মিঃ জোকনসেপশিয়ন,
চেয়ারম্যানআসিয়ানবাণিজ্য উপদেষ্টা পরিষদ;
মাননীয়নেতৃবৃন্দ,
ভদ্রমহিলা ওভদ্রমহোদয়গণ!
প্রথমেই, বিলম্বেরজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। রাজনীতির মতো বাণিজ্যিক কাজকর্মেও সময় এবং তা সঠিকভাবে অনুসরণকরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কখনও কখনও আমাদের সকল রকম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তামেনে চলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফিলিপিন্স-এ প্রথম সফরে এসে এবং ম্যানিলায় উপস্থিতথাকতে পেরে আমি খুশি।
ভারত এবংফিলিপিন্স-এর মধ্যে অনেকগুলি বিষয়েই বেশ মিল রয়েছে :
· দুটি দেশেই রয়েছে বহুত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থা এবং এক প্রাণবন্ত গণতন্ত্র।
· বিশ্বের দ্রুততম গতিতে বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতিগুলির মধ্যে অন্যতম হলআমাদের এই দুটি দেশ।
· আমাদের দু’দেশেরই রয়েছে এক বিরাট সংখ্যক তরুণ এবং আশা-আকাঙ্ক্ষায়উদ্দীপ্ত জনসাধারণ যাঁরা খুবই পরিশ্রমী এবং উদ্ভাবনী প্রচেষ্টায় বিশেষভাবে আগ্রহী।
শুধু তাইনয়, ভারতের মতো ফিলিপিন্স-এর সরকারও পরিবর্তনের প্রত্যাশী। অন্তর্ভুক্তিমূলকবিকাশ, পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণায় তারা আগ্রহী।আমাদের শীর্ষস্থানীয় অনেকগুলি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাই যে এখানে বিনিয়োগ প্রচেষ্টায়যুক্ত রয়েছে, তাতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। তাদের মাধ্যমে হাজার হাজার কর্মসংস্থানেরসুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি, ফিলিপিন্স-এর পরিষেবা ব্যবস্থাকে বিশ্বের সর্বত্র পৌঁছেদেওয়া সম্ভব হয়েছে।
বন্ধুগণ,
আজ সকালে আসিয়ানশীর্ষ বৈঠকের সূচনা অনুষ্ঠানে রামায়ণ অবলম্বনে ‘রাম হরি’ নামে একটি নৃত্যনাট্যেরঅসাধারণ পরিবেশন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির জনসাধারণকিভাবে ঐতিহাসিক দিক থেকে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন তাই তুলে ধরা হয়েছে এইপরিবেশনাটিতে। এই বন্ধন শুধুমাত্র ঐতিহাসিক নয়, এ হল সদা প্রাণোচ্ছল এক মিলিতঐতিহ্যের বন্ধন। আমার সরকারের ‘পুবের জন্য কাজ করো’ নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেএই অঞ্চলটি। আসিয়ানভুক্ত প্রত্যেকটি দেশের সঙ্গে আমাদের রয়েছে এক ব্যতিক্রমীরাজনৈতিক তথা জনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক। আমাদের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিকসম্পর্ককেও আমরা সেই উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগ্রহী।
বন্ধুগণ,
ভারতেররূপান্তর প্রক্রিয়ার কাজ এগিয়ে চলেছে নজিরবিহীনভাবে। এক সহজ, কার্যকর এবং স্বচ্ছপ্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশাসন ও পরিচালনকে যাতে আরও ভালো ও দক্ষ করেতোলা যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য দিন-রাত অহরহ পরিশ্রম করে চলেছি আমরা।
একটিদৃষ্টান্ত এখানে তুলে ধরা যাক : টেলিযোগাযোগসংক্রান্ত স্পেকট্রাম, কয়লা খনি অঞ্চল ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ, এমনকি বেসরকারিবেতার চ্যানেল সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সহায়সম্পদের নিলাম ব্যবস্থাকে আমরা উদার করেতুলেছি। এ সমস্ত কিছু থেকেই রাজস্ব সংগৃহীত হয়েছে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একদিকে যেমন আমরা আমাদের দায়িত্বশীলতার প্রসারঘটিয়েছি, অন্যদিকে তেমনই বৈষম্য এবং দুর্নীতিকেও কমিয়ে আনতে পেরেছি। আর্থিক লেনদেনএবং কর ব্যবস্থায় আমরা এক অভিন্ন পরিচিতি ব্যবস্থা চালু করেছি যার ফলাফল ইতিমধ্যেইসকলে লক্ষ্য করেছেন। এই সমস্ত প্রচেষ্টা এবং তার সঙ্গে উচ্চ মূল্যের ব্যাঙ্ক নোটেরবিমুদ্রাকরণআমাদের অর্থনীতির এক বিশাল ক্ষেত্রকে ব্যবহারিক করে তুলেছে। নতুনকরদাতাদের আয়কর রিটার্ন পেশের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অন্যদিকে,ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনের মাত্রা এক বছরের মধ্যেই বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৪ শতাংশ। কারণ,কম নগদের অর্থনীতির পথে আমরা ক্রমশ এগিয়ে চলেছি। সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে যাওয়ারলক্ষ্যে আমরা আশ্রয় নিয়েছি প্রযুক্তির। নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য আমরাচালু করেছি ‘মাই গভ’ নামে এক অনলাইন ব্যবস্থা যার মাধ্যমে প্রায় ২০ লক্ষের মতোকাজ-পাগল নাগরিকদের কাছ থেকে আমরা নীতি ও কর্মসূচি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা,পরামর্শ এবং পন্থা-পদ্ধতির হদিশ লাভ করতে পেরেছি।
আমরা সূচনাকরেছি ‘প্রগতি’ নামে ইতিবাচক কর্মপ্রচেষ্টা এবং সঠিক সময়ে তা রূপায়ণ সম্পর্কিত একনতুন কাঠামোগত ব্যবস্থা। এই মঞ্চটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মী ও আধিকারিকদেরসঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মসূচি রূপায়ণ এবং জনসাধারণের অভাব-অভিযোগেরনিরসন সম্পর্কিত বিষয়গুলি আমি পর্যালোচনা করে দেখার সুযোগ পাই। ‘ন্যূনতম সরকারিহস্তক্ষেপ, সর্বোচ্চ প্রশাসন’ – এই নীতির ওপর জোর দিয়ে ইতিমধ্যেই ১,২০০টি অপ্রচলিতআইন আমরা বাতিল বলে ঘোষণা করেছি গত তিন বছরে।
দেউলিয়া এবংঋণ খেলাপি সম্পর্কিত নতুন নতুন আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং সেইসঙ্গে আইপিআরও মধ্যস্থতার বিষয়গুলি এক এক করে আমরা চালু করেছি। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্রআদায়ের বাধ্যবাধকতা থেকে আমরা মুক্ত করে দিয়েছি ৩৬টির মতো শ্বেত শিল্পকে। কোনসংস্থা বা কোম্পানির নথিভুক্তিকরণ এখন একদিনের ব্যাপার মাত্র। শিল্প লাইসেন্সেরমতো বিষয়টিকে আমরা সরল করে তুলেছি এবং পরিবেশ ও অরণ্য সংক্রান্ত ছাড়পত্র লাভেরজন্য চালু করেছি অনলাইন আবেদন ব্যবস্থা। এ সমস্ত কিছুই নতুন বাণিজ্যিক উদ্যোগ গড়েতোলার কাজকে খুবই সহজ করে তুলেছে। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলাফলও আমরা লক্ষ্য করেছি।
বাণিজ্যিককাজকর্মকে সহজতর করে তোলার ক্ষেত্রে এ বছরের বিশ্ব ব্যাঙ্কের সূচক অনুযায়ী ভারতএখন অতিক্রম করে এসেছে আরও ৩০টি ধাপ। এই বছরটিতে এই মাত্রায় উত্তরণের কৃতিত্ব আরঅন্যকোন দেশইদেখাতে পারেনি। ভারতের দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার প্রচেষ্টার এ হল এক সফলস্বীকৃতি।
সমগ্রবিশ্বই এখন লক্ষ্য করেছে যে :
– বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামুখিনতার সূচকে গতদু’বছরে আমরা অতিক্রম করেছি ৩২টি স্থান।
– ডব্ল্যুআইপিও-র বিশ্ব উদ্ভাবন সূচকঅনুযায়ী আমরা দু’বছরে উঠে এসেছি আরও ২১ ধাপ ওপরে।
– বিশ্বব্যাঙ্কের ২০১৬-র সার্বিক সাফল্যের সূচক অনুসারে আমরা অতিক্রম করেছি১৯টি ধাপ।
বন্ধুগণ,
আমাদেরঅর্থনীতির অধিকাংশ ক্ষেত্রই এখন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত।প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই চালু হয়েছে স্বয়ংক্রিয় অনুমোদনদানেরব্যবস্থা। তাই, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে ভারত বর্তমানে রয়েছেপুরোভাগে। গত তিন বছরের তুলনায় এ বছর আমরা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ লাভ করেছি ৬৭শতাংশেরও বেশি। এই কারণে বর্তমানে আমরা বিশ্বে এক সুসংহত অর্থনীতি রূপে পরিচিতিলাভ করেছি। এর থেকেও বড় কথা হল, এই সমস্ত মাইলফলক আমরা স্থাপন করতে পেরেছি বেশকয়েকটি বড় ধরনের সাম্প্রতিক সংস্কার কর্মসূচিতে হাত দেওয়ার আগেই।
এ বছর জুলাইমাসে সারা দেশে এক অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর ব্যবস্থা চালু করার মতো একটি দুরূহকাজ আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। এর ফলে, ভারতে রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বহুবিধকর আরোপের ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়েছে। আমাদের দেশের বিশালত্ব এবং বৈচিত্র্য এবংরাষ্ট্র পরিচালনার যুক্তরাষ্ট্রীয় ধ্যান-ধারণার নিরিখে এই সাফল্য কোন অংশেই কম নয়।তাসত্ত্বেও আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এই সাফল্যই কিন্তু যথেষ্ট নয়।
বন্ধুগণ,ভারতীয় জনসাধারণের এক বিশাল অংশ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পরিধির বাইরে ছিল। এর ফলে,সঞ্চয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক ঋনের সুযোগ-সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত থেকে গিয়েছিলেন।কিন্তু ‘জন ধন যোজনা’র মাধ্যমে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই কোটি কোটি ভারতবাসীর জীবনেপরিবর্তন সূচিত হয়েছে। মাত্র এক বছরের মধ্যেই খোলা হয়েছে ১৯ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যাঙ্কঅ্যাকাউন্ট।
এ বছর আগস্টমাস পর্যন্ত ভারতের ব্যাঙ্কগুলিতে খোলা হয়েছে ২৯ কোটি এই ধরনের অ্যাকাউন্ট। নগদছাড়াই খুব সহজে আর্থিক লেনদেনের জন্য প্রায় ২০ কোটি রুপে কার্ড এ পর্যন্ত বন্টনকরা হয়েছে। এইভাবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গে দরিদ্র সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার ফলেতা সরকারি কাজকর্মে দুর্নীতির মোকাবিলার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকরেছে। বর্তমানে দরিদ্র সাধারণ মানুষদের জন্য ভর্তুকি সহায়তা প্রত্যক্ষ সুফলহস্তান্তর ব্যবস্থায় সরাসরি জমা করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে তাঁদের সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কঅ্যাকাউন্টগুলিতে। এর ফলে, বৈষম্যের আশঙ্কা যেমন দূর হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই যাবতীয়ফাঁক-ফোকর ও ত্রুটি-বিচ্যুতিও কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ১৪ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশিমানুষ এখন শুধুমাত্র রান্নার গ্যাসের ওপরই সরাসরি নগদ ভর্তুকির সুযোগ লাভ করছেনতাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে। এই ধরনের ৫৯টি পৃথক পৃথক কর্মসূচিরক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ সুফল হস্তান্তরের সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে সরকারিভাবে। যোগ্য ওসঠিক সুফল গ্রহীতাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে এখন সরাসরি হস্তান্তরিত হচ্ছে ১০বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো ভর্তুকি সহায়তা।
বন্ধুগণ,
বর্তমানশীর্ষ বৈঠকের প্রধান প্রধান বিষয়গুলির অন্যতম হল শিল্পোদ্যোগ প্রচেষ্টা। ভারতে ‘মেকইন ইন্ডিয়া’ নামে এক বিশেষ অভিযানের আমরা সূচনা করেছি। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়েআন্তর্জাতিক মূল্য শৃঙ্খলে এক প্রধান ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য ভারতেররূপান্তরের লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। ভারতকে আমরা বিশ্বের এক বিশেষ উৎপাদনস্থলরূপে গড়ে তুলতে আগ্রহী। সেইসঙ্গে, আমাদের দেশের যুবশক্তিকে আমরা কর্মপ্রার্থী নয়,গড়ে তুলতে আগ্রহী কর্মদাতা রূপে। এই লক্ষ্যে ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’ এবং ‘স্ট্যান্ডআপ ইন্ডিয়া’র মতো কর্মসূচিগুলির আমরা সূচনা করেছি। ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদেরশিল্পোৎসাহী করে তোলার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা ছিল আর্থিক ঋণ সহায়তার অপ্রতুলতা।তাই, ভারতে এই প্রথমবার ন্যূনতম শর্তে ঋণ সহায়তার প্রসার ঘটানো হয়েছে ৯ কোটিরওবেশি ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীর জন্য‘মুদ্রা’ যোজনার মাধ্যমে। এই সংখ্যা ফিলিপিন্স-এরমোট জনসংখ্যার প্রায় কাছাকাছি। এর ফলে, দেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদেরঅবদানকে স্বীকৃতিদানের পাশাপাশি, ব্যবসায়িক দিক থেকে কর্মদ্যোগীদের ক্ষমতায়নেরব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি লক্ষ্য করছি যে ফিলিপিন্স এবং আসিয়ান অঞ্চলে শিল্পোদ্যোগপ্রচেষ্টার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই শীর্ষ বৈঠকে শিল্পোদ্যোগীদের প্রয়োজনেরস্বার্থেইআসিয়ানের পক্ষ থেকে পরামর্শ ও পথ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।নিঃসন্দেহে এ এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সত্যি কথা বলতে কি, অদূর ভবিষ্যতে দক্ষিণ এবংদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে উঠতে চলেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক বিশেষচালিকাশক্তি। তাই, আসিয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ রক্ষা করে চলা ভারতের এক বিশেষলক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সতত চঞ্চল এই অঞ্চলটির জন্য আমরা স্থল, জল এবং আকাশপথে সংযোগ ওযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আগ্রহী। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিকে যুক্তকরার লক্ষ্যে মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডের মধ্য দিয়ে এক ত্রিপাক্ষিক মহাসড়ক গড়েতোলার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
ভারত এবংআসিয়ানভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে সমুদ্রপথে পরিবহণ সম্পর্কিত একটি চুক্তির দ্রুতসম্পাদনে আমরা কাজ করে চলেছি। সামুদ্রিক দিক থেকে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেউপকূলবর্তী জাহাজ চলাচল পরিষেবা চালু করার পথ ও উপায় আমরা অন্বেষণ করে চলেছি। আকাশপথেসংযোগের ক্ষেত্রে ভারতের চারটি মেট্রো শহরের সঙ্গে প্রতিদিন একটি করে পরিষেবাচালুর সুযোগ রয়েছে আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলির। এছাড়াও, আরও ১৮টি গন্তব্যে বিমানপরিষেবা চালুর সুযোগ রয়েছে তাদের। ভারতে পর্যটনের প্রসারে বৈদ্যুতিন ভিসা পদ্ধতিরমতো বেশ কিছু ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ভারত থেকে বিশ্বেরঅন্যত্র পর্যটনের প্রসার ঘটেছে দ্রুততম গতিতে। এইভাবে সংযোগ ও যোগাযোগের বিষয়টিকেবিশেষ গুরুত্বদানের লক্ষ্যে আগামী মাসে নয়াদিল্লিতে ভারত আয়োজন করতে চলেছেআসিয়ান-ভারত সংযোগ ও যোগাযোগ সম্পর্কিত শীর্ষ বৈঠকের।সবক’টি আসিয়ানভুক্ত দেশেরমন্ত্রী, সরকারি কর্মী ও আধিকারিক এবং বাণিজ্যিক প্রতিনিধিরা তাতে অংশগ্রহণ করবেন।ভারত যেভাবে এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধা প্রসারের কথা চিন্তা করছে,তাতে আমি নিশ্চিত যে আসিয়ানের বাণিজ্য গোষ্ঠীগুলিও ভারতে বাণিজ্যিক উদ্যোগ গ্রহণেরসম্ভাবনাকে স্বীকার করে নিয়েছে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই যখন ভারতের সঙ্গে ইতিমধ্যেইনিবিড়ভাবে যুক্ত হয়েছেন, অন্যরা তখন হয়তো চিন্তা করছেন যে এই সম্ভাবনাকে কিভাবেকাজে লাগানো যায়। আগামী বছরের জানুয়ারিতে আসিয়ান-ভারত স্মারক শীর্ষ বৈঠকের সঙ্গেসামঞ্জস্য রেখে আমরা আয়োজন করতে চলেছি আসিয়ান-ভারত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৈঠক এবংপ্রদর্শনীরও। তাতে অংশগ্রহণের জন্য আমি আপনাদের সকলকেই আমন্ত্রণ জানাই। এই ধরনের আসিয়ান-কেন্দ্রিকএক বৃহত্তম বাণিজ্যিক ঘটনা এই প্রথম ঘটতে চলেছে ভারতে। আপনাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতেঅংশগ্রহণের জন্য ভারত যেমন আগ্রহী, ঠিক তেমনই আমরা আসিয়ানভুক্ত আপনাদের সকলকেইআমন্ত্রণ জানাই আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টার অংশীদার হয়ে ওঠার জন্য।
মাবুহায়!
মরাংমিগসালামাৎ!
ধন্যবাদ!
Government of India's 'Act East policy' puts this (ASEAN) region at the centre of our engagement: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 13, 2017
Task of transforming India is proceeding at an unprecedented scale. We are working day and night towards easy, effective and transparent governance: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 13, 2017
Digital transactions have increased significantly. We are using technology to reach out to people: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 13, 2017
Keeping our emphasis on 'Minimum Government, Maximum Governance', about 1200 outdated laws have been repealed in the last three years. We have simplified processes to start companies and for other clearances: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 13, 2017
Most sectors of the Indian economy are open for foreign investment: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 13, 2017
Large sections of India's population did not have access to banking services. The Jan Dhan Yojana changed that in a matter of months and transformed the lives of millions: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 13, 2017
Want to make India a Global Manufacturing Hub and we want to make our youngsters job creators: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 13, 2017