প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ন্যাসকম টেকনোলজি অ্যান্ড লিডারশিপ ফোরামে ভাষণ দিয়েছেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী করোনার সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী সহনশীলতা ও নমনীয়তা দেখানোর জন্য তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না, তখন আপনারা কোডিং-এর মাধ্যমে পরিষেবা অব্যাহত রেখেছিলেন। তিনি আরও জানান, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ২ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে এবং অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা সত্ত্বেও ৪ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের ভারত অগ্রগতির ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী এবং সরকার এই প্রবণতা সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তিনি আরও বলেন, ১৩০ কোটি ভারতীয়ের প্রত্যাশাই আমাদেরকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এক নতুন ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে বেসরকারি ক্ষেত্র থেকেও অনেক আশা-আকাঙ্খা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, এরাও সরকারেরই অঙ্গ। তিনি জানান, ভবিষ্যতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে বর্তমানে যে সমস্ত নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা রয়েছে, তা এই শিল্পের অগ্রগতির পক্ষে অনুকূল নয়। এ ব্যাপারে সরকার সচেতন রয়েছে বলেও তিনি জানান। তাই, অপ্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা থেকে প্রযুক্তি শিল্প ক্ষেত্রকে রেহাই দিতে সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে।
ভারতকে বিশ্বের সফটওয়্যার প্রোডাক্ট হাব হিসাবে গড়ে তুলতে জাতীয় স্তরে যে কম্যুনিকেশন পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে, তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় অন্যান্য ক্ষেত্রের পরিষেবাদাতাদের জন্যও নীতি-নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়। তিনি বলেন, ১২টি অগ্রণী পরিষেবা ক্ষেত্রের সঙ্গে তথ্য পরিষেবা ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্তির ফলে সুফল পাওয়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মানচিত্র ও ভৌগোলিক এলাকা সম্পর্কিত তথ্যের আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে যে উদারীকরণ করা হয়েছে, তা প্রযুক্তি সংক্রান্ত স্টার্টআপ-গুলির বিকাশে অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তুলবে এবং আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আরও প্রসার ঘটাবে।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, নতুন সুযোগ-সুবিধাগুলির সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে তরুণ শিল্পোদ্যোগীদের স্বাধীনতা থাকা প্রয়োজন। স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবকদের প্রতি সরকারের পূর্ণ আস্থা রয়েছে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, স্বশাসন এবং প্রশাসনিক কাজে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের উদারীকরণের মতো পদক্ষেপগুলিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
প্রশাসনিক কাজকর্মে স্বচ্ছতা বজায় রাখা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ছে। তাই, সাধারণ মানুষ যাতে প্রতিটি বিষয়ের ওপর নজর রাখতে পারেন, তার জন্য সরকারি ব্যবস্থাকে ফাইল বন্দী করার পরিবর্তে ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে জনসমক্ষে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ড্যাশবোর্ড ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে প্রশাসনিক কাজকর্মে আরও অগ্রগতি হয়েছে এবং সরকারি ই-মার্কেটপ্লেস পোর্টালের মাধ্যমে সংগ্রহ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনিক কাজকর্মে প্রযুক্তির প্রয়োগ আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির সঙ্গে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে, দরিদ্র মানুষের জন্য বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রেও জিও ট্যাগিং ব্যবস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছে, যাতে এ ধরনের কর্মসূচিগুলি সময়াসীমার মধ্যে শেষ করা যায়। গ্রামীণ পরিবারগুলির মানচিত্র প্রণয়নে দ্রোণ প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে স্বচ্ছতা আরও বাড়াতে মানুষের হস্তক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্টার্টআপ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতাদের পণ্য ও পরিষেবা ক্ষেত্রে মূল্য নিরূপণের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে তাদের চিন্তাভাবনার পরিধি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী স্টার্টআপ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতাদের এমন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দেন, যা দীর্ঘস্থায়ী হবে, এমন বিশ্বমানের পণ্য সামগ্রী উৎপাদনের পরামর্শ দেন, যা উৎকর্ষতার দিক থেকে নতুন মান স্থির করবে। প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তি শিল্পপতিদের তাঁদের উৎপাদিত পণ্য পরিষেবায় মেক ইন ইন্ডিয়া বিষয়টিকে আরও বেশি প্রাধান্য দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করতে বলেন। ভারতীয় প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার গতি বজায় রাখতে নতুন মাপকাঠি প্রণয়নের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, শিল্পপতিদের পণ্য ও পরিষেবা ক্ষেত্রে উৎকর্ষতার মান বজায় রাখতে হবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাকেও আরও সুদৃঢ় করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তি শিল্পপতিদের বিশ্বমানের পণ্য সামগ্রী উৎপাদনের আহ্বান জানিয়ে ২০৪৭ সালের মধ্যে স্বাধীনতার শতবার্ষিকীতে তাঁদের এ ধরনের পণ্য সামগ্রী উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা লক্ষ্য স্থির করুন, দেশ আপনাদের পাশে রয়েছে”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে ভারত যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে চলেছে, তার উপযুক্ত সমাধান খুঁজে বের করার দায়িত্ব প্রযুক্তি শিল্প সংস্থাগুলিকে নিতে হবে। তিনি বলেন, প্রযুক্তি শিল্প সংস্থাগুলিকে কৃষি ক্ষেত্রের জন্য জল ও মাটির উর্বরতা, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ, টেলিমেডিসিন ও শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে হবে। দক্ষতা ও উদ্ভাবনের প্রসারে জাতীয় শিক্ষা নীতি, অটল টিঙ্কারিং ল্যাব এবং অটল ইনক্যুবেশন সেন্টার গড়ে তোলার মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথাপি, এই ক্ষেত্রগুলিতে শিল্প সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শিল্প সংস্থাগুলিকে তাদের কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব পালন খাতে প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে এবং ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারে সংস্থাগুলিকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। শিল্পোদ্যোগী ও উদ্ভাবকদের কাছে টিয়ার-২ ও টিয়ার-৩ শহরগুলিতে নতুন যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা তৈরি হচ্ছে, সেদিকেও দৃষ্টি দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
नया भारत प्रगति के लिए अधीर है।
— PMO India (@PMOIndia) February 17, 2021
हमारी सरकार नए भारत की इस भावना को समझती है।
130 करोड़ से अधिक भारतीयों की आकांक्षाएं हमें तेज़ी से आगे बढ़ने के लिए प्रेरित करती हैं।
नए भारत से जुड़ीं अपेक्षाएं जितनी सरकार से हैं, उतनी ही देश के प्राइवेट सेक्टर से भी हैं: PM
हमारी सरकार ये भलीभांति जानती है कि बंधनों में भविष्य की लीडरशिप विकसित नहीं हो सकती।
— PMO India (@PMOIndia) February 17, 2021
इसलिए सरकार द्वारा Tech Industry को अनावश्यक regulations से, बंधनों से बाहर निकालने का प्रयास किया जा रहा है: PM
हमारे इंफ्रास्ट्रक्चर से जुड़े प्रोजेक्ट्स हों या गरीबों के घर, हर प्रोजेक्ट्स की Geo Tagging की जा रही है, ताकि वो समय पर पूरे किए जा सकें।
— PMO India (@PMOIndia) February 17, 2021
यहां तक कि आज गांवों के घरों की मैपिंग ड्रोन से की जा रही है, टैक्स से जुड़े मामलों में भी ह्यूमेन इंटरफेस को कम किया जा रहा है: PM
मेरा start-up founders के लिए एक संदेश है।
— PMO India (@PMOIndia) February 17, 2021
खुद को सिर्फ valuations और exit strategies तक ही सीमित मत करिए।
Think how you can create institutions that will outlast this century.
Think how you can create world class products that will set the global benchmark on excellence: PM