মাননীয়, রাইট অনারেব্ল
প্রধানমন্ত্রী ওলি,
বহুক্ষেত্রীক প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বঙ্গোপসাগরীয় উদ্যোগ বা বিমস্টেক সদস্যভুক্ত দেশগুলি থেকে সমাগত আমার বন্ধু নেতৃবৃন্দ, সবার আগে আমি এই চতুর্থ বিমস্টেক শিখর সম্মেলনের আয়োজক দেশ নেপালে এই সম্মেলনের সফল আয়োজনের জন্য নেপাল সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ওলির প্রতি হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। যদিও এটি আমার জন্য প্রথম বিমস্টেক শিখর সম্মেলন, কিন্তু ২০০৬ সালে গোয়াতে আয়োজিত ব্রিক্স শিখর সম্মেলনের সঙ্গে বিমস্টেক রিট্রিট আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিলাম। গোয়াতে আমরা যে কর্মসূচি স্থির করেছিলাম, সেই অনুসারে টিমগুলি প্রশংসনীয়ভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর তালিকায় ছিল:
· প্রথম বার্ষিক বিমস্টেক বিপর্যয় মোকাবিলায় মহড়ার আয়োজন।
· রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রধানদের দুটি সাক্ষাৎকারের আয়োজন।
· বিমস্টেক ট্রেড ফেসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনায় প্রগতি।
· বিমস্টেক গ্রিড ইন্টারকানেকশন নিয়ে চুক্তি সম্পাদন।
সেজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকল দেশের প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানাই।
সম্মাননীয়েষু,
এই অঞ্চলের সকল দেশের সঙ্গে ভারতের শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, এই সকল দেশের সঙ্গে ভারতের অনেক শতাব্দী-প্রাচীন সভ্যতা, ইতিহাস, কলা, ভাষা, খাদ্যাভ্যাসের অটুট সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। এই অঞ্চলের একদিকে মহান হিমালয় পর্বতমালা, আর অন্যদিকে ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে বঙ্গোপসাগর। এই বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের সকলের উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং প্রগতির স্বার্থে এই সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম। আর, সেজন্য এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলেই ভারতের ‘প্রতিবেশী সর্বাগ্রে’ এবং ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ – এই দুই নীতির সঙ্গম ঘটে।
সম্মাননীয়েষু,
আমরা প্রত্যেকেই উন্নয়নশীল দেশ। নিজের নিজের দেশে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্পন্নতাকেই আমরা অগ্রাধিকার দিই। কিন্তু আজকের পারস্পরিক অন্তরঙ্গ সম্পর্কযুক্ত বিশ্বে এই কাজ কোন দেশ একা করতে পারে না। আমাদের পরস্পরকে সঙ্গ দিতে হবে, আশ্রয় দিতে হবে, পরস্পরের প্রচেষ্টায় সম্পূরক হয়ে উঠতে হবে! আমি মনে করি, সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল আমাদের যোগাযোগ – বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন, পরিবহণ যোগাযোগ ব্যবস্থা, ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা আর প্রত্যেক দেশের জনগণের সঙ্গে অন্য দেশগুলির জনগণের যোগাযোগ – প্রত্যেক মাত্রায় আমাদের কাজ করতে হবে। বিমস্টেক-এ সমুদ্র সৈকতবর্তী জাহাজ চলাচল এবং মোটর ভেহিকেল্স চুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা ভবিষ্যতেও সাক্ষাৎকারের আয়োজন করতে পারি। আমাদের আন্ত্রেপ্রেনিওরদের মধ্যে সম্পর্ক এবং যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য ভারত, ‘বিমস্টেক স্টার্ট-আপ কনক্লেভ’-এর আয়োজন করতে প্রস্তুত। আমাদের দেশগুলি অধিকাংশই কৃষি প্রধান। আর আবহাওয়া পরিবর্তনের লক্ষণগুলির সঙ্গে যুযুধান এবং আশঙ্কায় তটস্থ। এই প্রেক্ষিতে কৃষি অনুসন্ধান, শিক্ষা এবং উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য ভারত, আবহাওয়ার নিরিখে স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থাগুলি নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করবে। ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভারত নিজস্ব ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্ককে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালে প্রসারিত করার জন্য আগে থেকেই সঙ্কল্পবদ্ধ। আমরা একে মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডে প্রসারের প্রস্তাব রাখছি। আমি আশা করি যে সকল বিমস্টেক দেশ এ বছর অক্টোবর মাসে নতুন দিল্লীতে আয়োজিত ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে সামিল হবে। এই কংগ্রেসে বিমস্টেক মিনিস্টেরিয়াল কনক্লেভও থাকবে। বিমস্টেক সদস্য দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ‘সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি ইন্টারভেনশন্স ইন দ্য নর্থ-ইস্টার্ন রিজিয়ন’ নামক একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা এই কর্মসূচিকে বিমস্টেক সদস্য দেশগুলির জন্য প্রসারিত করার প্রস্তাব রাখছি। এর মাধ্যমে গ্রামীণ ক্ষেত্রে জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কৃষি এবং ক্যাপাসিটি বিল্ডিং-কে উৎসাহিত করা যায়। পাশাপাশি, ভারতের ‘নর্থ-ইস্টার্ন স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার’-এও বিমস্টেক সদস্য দেশগুলির গবেষক, ছাত্র এবং পেশাদারদের জন্য আমরা ২৪টি ছাত্রবৃত্তি চালু করছি।
সম্মাননীয়েষু,
এই ক্ষেত্রের জনগণের মধ্যে অনেক শতাব্দী পুরনো সম্পর্ক আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করে। আর, এই সম্পর্কগুলির একটি বিশেষ পর্যায় হল বৌদ্ধ ধর্ম এবং দর্শন। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ভারত ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনক্লেভ-এর আয়োজন করবে। আমি এই উপলক্ষে সকল বিমস্টেক সদস্য দেশগুলিকে ‘গেস্ট অফ অনার’ রূপে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাই। আমাদের নবীন প্রজন্মের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে উৎসাহিত করতে ভারত বিমস্টেক ইয়ুথ সামিট এবং বিমস্টেক ব্যান্ড ফেস্টিভ্যাল-এর আয়োজনের প্রস্তাব রেখেছে। পাশাপাশি, বিমস্টেক ইয়ুথ ওয়াটার স্পোর্টস-এরও আয়োজন আমরা করতে পারি। বিমস্টেক দেশগুলির নবীন ছাত্রছাত্রীদের জন্য নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০টি ছাত্রবৃত্তি এবং জিপমর ইনস্টিটিউট-এ অ্যাডভান্সড মেডিসিনের জন্য ১২টি রিসার্চ ফেলোশিপ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ভারতের আইটেক কর্মসূচির অন্তর্গত পর্যটন, পরিবেশ, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, কৃষি, বাণিজ্য এবং ডব্ল্যুটিও-র মতো বিষয়গুলি নিয়ে ১০০টি শর্ট টার্ম ট্রেনিং কোর্সও চালু করা হবে। বঙ্গোপসাগর এলাকার কলা, সংস্কৃতি, সামুদ্রিক আইন এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে গবেষণার জন্য আমরা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেন্টার ফর বে অফ বেঙ্গল স্টাডিজ চালু করব। এই কেন্দ্রে আমদের সংশ্লিষ্ট সমস্ত দেশের ভাষাগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করার সূত্রগুলি নিয়েও গবেষণা করা যাবে। আমাদের প্রত্যেক দেশের নিজস্ব দীর্ঘ ইতিহাস এবং ইতিহাস বিজড়িত পর্যটনের সম্ভাবনা বাস্তবায়িত করার জন্য ঐতিহাসিক ইমারত এবং স্মারকগুলির সংস্কারের জন্য আমরা
সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারি।
সম্মাননীয়েষু,
আঞ্চলিক সংহতি তথা আর্থিক প্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের এই মিলিত প্রচেষ্টার সাফল্যের জন্য এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার আবহ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হিমালয় এবং বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় অবস্থিত আমাদের এই দেশগুলিকে বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়। কখনও বন্যা, কখনও ঝড়, কখনও ভূমিকম্প। এই প্রেক্ষিতে পরস্পরের সঙ্গে মানবিক সহায়তা এবং বিপর্যয় ত্রাণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমদের মধ্যে সহযোগিতা এবং সমন্বয় বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের অঞ্চলে ভৌগোলিক স্থিতি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বাণিজ্য পথগুলির সঙ্গে। আর আমদের প্রত্যেকের অর্থনীতিতেও ‘নীল অর্থনীতি’র বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পাশাপাশি, আগামী ডিজিটাল যুগে আমাদের অর্থনীতিতে সাইবার অর্থনীতির গুরুত্বও অনেক বাড়বে। এটা স্পষ্ট যে আমাদের ক্ষেত্রীয় নিরাপত্তা সহযোগিতায় এই সকল বিষয় নিয়ে সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমাদের দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। আর সেজন্য আগামী মাসে ভারতে বিমস্টেক মাল্টি-ন্যাশনাল মিলিটারি ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ আয়োজন করা হচ্ছে। সেই কনক্লেভে আমি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির স্থল সেনানায়কদের স্বাগত জানাই। ভারত বিমস্টেক দেশগুলির একটি ট্রাই সার্ভিসেস হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড ডিজাস্টার রিলিফ এক্সারসাইজ-এরও আয়োজন করবে। দ্বিতীয় বার্ষিক বিমস্টেক ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এক্সারসাইজ আয়োজনের জন্য ভারত প্রস্তুত। আমরা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কর্মরত আধিকারিকদের জন্য কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত। ভারত ‘নীল অর্থনীতি’তে সকল বিমস্টেক দেশগুলির যুবক-যুবতীদের জন্য একটি হ্যাকাথন-এর আয়োজন করবে। এতে ‘নীল অর্থনীতি’র সম্ভাবনা ও সহযোগিতাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
সম্মাননীয়েষু,
আমাদের মধ্যে এমন কোন দেশ নেই যারা সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ট্র্যান্স-ন্যাশনাল অপরাধ এবং ড্রাগ চোরাচালানের মতো সমস্যার সম্মুখীন নয়। বিভিন্ন নেশাদ্রব্য সম্পর্কিত বিষয়ে আমরা বিমস্টেক ফ্রেমওয়ার্কে একটি সম্মেলনের আয়োজন করতে প্রস্তুত। এটা স্পষ্ট যে এই সমস্যাগুলি কোন একটি দেশের আইন ও শৃঙ্খলার সমস্যা নয়। এর মোকাবিলা করতে হলে আমাদের একজোট হতে হবে। আর সেজন্য আমাদের যথাযথ আইন এবং নিয়মাবলী প্রস্তুত করতে হবে। এই প্রেক্ষিতে আমাদের আইন প্রণয়নকারী বিশেষ করে, মহিলা সাংসদদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। আমার প্রস্তাব যে আমাদের বিমস্টেক উইমেন পার্লামেন্টারিয়ান ফোরাম স্থাপন করা উচিৎ।
সম্মাননীয়েষু,
বিগত দু’দশকে বিমস্টেক উল্লেখযোগ্য প্রগতি করেছে। কিন্তু আমাদের সামনে অনেক দীর্ঘ যাত্রাপথ। আমাদের আর্থিক সংহতিকে আরও নিবিড় করার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আর এটাই আমাদের থেকে আমাদের জনগণ চায়। এই চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন আমাদের জনমানসে আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং অভিলাষা পূর্ণ করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের ভালো সুযোগ। এই চতুর্থ শিখর সম্মেলনের ঘোষণা এমনই অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ধারণ করবে। এর মাধ্যেম বিমস্টেক-এর সংগঠন এবং প্রক্রিয়া অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবে। পাশাপাশি, বিমস্টেক প্রক্রিয়াকে বাস্তব রূপদান এবং শক্তিশালী করে তোলার জন্য এই শিখর সম্মেলনের সাফল্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক রূপে প্রমাণিত হবে। এর জন্য আয়োজক দেশ নেপাল সরকার, প্রধানমন্ত্রী ওলি এবং সকল অংশগ্রহণকারী নেতাদের আমি অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই। আগামীদিনেও ভারত আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার জন্য সঙ্কল্পবদ্ধ।
ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Digital connectivity के क्षेत्र में भारत अपने National Knowledge Network को श्रीलंका, बांग्लादेश, भूटान और नेपाल में बढ़ाने के लिए पहले से ही प्रतिबद्ध है: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 30, 2018
August 2020 में भारत International Buddhist कोनक्लेव की मेज़बानी करेगा।
— PMO India (@PMOIndia) August 30, 2018
मैं सभी बिम्सटेक सदस्य देशों को इस अवसर पर Guest of Honour के रूप में भागीदारी का निमंत्रण देता हूँ: PM
बंगाल की खाड़ी क्षेत्र में कला, संस्कृति, सामुद्रिक कानूनों एवं अन्य विषयों पर शोध के लिए हम नालंदा विश्वविद्यालय में एक Centre for Bay of Bengal Studies की स्थापना भी करेंगे: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 30, 2018
हिमालय और बंगाल की खाड़ी से जुड़े हमारे देश, बार-बार प्राकृतिक आपदाओं का सामना करते रहते हैं। कभी बाढ़, कभी साईक्लोन, कभी भूकंप।
— PMO India (@PMOIndia) August 30, 2018
इस सन्दर्भ में, एक दूसरे के साथ humanitarian assistance और disaster relief प्रयासों में हमारा सहयोग और समन्वय बहुत आवश्यक है: PM
हममें से कोई भी देश ऐसा नहीं है जिसने आतंकवाद और आतंकवाद के networks से जुड़े ट्रांस-नेशनल अपराधों और drug trafficking जैसी समस्याओं का सामना नहीं किया हो।
— PMO India (@PMOIndia) August 30, 2018
नशीले पदार्थों से संबंधित विषयों पर हम बिम्सटेक frame-work में एक conference का आयोजन करने के लिए तैयार हैं: PM