গুজরাটেরবন্যাবিধ্বস্তঅঞ্চলগুলির পরিস্থিতি বুধবার আকাশপথে খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী।
পরেআমেদাবাদ বিমানবন্দরে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বন্যার ত্রাণ ও উদ্ধার কাজেরওপর্যালোচনা করেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানি সহরাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রী এবং রাজ্য সরকার, বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা তথাপ্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের শীর্ষ কর্তা-ব্যক্তিরা।
বন্যার ফলে রাজ্যেরসামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির একটি চিত্র তুলে ধরা হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। বন্যাপরিস্থিতিতে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজের খুঁটিনাটি সম্পর্কেওবৈঠকে তাঁকে অবহিত করা হয়।
ত্রাণ ওউদ্ধার কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবক’টি সংস্থাকে অবিলম্বে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজেসর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই মর্মে নির্দেশদেন ভারতীয় বিমানবাহিনীকেও। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজের সময় স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা এবংস্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এই বিষয়গুলি যাতেকোনরকমভাবে অবহেলিত না হয়, সেজন্য তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রূপায়ণের পরামর্শ দেনতিনি।
শস্য বিমাসহ বিভিন্ন ধরনের বিমা কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত বিমা সংস্থাগুলিকে অনতিবিলম্বে মোটক্ষয়ক্ষতি ও শস্যহানির বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেনপ্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে, বিমা সম্পর্কিত দাবিদাওয়া যাতে দ্রুত মিটিয়ে ফেলা সম্ভবহয়, সে সম্পর্কে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের কথাও বলেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন যে এর ফলেদ্রুত সুরাহা মিলবে বন্যা কবলিত সাধারণ মানুষের।
বিপর্যস্তজল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ তথা যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত পুনরুদ্ধারেরও নির্দেশ দেনপ্রধানমন্ত্রী।
শ্রী মোদীপরামর্শ দেন যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলির সংস্কার, বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর পুনরুদ্ধার এবংস্বাস্থ্য সহায়তার দ্রুত প্রসারের লক্ষ্যেও অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।
আমেদাবাদবিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেনযে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে গুজরাটে। এই পরিস্থিতিতেবৃহস্পতিবার থেকে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে আরও দশটি হেলিকপ্টার নামানো হচ্ছে। ত্রাণেরকাজে সর্বতোভাবে গতি সঞ্চার করা হচ্ছে - এই তথ্য পেশ করে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র শহরাঞ্চলই নয়,গ্রামাঞ্চলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য সর্বতোভাবে প্রচেষ্টা চালানো হবে। প্রয়োজনেএজন্য স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি – দু’ধরনের ব্যবস্থাই অবলম্বন করা হবে। বন্যাপরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য সরকার এবং অন্যান্য সকল পক্ষের প্রচেষ্টার বিশেষপ্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী।
মৃতদেরনিকটাত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা এবং গুরুতরভাবে আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার টাকা করেএককালীন আর্থিক সহায়তাদানের কথাও ঘোষণা করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যগুলিরবিপর্যয় ত্রাণ তহবিল থেকে অনতিবিলম্বে অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকার সহায়তাদানের কথাওঘোষণা করেন তিনি। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির ফলে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায়রাজ্যবাসী যে আরও বেশি শক্তির পরিচয় দেবেন, সে সম্পর্কে তাঁর দৃঢ় আস্থা ওবিশ্বাসের কথাও ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এই কঠিন সময়কালে কেন্দ্রীয় সরকার যেরাজ্যবাসীর পাশেই রয়েছে, এই প্রতিশ্রুতিরও উল্লেখ করেন তিনি।
I have taken stock of the situation due to floods. Officers from the Government of India will assist in short term & long term measures: PM
— PMO India (@PMOIndia) July 25, 2017
Everything possible will be done to help the farmers, who suffer immensely due to floods: PM @narendramodi in Gujarat pic.twitter.com/djXFV1ILGF
— PMO India (@PMOIndia) July 25, 2017
While reviewing the situation, I could see the Government of Gujarat responded to the flood situation quite swiftly: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) July 25, 2017
Social organisations have also played an active role in rescue and relief operations in the wake of the floods in Gujarat: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) July 25, 2017
The people of Gujarat are blessed with a strong spirit of resilience. These floods will not impact the development journey of Gujarat: PM
— PMO India (@PMOIndia) July 25, 2017
I have faith in the strength of the people of Gujarat: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) July 25, 2017
PM announced an ex-gratia of Rs 2 lakh for next of kin of those killed and Rs 50,000 for those seriously injured due to floods in Gujarat.
— PMO India (@PMOIndia) July 25, 2017