Festivals are celebrations of life. With festivals comes a spirit of togetherness: PM
Pay my tribute to dear friend Sri Cho Ramaswamy on the 47th anniversary of Thuglak: PM
For 47 years Thuglak magazine played a stellar role in the cause of safeguarding democratic values and national interest: PM
If someone has to write the political history of India, he cannot write it without including Cho Ramaswamy: PM Modi
Cho's satire made his criticism loveable even to those he criticized: PM
Humour brings happiness in our lives. Humour is the best healer: PM Modi
The power of a smile or the power of laughter is more than the power of abuse: PM Modi
We need to build bridges between people, communities & societies: PM Modi

প্রিয় ডঃ পদ্মসুব্রহ্মনিয়ামজি, 

শ্রী এন রবি, 

শ্রী জিবিশ্বনাথন, 

শ্রী এসরজনীকান্ত, 

শ্রীগুরুমূর্তি, 

তুঘলকের পাঠকবৃন্দ, 

প্রয়াত শ্রী চোরামস্বামীর গুণমুগ্ধজন এবং 

তামিলনাডুরঅধিবাসীবৃন্দ, 

বনক্কম। ইনিয়াপোঙ্গল নালভাজথুক্কাল 

এক বিশেষশুভক্ষণে আজ আমরা সমবেত হয়েছি এখানে।  

গতকাল আমারতেলেগু ভাই ও বোনেরা পালন করেছেন ভোগী উৎসব।  

ভারতেরউত্তরাঞ্চলের বিশেষত, পাঞ্জাবের বন্ধুরা উদযাপন করেছেন লহরী।  

আজ হ’ল মকরসংক্রান্তির দিন। 

গুজরাটের আকাশআজ ঘুড়িতে ঘুড়িতে ছয়লাপ। এই উৎসবকে বলা হয় উত্তরায়ন। 

মাঘ বিহু উৎসবপালিত হচ্ছে অসমের জনসমাজে।  

এবং এখানেঅর্থাৎ তামিলনাডুতে পালিত হচ্ছে পোঙ্গল। 

পোঙ্গল হ’লকৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের উৎসব – সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন, কৃষিকাজেরউপকারী প্রাণীদের উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং নিরন্তরভাবে প্রাকৃতিকসম্পদের যোগানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন প্রকৃতিমাতাকে।  

আমাদেরসংস্কৃতি তথা ঐতিহ্যের মূল শক্তিই হ’ল প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতি। 

উত্তর থেকেদক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, সারা দেশই এখন উৎসবে মাতোয়ারা।  

কারণ, উৎসব হ’লবেঁচে থাকার উৎসব।  

উৎসবের মধ্যদিয়ে জেগে ওঠে একাত্মতাবোধ।  

যা গড়ে তোলেসুন্দর এক ঐক্যের বন্ধন।  

এই সমস্ত উৎসবপালনের জন্য দেশবাসীকে আমার অভিনন্দন। 

মকর সংক্রান্তিহ’ল, মকর রাশিতে সূর্য পরিক্রমার এক সন্ধিক্ষণ। অধিকাংশ মানুষই মনে করেন যে, মকরসংক্রান্তি অর্থ হ’ল – কঠোর শৈত্য এবং প্রখর উষ্ণতা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে একউজ্জ্বল দিনের আগমন বার্তা। 

আজ আমরা যেউৎসবগুলি পালন করছি, তার মাধ্যে কয়েকটি আবার ফসল তোলার উৎসবের সঙ্গে যুক্ত।  

জাতির মুখেঅন্ন তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের যে কৃষকরা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন, এই উৎসবতাঁদের জীবনে সমৃদ্ধি বহন করে নিয়ে আসুক, এই প্রার্থনা জানাই।

 

বন্ধুগণ, 

ব্যক্তিগতভাবেআপনাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারলে খুবই ভালো হ’ত। কিন্তু জরুরি কাজ থাকায়, তা আরসম্ভব হয়ে উঠল না। তুঘলকের ৪৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে আমার প্রিয় বন্ধু শ্রী চোরামস্বামীর উদ্দেশে আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। 

চো-এর মৃত্যুতেআমরা হারিয়েছি বিশেষ এক বন্ধুকে, যিনি সর্বদাই সকলকে মূল্যবান উপদেশ ও পরামর্শদিয়ে এসেছেন।  

তাঁর সঙ্গেআমার ব্যক্তিগত পরিচয় চার দশকেরও বেশি সময়কালের। তাই, তাঁর মৃত্যু আমার একব্যক্তিগত ক্ষতি।  

তিনি ছিলেন একবহুমুখী ব্যক্তিত্বের অধিকারী। একজন অভিনেতা, নির্দেশক, সাংবাদিক, সম্পাদক, লেখক,নাট্যকার, রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক ভাষ্যকার, সংস্কৃতি সমালোচক, উচ্চ মেধাসম্পন্নসাহিত্যকার, এক সামাজিক ও ধর্মীয় সমালোচক, একজন আইনজীবী এবং আরও কত কি প্রতিভালুকিয়ে ছিল তাঁর মধ্যে।  

যে সমস্তভূমিকা তিনি পালন করে এসেছেন, তার মধ্যে তুঘলক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে তাঁরভূমিকা ছিল বিশেষভাবে উজ্জ্বল। দীর্ঘ ৪৭ বছর ধরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জাতীয়স্বার্থকে রক্ষা করার কাজে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তুঘলক পত্রিকাটি।  

তুঘলক এবং চো –এই দুয়ের মধ্যে সীমারেখা টানা খুবই দূরূহ কাজ। প্রায় পাঁচ দশক ধরে তুঘলকেরদায়িত্বভার বহন করে এসেছেন তিনি। যদি কাউকে বলা হয়, ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস রচনাকরার জন্য, তা হলে তিনি চো রামস্বামী এবং তাঁর রাজনৈতিক ভাষ্যকে বাদ দিয়ে সেকাজকরতে পারবেন না।  

চো-এর প্রশংসাকরা খুবই সহজ। কিন্তু তাঁকে অনুভব ও উপলব্ধি করা সহজ বিষয় নয়। তাঁকে বুঝতে হলে,জানতে হলে, তাঁর সাহসিকতা, গভীর আত্মবিশ্বাস, জাতীয়তাবোধ – এ সমস্ত কিছুকেও অনুভবও উপলব্ধি করতে হবে। কারণ, তিনি ছিলেন – সংকীর্ণতা, আঞ্চলিকতা, ভাষাগত ভেদাভেদ এবংঅন্যান্য যে কোনও বৈষম্য বোধের অনেক ঊর্ধ্বে।  

তাঁর সবচেয়ে বড়সাফল্য হ’ল এই যে – সমস্ত রকম বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে তুঘলক’কে এক বিশেষহাতিয়ার করে তুলেছিলেন তিনি। স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত এক রাজনৈতিক ব্যবস্থারলক্ষ্যে তিনি সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর সেই সংগ্রামী মানসিকতায় তিনি কাউকেই ছেড়েকথা বলেননি।  

যে সমস্তমানুষের সঙ্গে তিনি দশকের পর দশক ধরে কাজ করে এসেছিলেন, তাঁদেরও সমালোচনা করতেতিনি দ্বিধা করতেন না। এমনকি, যাঁরা ছিলেন তাঁর বহু দশকের বন্ধু তিনি সমালোচনাথেকে বিরত থাকতেন না তাঁদের ক্ষেত্রেও। যাঁরা তাঁকে গুরু বলে মনে করতেন, তিনিসমালোচনা করতেন তাঁদেরও। অর্থাৎ, সমালোচনার ক্ষেত্রে তিনি বাদ দিতেন না কাউকেই।কোন্‌ ব্যক্তির তিনি সমালোচনা করছেন, সেটা তিনি চিন্তা করতেন না। তাঁর লক্ষ্য ছিলনির্দিষ্ট বিষয় বা ঘটনার প্রতি।  

তাঁর মূলবার্তার লক্ষ্য ছিল জাতি। তাঁর সমস্ত রচনায়, চলচ্চিত্রে, নাটকে, তাঁর নির্দেশিতটেলিভিশন ধারাবাহিকে এমনকি যে কাহিনীচিত্রের জন্য তিনি চিত্রনাট্য রচনা করতেন,তাতেও প্রতিফলিত রয়েছে তাঁর এই বার্তা।  

তাঁরশ্লেষাত্মক লেখনী এবং তাঁর সমালোচনামূলক লেখাগুলি তাঁকে প্রিয়পাত্র করে তুলেছিলতাঁদের কাছেও যাঁরা ছিলেন তাঁর সমালোচনার মূল লক্ষ্য। এই গুণ তাঁকে অর্জন করতেহয়নি, কারণ তা অর্জন করা সম্ভব নয়। বরং, তাঁর এই শক্তিকে এক ঐশ্বরিক দান বলেইচিন্তা করা যায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ ও ঔৎসুক্য জাগিয়ে তোলে মানুষের এইবিশেষ গুণটি। রাশি রাশি বই লিখেও যে বার্তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়, তা তিনি পৌঁছেদিতে পারতেন একটি মাত্র বাক্যে কিংবা একটি মাত্র রচনায়। এই প্রতিভাকে ঐশ্বরিক দানছাড়া আর কি-ই বা বলা যেতে পারে। 

চো-এর একটিকার্টুনের কথা এই প্রসঙ্গে আমার মনে পড়ে গেল। সেখানে দেখানো হয়েছে যে, আমার দিকেবন্দুক তাক্‌ করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন ব্যক্তি এবং আমার সামনে রয়েছেন আরও বেশকিছু সাধারণ মানুষ। চো তাঁর কার্টুনে জিজ্ঞেস করছেন, আসল লক্ষ্যবস্তু কে? আমিই,নাকি আমার সামনে দাঁড়ানো সাধারণ মানুষেরা? এই কার্টুনটি বর্তমান পরিস্থিতিতে কতটাপ্রাসঙ্গিক আপনারা চিন্তা করুন একবার!  

মনে পড়ে গেলআরেকটি ঘটনার কথাও যার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চো স্বয়ং। একবার কিছু লোক বিরক্ত হয়েচো-এর দিকে ডিম ছুঁড়তে শুরু করে, তখন চো তাঁদের উদ্দেশে বললেন, “আরে ভাই, পচাডিমগুলো আমার দিকে না ছুঁড়ে আমাকেই একটা অমলেট বানিয়ে নাও না”! যাঁরা ডিম ছুঁড়ছিল,তাঁরা তখন হাসতে শুরু করল। তা হলেই চিন্তা করুন, পরিস্থিতি সামাল দিয়ে কিভাবে তিনিতা নিজের অনুকুলে নিয়ে আসতে পারতেন।  

তুঘলকের মঞ্চছিল সকলের জন্যই খোলা। তাঁর বিরুদ্ধে লেখা কিংবা তাঁর বিরোধিতা করে পাঠানো যে কোনওরচনা যেমন তিনি প্রকাশ করতেন সেখানে, তেমনই তাঁকে গালমন্দ করে লেখা অনেক রচনাইতিনি প্রকাশ করেছেন তাঁর পত্রিকায়। এর ফলে, তুঘলকের সঙ্গে যোগ ছিল প্রায় সকলেরই।যে সমস্ত ব্যক্তির কঠোর সমালোচনা করতেন তিনি তাঁদের লেখাও সমান গুরুত্ব দিয়ে ছাপাহ’ত তাঁর তুঘলক পত্রিকায়। প্রচার মাধ্যম তথা জনজীবনে এটাই হ’ল প্রকৃত গণতান্ত্রিকবোধ ও শক্তি।  

আমার মনে হয়,তাঁর চিন্তাভাবনা এবং রচনা শুধু তামিল বিষয়বস্তু কিংবা তামিল জনসাধারণকে কেন্দ্রকরেই আবর্তিত হয়নি। বরং, লক্ষ লক্ষ তামিল ভাষীর চোখ ও কান দিয়ে তুলে ধরা হয়েছেবিভিন্ন ঘটনা প্রবাহকে। তুঘলকের মধ্য দিয়ে শাসক ও শাসিত উভয়ের মধ্যে এক সেতুবন্ধনগড়ে তুলেছিলেন চো রামস্বামী। 

চো-এরচিন্তাভাবনা অনুসরণ করে তুঘলক তাঁর সাংবাদিকতার যাত্রাপথকে নিরন্তর রাখবে জেনে আমিবিশেষভাবে আনন্দিত। তুঘলকের আদর্শ ও ঐতিহ্যের যাঁরা উত্তরসূরী, তাঁদের কাঁধে এসেপড়েছে এক বিশেষ গুরুদায়িত্ব। কারণ, চো-এর চিন্তাভাবনা ও অঙ্গীকারকে অনুসরণ করানিঃসন্দেহে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আবার, তা অনুসরণ করার কাজে সফল হলে তামিলনাডুরসাধারণ মানুষের কাছে তা পৌঁছে দিতে পারবে এক বিশেষ পরিষেবা। 

শ্রীগুরুমূর্তি এবং তাঁর সমগ্র টিম এই প্রচেষ্টায় সর্বতোভাবে সফল হবেন বলেই আমি মনেকরি। গুরুমূর্তিজি-কে আমি ভালোভাবেই চিনি। কাজেই তিনি যে এই কাজে সফল হবেনই এইস্থির বিশ্বাস আমার রয়েছে।  

রঙ্গব্যঙ্গ,শ্লেষ ও বিদ্রূপাত্মক রচনার ক্ষেত্রে চো যে এক সিদ্ধহস্ত ব্যক্তি ছিলেন – এ বিষয়েকোনও দ্বিমত নেই। 

আমি মনে করি,আরও বেশি রঙ্গব্যঙ্গ ও শ্লেষাত্মক রচনার প্রয়োজন রয়েছে আমাদের জীবনে। কারণ, তা সুখবহন করে আনে। রঙ্গব্ঙ্গ মানুষের ক্ষত উপশমে বিশেষ উপকারী।  

মুখে একটু হাসিফোটানোর কিংবা হাসিতে ঝলমল করানোর যে শক্তি তাকে নিন্দা করা বা অন্যান্য যে কোনও শক্তির থেকেই আরও বেশি ক্ষমতাশালী বলে আমিমনে করি। কারণ, হাস্যরস ও রঙ্গব্যঙ্গ মানুষের মধ্যে বিভেদ ঘটায় না বরং সম্পর্ককেআরও মজবুত করে তোলে।  

সত্যি কথা বলতেকি, আজকের দিনে প্রয়োজন এই বিষয়টিরই – প্রয়োজন সেতুবন্ধনের। মানুষে মানুষেসেতুবন্ধনের।  

প্রয়োজনবিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগের সেতু গড়ে তোলা। সমাজ ব্যবস্থাতেও প্রয়োজন এইসেতুবন্ধনের।  

হাস্যরসমানুষের সৃজনশীলতাকে বাড়িয়ে তোলে। কারণ, আমরা বাস করছি এমন এক যুগে, যখন একটিবক্তব্য কিংবা একটি মাত্র ঘটনা সম্ভব করে তুলতে পারে অনেক কিছুই, যা আমাদের এগিয়েযেতে সাহায্য করে। 

বন্ধুগণ, 

এর আগে তুঘলকেরপাঠকদের বার্ষিক বৈঠকে চেন্নাইতে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থেকেছি আমি। 

যেহেতু আপনাদেরএই ধরণের অনুষ্ঠানে চো-এর কন্ঠে শ্রীমদ্‌ভাগ্বত গীতার শ্লোক উচ্চারণের একটি ঐতিহ্যরয়েছে সেই কারণে শ্রী চো-এর সম্মানে আমিও এখানে একটি শ্লোক উচ্চারণ করে আমারবক্তব্য শেষ করব  :

वासांसि   जीर्णानि   यथा   विहाय   नवानि   गृह्णाति   नरोऽपराणि।

तथा   शरीराणि   विहाय   जीर्णान्यन्यानि   संयाति   नवानि   देही।

(যার শাশ্বত তা কখনও এক স্থান থেকে অন্যস্থানে গমন করে না। বরং এক অধিষ্ঠান থেকে অধিষ্ঠিত হয় অন্য কোনও অধিষ্ঠানে)। 

চো রামস্বামী অবাধ বিচরণ করেছেন বিভিন্নক্ষেত্রে। তাঁর এই বহুমুখী অবদানের জন্য আসুন আমরা সকলে মিলে তাঁর উদেশে ধন্যবাদজানাই। সর্বোপরি চো রামস্বামীর মতো এক বিশেষ ব্যক্তি হয়ে ওঠার জন্য আমরা ধন্যবাদজানাই তাঁকে। তিনি ছিলেন এক ও অদ্বিতীয়। 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India's Economic Growth Activity at 8-Month High in October, Festive Season Key Indicator

Media Coverage

India's Economic Growth Activity at 8-Month High in October, Festive Season Key Indicator
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the News9 Global Summit via video conferencing
November 22, 2024

गुटेन आबेन्ड

स्टटगार्ड की न्यूज 9 ग्लोबल समिट में आए सभी साथियों को मेरा नमस्कार!

मिनिस्टर विन्फ़्रीड, कैबिनेट में मेरे सहयोगी ज्योतिरादित्य सिंधिया और इस समिट में शामिल हो रहे देवियों और सज्जनों!

Indo-German Partnership में आज एक नया अध्याय जुड़ रहा है। भारत के टीवी-9 ने फ़ाउ एफ बे Stuttgart, और BADEN-WÜRTTEMBERG के साथ जर्मनी में ये समिट आयोजित की है। मुझे खुशी है कि भारत का एक मीडिया समूह आज के इनफार्मेशन युग में जर्मनी और जर्मन लोगों के साथ कनेक्ट करने का प्रयास कर रहा है। इससे भारत के लोगों को भी जर्मनी और जर्मनी के लोगों को समझने का एक प्लेटफार्म मिलेगा। मुझे इस बात की भी खुशी है की न्यूज़-9 इंग्लिश न्यूज़ चैनल भी लॉन्च किया जा रहा है।

साथियों,

इस समिट की थीम India-Germany: A Roadmap for Sustainable Growth है। और ये थीम भी दोनों ही देशों की Responsible Partnership की प्रतीक है। बीते दो दिनों में आप सभी ने Economic Issues के साथ-साथ Sports और Entertainment से जुड़े मुद्दों पर भी बहुत सकारात्मक बातचीत की है।

साथियों,

यूरोप…Geo Political Relations और Trade and Investment…दोनों के लिहाज से भारत के लिए एक Important Strategic Region है। और Germany हमारे Most Important Partners में से एक है। 2024 में Indo-German Strategic Partnership के 25 साल पूरे हुए हैं। और ये वर्ष, इस पार्टनरशिप के लिए ऐतिहासिक है, विशेष रहा है। पिछले महीने ही चांसलर शोल्ज़ अपनी तीसरी भारत यात्रा पर थे। 12 वर्षों बाद दिल्ली में Asia-Pacific Conference of the German Businesses का आयोजन हुआ। इसमें जर्मनी ने फोकस ऑन इंडिया डॉक्यूमेंट रिलीज़ किया। यही नहीं, स्किल्ड लेबर स्ट्रेटेजी फॉर इंडिया उसे भी रिलीज़ किया गया। जर्मनी द्वारा निकाली गई ये पहली कंट्री स्पेसिफिक स्ट्रेटेजी है।

साथियों,

भारत-जर्मनी Strategic Partnership को भले ही 25 वर्ष हुए हों, लेकिन हमारा आत्मीय रिश्ता शताब्दियों पुराना है। यूरोप की पहली Sanskrit Grammer ये Books को बनाने वाले शख्स एक जर्मन थे। दो German Merchants के कारण जर्मनी यूरोप का पहला ऐसा देश बना, जहां तमिल और तेलुगू में किताबें छपीं। आज जर्मनी में करीब 3 लाख भारतीय लोग रहते हैं। भारत के 50 हजार छात्र German Universities में पढ़ते हैं, और ये यहां पढ़ने वाले Foreign Students का सबसे बड़ा समूह भी है। भारत-जर्मनी रिश्तों का एक और पहलू भारत में नजर आता है। आज भारत में 1800 से ज्यादा जर्मन कंपनियां काम कर रही हैं। इन कंपनियों ने पिछले 3-4 साल में 15 बिलियन डॉलर का निवेश भी किया है। दोनों देशों के बीच आज करीब 34 बिलियन डॉलर्स का Bilateral Trade होता है। मुझे विश्वास है, आने वाले सालों में ये ट्रेड औऱ भी ज्यादा बढ़ेगा। मैं ऐसा इसलिए कह रहा हूं, क्योंकि बीते कुछ सालों में भारत और जर्मनी की आपसी Partnership लगातार सशक्त हुई है।

साथियों,

आज भारत दुनिया की fastest-growing large economy है। दुनिया का हर देश, विकास के लिए भारत के साथ साझेदारी करना चाहता है। जर्मनी का Focus on India डॉक्यूमेंट भी इसका बहुत बड़ा उदाहरण है। इस डॉक्यूमेंट से पता चलता है कि कैसे आज पूरी दुनिया भारत की Strategic Importance को Acknowledge कर रही है। दुनिया की सोच में आए इस परिवर्तन के पीछे भारत में पिछले 10 साल से चल रहे Reform, Perform, Transform के मंत्र की बड़ी भूमिका रही है। भारत ने हर क्षेत्र, हर सेक्टर में नई पॉलिसीज बनाईं। 21वीं सदी में तेज ग्रोथ के लिए खुद को तैयार किया। हमने रेड टेप खत्म करके Ease of Doing Business में सुधार किया। भारत ने तीस हजार से ज्यादा कॉम्प्लायेंस खत्म किए, भारत ने बैंकों को मजबूत किया, ताकि विकास के लिए Timely और Affordable Capital मिल जाए। हमने जीएसटी की Efficient व्यवस्था लाकर Complicated Tax System को बदला, सरल किया। हमने देश में Progressive और Stable Policy Making Environment बनाया, ताकि हमारे बिजनेस आगे बढ़ सकें। आज भारत में एक ऐसी मजबूत नींव तैयार हुई है, जिस पर विकसित भारत की भव्य इमारत का निर्माण होगा। और जर्मनी इसमें भारत का एक भरोसेमंद पार्टनर रहेगा।

साथियों,

जर्मनी की विकास यात्रा में मैन्यूफैक्चरिंग औऱ इंजीनियरिंग का बहुत महत्व रहा है। भारत भी आज दुनिया का बड़ा मैन्यूफैक्चरिंग हब बनने की तरफ आगे बढ़ रहा है। Make in India से जुड़ने वाले Manufacturers को भारत आज production-linked incentives देता है। और मुझे आपको ये बताते हुए खुशी है कि हमारे Manufacturing Landscape में एक बहुत बड़ा परिवर्तन हुआ है। आज मोबाइल और इलेक्ट्रॉनिक्स मैन्यूफैक्चरिंग में भारत दुनिया के अग्रणी देशों में से एक है। आज भारत दुनिया का सबसे बड़ा टू-व्हीलर मैन्युफैक्चरर है। दूसरा सबसे बड़ा स्टील एंड सीमेंट मैन्युफैक्चरर है, और चौथा सबसे बड़ा फोर व्हीलर मैन्युफैक्चरर है। भारत की सेमीकंडक्टर इंडस्ट्री भी बहुत जल्द दुनिया में अपना परचम लहराने वाली है। ये इसलिए हुआ, क्योंकि बीते कुछ सालों में हमारी सरकार ने Infrastructure Improvement, Logistics Cost Reduction, Ease of Doing Business और Stable Governance के लिए लगातार पॉलिसीज बनाई हैं, नए निर्णय लिए हैं। किसी भी देश के तेज विकास के लिए जरूरी है कि हम Physical, Social और Digital Infrastructure पर Investment बढ़ाएं। भारत में इन तीनों Fronts पर Infrastructure Creation का काम बहुत तेजी से हो रहा है। Digital Technology पर हमारे Investment और Innovation का प्रभाव आज दुनिया देख रही है। भारत दुनिया के सबसे अनोखे Digital Public Infrastructure वाला देश है।

साथियों,

आज भारत में बहुत सारी German Companies हैं। मैं इन कंपनियों को निवेश और बढ़ाने के लिए आमंत्रित करता हूं। बहुत सारी जर्मन कंपनियां ऐसी हैं, जिन्होंने अब तक भारत में अपना बेस नहीं बनाया है। मैं उन्हें भी भारत आने का आमंत्रण देता हूं। और जैसा कि मैंने दिल्ली की Asia Pacific Conference of German companies में भी कहा था, भारत की प्रगति के साथ जुड़ने का- यही समय है, सही समय है। India का Dynamism..Germany के Precision से मिले...Germany की Engineering, India की Innovation से जुड़े, ये हम सभी का प्रयास होना चाहिए। दुनिया की एक Ancient Civilization के रूप में हमने हमेशा से विश्व भर से आए लोगों का स्वागत किया है, उन्हें अपने देश का हिस्सा बनाया है। मैं आपको दुनिया के समृद्ध भविष्य के निर्माण में सहयोगी बनने के लिए आमंत्रित करता हूँ।

Thank you.

दान्के !