ভারতের সহায়তায় সমগ্র শ্রীলঙ্কা দ্বীপে আপৎকালীন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সম্প্রসারণ উপলক্ষে এক লাইভ ভিডিও সংযোগ ব্যবস্থায় শনিবার ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মিঃ রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেও জাফনা থেকে যোগ দিলেন এই ভিডিও বার্তালাপে।
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি এখানে তুলে দেওয়া হল :
অধ্যাপক মৈত্রী বিক্রমসিঙ্ঘে,
শ্রীলঙ্কার মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গণ,
শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার,
শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী,
শ্রীলঙ্কার মাননীয় সাংসদবৃন্দ,
শ্রদ্ধাভাজন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ,
বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ
এবং বন্ধুগণ,
নমস্কার
আয়ুবাওয়ান
বনক্কম
সরাসরি ভিডিও সংযোগ ব্যবস্থায় আপনাদের সঙ্গে জাফনায় কথা বলার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত।
আমি আরও খুশি এই কারণে যে শ্রীলঙ্কার সর্বত্র জাতীয় জরুরি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সম্প্রসারণের এটি এক উপলক্ষ বিশেষ।
ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে উন্নয়নমুখী অংশীদারিত্বের একটি বড় সাফল্য হিসাবেও এই ঘটনাটি চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
২০১৫ সালে আমার শ্রীলঙ্কা সফরকালে আমার বন্ধুস্থানীয় প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিঙ্ঘে তাঁর দেশে এই ধরণের একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
আমি খুবই আনন্দিত যে ২০১৬-র জুলাইয়ে এই পরিষেবার প্রথম পর্যায়টি চালু হয় শ্রীলঙ্কার পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে।
গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরকালে ঐ দেশের মিত্র স্থানীয় জনসাধারণকে আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে হাসপাতালে ভর্তি প্রক্রিয়ার একটি আপৎকালীন পরিষেবা হিসাবে শ্রীলঙ্কার সর্বত্র অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রসারের লক্ষ্যে ভারত কাজ করে যাবে।
সঠিক সময়ে আমার সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরে আমি আনন্দিত। আজকের এই উপলক্ষটি আমরা এই পরিষেবা সম্প্রসারণের দ্বিতীয় পর্যায় রূপে স্মরণীয় করে রাখতে চাই।
আমি আরও খুশি এই কারণে যে পরিষেবার এই পর্যায়ের সূচনা হল শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চল থেকে। অতীতের অশ্রুমোচন থেকে শুরু করে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আপনাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যেতে ভারত আগ্রহী।
এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সকলেই প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন ভারতে। দক্ষতা এবং স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের চাহিদা পূরণের বিষয়টিও বিশেষভাবে উৎসাহিত হবে।
বন্ধুগণ,
এই ধরণের একটি জরুরি পরিষেবার সূচনা এবং তার প্রসারের কাজে শ্রীলঙ্কার অংশীদার হয়ে ওঠার ঘটনা কোন সমাপতন মাত্র নয়।
সুদিন বা দুর্দিন যখনই হোক না কেন, শ্রীলঙ্কার ডাকে প্রথমেই সাড়া দেওয়ার জন্য ভারত সর্বদাই প্রস্তুত থাকবে।
বৈচিত্র্যপূর্ণ এই দুটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নেতা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিঙ্ঘে এবং আমি সমাজের সকল স্তরে উন্নয়নের সুফলকে পৌঁছে দেওয়ার কাজে বিশ্বাসী।
শ্রীলঙ্কার সকল নাগরিকের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা এবং প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিঙ্ঘের প্রচেষ্টার আমি প্রশংসা করি।
বন্ধুগণ,
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দু’বার শ্রীলঙ্কা সফরের মধুর স্মৃতি আমি বহন করে চলেছি। যে স্নেহ ও ভালোবাসা আমার ওপর বর্ষিত হয়েছিল, তাতে আমি মুগ্ধ।
প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জাফনা সফরের সৌভাগ্যও আমার হয়েছিল। গত বছর রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভেষক দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগও আমি লাভ করেছিলাম। এ সমস্ত কিছুই আমার কাছে এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে রয়েছে।
বন্ধুগণ,
বিশ্বে সবক’টি জাতির অস্তিত্বই তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কযুক্ত।
আমি যখন শ্রীলঙ্কার দিকে দৃষ্টিপাত করি, তখন শুধুমাত্র আমি আমাদের এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রকেই দেখতে পাই না, বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারত মহাসাগরে আমাদের এই বিশেষ ও বিশ্বস্ত অংশীদারকেই আমি দেখতে পাই।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের উন্নয়ন সহযোগিতা আমাদের পারস্পরিক দর্শন ও চিন্তাভাবনার বাস্তবায়নের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম বলেই আমি বিশ্বাস করি।
তিন বছর আগে শ্রীলঙ্কার সংসদে বক্তব্য পেশ করার সম্মান আমি লাভ করেছিলাম। সেখানে নিকট প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্ভাব্য সকল রকম পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেই আমি ভাষণ দিয়েছিলাম।
জাফনার ছাত্র কংগ্রেসের আমন্ত্রণে ১৯২৭ সালে মহাত্মা গান্ধীর একটি উক্তি আমি স্মরণ করি। সেই সময় তাঁকে দক্ষিণের মাতারা থেকে উত্তরের পয়েন্ট পেড্রো পর্যন্ত যাত্রা করে আসতে হয়েছিল। তালাইমান্নার-এর পথ ধরে প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তে জাফনায় অভ্যর্থনা কমিটির কাছে তিনি যে কথা বলেছিলেন, তা হল : “জাফনা তথা সমগ্র সিংহল অঞ্চলের জন্য আমি একটি বার্তাই রেখে যেতে চাই। চোখের আড়াল যেন কখনই মনের আড়াল হয়ে না দাঁড়ায়।”
আজ ঐ একই কথার আমি পুনরুচ্চারণ করতে চাই। আমাদের দুই দেশের সাধারণ মানুষ নিরন্তর একে অপরের পাশে দাঁড়াবে। পরস্পরকে আরও ভালোভাবে জানা এবং নিবিড় বন্ধু হয়ে ওঠার স্বার্থেই তা প্রয়োজন।
ভারতে এসে নতুন ভারত গঠনের অভিজ্ঞতার শরিক হতে আমি আপনাদের উৎসাহিত করব।
আগস্টের প্রথম দিকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিঙ্ঘ ভারত সফরে আসছেন একথা জেনে আমি আনন্দিত। ভারতে আপনার এই সফর ও অবস্থান আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য হয়ে উঠুক, এই শুভেচ্ছা জানাই।
ধন্যবাদ। আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।
I am happy that this is the occasion when the National Emergency Ambulance service is being extended all over Sri Lanka.
— PMO India (@PMOIndia) July 21, 2018
This event marks another major achievement in the development partnership of India and Sri Lanka: PM
During my visit last year, I had promised that India will work for expanding the pre-hospital Emergency Ambulance Service all over Sri Lanka.
— PMO India (@PMOIndia) July 21, 2018
I am happy that India has fulfilled its promise in a timely manner & we have marked the beginning of the 2nd phase of the Service: PM
It is not just a co-incidence that India has the privilege to be Sri Lanka’s partner in establishing this first responder service and in its expansion.
— PMO India (@PMOIndia) July 21, 2018
In good times and bad, India has been, and will always be the first responder for Sri Lanka: PM
When I look at Sri Lanka, I see not only a neighbour, but a very special & trusted partner of India in South Asia and in Indian Ocean.
— PMO India (@PMOIndia) July 21, 2018
I believe that our development cooperation with Sri Lanka is an important means for translating our vision of shared progress into reality: PM
Our people should be in constant touch with each other. So that we know each other better and become even closer friends.
— PMO India (@PMOIndia) July 21, 2018
I would encourage you to come to India and experience the New India that is taking shape: PM