প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারতের জন্য একটি নতুন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের সূচনা করেন। এই প্রকল্পে দেশের ১০ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। নতুন দিল্লিতে আজ প্রধানমন্ত্রী আরোগ্য মন্থনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন। তিনি আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী – জন আরোগ্য যোজনা (পিএমজেএওয়াই) – এর কয়েকজন নির্বাচিত সুবিধাভোগীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। গত এক বছর ধরে এই কর্মসূচিকে নিয়ে একটি প্রদর্শনী তিনি ঘুরে দেখেন। এই উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করার পাশাপাশি, ‘আয়ুষ্মান ভারত স্টার্ট আপ গ্র্যান্ট চ্যালেঞ্জ’ – এর সূচনাও করেন। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আয়ুষ্মান ভারতের প্রথম বছরটি ছিল সংকল্প, সমর্পণ এবং আলাপ-আলোচনার। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পকে ভারতে রূপায়িত করছি’।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি দরিদ্র নাগরিক এর মাধম্যে সহজেই স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। এর সাফল্যের পেছনে সংকল্প যেমন রয়েছে, সেই সঙ্গে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রূপায়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় সাফল্য হ’ল দেশের লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করা। তাঁরা এখন নিশ্চিত, যে কোনও রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। তিনি বলেন, গত এক বছরে চিকিৎসার জন্য যদি কাউকে জমি, বাড়ি, গহনা অথবা অন্য কোনও কিছু বন্দক দিতে না হয়, তা হলে সেটিই এই আয়ুষ্মান ভারতের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক বছরে প্রায় ৫০ হাজার দরিদ্র মানুষ পিএমজেএওয়াই – এর মাধ্যমে তাঁদের জেলা অথবা রাজ্যের বাইরে গিয়ে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়েছেন। নতুন ভারতে আয়ুষ্মান ভারত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, পাশাপাশি এই প্রকল্প ১৩০ কোটি দেশবাসীর জন্য সংকল্প ও শক্তির প্রতীক।
তিনি বলেন, দেশ জুড়ে সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে আয়ুষ্মান ভারত সমষ্টিগতভাবে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। দেশের বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা একযোগে কাজ করছি। আয়ুষ্মান ভারত দেশের যে কোনও প্রান্তে রোগীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে।
আয়ুষ্মান ভারত পিএমজেএওয়াই – এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দু’দিনের এই আরোগ্য মন্থন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সকলে একসঙ্গে বসে গত এক বছরে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হয়েছিলেন, আগামী দিনে এই প্রকল্প কিভাবে আরও ভালো বাস্তবায়িত করা যায়, সেগুলি নিয়ে আলোচনা করা।