর্থনীতি হ’ল ভারত ও কোরিয়া। আঞ্চলিক বিকাশ,উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা এবং সর্বোপরি এশিয়ার সার্বিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদেরপারস্পরিক অংশীদারিত্ব যথেষ্ট সম্ভাবনাময় হয়ে উঠতে পারে। বৃহত্তর অর্থনৈতিককর্মপ্রচেষ্টার জন্য ভারত ক্রমশ পূর্বমুখী হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ কোরিয়া অনুরূপভাবেতার বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিপণন প্রচেষ্টার বৈচিত্র্যকরণে আগ্রহী।
দুটি দেশই তাদের পারস্পরিক অংশীদারিত্বকে আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেলাভবান হতে পারে। ভারতের রয়েছে এক বিশাল এবং উদ্ভূত বাজার বা বিপণন ব্যবস্থা।মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বাজারগুলিতে বাণিজ্য প্রসারের জন্য কোরিয়া ভারতকে একটিসেতু রূপে অবলম্বন করতে পারে। ভারতে কোরিয়ার বিনিয়োগ প্রচেষ্টার লক্ষ্যে একটিবিশেষ টিম গঠনের কথা এর আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬’র জুন মাসেগঠন করা হয় ‘কোরিয়া প্লাস’ নামে একটি এজেন্সি। এর লক্ষ্য হ’ল, ভারতে ঐ দেশেরবিনিয়োগের উত্তরোত্তর প্রসারের পথ প্রশস্ত করা। কোরিয়ার বিভিন্ন সংস্থার বিনিয়োগপ্রচেষ্টায় এই এজেন্সিটি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। কোরিয়ার জনসাধারণ ও শিল্পসংস্থা এবং তাদের চিন্তাভাবনা ও বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে আমরা যে অঙ্গীকারবদ্ধ এইঘটনাই তার প্রমাণ।
বন্ধুগণ!
ভারত বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্র প্রসারের জন্য সম্পূর্ণভাবেপ্রস্তুত। শিল্পোদ্যোগ ও প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে ভারত হ’ল এক মুক্ত গন্তব্যের স্থান।বিশ্বের অন্যত্র এই ধরণের এক উদার ও ক্রম প্রসারমান বিপণন ক্ষেত্র আপনারা আজ খুঁজেপাবেন না। আমি নিশ্চিতভাবেই আপনাদের আশ্বাস দিতে চাই যে, আপনাদের বিনিয়োগের প্রসারও সুরক্ষায় সম্ভাব্য সকল রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমরা প্রস্তুত। কারণ, ভারতেরঅর্থনীতিতে আপনাদের অবদান ও অংশগ্রহণকে বিশেষ মূল্যবান বলেই আমরা মনে করি। প্রয়োজনেব্যক্তিগতভাবেও আমার পূর্ণ সহযোগিতা ও সমর্থনের নিশ্চিত প্রতিশ্রুতি আমি আপনাদেরদিতে পারি।
ধন্যবাদ।
From Princess to Poetry and from Buddha to Bollywood; India & Korea have so much in common: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 27, 2018
I admire the spirit of entrepreneurship of the Korean people. I admire the way in which they have created and sustained their global brands. From IT and Electronics to Automobile and Steel, Korea has given exemplary products to the world: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 27, 2018
If you see around the globe, there are very few countries where you have three important factors of economy together. They are: Democracy, Demography and Demand. In India, we have all the three together: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 27, 2018
We have worked towards creating a stable business environment, removing arbitrariness in decision making. We seek positivity in day to day transactions. We are widening areas of trust; rather than digging into doubts. This represents a complete change of the Govt’s mindset: PM
— PMO India (@PMOIndia) February 27, 2018
We are on a de-regulation and de-licensing drive. Validity period of industrial licenses has been increased from three years to fifteen years and more: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 27, 2018
We are working with the mission of Transforming India from:
— PMO India (@PMOIndia) February 27, 2018
An old civilisation into a modern society ,
An informal economy/ into a formal economy: PM @narendramodi
We are already the third-largest economy by purchasing power. Very soon, we will become the world's fifth-largest economy by nominal GDP. We are also the fastest growing major economy of the world today. We are also a country with the one of the largest Start up eco-systems: PM
— PMO India (@PMOIndia) February 27, 2018
A need for a hand-holding agency was felt during my visit to Korea. Thus,'Korea Plus' was formed in June 2016. Korea Plus has facilitated more than 100 Korean Investors in just 2 years. This shows our commitment towards welcoming Korean people, companies, ideas & investments: PM
— PMO India (@PMOIndia) February 27, 2018