India has had strong ties with Africa for centuries: PM Modi
India’s partnership with Africa is based on a model of cooperation which is responsive to the needs of African countries: PM
One of our best partnerships in the area of skills is the training of “solar mamas”: PM Modi
We have successfully completed the Pan Africa e-network project for tele-medicine and tele-network covering 48 African countries: PM
Our aim is that India must be an engine of growth as well as an example in climate friendly development in the years to come: PM

বেনিন ও সেনেগালের মাননীয় প্রেসিডেন্ট এবং কোট ডি আইভরির মাননীয় ভাইসপ্রেসিডেন্ট,

আফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট,

আফ্রিকান ইউনিয়নের মহসচিব,

আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের কমিশনার,

মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী অরুণ জেটলি,

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানি,

বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ এবং আফ্রিকার ভাই ও বোনেরা,

ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ,

আজ আমরা গুজরাট রাজ্যে সমবেত হয়েছি। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সুপরিচিতি রয়েছেগুজরাটের । আফ্রিকা প্রীতির জন্যও গুজরাটিরা বিশেষ খ্যাতিলাভ করেছেন। একজন গুজরাটি তথাএকজন ভারতীয় হিসাবে আমি বিশেষভাবে খুশি যে, এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতে এবংতাও আবার গুজরাটে।

আফ্রিকার সঙ্গে ভারতের নিবিড় সম্পর্ক শতাব্দী প্রাচীন। ঐতিহাসিকপ্রেক্ষিতটির কথা বিবেচনা করলে ভারতের পশ্চিম প্রান্তের অধিবাসীরা বিশেষত,গুজরাটিরা এবং আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের বাসিন্দারা একে-অপরের দেশের বসবাস করতে শুরুকরেছিলেন। সুপ্রাচীন দ্বাদশ শতকে কেনিয়ার উপকূল অঞ্চলের ভোরা সম্প্রদায়ের লোকজনএখানে বসতি স্থাপন করেন। কথিত আছে যে, মালিন্দির একজন গুজরাটি নাবিকের সহায়তায়ভাস্কোদাগামা এসে পৌঁছেছিলেন কালিকটে। গুজরাটের ধৌ অধিবাসীরা পারস্পরিকভাবেদু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পসরা সাজিয়ে যাতায়াত করতেন। এইভাবে ভিন্ন ভিন্ন সমাজব্যবস্থার মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তা সমৃদ্ধ করেছে আমাদের সংস্কৃতিকে। সাহিলিহ’ল, এক বিশেষ সমৃদ্ধ ভাষা, যার মধ্যে হিন্দি শব্দ রয়েছে প্রচুর।

ঔপনিবেশিক শাসনকালে ৩২ হাজার ভারতীয় কেনিয়ায় পাড়ি দিয়ে তৈরি করেছিলেনবিখ্যাত মোম্বাসা-উগান্ডা রেলপথ। নির্মাণ কাজের সময় তাঁদের অনেককেই প্রাণ হারাতেহয়েছিল। কিন্তু প্রায় ৬ হাজার ভারতীয় সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।ফলে, তাঁরা সেখানে নিয়ে আসেন তাঁদের পরিবারগুলিকেও। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার‘ডুকা’ নামে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করেন এবং পরিচিত হয়ে ওঠেন ‘ডুকাওয়ালা’ নামে।ঔপনিবেশিক শাসনকালের সেই বছরগুলিতে ব্যবসায়ী ও কারিগর এবং পরিবর্তীকালে চিকিৎসক,শিক্ষক, কর্মী এবং অন্যান্য পেশাদার ব্যক্তিরা পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে গড়েতোলেন উজ্জ্বল এক গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়, যাঁদের মধ্যে ঘটেছে ভারত ও আফ্রিকারশ্রেষ্ঠত্বের সমন্বয়।

মহাত্মা গান্ধী ছিলেন, এমনই আরেকজন গুজরাটি, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকাকেই তাঁরঅহিংস আন্দোলনের স্থান হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। গোপাল কৃষ্ণ গোখেল’কে সঙ্গে নিয়ে১৯১২ সালে তিনি সফর করেন তাঞ্জানিয়া। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বেশ কয়েকজন নেতা আফ্রিকারস্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাদের দৃঢ়ভাবে সমর্থন জানিয়েছিলেন এবং সংগ্রামে অংশনিয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে থেকেই। আফ্রিকার এই সংগ্রামী নেতাদের অন্যতম ছিলেন মিঃনেরেরে, মিঃ কেনিয়াট্টা এবং নেলসন ম্যান্ডেলা। স্বাধীনতা সংগ্রামের পরবর্তী সময়েভারতীয় বংশোদ্ভূত কয়েকজন নেতাকে নিযুক্ত করা হয় তাঞ্জানিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকারমন্ত্রিসভায়। বর্তমানে তাঞ্জানিয়ায় রয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত, যাঁরাসেখানে পালন করে চলেছেন সাংসদের ভূমিকা।

পূর্ব আফ্রিকায় ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের সূচনা করেন মাখন সিং। এই ট্রেডইউনিয়নের সভা-সমাবেশেই প্রথম ডাক দেওয়া হয় কেনিয়ার স্বাধীনতার লক্ষ্যে। ঐ দেশেরস্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে যোগ দেন এমএ দেশাই এবং পিও গামা পিন্টো। ভারতের তদানীন্তনপ্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত নেহরু একজন ভারতীয় সাংসদ দেওয়ান চমন লাল’কে সেখানেপাঠিয়েছিলেন মিঃ কেনিয়াট্টার প্রতিরক্ষা দলের সদস্য করে। ঐ সময় মিঃ কেনিয়াট্টাছিলেন কারারুদ্ধ এবং ১৯৫৩ সালে কাপেনগুড়িয়া কান্ডে তাঁর বিচার হয়। এইপ্রতিরক্ষীদলে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরও দুই ব্যক্তি। আফ্রিকার স্বাধীনতারসমর্থনে ভারত বরাবরই জোরালো সমর্থন জানিয়ে এসেছে। নেলসন ম্যান্ডেলা এই প্রসঙ্গে যেবক্তব্য রেখেছিলেন, আমি তা এখানে উদ্ধৃত করছি : “বিশ্বেরঅন্যান্য অংশ যখন অত্যাচারীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, তাদের সমর্থন নিয়ে তখন একমাত্রভারত-ই সাহায্য ও সমর্থন নিয়ে এসে দাঁড়ায় আমাদের পাশে। যখন আন্তর্জাতিকসংস্থাগুলির দ্বার আমাদের সামনে বন্ধ করে দেওয়া হয়, ভারত তখন খুলে দিয়েছিল তারআন্তরিকতার দুয়ারটিকে। আমাদের সংগ্রামকে আপনারা বেছে নিয়েছিলেন নিজেদের সংগ্রামহিসাবেই”।

বহু দশক ধরেই বলিষ্ঠতর হয়ে উঠেছে আমাদের এই সম্পর্কের বন্ধন। ২০১৪ সালেদায়িত্বভার গ্রহণের পর পরই ভারতের অর্থনীতি তথা বিদেশ নীতিতে আমরা এক বিশেষঅগ্রাধিকার দিয়েছি আফ্রিকাকে। ২০১৫ বছরটি ছিল উল্লেখ করার মতো এক বিশেষ সময়কাল। ঐবছরটিতে অনুষ্ঠিত ভারত-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের সঙ্গেকূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন ৫৪টি দেশের সবকটিই । ৪১টি আফ্রিকানরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন এই সম্মেলনে। নিঃসন্দেহে এ একরেকর্ড-বিশেষ।

দক্ষিণ আফ্রিকা, মোজাম্বিক, তাঞ্জানিয়া, কেনিয়া, মরিশাস এবং সেশেলস্‌ -আফ্রিকার এই ৬টি দেশ আমি সফর করেছিলাম ২০১৫ সালে। আমাদের রাষ্ট্রপতির সফরসূচিরমধ্যে ছিল নামিবিয়া, ঘানা এবং আইভোরি কোস্ট – এই তিনটি দেশ। অন্যদিকে, উপ-রাষ্ট্রপতিসফর করেছিলেন মরক্কো, টিউনিশিয়া, নাইজেরিয়া, মালি, আলজেরিয়া, রোয়ান্ডা এবং উগান্ডা– এই ৭টি রাষ্ট্র। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে, গত তিন বছরে কোনও না কোনওভারতীয় মন্ত্রী সফর করেননি এমন কোনও দেশ আফ্রিকায় নেই। বন্ধুগণ, এক সময় মোম্বাসা ওমুম্বাইয়ের মধ্যে ছিল নৌ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক। কিন্তু বর্তমানে এই সম্পর্কপ্রসারিত হয়েছে আরও নানা দিকে –

· এই বার্ষিকবৈঠকটি যুক্ত করেছে আবিদজান ও আমেদাবাদকে

· বামাকো’র সঙ্গেব্যাঙ্গালোরের গড়ে উঠেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক

· চেন্নাই ওকেপটাউনের মধ্যে স্থাপিত হয়েছে ক্রিকেট ম্যাচের সম্পর্ক

· দিল্লি ওডাকারের মধ্যে গড়ে উঠেছে উন্নয়নের সম্পর্ক

আর এইভাবেই গড়ে উঠেছে আমাদের মধ্যে এক উন্নয়ন সহযোগিতার সম্পর্ক। আফ্রিকারসঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে সহযোগিতার আদর্শকে ভিত্তি করে, যাআফ্রিকার বিভিন্ন দেশের চাহিদা ও প্রয়োজন মেটাতে সদা তৎপর। এই সম্পর্কের চালিকাশক্তিহ’ল এক নিঃশর্ত চাহিদা বা প্রয়োজন।

এই সহযোগিতার পথ ধরেই প্রসারিত ভারতের এক্সিম ব্যাঙ্কের ঋণ সহায়তার সুযোগ।৪৪টি দেশের অনুকূলে ১৫২টি ঋণ সহায়তা ইতিমধ্যেই সম্প্রসারিত হয়েছে, যার আর্থিকমূল্য প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তৃতীয় ভারত-আফ্রিকা ফোরাম শীর্ষ বৈঠককালে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ১০বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয় ভারতের পক্ষ থেকে। ৬০০ মিলিয়নমার্কিন ডলার পরিমান অনুদান সহায়তার প্রস্তাবও আমরা দিয়েছি আফ্রিকার জন্য।

আফ্রিকার সঙ্গে শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ভারতগর্বিত। আফ্রিকার ১৩ জন প্রাক্তন বা বর্তমান প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও ভাইসপ্রেসিডেন্ট ভারতের কোনও না কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা প্রশিক্ষণ সংস্থায় শিক্ষাবা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন । আফ্রিকার ৬ জন বর্তমান কিংবা প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভারতের মিলিটারি প্রতিষ্ঠানগুলিতেপ্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ গ্রহণ করেছিলেন । দু’জন বর্তমান মন্ত্রী ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ লাভকরেছেন। ভারতের প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা কর্মসূচিটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে আফ্রিকার দেশগুলির কর্মীদের জন্য ২০০৭ সাল থেকেই ৩৩হাজারেরও বেশি বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দক্ষতার ক্ষেত্রে আমাদের মিলিত অংশীদারিত্বের শ্রেষ্ঠ নিদর্শনটি হ’ল‘সোলারমামা’ সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ। প্রতি বছর ৮০ জন আফ্রিকান মহিলাকে ভারতেপ্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সৌর-প্যানেল ও সার্কিট সম্পর্কে শিক্ষা লাভের জন্য। প্রশিক্ষণশেষে স্বদেশে ফিরে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই তাঁরা সেখানে গড়ে তোলেন বিদ্যুতায়নেরসুযোগ। প্রত্যেক মহিলার দায়িত্ব হ’ল প্রশিক্ষণ শেষে ঘরে ফেরার পর তাঁর এলাকার ৫০টিবাড়িকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে তোলা। এই প্রশিক্ষণের জন্য প্রার্থী নির্বাচনেরএকটি অতি প্রয়োজনীয় শর্ত হ’ল তাঁদের অবশ্যই নিরক্ষর বা অর্ধ-সাক্ষর হতে হবে।বাস্কেট তৈরি, মৌ-পালন, সব্জির বাগান তৈরি ইত্যাদির কাজেও দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়াহয় তাঁদের ভারতে অবস্থানকালে।

টেলি-মেডিসিন এবং টেলি-নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে আমরা সাফল্যের সঙ্গেইসম্পূর্ণ করেছি প্যান আফ্রিকা ই-নেটওয়ার্ক প্রকল্পের কাজ। এই ব্যবস্থায় যুক্ত করাহয়েছে আফ্রিকার ৪৮টি দেশকে। ভারতের ৫টি অগ্রণী বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট, স্নাতকপূর্ব এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পঠন-পাঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ১২টি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে দেওয়া হয় চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ এবং মেডিকেল শিক্ষালাভেরসুযোগ । প্রায় ৭ হাজার ছাত্রছাত্রী ইতিমধ্যেই তাদের পঠন-পাঠনের কাজ সম্পূর্ণকরেছেন। খুব শীঘ্রই আমরা শুরু করতে চলেছি এই কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়টি।

২০১২ সালে আফ্রিকার দেশগুলির জন্য সুতিবস্ত্র সম্পর্কিত যে প্রযুক্তিগতসহায়তা কর্মসূচির কাজ আমরা শুরু করেছিলাম, আর কিছুদিনের মধ্যেই সাফল্যের সঙ্গেই তাসম্পূর্ণ হবে। বেনিন, বার্কিনা ফাসো, চাদ, মালাউই, নাইজেরিয়া ও উগান্ডার জন্যরূপায়িত এই বিশেষ কর্মসূচিটি।

বন্ধুগণ,

গত ১৫ বছরে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ভারত-আফ্রিকা বাণিজ্যিক লেনদেন। গত ৫ বছরেপ্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে এর মাত্রা উন্নীত হয়েছে ৭২ বিলিয়নমার্কিন ডলারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের পণ্য বাণিজ্যের তুলনায়২০১৫-১৬ অর্থ বছরে আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের পণ্য লেন-দেনের মাত্রা ছিল অনেক বেশি।

আফ্রিকার উন্নয়নের কাজে সাহায্য করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানেরসঙ্গেও একযোগে কাজ করে চলেছে ভারত। টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আবের সঙ্গে এবিষয়ে আমার বিস্তারিত আলোচনা ও মতবিনিময়ের কথা আমি বেশ ভালোভাবেই স্মরণ করতে পারি।সকলের জন্য উন্নয়নের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তোলার প্রশ্নে আমাদের অঙ্গীকার ওপ্রতিশ্রুতির বিষয়গুলিও ছিল আলোচ্যসূচির মধ্যে। আমাদের এক যৌথ ঘোষণায়এশিয়া-আফ্রিকা যৌথ করিডর স্থাপনের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে আফ্রিকারভাই-বোনদের সঙ্গে পরবর্তীকালে আরো আলোচনা ও মতবিনিময়েরও প্রস্তাব করা হয়েছিল সেই সময়।

সুনির্দিষ্ট একটি লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে এসেছে ভারত ও জাপানেরগবেষণা সংস্থাগুলি। আরআইএস, ইআরআইএ এবং আইডিই – জেইটিআরও-কে আমি অভিনন্দন জানাই এইকর্মসূচিগুলিকে একত্রিত করার কাজে তাদের বিশেষ প্রচেষ্টার জন্য। আফ্রিকারচিন্তাবিদদের সঙ্গে পরামর্শক্রমেই চূড়ান্ত করা হয় এই কাজটি। পরবর্তী পর্যায়ে বোর্ডমিটিং-এর সময় নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মসূচিগুলি উপস্থাপিত হবে বলে আমি মনেকরি। বিষয়টির মূলে রয়েছে এক বিশেষ চিন্তাভাবনা যাতে আগ্রহী অন্যান্য অংশীদারদেরসঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্য, দক্ষতা, পরিকাঠামো, উৎপাদন এবং সংযোগ তথা যোগাযোগেরক্ষেত্রগুলিতে যৌথ উদ্যোগে কাজ করে যাবে ভারত ও জাপান।

আমাদের এই সহযোগিতার সম্পর্কের বিষয়টি শুধুমাত্র সরকারি পর্যায়েই সীমাবদ্ধনেই, এই কাজকে আরও বেশি উৎসাহদানের জন্য এগিয়ে এসেছে ভারতের বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি।১৯৯৬ থেকে ২০১৬ এই সময়কালে বিদেশে ভারতের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের এক-পঞ্চমাংশস্থান অধিকার করেছিল আফ্রিকা। এই মহাদেশে বিনিয়োগকারী দেশগুলির মধ্যে পঞ্চমবৃহত্তম দেশ হ’ল ভারত। গত ২০ বছরে এখানে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আফ্রিকার অধিবাসীদের কাছে কর্মসংস্থানের সুযোগসম্প্রসারিত করেছে।

আন্তর্জাতিক সৌর সমঝোতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি,তাতে আফ্রিকার দেশগুলি সাড়া দেওয়ায় আমরা বিশেষভাবে উৎসাহ বোধ করছি। ২০১৫ সালেরনভেম্বর মাসে প্যারিসে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সম্মেলনেএর সূচনা হয়। সৌর সম্পদ সমৃদ্ধ দেশগুলি মিলিতভাবে গড়ে তুলছে এই সৌর সমঝোতা, যাবিভিন্ন দেশের জ্বালানি শক্তির চাহিদা পূরণে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। আমিবিশেষভাবে আনন্দিত যে, আফ্রিকার অনেকগুলি দেশই সমর্থন জানিয়েছে আমাদের এইউদ্যোগকে।

‘ব্রিকস্‌ ব্যাঙ্ক’ নামে সুপরিচিত নতুন উন্নয়ন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতাহিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাবকে ভারত বরাবরই সমর্থনজানিয়ে এসেছে। এটি হয়ে উঠবে এক বিশেষ মঞ্চ, যা নিউ ডেভেলেপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবংআফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলি সহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে গড়ে তুলবে একসমন্বয়ের সম্পর্ক।

আফ্রিকা উন্নয়ন তহবিলে ভারত যোগ দেয় ১৯৮২ সালে এবং ১৯৮৩’তে যোগদান করেআফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কগুলির সাধারণ মূলধন বৃদ্ধির কাজে অবদান রয়েছেভারতের। অতি সাম্প্রতিককালে আফ্রিকা উন্নয়ন তহবিল ঢেলে সাজানোর সময় ২৯ মিলিয়নমার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত। বিশ্বের যে সমস্ত দেশ বিশেষভাবে ঋণমুখাপেক্ষী, তাদের জন্য অবদান সৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ঋণের চাহিদা কমিয়েআনার কাজে সাহায্য করতেও এগিয়ে এসেছি আমরা।

এই বৈঠকগুলির পাশাপাশি ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলির কনফেডারেশনের সহযোগিতায়একটি সম্মেলন ও আলোচনা বৈঠকের আয়োজন করছে ভারত সরকার। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ানচেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় একটি প্রদর্শনীও এই উপলক্ষেআয়োজিত হচ্ছে। কৃষি থেকে উদ্ভাবন এবং স্টার্ট আপ থেকে অন্যান্য কর্মসূচিগুলিকেওবিশেষভাবে তুলে ধরা হবে সেখানে।

আজকের এই কর্মসূচির থিম বা মূল বিষয়টি হ’ল, “আফ্রিকায় সম্পদ সৃষ্টিরলক্ষ্যে কৃষির রূপান্তর”। এটি হ’ল এমনই একটি ক্ষেত্র, যেখানে ভারত এবং ব্যাঙ্কসাফল্যের সঙ্গেই পরস্পরের সহযোগী হয়ে উঠতে পারে। সুতিবস্ত্র সম্পর্কিত প্রযুক্তিগতসহায়তা কর্মসূচির কথা আমি ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছি।

কৃষকদের আয় ও উপার্জন আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করে তোলার লক্ষ্যেভারতে আমি একটি কর্মসূচির সূচনা করেছি। এজন্য প্রয়োজন জোরদার প্রচেষ্টা – উন্নতমানের শস্য বীজ থেকে সর্বোচ্চ মাত্রায় ব্যবহারের উপযোগী উপকরণ সামগ্রী, যাতেশস্যহানির ঘটনা কমিয়ে আনা যায় এবং উন্নততর করে তোলা যায় বিপণন পরিকাঠামোকে। আমাদেরএই চলার পথে আপনাদের অভিজ্ঞতার কথা শোনার এবং জানার জন্য ভারত বিশেষভাবে আগ্রহী।

আমার আফ্রিকার ভাই ও বোনেরা,

যে চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে আপনাদের ও আমাদের সামনে, তার অনেকগুলির প্রকৃতিই একও অভিন্ন। চ্যালেঞ্জগুলি হ’ল – কৃষক ও দরিদ্র জনসাধারণের উন্নয়ন, মহিলা এবংগ্রামবাসীদের আর্থিক ক্ষমতায়ন, পরিকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদি। আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকাসত্ত্বেও এই সমস্ত কাজ আমাদের করে যেতে হবে। এক বৃহদায়তন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাআমাদের অবশ্যই রক্ষা করতে হবে, যাতে মুদ্রাস্ফীতি থাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। এইবিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রগুলিতে পরস্পরের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে লাভবান হবআমরা সকলেই। দৃষ্টান্ত-স্বরূপ, নগদ অর্থনীতির ব্যবহার কমিয়ে আনার কাজে আমরা শিক্ষানিয়েছি কেনিয়ার মতো আফ্রিকার দেশগুলির কাছ থেকে। কারণ, মোবাইল ব্যাঙ্কিং-এরক্ষেত্রে ঐ দেশগুলি বিশেষ সাফল্য দেখিয়েছে।

আমি একথা জানাতে পেরে খুবই আনন্দিত যে, গত তিন বছরে বৃহৎ অর্থনীতিরমাপকাঠিতে ভারতের উন্নতি ঘটেছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। আর্থিক ঘাটতি, লেনদেন খাতেঘাটতি এবং মুদ্রাস্ফীতির হার রয়েছে ক্রমশ নীচের দিকে। অন্যদিকে, জিডিপি বৃদ্ধিরহার, বিদেশি মুদ্রার মজুত এবং সরকারি মূলধন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছেউল্লেখযোগ্যভাবে। এরই পাশাপাশি, উন্নয়ন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রেও এক বড় ধরণের সাফল্য অর্জনকরতে পেরেছি আমরা।

আফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্কের মাননীয় প্রেসিডেন্ট, একথা আজ অনেকের কাছেই অজানানয় যে, আমাদের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি অন্যান্য বিকাশশীল দেশগুলির কাছেঅনুসরণযোগ্য আদর্শ বলে বর্ণনা করেছেন আপনি। উন্নয়নের এক দীপশিখা রূপে আপনি আমাদেরচিহ্নিত করেছেন। আপনার এই বিশেষ উল্লেখ ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানানোরপাশাপাশি, একথাও আমি বিশেষ আনন্দের সঙ্গে জানতে পেরেছি যে অতীতে বেশ কিছুদিন আপনিহায়দরাবাদে কাটিয়ে গেছেন প্রশিক্ষণ লাভের সূত্রে। তবে, একটি বিষয়ের প্রতি সকলেরদৃষ্টি আকর্ষণ করে আমি বলতে চাই যে, আমাদের সামনে এমন অনেক চ্যালেঞ্জ এখনও পড়েরয়েছে যেগুলির দিকে বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে আমার। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত তিন বছরে যেকৌশলগুলি আমরা অবলম্বন করেছি, তা তুলে ধরতে চাই আপনাদের সামনে।

পরোক্ষভাবে কিছু সুযোগ-সুবিধা দানের পরিবর্তে দরিদ্র মানুষের হাতে ভর্তুকিসহায়তা যাতে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করেছি আমরা। যথেষ্ট মাত্রায়আর্থিক সাশ্রয় সম্ভব করে তুলতে পেরেছি আমরা এই ব্যবস্থায়। শুধুমাত্র রান্নারগ্যাসের ক্ষেত্রেই এই তিন বছরে আমাদের সাশ্রয় ঘটেছে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরওবেশি। এছাড়াও, সম্পন্ন ও স্বচ্ছল নাগরিকদের কাছে আমি আবেদন জানিয়েছিলাম যে,গ্যাসের ওপর ভর্তুকি সহায়তা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেওয়ার জন্য। ‘গিভ ইট আপ’ অভিযানচালিয়ে যে অর্থের সাশ্রয় হবে, তাতে দরিদ্র পরিবারগুলির কাছে রান্নার গ্যাসের সংযোগপৌঁছে দেওয়ার আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আপনারা হয়তো শুনে বিস্মিত হবেন যে, আমারঐ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১ কোটিরও বেশি ভারতীয় স্বেচ্ছায় রান্নার গ্যাসের ওপর ভর্তুকিরসুযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই সাশ্রয়ের সুবাদে ৫ কোটি দরিদ্র পরিবারে রান্নারগ্যাসের সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার এক কর্মসূচির আমরা সূচনা করেছি। এর মধ্যে দেড় কোটিরান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। এই ব্যবস্থা এক বিশেষরূপান্তর সম্ভব করে তুলেছে গ্রামীণ মহিলাদের জীবনযাত্রায়। জ্বালানি কাঠের সাহায্যেরান্নার ধকল এবং স্বাস্থ্যের ঝুঁকির হাত থেকে এইভাবে তাঁদের রক্ষা করা সম্ভবহয়েছে। এরই পাশাপাশি, দূষণের মাত্রা হ্রাস করে পরিবেশ সুরক্ষার ওপর জোর দেওয়াহয়েছে। ‘সংস্কার থেকে রূপান্তর’ বলতে আমি যা বোঝাতে চাই, এটি হ’ল তারই একদৃষ্টান্ত।

ভর্তুকি সহায়তা যুক্ত ইউরিয়া সারের বেশ কিছুটা অংশ কৃষির পরিবর্তে রাসায়নিকউৎপাদনের মতো অকৃষি ক্ষেত্রে বেআইনি ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা চালু করেছিনিম কোটিং যুক্ত ইউরিয়া সারের উৎপাদন । এর ফলে, কৃষি ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্যে ইউরিয়ার ব্যবহার সম্ভব নয়। এরমাধ্যমে শুধুমাত্র যে আমাদের আর্থিক সাশ্রয় ঘটেছে তাই নয়, সমীক্ষায় প্রকাশ যে নিমকোটিং যুক্ত হওয়ার ফলে সারের উপযোগিতা ও কার্যকারিতাও বিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কৃষকদের হাতে আমরা তুলে দিয়েছি সয়েল হেলথ কার্ড, যা তাঁদের জমির প্রকৃতিসম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারে। এর ফলে, কি ধরণের কৃষি উপকরণ ঐ জমিরউপযোগী, সে সম্পর্কেও হদিশ পাওয়া সম্ভব। এই ব্যবস্থায় একদিকে যেমন কৃষি উপকরণেরসর্বোচ্চ ব্যবহার সম্ভব হয়ে উঠতে পারে, অন্যদিকে তেমনই বৃদ্ধি পায় শস্য ফলনেরমাত্রাও।

রেল, মহাসড়ক, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস পাইপ লাইন সংস্থাপনের মতো পরিকাঠামোপ্রকল্পগুলিতে মূলধনী বিনিয়োগের মাত্রাও আমরা বৃদ্ধি করেছি নজিরবিহীনভাবে। আগামীবছরের মধ্যে ভারতের কোনও গ্রামই আর বিদ্যুৎহীন অবস্থায় পড়ে থাকবে না। আমাদের গঙ্গাশোধন পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি, ডিজিটাল ভারত, স্মার্টনগরী, সকলের জন্য বাসস্থানএবং দক্ষ ভারত কর্মসূচি আমাদের সর্বতোভাবে প্রস্তুত করে তুলছে দ্রুতগতিতে বিকাশশীলদূষণমুক্ত সমৃদ্ধ এক আধুনিক নতুন ভারত গড়ে তোলার কাজে। আমাদের লক্ষ্য হ’ল, আগামীবছরগুলিতে ভারত’কে উন্নয়নের এক চালিকাশক্তি রূপে তুলে ধরা । একইসঙ্গে,পরিবেশ-বান্ধব বিকাশশীল একটি রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের পরিচিতি লাভও আমাদের এইলক্ষ্যের অন্তর্ভুক্ত।

দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের বিশেষভাবে সাহায্য করেছে, এর প্রথমটি হ’লব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন। গত তিন বছরে এক সার্বজনীন ব্যাঙ্কব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজে সাফল্য অর্জন করেছি আমরা। চালু করেছি জন ধন যোজনার, যারআওতায় খোলা হয়েছে ২৮ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। দেশের শহর ও গ্রাম সর্বত্রইপ্রসারিত এই বিশেষ কর্মসূচিটি। এই প্রচেষ্টার সুবাদে প্রতিটি ভারতীয় পরিবারেরইরয়েছে একটি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ব্যাঙ্কগুলি সাধারণত, ধনী ও বাণিজ্যিকসম্প্রদায়কেই সাহায্য করে থাকে বলে স্থির ধারণা রয়েছে সকলের মধ্যে। কিন্তু আমরাসেখানে দরিদ্র মানুষের সহায়তাদানকেও অন্তর্ভুক্ত করেছি ব্যাঙ্কিং প্রচেষ্টার একবিশেষ অঙ্গ রূপে। কারণ, উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় উন্নীত হওয়ার এটি এক উপায় বিশেষ।রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে আমরা আরও শক্তিশালী করে তুলেছি। যে কোনও রকম রাজনৈতিকহস্তক্ষেপ থেকে সেগুলিকে আমরা মুক্ত রেখেছি। এক স্বচ্ছ নিয়োগ পদ্ধতিটির মাধ্যমেমেধার ভিত্তিতে পেশাদার প্রশাসনিক ব্যক্তিদের আমরা নিয়োগ করেছি।

আমাদের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হ’ল আধার নামে এক অভিন্ন বায়োমেট্রিকপরিচয়পত্রের সূচনা। এর আওতায় অযোগ্য ব্যক্তির হাতে সরকারি সুফল পৌঁছে যাওয়াকোনওভাবেই সম্ভব নয়। সরকারি সাহায্য ও সহায়তা পাওয়ার যোগ্য বলে যাঁরা বিবেচিতহবেন, খুব সহজেই তাঁদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব এই ব্যবস্থার মাধ্যমে।

বন্ধুগণ, আপনাদের এক অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ বার্ষিক বৈঠক কামনা করে আমারবক্তব্য আমি শেষ করতে চাই। ক্রীড়ার আঙিনায় দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় প্রতিযোগিতায়আফ্রিকার সমকক্ষ হয়ে ওঠা হয়তো ভারতের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে, কিন্তু আমি এইমর্মে আপনাদের আশ্বাস দিতে চাই যে, উন্নততর ভবিষ্যতের লক্ষ্যে এক কঠিনপ্রতিযোগিতায় ভারত বরাবরই থাকবে আপনাদের পাশে, আপনাদের সঙ্গে।

মাননীয় অতিথি বৃন্দ! ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ! আমি এখন সানন্দে এবংআনুষ্ঠানিকভাবে আফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্ক গোষ্ঠীর পরিচালন পর্ষদের বার্ষিক বৈঠকগুলিরশুভ সূচনা ঘোষণা করছি।

ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi visits the Indian Arrival Monument
November 21, 2024

Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.

The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.