শোভনা ভারতীয়া মহোদয়া,
উপস্থিত সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ,
ভাই ও বোনেরা,
আরেকবার আপনাদের মাঝে আসার সুযোগ পেলাম। অনেক পরিচিত মুখও দেখতে পাচ্ছি। আমাকে আরেকবার ডাকার জন্য হিন্দুস্থান টাইমস্ গ্রুপ এবং তাদের পাঠকবর্গকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
বন্ধুগণ, দু’বছর আগে আমি যখন প্রথমবার এই শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে এসেছিলাম, তখন বিষয় ছিল ‘উজ্জ্বলতর ভারতের পথে’, কেবলমাত্র দু’বছর, এই দু’বছরের মধ্যে আজ আমাদের বিষয় বদলে হয়েছে ‘অপরিবর্তনীয় ভারতের উত্থান’। এটা নিছকই বিষয়ের পরিবর্তন নয়, এটা দেশের ভাবনার পরিবর্তন, দেশের আত্মবিশ্বাসের পরিবর্তনের প্রতীক।
আমরা যদি দেশকে একটি সম্পূর্ণতা নিয়ে দেখি, একটি জীবন্ত অস্তিত্ব হিসাবে দেখি, তা হলে আজ আমাদের দেশে যে ইতিবাচক চরিত্র তৈরি হয়েছে, তা আগে কখনও ছিল না। আমার মনে পড়ে না যে, দেশের দরিদ্র মানুষজন, নবীন প্রজন্ম, মহিলারা, কৃষকরা, শোষিত-বঞ্চিতরা নিজেদের সামর্থ্য, নিজেদের উপাদান এবং নিজেদের স্বপ্নের ওপর এতটা ভরসা আগে কখনও করেননি।
এই ভরসার পরিবেশ আজ তৈরি হয়েছে। আমরা ১২৫ কোটি ভারতবাসী মিলে দিনরাত এক করে এই পরিবেশ তৈরি করেছি। এভাবে দেশবাসী যখন নিজের ও দেশের ওপর ভরসা করে – এটাই যে কোনও দেশকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দেওয়ার মন্ত্র।
আজ গীতা জয়ন্তী, গীতাতে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে –
উদ্ধরেত আত্মন আত্মানম ন আত্মানং অবসাদয়েত আত্মেব-আত্মন বন্ধু আত্মেব রিপুর আত্মনা – অর্থাৎ, নিজেকে ওপরে ওঠাও, নেতিবাচক চিন্তাকে প্রশ্রয় দিও না, নিজেই নিজের বন্ধু আর নিজেই নিজের শত্রু।
আর সেজন্য ভগবান বুদ্ধ বলেছিলেন –
‘অপ্প দীপো ভব’ অর্থাৎ, নিজের আলো নিজেই হয়ে ওঠো।
১২৫ কোটি ভারতবাসীর ক্রমবর্ধমান আস্থা এই দেশের উন্নয়নে একটি মজবুত ভিত্তি গড়ে তুলছে। এই সভাগৃহে উপস্থিত প্রত্যেক ব্যক্তি থেকে শুরু করে এই হোটেলের বাইরে যাঁরা অটোরিক্শা চালান, যাঁরা রিক্শা চালান, যাঁরা ক্ষেতের কাজ করছেন কিংবা যাঁরা সারা রাত বরফের মধ্যে দাঁড়িয়ে সীমান্ত প্রহরার পর এখন কোনও তাঁবুতে ঘুমিয়ে আছেন, তাঁদের সকলের তপস্যার পরিণাম এই মজবুত ভিত্তি। এমনি প্রত্যেক ভারতবাসীর তপস্যার কারণেই আমরা ‘উজ্জ্বলতর ভারতের পথে’ থেকে এগিয়ে ‘অপরিবর্তনীয় ভারতের উত্থান’ নিয়ে কথা বলতে পারছি।
বন্ধুগণ, ২০১৪ সালে দেশের মানুষ নিছকই সরকার বদলানোর জন্য ভোট দেননি, তাঁরা ভোট দিয়েছিলেন দেশ বদলানোর জন্য। ব্যবস্থায় এমন পরিবর্তন আনার জন্য যা স্থায়ী হবে, অপরিবর্তনীয় হবে। স্বাধীনতার এত বছর পরও আমাদের ব্যবস্থার দুর্বলতা আমাদের দেশের সাফল্যের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল।
একটা এমন ব্যবস্থা ছিল, যা দেশবাসীর ক্ষমতা সঠিক ব্যবহার করতে পারছিল না। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দেশের কোনও না কোনও ব্যক্তিকে এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছিল। এটা শুধু আমার প্রচেষ্টা নয়, এটা আমার অঙ্গীকারও যে, সেই লড়াকু মানুষদের আর ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে না। তাঁদের জীবনে অপরিবর্তনীয় পরিবর্তন আসবে, তাঁরা সরল জীবনযাপনের পথে এগিয়ে যাবেন।
ছোট ছোট বিষয়ের জন্য রেল, বাসের টিকিট, রান্নার গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ, হাসপাতালে ভর্তি, পাসপোর্ট, ইনকাম ট্যাক্স রিফান্ড পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে যাতে হয়রান না হতে হয়।
বন্ধুগণ, বর্তমান সরকার দুর্নীতিমুক্ত, জনগণ-কেন্দ্রিক আর উন্নয়ন-বান্ধব, বাস্তুতন্ত্রকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছে। নীতি-ভিত্তিক, প্রযুক্তি-ভিত্তিক, স্বচ্ছ ব্যবস্থা-ভিত্তিক একটি এমন বাস্তু ব্যবস্থা, যাতে ভুলভ্রান্তি ও লিকেজের সম্ভাবনা কম থাকে।
আমি যদি জন ধন যোজনার কথাই বলি, এটি গরিব মানুষের জীবনে এমন পরিবর্তন এনেছে, যা আগে কেউ ভাবতেই পারতেন না। এখন সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে আর প্রত্যেক জন ধন অ্যাকাউন্টধারীকে রুপে ডেবিট কার্ডও প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের ১২৫ কোটি জনগণের মধ্যে এরকম মানুষের সংখ্যা ৩০ কোটিরও বেশি।
সেই গরিবের আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে ভাবুন, যখন তিনি ব্যাঙ্কে গিয়ে পয়সা জমা করেন, যখন রুপে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করেন – এই আত্মবিশ্বাসই এখন স্থায়ী হয়ে উঠেছে। একে কেউ বদলাতে পারবে না।
তেমনই উজ্জ্বলা যোজনা গ্রামে বসবাসকারী ৩ কোটিরও বেশি মহিলার জীবনে স্থায়ী পরিবর্তন এনেছে। তাঁরা নিছকই নিঃশুল্ক গ্যাস সংযোগ পাননি, সুরক্ষা পেয়েছেন, স্বাস্থ্য পেয়েছেন, উদ্বৃত্ত সময় পরিবারের জন্য দিতে পারছেন।
এমনই কোটি কোটি মহিলাদের কথা ভাবুন, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের কারণে যাঁদের জীবনে পরিবর্তন এসেছে। সরকারের উদ্যোগে শুধু কোটি কোটি শৌচালয় নির্মাণ করেনি, মা ও বোনেদের সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিয়েছে, যা তাঁদেরকে প্রতিদিন সন্ধ্যার অন্ধকার নামা পর্যন্ত সহ্য করতে হ’ত।
কেউ কেউ হয়তো খানিকটা নোংরার ছবি তুলে তর্ক করেছেন, লিখেছেন, টিভিতে দেখিয়েছেন, কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারাও জানেন যে, এই অভিযান দেশের তৃণমূল স্তরে কতটা অপরিবর্তনীয় পরিবর্তন এনেছে।
ভাই ও বোনেরা, আমি জানিনা, এই সভাগৃহে উপস্থিত কতজন এটা অনুভব করবেন, এখান থেকে বেরোনোর পর যত টাকা আপনারা পার্কিং-এ টিপস্ হিসাবে দেবেন, তার থেকে অনেক কম টাকায় আজ গরিব মানুষ জীবন বিমা’র কিস্তি জমা দিতে পারেন।
ভাবুন, মাসিক এক টাকা কিস্তিতে দুর্ঘটনা বিমা, দিন প্রতি ৫০ পয়সা কিস্তিতে জীবন বিমা! আজ দেশে ১৫ কোটিরও বেশি গরিব মানুষ সরকারের এই সকল যোজনার দ্বারা উপকৃত। এই সকল যোজনা বাবদ ইতিমধ্যেই গরিবদের ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ ফেরৎ দেওয়া হয়েছে। এত টাকা অন্য কোনও সরকার দিলে তাদেরকে মসিহা রূপে তুলে ধরা হ’ত।
গরিবদের জন্য এত বড় কাজ হয়েছে, কিন্তু আমার মনে হয় না কেউ এই অগ্রগতির কথা তুলে ধরতে উৎসুক। আমি এলইডি বাল্বের উদাহরণ দিচ্ছি। আগের সরকারের আমলে যে এলইডি বাল্ব ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হ’ত এখন তা ৫০ টাকায় পাওয়া যায়। উজালা যোজনা শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ২৮ কোটি এলইডি বাল্ব বিক্রি হয়েছে। এই বাল্বগুলি ব্যবহারের ফলে ইতিমধ্যেই আনুমানিক ১৪ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
এমনটা নয় যে, সাশ্রয়ের ফলে বিদ্যুতের বিল এখন যেমন কম আসছে ভবিষ্যতে তেমন কম আসা বন্ধ হয়ে যাবে। এই সাশ্রয়ও জারি থাকবে। এই সাশ্রয়ও এখন স্থায়ী সাশ্রয়।
ভাই ও বোনেরা, আগের সরকারকে এরকম পদক্ষেপ নিতে কেউ বাধা দিয়েছিল বলে আমার জানা নেই। কিন্তু এটুকু জানি যে, ব্যবস্থায় স্থায়ী পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্যে কেউ যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, দেশের ভালোর জন্য কেউ সিদ্ধান্ত নিলে সেটাকে আটকানো যায় না।
যাঁরা একথা বিশ্বাস করেন না যে, দেশে যাদুদন্ড ঘুরিয়ে পরিবর্তন আনা যায় না, হতাশা এবং নিরাশায় পূর্ণ পরিবেশে এই পদ্ধতি আমাদের নতুন এবং সৃষ্টিশীল কিছু করতে বাধা দেয়।
এই পদ্ধতি আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা দেয়। সেজন্য বর্তমান সরকারের পদ্ধতি একেবারেই আলাদা। যেমন – ইউরিয়াতে নিম কোটিং-এর উদাহরণ যদি দিই, আগের সরকারও ইউরিয়াতে ৩৫ শতাংশ নিম কোটিং দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। যদিও গোটা ব্যবস্থাই জানতো যে, ৩৫ শতাংশ নিম কোটিং করলে কোনও লাভ হবে না। ইউরিয়ার চোরাপাচার রুখতে তাকে ১০০ শতাংশ নিম কোটিং করাতেই হবে। তবেই এই নিম কোটিংযুক্ত ইউরিয়া আর চোরাপথে পাচার হবে না।
ভাই ও বোনেরা, এই সিদ্ধান্তের ফলে বিভিন্ন রাসায়নিক সার কারখানায় চোরাপথে ভর্তুকিযুক্ত ইউরিয়া পাচার থামিয়ে দেওয়ায় এখন দেশে আর ইউরিয়ার সঙ্কট নেই। ব্যবস্থায় দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষককেও এখন তাঁদের ক্ষেতে তুলনামূলক কম ইউরিয়া মেশাতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই কম ইউরিয়া দেওয়ার ফলে ফলনের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেমনই এখন আমরা দেশে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলছি যার মাধ্যমে কৃষকরা যে কোনও প্রান্ত থেকেই নিজের ফসল ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন। ফলে দেশে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। ই-ন্যাম অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ন্যাশনাল এগ্রিকালচার মার্কেট থেকে ইতিমধ্যেই দেশের সাড়ে চারশো বাজারকে অনলাইনে যুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই মঞ্চ দেশের সমস্ত কৃষকদের তাঁদের ফসলের ন্যায্য দাম পেতে সাহায্য করবে।
সম্প্রতি সরকার দেশের কৃষিতে সরবরাহ শৃঙ্খলকে মজবুত করার জন্যে, গুদামজাতকরণ ব্যবস্থাকে মজবুত করার জন্যে “প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্পদা যোজনা”র সূচনা করেছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল, ক্ষেতে কিম্বা বাগিচায় উৎপন্ন ফসলকে বাজারে পৌঁছনোর আগেই খারাপ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করা। সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রটিকেও মজবুত করছে যাতে কৃষকের ক্ষেত একটি শিল্প-এককের মতো কাজ করে।
সরকার ফুড পার্ক এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত প্রযুক্তি বাবদ, আধুনিক গুদাম নির্মাণ বাবদ, কৃষি-প্রক্রিয়াকরণের সম্পূর্ণ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সরকার ৬ হাজার কোটি টাকার থেকেও বেশি খরচ করতে যাচ্ছে।
ভাই ও বোনেরা, সময়ের সঙ্গে জৈব চাষ এবং জৈব উৎপাদনের চাহিদা নিয়মিত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিকিমের মতোই দেশের বেশ কিছু রাজ্যের ১০০ শতাংশ জৈব রাজ্য হয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ করে, হিমালয়ের পাদদেশের রাজ্যগুলি। সেজন্য সরকার ১০ হাজার ক্লাস্টার গড়ে তুলে সেখানে জৈব চাষকে উৎসাহ প্রদানের প্রকল্প চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সম্প্রতি আমরা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভাই ও বোনেরা, আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, এতদিন দেশের আইনে বাঁশকে একটি গাছ হিসাবে দেখা হ’ত। ফলে, কৃষকদের বাঁশ কাটতে অনেক সমস্যা হ’ত। এখন সরকার বাঁশকে গাছের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। এরফলে, দেশের প্রান্তিক অঞ্চলগুলিতে বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের কৃষকরা লাভবান হবেন, যাঁরা বাঁশের আসবাবপত্র এবং নানা হস্তশিল্প নির্মাণ করে জীবকার্জন করেন।
বন্ধুগণ, আমাদের সরকার সব সিদ্ধান্তই দেশের প্রয়োজন বুঝে সার্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে নেয়। আগে কখনও এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে দেশের মানুষ দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতেন। তাঁরা দেশকে দুর্নীতিমুক্ত দেখার পাশাপাশি নতুন ব্যবস্থার নির্মাণ প্রক্রিয়াও দেখতে চাইছিলেন।
ভাই ও বোনেরা, আমাদের ব্যবস্থায় দুর্নীতিকেই নিয়মে পরিণত করা হয়েছিল। কালোটাকাই দেশের প্রতিটি বড় ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণ করছিলো। ২০১৪সালে দেশের ১২৫ কোটি মানুষ এই ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্যে ভোট দিয়েছিল। তাঁরা ভোট দিয়েছিলেন দেশকে নানা স্থায়ী রোগের হাত থেকে মুক্ত করতে, তাঁরা ভোট দিয়েছিলেন নতুন ভারত গড়ে তুলতে।
বিমুদ্রাকরণের পর দেশে যে ধরনের চরিত্রগত পরিবর্তন এসেছে তা আপনারা নিজেরাই হয়তো অনুভব করছেন। স্বাধীনতার পর প্রথমবার এমন হয়েছে যখন দুর্নীতিবাজরা কালোটাকার লেনদেন করতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁরা ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন। যে কালোধন আগে সমান্তরাল অর্থনীতির ভিত্তি ছিল, বিমুদ্রাকরণেরর পর তা মূলস্রোতে ফিরে এসেছে, ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ফিরে এসেছে; প্রমাণ সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে। সরকারের হাতে যে নতুন তথ্যভাণ্ডার এসেছে তা কোনও গুপ্তধনের খোঁজ থেকে কোনও অংশে কম নয়। এই তথ্যভাণ্ডারে খননকার্য চালিয়ে জানা গেছে যে আমাদের দেশে একই ঠিকানা থেকে চার- পাঁচশো কোম্পানি চলতো আর এক একটি কোম্পানির দু-হাজারের মতো ব্যাঙ্ক আকাউন্ট ছিল। কেমন আজব বৈপরীত্য দেখুন, একদিকে একজন গরিবের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে কত সমস্যা হতো আর অন্যদিকে একটি কোম্পানি কত সহজে কয়েকহাজার অ্যাকাউন্ট খোলাতে পারতো!
বিমুদ্রাকরণের পর এই অ্যাকাউন্টগুলি খুলে তাঁরা কিভাবে সরকারকে ফাঁকি দিয়েছে তা ধরা পড়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এরকম দু’লক্ষ কোম্পানির নথিভুক্তিকরণ বাতিল করা হয়েছে। এই কোম্পানিগুলির ডাইরেক্টরদের চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের দায়িত্ব ছিল এটা দেখা যাতে কোম্পানিগুলি নিয়ম মেনে কাজ করছে কিনা! তাঁরা এখন আর কোনও কোম্পানির ডাইরেক্টর হতে পারবেন না!
বন্ধুগণ, এটা একটি এমন পদক্ষেপ, যা আমাদের দেশের আর্থিক স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। জিএসটি চালু করাও দেশের আর্থিক স্বচ্ছতার জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ৭০ বছরে যে ব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল, ব্যবসা করতে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হ’ত, সেগুলিকে পেছনে ফেলে দেশ এখন এগিয়ে চলেছে।
জিএসটি’র মাধ্যমেও দেশে স্বচ্ছতার একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। অধিকাংশ ব্যবসায়ী এই সৎ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। বন্ধুগণ, আধার কার্ডের সাহায্যে এমনই এক অপরিবর্তনীয় পরিবর্তন ত্বরান্বিত হচ্ছে। আধার এমন একটি শক্তি, যার মাধ্যমে সরকার গরিবের অধিকার সুনিশ্চিত করতে চায়।
সস্তা রেশন, ছাত্রবৃত্তি, ওষুধের খরচ, পেনশন, নানা সরকারি ভর্তুকি, গরিবদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠাতে আধার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আধার-এর সঙ্গে মোবাইল এবং জন ধন অ্যাকাউন্টের শক্তি যুক্ত হয়ে একটি এমন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, যা কয়েক বছর আগে কল্পনাও করা যেত না।
বিগত তিন বছরে আধার-এর সাহায্যে ব্যবস্থা থেকে কয়েক কোটি ভুতুড়ে নাম হটানো হয়েছে। এখন তো এটি বেনামী সম্পত্তির বিরুদ্ধেও একটি বড় হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।
ভাই ও বোনেরা, বর্তমান সরকার সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রেও পুরনো পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে। আমরা গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট প্লেস বা জেম নামক একটি নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। এর মাধ্যমে দরপত্র ঘোষণা করে এখন সরকারি দপ্তরগুলির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা হচ্ছে। এর মাধ্যমে যে কোনও হস্তশিল্প নির্মাতা, ক্ষুদ্র শিল্প এবং সমবায় সমিতিগুলিও সরকারকে জিনিস বিক্রি করতে পারছে।
ভাই ও বোনেরা, আমরা একটি এমন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যাচ্ছি, যাতে ব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দুর্নীতি ও কালো টাকা রোজগারের সম্ভাবনা নিশ্চিহ্নপ্রায় হবে। যেদিন দেশের সমস্ত বেচাকেনা, টাকা-পয়সার লেনদেন প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ডিজিটাল ঠিকানায় হতে শুরু হবে, সে দিন থেকে সংগঠিত দুর্নীতি অনেকটাই থেমে যাবে। আমি জানি, এজন্য আমাকে রাজনৈতিকভাবে বড় মূল্য দিতে হতে পারে, কিন্তু তার জন্য আমি প্রস্তুত।
বন্ধুগণ, প্রকল্পগুলি দ্রুত বাস্তবায়িত হলেই দেশের প্রগতি ত্বরান্বিত হয় নিশ্চয়ই কোনও পরিবর্তন এসেছে, যার ফলে সমস্ত সরকারি প্রকল্পে কাজের গতি বেড়েছে। উপাদান একই, উৎস একই, কিন্তু ব্যবস্থায় গতি এসেছে। সরকারি আমলাতন্ত্রেও এমনি নতুন কর্মসংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। আমলারা অনেক বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছেন বলেই এই গতি আনা সম্ভব হয়েছে।
- এর ফলেই পূর্বতন সরকারের আমলে প্রতিদিন গড়ে ১১ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণ হ’ত আর এখন প্রতিদিন গড়ে ২২ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মিত হয়।
- বিগত সরকারের শেষ তিন বছরে গ্রামে ৮০ হাজার কিলোমিটার সড়কপথ নির্মিত হয়েছিল, আমাদের সরকার বিগত তিন বছরে গ্রামে ১ লক্ষ ২০ হাজার সড়কপথ নির্মাণ করেছে।
- বিগত সরকার শেষ তিন বছরে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন বিস্তার ঘটিয়েছে। আমরা বিগত তিন বছরে ২ হাজার ১০০ কিলোমিটারের থেকেও বেশি রেল লাইন বিছিয়েছি।
- বিগত সরকারের শেষ তিন বছরে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছিল। বর্তমান সরকারের তিন বছরে ৪ হাজার ৩০০ কিলোমিটারের বেশি রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছে।
- বিগত সরকারের শেষ তিন বছরে প্রায় ১ লক্ষ ৪৯ হাজার কোটি টাকার মূলধনী ব্যয় হয়েছে, বর্তমান সরকারের প্রথম তিন বছরে প্রায় ২ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকার মূলধনী ব্যয় হয়েছে।
- বিগত সরকারের শেষ তিন বছরে প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনক্ষমতা ন্যাশনাল গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বর্তমান সরকারের তিন বছরে ২২ হাজার মেগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনক্ষমতা ন্যাশনাল গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
- বিগত সরকারের সময় জাহাজ পরিবহণ শিল্পে কার্গো হ্যান্ডলিং-এর বৃদ্ধি ঋণাত্মক ছিল। বর্তমান সরকার এক্ষেত্রে তিন বছরে ১১ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করেছে।
বন্ধুগণ, তৃণমূল স্তরে সংস্কার না করলে সকল উন্নয়নকর্মে এই গতি বৃদ্ধি সম্ভব হ’ত না! সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। বড় এবং স্থায়ী পরিবর্তন আনতে হলে গোটা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হয়। আমরা এই পরিবর্তন আনতে পেরেছি বলে বিগত তিন বছরে বিশ্বে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর র্যাঙ্কিং-এ ভারত ১৪২ থেকে এগিয়ে ১০০ নম্বরে পৌঁছে গেছে।
ভাই ও বোনেরা, আপনারা সবাই জানেন যে, ২০১৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করার সময় আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে কী কী পেয়েছি! অর্থ বযবস্থা কেমন খারাপ ছিল, প্রশাসন, রাজকোষের স্থিতি এবং র্যাঙ্কিং ব্যবস্থা – সবকিছু নড়বড়ে অবস্থায় ছিল। ঐ পরিস্থিতিকে আপনারা খবরের কাগজের শিরোনামে ‘নীতি পক্ষাঘাত’ আখ্যায়িত হতে দেখেছি।
ভাবুন, আমাদের দেশকে তখন ‘ফ্র্যাজাইল ফাইভ’ বা ‘ভঙ্গুর পাঁচ’ দেশের অন্যতম বলে মনে করা হ’ত। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাগুলি এই ভেবে ভারতে বিনিয়োগ করতে ভয় পেত যে এই ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে বিনিয়োগ করলে তাদেরও না ভরাডুবি হয়! আজ ভারত কোথায় দাঁড়িয়ে, কিভাবে দাঁড়িয়ে – সে সম্পর্কে আপনারা খুব ভালোভাবে জানেন। বড় হোক কিংবা ছোট, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ আজ ভারতের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত ক্রমাগত নিজের প্রভাব বৃদ্ধি করেছে। এখন আর থামা নয়, শুধুই এগিয়ে যাওয়া।
বন্ধুগণ, যখন একটি দেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উঠে দাঁড়ায়, তখন ‘অপরিবর্তনীয়’ আর ‘পরিবর্তনীয়’ সংজ্ঞার উর্ধ্বে চলে যায়। যখন একটি দেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পা বাড়ায়, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তখন তাই-ই হয়, যা বিগত ৭০ বছরে হয়নি।
‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস’-এর নির্বাচনে ভারতের সাফল্য গোটা বিশ্বে ভারতের প্রতি ভাবনায় পরিবর্তনের প্রতীক। ভাই ও বোনেরা, যখন রাষ্ট্রসঙ্ঘে সর্বসম্মতিক্রমে ভারতের প্রস্তাব অনুমোদন করে বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন শুরু হয়েছিল, তখন থেকেই এর অপরিবর্তনীয় উত্থান লক্ষ্য করা গেছে।
যখন ভারতের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সৌর সংঘ গড়ে ওঠে, তখন এর অপরিবর্তনীয় উত্থান পরিলক্ষিত হয়।
বন্ধুগণ, আমাদের সরকার কূটনীতিকেও মানবতার সঙ্গে জুড়েছে, মানবিক সংবেদনের সঙ্গে জুড়েছে। নেপালে ভয়ানক ভূমিকম্প বিধ্বংসী রূপ নিয়ে ভারতই প্রথম ত্রাণ ও পুনর্বাসনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রলয়ঙ্কারী বন্যাতেও ভারতীয় নৌ-বাহিনীর তৎপরতায় সবার আগে সাহায্য পৌঁছেছে। মালদ্বীপে পানীয় জলের সঙ্কট হলে ভারত জাহাজ ভরে ভরে পানীয় জল সরবরাহ করেছে। ইয়েমেনে সঙ্কটকালে ভারত নিজের দেশের ৪ হাজার নাগরিকের পাশাপাশি আরও ৪৮টি দেশের ২ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে এনেছে। ভারতের এই ক্রমবর্ধমান সাহায্যের হাত আর আত্মবিশ্বাসের ফলেই আজ বিদেশে বসবাসকারী প্রত্যেক ভারতীয় মাথা উঁচু করে সকলেরর চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে।
বিদেশেও যখন ‘অবকি বার ক্যামেরন সরকার’ আর ‘অবকি বার ট্রাম্প সরকার’ শ্লোগান শোনা যায়, তখন গোটা বিশ্বে ভারতীয়দের সামর্থ্যের স্বীকৃতি অনুভব করা যায়। ভাই ও বোনেরা, প্রত্যেক সংগঠন, প্রতিটি সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি যখন নিজের সামর্থ্য বুঝে, নিজস্ব স্তরে পরিবর্তনের সূত্রপাত করবে, তখনই ‘নতুন ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। ‘নতুন ভারত’-এর এই স্বপ্ন আমি একা দেখছি না, আপনারাও দেখছেন। আজকের সময়ের দাবি হ’ল, রাষ্ট্র নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি সংস্থাকে দেশের প্রয়োজন বুঝে, দেশের সামনে উপস্থিত প্রতিস্পর্ধাগুলিকে বুঝে নিজের স্তরে সংকল্প গ্রহণ করতে হবে।
২০২২ সালে, দেশ যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব পালন করবে, তার আগেই আমাদের সংকল্প-সাধন করতে হবে। আমি আপনাদের কোনও পরামর্শ দিতে পারব না, কিন্তু আমাদের সকলের প্রিয়, ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি ডঃ আব্দুল কালামের একটি বক্তব্য মনে করাতে চাই। তিনি বলেছিলেন –
“আমাদের এখানে সংবাদ মাধ্যম এত নেতিবাচক কেন? ভারতে আমরা নিজেদের ক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে লজ্জিত থাকব কেন? আমাদের দেশ এত মহান, আমাদের এত অদ্ভুত সাফল্যের কাহিনী আছে, তারপরও আমরা সেসব স্বীকার করতে অস্বীকার করি। এমনটি কেন হয়”?
কয়েক বছর আগেই তিনি এই বক্তব্য রেখেছিলেন। আপনাদের মতো বিদ্বজ্জনদের ভালো লাগলে নিউজ রুম এবং সেমিনারে এই বিষয়ে আলোচনা করুন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারাও যে পরিবর্তন আনবেন, তা অপরিবর্তনীয় হবে।
এই মঞ্চ থেকে আমি গোটা দেশের সংবাদ মাধ্যমকে আহ্বান জানাই। আপনারাও সংকল্প গ্রহণ করুন, অন্যদেরকেও প্রেরণা যোগান। যেমন আপনারা ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’কে নিজেদের অভিযান হিসাবে গ্রহণ করে সারা দেশে একটি জনআন্দোলনে পরিবর্তিত করার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন, তেমনই সংকল্প থেকে সিদ্ধির এই যাত্রাপথেও নেতৃত্ব দিন।
এই কটি শব্দ বলেই আমি নিজের বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আরেকবার হিন্দুস্থান টাইমস্ গ্রুপকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জয়হিন্দ।
इस सरकार के लिए Corruption Free, Citizen-Centric और Development Friendly Ecosystem सबसे बड़ी प्राथमिकता है। नीतियों पर आधारित, तकनीक पर आधारित, पारदर्शिता पर आधारित एक ऐसा Ecosystem जिसमें गड़बड़ी होने की, लीकेज की, गुंजाइश कम से कम हो: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
देश के 15 करोड़ से ज्यादा गरीब सरकार की बीमा योजनाओं से जुड़ चुके हैं। इन योजनाओं के तहत गरीबों को लगभग 1800 करोड़ रुपए की claim राशि दी जा चुकी है। इतने रुपए किसी और सरकार ने दिए होते तो उसे मसीहा बनाकर प्रस्तुत कर दिया गया होता. ये भी एक सच है जिसे मैं स्वीकार करके चलता हूं
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
:PM
पहले की सरकार में जो LED बल्ब 300-350 का बिकता था, वो अब एक मध्यम वर्ग के परिवार को लगभग 50 रुपए में उपलब्ध है। उजाला योजना शुरू होने के बाद से देश में अब तक लगभग 28 करोड़ LED बल्ब बिक चुके हैं। इन बल्बों से लोगों को 14 हजार करोड़ रुपए से ज्यादा की अनुमानित बचत हो चुकी है: PM
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
पहले ही सरकारों को ऐसा करने से किसी ने रोक रखा था या नहीं, ये मैं नहीं जानता। लेकिन इतना जानता हूं कि सिस्टम में स्थाई परिवर्तन लाने फैसले लेने से, देशहित में फैसला लेने से, किसी के रोके नहीं रुकेंगे। इसलिए इस सरकार की अप्रोच इससे बिल्कुल अलग है: PM
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
अब तक बांस को देश के एक कानून में पेड़ माना जाता था। इस वजह से बांस काटने को लेकर किसानों को बहुत दिक्कत आती थी। अब सरकार ने बांस को पेड़ की लिस्ट से हटा दिया है। इसका फायदा देश के दूर-दराज इलाके और खासकर उत्तर पूर्व के किसानों को होगा: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
हमारी सरकार में holistic approach के साथ फैसले लिए जाते हैं। इस तरह के फैसले पहले नहीं लिए जा रहे थे, इसलिए देश का हर व्यक्ति चिंता में था। वो देश को आंतरिक बुराइयों से मुक्त देखने के साथ ही, नई व्यवस्थाओं के निर्माण को भी होते हुए देखना चाहता था: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
हमारे यहां जो सिस्टम था उसने भ्रष्टाचार को ही शिष्टाचार बना दिया था। 2014 में देश के सवा सौ करोड़ों ने इस व्यवस्था को बदलने के लिए वोट दिया था, वोट दिया था देश को लगी बीमारियों के परमानेंट इलाज के लिए, उन्होंने वोट दिया था न्यू इंडिया बनाने के लिए: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
Demonetisation के बाद देश में behavioural change आया है। स्वतंत्रता के बाद पहली बार ऐसा हुआ है, जब भ्रष्टाचारियों को कालेधन के लेन-देन से पहले डर लग रहा है। उनमें पकड़े जाने का भय आया है। जो कालाधन पहले पैरेलल इकॉनॉमी का आधार था, वो Formal Economy में आया है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
ऐसे ही एक Irreversible Change को आधार नंबर से मदद मिल रही है। आधार एक ऐसी शक्ति है जिससे ये सरकार गरीबों के अधिकार को सुनिश्चित कराना चाहती है। सस्ता राशन, स्कॉलरशिप, दवाई का खर्च, पेंशन, सरकार की तरफ से मिलने वाली सब्सिडी, गरीबों तक पहुंचाने में आधार की बड़ी भूमिका है: PM
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
आधार के साथ मोबाइल और जनधन की ताकत जुड़ जाने से एक ऐसी व्यवस्था का निर्माण हुआ है, जिसके बारे में कुछ साल पहले तक सोचा भी नहीं जा सकता था। पिछले 3 वर्षों में आधार की मदद से करोड़ों फर्जी नाम सिस्टम से हटाए गए हैं। अब बेनामी संपत्ति के खिलाफ भी ये एक बड़ा हथियार बनने जा रहा है: PM
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
जिस दिन देश में ज्यादातर खरीद-फरोख्त, पैसे के लेन-देन का एक Technical और Digital Address होने लग गया, उस दिन से Organised Corruption काफी हद तक थम जाएगा। मुझे पता है, इसकी मुझे राजनीतिक तौर पर कितनी बड़ी कीमत चुकानी पड़ेगी, लेकिन उसके लिए भी मैं तैयार हूं: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
जब योजनाओं में गति होती है, तभी देश में प्रगति आती है। कुछ तो परिवर्तन आया होगा जिसकी वजह से सरकार की तमाम योजनाओं की स्पीड बढ़ गई है। साधन वही हैं, संसाधन वहीं हैं, लेकिन सिस्टम में रफ्तार आ गई है। ऐसा हुआ है क्योंकि सरकार ब्यूरोक्रेसी में एक नई कार्यसंस्कृति डवलप कर रही है: PM
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
बड़े और स्थाई परिवर्तन ऐसे ही नहीं आते उसके लिए पूरे सिस्टम में बदलाव करने पड़ते हैं। जब ये बदलाव होते हैं तभी देश सिर्फ तीन साल में Ease Of Doing Business की रैकिंग में 142 से 100 पर पहुंच जाता है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
2014 में जब हम आए तो हमें विरासत में क्या मिला था? अर्थव्यवस्था की हालत, गवर्नेंस की हालत, Fiscal Order और बैंकिंग सिस्टम की हालत, सब बिगड़ी हुई थी। हमारा देश Fragile Five में गिना जाता था: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
आज Globally भारत कहां खड़ा है, किस स्थिति में है, आप उससे भली-भांति परिचित हैं। बड़े हों या छोटे, दुनिया के ज्यादातर देश आज भारत के साथ कंधे से कंधा मिलाकर चलना चाहते हैं। अंतरराष्ट्रीय मंच पर भारत अपना प्रभाव लगातार बढ़ा रहा है। अब तो रुकना नहीं है, आगे ही बढ़ते जाना है: PM Modi
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
जब योग को United Nations में सर्वसम्मति से मान्यता मिलती है, तब उसका Irreversible Rise दिखता है। जब भारत की पहल पर International Solar Alliance का गठन होता है, तब उसका Irreversible Rise दिखता है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017
ये भारत की बढ़ती हुई साख और बढ़ते हुए विश्वास का परिणाम है कि आज विदेश में रह रहे करोड़ों भारतीय अपना माथा और ऊँचा करके बात कर रहे हैं। जब विदेश में “अबकी बार कैमरन सरकार” और “अबकी बार ट्रंप सरकार” के नारे गूंजते हैं, तो ये भारतीयों के सामर्थ्य की स्वीकृति होती है: PM
— PMO India (@PMOIndia) November 30, 2017