India is a land that is blessed with a rich cultural and intellectual milieu: PM
Our land is home to writers, scholars, saints and seers who have expressed themselves freely and fearlessly: PM
Whenever the history of human civilization has entered the era of knowledge, India has shown the way: PM Modi
Our Saints did things that may seem small but their impact was big and this altered the course of our history: PM
Those who inspire you, inform you, tell you the truth, teach you, show you the right way and awaken you, they are all your gurus: PM
Sri Ramakrishna - the saint of social harmony & link between the ancient and the modern, says PM Narendra Modi

নমস্কার। অভিনন্দনজানাই প্রত্যেককেই।  

স্বামী নির্বানানন্দজিএবং শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসের সকল ভক্তই আজ এখানে সমবেত হয়েছেন। তাঁদেরসকলকেই আমার অভিনন্দন।  

শ্রী রামকৃষ্ণবচনামৃত সম্মেলনের সাতদিনের এই অনুষ্ঠানে আপনাদের মধ্যে উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্যআমার ঘটেছে।  

যখন আমি বাংলার এইমহাত্মা পুরুষের বাণীগুলি অনুধাবনের চেষ্টা করি, তখন আমি যথেষ্ট বিনয়ের সঙ্গেঅভিভূত হয়ে পড়ি একথা চিন্তা করে যে দেশের সর্বত্রই তাঁর মত ও চিন্তাভাবনার কিভাবেবিনিময় ও প্রসার ঘটেছে। তাঁর এই বাণী অনুদিত হয়েছে মালায়লাম ভাষায় এবং তা নিয়েআলোচনা ও বিতর্কের অবকাশ ঘটেছে কেরল রাজ্যেও।  

‘এক ভারত …শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর থেকে আর বড় উদাহরণ কি হতে পারে?  

প্রাচীন পুঁথি-পত্রএবং মহৎ গুরুর বাণী ও শিক্ষাদর্শকে অনুসরণ করেই এক সুদীর্ঘ ঐতিহ্যকে পালন করেআসছেন আপনারা।  

উক্তি ও বচনের মধ্যদিয়ে ভারতের যে বহমান ঐতিহ্যের ধারা তারই একটি বিশেষ অঙ্গ হিসেবে পরিবর্তিত সময় ওপরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিরন্তরভাবে গড়ে উঠেছে এই বিষয়টি। শাশ্বতমূল্যবোধকে অটুট রাখার বাসনা প্রতিফলিত হয়েছে এর মধ্যে।  

এই ঐতিহ্যের সূচনাশ্রুতি থেকে স্মৃতি পর্যন্ত ব্যাপ্ত প্রসারিত।  

ধর্মের উৎসই হলচারিবেদ ও উপনিষদের শ্রুতিগুলি। এই শুদ্ধ ও পবিত্র জ্ঞান এক প্রজন্ম থেকে আর একপ্রজন্মে সঞ্চারিত করে গেছেন ভারতীয় মহাঋষিরা।  

শ্রুতি হল এমনইএকটি বিষয় যা মৌখিক বাণীর মাধ্যমে ঐশ্বরিক জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটায়।  

আর স্মৃতি হলশ্রেণীকক্ষে পাঠ করা এমন কিছু বিষয় যা আমাদের স্মরণশক্তি ও প্রকাশ ক্ষমতার ওপরনির্ভরশীল।  

বেদ ও উপনিষদঅনুধাবন ও উপলব্ধি করা কঠিন ছিল সাধারণ মানুষের পক্ষে ।  এই কারণে গল্পগাথা এবং নীতি-শিক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবেতা হৃদয়ঙ্গম করানোর লক্ষ্যে সূচনা ঘটেছিল স্মৃতির।   

আর এইভাবেই পুরাণ,মহাকাব্য এবং কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র হয়ে উঠেছে স্মৃতির এক একটি আকরগ্রন্থ।  

প্রত্যেকব্যক্তি-মানুষের উপযোগী করে এই শিক্ষা ও বাণীকে প্রচার করার প্রচেষ্টা চলে আসছেযুগ যুগ ধরে।  

সাধারণ মানুষেরকাছে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্যে ধর্ম অর্থাৎ, সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতিকে গ্রহণীয় করে তোলারপ্রচেষ্টা আমরা লক্ষ্য করেছি। প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার অঙ্গই হল এই ধর্ম।  

শ্রীভগবদ্‌-এবর্ণনা রয়েছে দেবর্ষি নারদের কথা যিনি দেবতার গুণকীর্তন করেছেন এইভাবে –

अहो देवर्षिर्धन्योऽयं यत्कीर्तिं शांर्गधन्वन:

गायन्माद्यन्निदं तन्त्रया रमयत्यातुरं जगत्।।

अहो ! ये देवर्षि नारदजी धन्य हैं जो वीणा बजाते, हरिगुण गाते और मस्त होते हुए इस दुखी संसार को आनन्दित करते रहते हैं।

ভক্তিবাদে বিশ্বাসী সাধু-সন্তরা ঐশ্বর ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিলনেরলক্ষ্যে আশ্রয় নিয়েছেন সঙ্গীত, কবিতা ও স্থানীয় তথা আঞ্চলিক ভাষার। বর্ণ, ধর্ম,শ্রেণী ও লিঙ্গভেদের বাধাকে তাঁরা দূরে ঠেলে দিয়েছেন।  

  

সাধু-সন্তদের বাণী ও বার্তাকে আরও বহন করে নিয়ে গেছেন সঙ্গীত শিল্পী, কথকশিল্পী এবং চারণ কবিরা।  

  

কবীরের দোহা এবং মীরার ভজন কন্ঠে নিয়ে গায়করা অতিক্রম করে গেছেন এক গ্রামথেকে অন্য গ্রাম।  

  

ভারত হল বহুমূল্য সংস্কৃতিও মেধাসম্পদে সমৃদ্ধ একটি দেশ।  

  

আমাদের মাতৃভূমি জন্মদিয়েছেন বহু লেখক, বিদগ্ধজন, সাধু-সন্ত ও ফকিরদের।  

  

মানব সভ্যতারইতিহাস যখনই প্রবেশ করেছে জ্ঞানের রাজ্যে, তাকে পথ প্রদর্শন করে এগিয়ে নিয়ে গেছেভারত।  

  

বিদেশিদেরসামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংস্কার প্রচেষ্টার এক সময় খুবই প্রয়োজন দেখাদিয়েছিল ভারতে, একথা আজ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।  

  

উপনিবেশবাদকেপ্রতিষ্ঠা করার উগ্র বাসনা থেকেই তুলে ধরা হয়েছিল এই যুক্তি বা তর্কটিকে।  

  

কিন্তু এই ধরনেরমতবাদ ছিল পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কারণ ভারতের মাটি হল যথেষ্ট উর্বর, যেখানে পরিবর্তনবা রূপান্তরের অঙ্কুরোদগম ঘটেছে বারংবার।  

  

এই পরিবর্তনেরসূচনা হয়েছে মানুষের অন্তর থেকে যার পথিকৃৎ ছিলেন আমাদের সাধু-সন্ত ও ফকিররা।সামাজিক রূপান্তরই ছিল তাঁদের জীবনের ব্রত। আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে যে সমস্তকুফল ও কু-প্রথা ছিল, সেগুলিকে দূর করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য।  

  

সমাজ সংস্কারেরসন্ধান প্রচেষ্টায় তাঁরা সামিল করতে চেয়েছিলেন দেশের প্রত্যেক নাগরিককে।  

  

দেশের কাউকেইতাঁদের এই লক্ষ্যের বাইরে তাঁরা ফেলে যাননি।  

  

আর এই কারণেইআমাদের সভ্যতা সমস্ত বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে আজও স্বমহিমায় সমান সাবলীল।  

  

যুগ বা সময়েরপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু এই সভ্যতার বিনাশ ঘটেনি।  

  

বরং, বহু শতক ধরেচলে আসা প্রথা ও ধ্যান-ধারণাকে আমূল বদলে দিতে পেরেছি আমরা।  

  

কোন কোন প্রথা বহুশতাব্দী ধরেই প্রচলিত ছিল আমাদের দেশে। কিন্তু যখনই মনে হয়েছে যে তা অপ্রয়োজনীয়,তখনই তার পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে।  

  

নতুন নতুনচিন্তাভাবনাকে সর্বদাই আমরা স্বাগত জানিয়েছি।  

  

সাধু-সন্তরা এমনকিছু কাজ করে গেছেন যা হয়তো আকারের দিক থেকে খুবই ছোট, কিন্তু প্রচার ও প্রসারেরদিক থেকে তার বিরাটত্ব অনস্বীকার্য। আর এইভাবেই আমাদের ইতিহাস পরিবর্তিত হয়েছেধারাবাহিকতার সঙ্গেই।  

  

কোন বিশেষসংস্কৃতি বা ধর্ম বিশ্বাস গড়ে ওঠার বহু পূর্বেই এ দেশে লিঙ্গ সমতার কথা প্রচার করেগেছেন সাধ্বী রমণীরা।  

  

তাঁরা নির্ভীকভাবেএই মত ব্যক্ত করে গেছেন তাঁদের বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে।  

  

হিন্দুদার্শনিকতায় কাল বা সময়কে মহাবিশ্বের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।কাল ও সময়ের ব্যবধানে আমরা হয়ে উঠেছি দিক-কাল-বাধিত।  

  

গুরুর ভূমিকাই হলকাল বা সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে শাশ্বত মূল্যবোধকে ব্যাখ্যা করা যাতে বহমান নদীস্রোতেরমতোই মূল্যবোধের বহমানতা নিরন্তরভাবে চলতে থাকে। কারণ, জ্ঞানের ফল্গুধারা সর্বদাইদীপ্ত ও সতেজ।  

  

পুঁথি-পত্রেউল্লেখ রয়েছে  :    

  

प्रेरकः   सूचकश्वैव   वाचको   दर्शकस्तथा   ।  

शिक्षको   बोधकश्चैव   षडेते   गुरवः   स्मृताः   ॥  

  

যাঁরা তোমাকেঅনুপ্রাণিত করেন, যাঁদের দেওয়া তথ্যের আলোকে তুমি উদ্ভাসিত হও, যাঁরা তোমায় প্রকৃতসত্যের উদঘাটনে সাহায্য করেন, যাঁদের শিক্ষাদর্শ হয়ে ওঠে তোমার জীবনের পাথেয়,যাঁরা তোমায় সঠিকভাবে পথনির্দেশ করেন, তোমার সুপ্ত আত্মাকে জাগ্রত করে তোলেন,তাঁরাই হলেন তোমার প্রকৃত গুরু।

কেরলের রূপান্তরপ্রক্রিয়ায় শ্রী নারায়ণ গুরুর ভূমিকা ও অবদানের কথা আমরা আজও স্মরণ করি।  

  

এক অনগ্রসরবর্ণোদ্ভূত হয়েও এই সাধুপুরুষ জাতি-ধর্মের সীমারেখা অতিক্রম করে উত্তরণ ঘটিয়েছিলেনসামাজিক ন্যায়ের।  

  

শিবগিরিতীর্থযাত্রার যখন সূচনা হয়, তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে এর লক্ষ্য হল শিক্ষা,স্বচ্ছতা, ভগবদ প্রেম, সমাজবদ্ধতা, কৃষি, বাণিজ্য, হস্তশিল্প এবং কারিগরিপ্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের ক্রমপ্রসার।  

  

সামাজিক অগ্রগতিরক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের এর থেকে বড় অবদান আর কিই বা হতে পারে?  

  

এই সমাবেশেশ্রীরামকৃষ্ণ সম্পর্কে কিছু বক্তব্য পেশ করা হয়তো নিছক বাতুলতা বলে মনে হতে পারে,কিন্তু যে সমস্ত বিষয় তাঁকে আজও সমান প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে সেগুলি উল্লেখ করারবাসনা থেকে আমি নিজেকে মুক্ত করতে পারছি না।  

  

তিনি ছিলেনভক্তিবাদে বিশ্বাসী সাধু-সন্তদের ঐতিহ্যেরই এক বিশেষ অঙ্গ। কথামৃতে চৈতন্যমহাপ্রভুর অনেক উল্লেখই আমরা দেখতে পাই – তাঁর ভাব সমাধি, সঙ্গীতের মাধ্যমে তাঁরভক্তিরস এবং সর্বোপরি তাঁর নিষ্ঠা ও আকুতি।  

  

ঐতিহ্যকে এক নতুন কলেবরদিয়েছিলেন তিনি এবং তাকে করে তুলেছিলেন অনেক অনেক বলিষ্ঠ।  

  

মানসিক বাধাকেঅতিক্রম করে গেছেন তিনি। এই বাধাই বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মধ্যে বিভেদের জন্ম দেয়।  

  

তিনি ছিলেন সামাজিকসম্প্রীতির এক মূর্ত প্রতীক।  

  

তাঁর বাণী ছিলসহনশীলতা ও আত্মনিবেদনের বাণী। বিভিন্ন নামে পরিচিত অদ্বৈত-এর কাছে আত্মসমর্পণেরবাণী – জ্ঞানী, যোগী বা ভক্ত – যে নামেই তাঁকে ডাকি না কেন। জ্ঞানীদের কাছে যিনিনিরাকার ব্রহ্ম বলে পরিচিত, তিনিই আবার এক অভিন্ন আত্মার প্রতিরূপ যোগীদের কাছে।অন্যদিকে ভক্তরা তাঁকে বন্দনা করেন একান্ত ঈশ্বর ভগবান রূপে।  

  

মুসলিমআচার-আচরণকে যেমন তিনি শ্রদ্ধা করতেন, খ্রিস্টান জীবনাদর্শনেও ছিল তাঁর সমানআগ্রহ। এমনকি, তন্ত্র সাধনা থেকেও দূরে সরে থাকেননি তিনি।  

  

তিনি লক্ষ্যকরেছিলেন যে ঈশ্বর লাভের রাস্তা রয়েছে অনেক। কিন্তু নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁকে ডাকতেপারলে পৌঁছে যাওয়া যায় কাঙ্খিত এক এবং অদ্বিতীয় লক্ষ্যটিতে।  

  

তিনি বলতেন, “যাসত্য তা একান্তভাবেই সত্য, তাকে যেভাবে বা যে নামেই বর্ণনা করা হোক না কেন।”   

  

তিনি আরও বলতেন,“এটি হল অনেকটা জলের মতোই। বিভিন্ন ভাষায় এবং বিভিন্ন নামে আমরা বলে থাকি জল, নীর,পানি ইত্যাদি ইত্যাদি।”  

  

একইভাবে জার্মানভাষায় যা হল ‘ওয়াশার’, তারই আবার ফরাসি প্রতিশব্দ হল ‘ইউ’। আবার, ইটালির ভাষায় যাহল ‘অ্যাকোয়া’, জাপানিরা তাকেই ডাকে ‘মিজু’ নামে।  

  

আর কেরলে আপনারাজলকে বলেন ‘ভেল্লাম’।  

  

তাই, তফাৎ শুধুনামটুকুতেই। চিহ্নিত করা হয় একটিমাত্র বস্তুকেই।  

  

ঠিক একইভাবেপ্রকৃত সত্যকে কেউ ডাকেন ‘আল্লাহ’ বলে, কেউ তাঁকে বলেন ‘ঈশ্বর’, কেউ বা বলেন ‘ব্রহ্ম’,আবার কেউ বা তাঁকে আবাহন করেন ‘কালী’ বলে। ‘রাম’, ‘যীশু’, ‘দুর্গা’ বা ‘হরি’ নামেওতাঁকে অবহিত করেন অনেকেই।  

  

তাঁর শিক্ষাদর্শআজকের দিনে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। কারণ, ধর্ম ও বর্ণের নামে ভেদাভেদ ওবিরুদ্ধাচরণের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় অনেকেরই মধ্যে।  

  

মহাত্মা গান্ধীবলেছিলেন যে ঈশ্বরকে কিভাবে কাছে পাওয়া যায় তা আমরা শিখেছি রামকৃষ্ণের জীবন থেকে।  

  

ঈশ্বরই একমাত্রসত্য, বাকি সবকিছুই মায়া – একথায় যাঁরা বিশ্বাস করেন না, তাঁরা কখনই তাঁর জীবনদর্শনের সন্ধান পেতে পারেন না।  

  

প্রাচীনত্বেরসঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন শ্রীরামকৃষ্ণ।  

  

আধুনিকতার মধ্যেজীবনযাপন করেও সুপ্রাচীন আদর্শ ও অভিজ্ঞতাকে কিভাবে উপলব্ধি করা সম্ভব, তা দেখিয়েগেছেন তিনি।  

  

খুব সহজ-সরল ভাষায়গল্পের ছলে কিংবা বোধগম্য ভাষার বার্তার মধ্য দিয়ে তিনি সেই পথের অনুসন্ধান দিয়েগেছেন।  

  

সহজ সারল্যের জন্যএ সমস্ত কিছুই অক্ষয়, অব্যয় হয়ে রয়েছে শ্রোতাদের মানসপটে।  

  

তাঁর মতো শিক্ষকযদি আমরা না পেতাম, তাহলে স্বামী বিবেকানন্দের মতো একজন শিষ্যেরও আমরা দেখা পেতামনা।  

  

গুরুরচিন্তাদর্শকে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এই মহান কর্মযোগী –   

  

যত্র জীব, তত্র শিব  – যেখানেই রয়েছে প্রাণের সন্ধান, সেখানেই অবস্থান শিবের;  

  

এবং  

  

জীবে দয়া নয়, শিব জ্ঞানে জীব সেবা  – প্রাণীদের প্রতি দয়া বা অনুকম্পা নয়, বরং তাদের সেবাকরতে হবে শিব জ্ঞানে।  

  

দরিদ্র নারায়ণেরসেবা করে যেতে আজীবন।  

  

স্বামী বিবেকানন্দবলতেন … ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?  

  

যাঁরা দরিদ্র,অসহায় এবং দুর্বল তাঁরা কি ঈশ্বর নয়? তাহলে তাঁদেরই প্রথম পুজো করো না কেন? এঁরাইহলেন তোমার প্রকৃত ঈশ্বর।  

  

ভয়শূন্য চিত্তেএবং অদম্য বলে বলীয়ান হয়ে কর্মযোগ সাধনার ক্ষণ এখন উপস্থিত। এইভাবেই দেশকে শীর্ষেনিয়ে যাওয়া সম্ভব –  

  

তাঁর এই উদাত্তআহ্বান আমাদের কাজকর্মে অনুপ্রেরণা যোগায়, আমাদের মধ্যে সাহস সঞ্চার করে।  

  

তাঁর এই অঙ্গীকারও প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশনের সেবা কাজের মধ্য দিয়ে।  

  

এই সেবার আমরাসন্ধান পাই দরিদ্র আদিবাসী এলাকায় অভাব ও বিপর্যয়ের মুহূর্তে। মানুষেরদুঃখ-দুর্দশা দূর করাই যার লক্ষ্য।  

  

কোন ব্যক্তি কোন্‌সম্প্রদায়ের বা তাঁর বর্ণ ও ধর্ম বিশ্বাস কি, সেটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নয়।  

  

যা সবথেকে বেশিগুরুত্বপূর্ণ তা হল নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে তাঁকে কোনভাবে সাহায্য করা যায় কিনাসেকথা চিন্তা করা।  

  

মিশনের ওয়েবসাইটে   

  

আমরা দেখতে পাইএকটি ব্রহ্মবাক্য – আত্মনো মোক্ষার্থম জগত হিতায় চ  

  

ব্যক্তির মুক্তিবিশ্বের কল্যাণে।  

  

सेवा   परमो   धर्म :  

   

पृथिवीं   धर्मणा   धृतां   शिवां   स्योनामनु   चरेम   विश्वहा।  

  ( বসুন্ধরাকে  ধারণ করে রয়েছেন ধর্ম তাই তাঁর সেবা করে যাওয়া আমাদের সদা কর্তব্য )  

  

मैत्री   करुणा   मुदितोपेक्षाणां।  सुख    दु : ख   पुण्यापुण्यविषयाणां।  वनातश्चित्तप्रासादनम्।   

  ( অন্যের দুঃখে  দুঃখ, কারোর পূণ্যে মনে আনন্দ এবংপাপকর্মের প্রতি ঘৃণার ভাব থাকা উচিৎ আমাদের সকলের মধ্যে )  

  

এই দীপশিখাইপ্রজ্জ্বলিত হল আজ। যে সম্মেলনের আজ সূচনা হল তা আলোকিত করুক আমাদের হৃদয়কে – একদীপ সে জ্বলে দুসরা, জ্বলতে দীপ হাজারো।  

  

শ্রী অটল বিহারীবাজপেয়ীজির কথাগুলি আমরা এখানে স্মরণ করতে পারি  : 

  

आओ   फिर   से   दीया   जलाएं  

  भरी   दुपहरी   में   अंधियारा  

  सूरज   परछाई   से   हारा  

  अंतरतम   का   नेह   निचोड़ें –  

  बुझी   हुई   बाती   सुलगाएं।  

  आओ   फिर   से   दीया   जलाएं।  

  

প্রতিটি বস্তুরমধ্যেই ঈশ্বরের অনুসন্ধান প্রচেষ্টায় শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণের বাণী আমাদেরঅনুপ্রাণিত করুক যাতে দরিদ্রতম এবং দুর্বলতম মানুষের প্রতি সেবায় আমরা স্বার্থ ওঅহং-কে বিসর্জন দিতে পারি। আর এইভাবেই সকল ধর্মের যা মূল সুর সেই চরম ও পরমসত্যটিকে আমরা উপলব্ধি করতে পারব।  

  

সেই মহান শিষ্যেরবাণীই আবার আমাকে পথ দেখায়  :  যাই ঘটুক না কেন, আমাদের কর্তব্যই হল কাজ করে যাওয়া। সততবহমান গতিকে আলিঙ্গন করার জন্য সর্বদাই প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের।  

  

তাহলেই আমরা আলোরদর্শন লাভ করব।  

ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

.

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait

Media Coverage

Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to attend Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India
December 22, 2024
PM to interact with prominent leaders from the Christian community including Cardinals and Bishops
First such instance that a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India

Prime Minister Shri Narendra Modi will attend the Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) at the CBCI Centre premises, New Delhi at 6:30 PM on 23rd December.

Prime Minister will interact with key leaders from the Christian community, including Cardinals, Bishops and prominent lay leaders of the Church.

This is the first time a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India.

Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) was established in 1944 and is the body which works closest with all the Catholics across India.