Quoteপ্রধানমন্ত্রী প্রত্যেককে তিনটি মন্ত্র-আত্ম-সচেতনতা, আত্ম-বিশ্বাস এবং নিঃস্বার্থ হবার পরামর্শ দিয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আইআইটি খড়গপুরের ৬৬তম সমাবর্তনে ভাষণ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’ এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় ধোতরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজকের দিনটি শুধুমাত্র আইআইটি-র অভিভাবক অভিভাবিকা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এই দিনটি নতুন ভারতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ছাত্রছাত্রীরা সারা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, তারা জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছে। এই প্রেক্ষিতে দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে ছাত্রছাত্রীদের নতুন উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনমূলক কাজে মনোনিবেশ করতে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন। আজ যে ডিগ্রি তারা অর্জন করেছে সেটি লক্ষ লক্ষ মানুষের উচ্চাকাঙ্খার প্রতিফলন, তাদের মানুষের সেই আকাঙ্খা পূরণ করতেই হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভবিষ্যতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে কাজ করার সময় এসেছে, আগামীর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে উদ্ভাবনমূলক কাজে নিয়োজিত হতে হবে। একজন ইঞ্জিনিয়ারের যেকোন বিষয়বস্তুকে অনেক গভীরে দেখার ক্ষমতা রয়েছে। আর এই বোঝাপড়ার বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে তাদের নতুন নতুন আবিষ্কারে উদ্যোগী হতে হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য নতুন কিছু করতে হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন রক্ষা করা এবং মানোন্নয়নের জন্য ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে হবে আবার একই সঙ্গে দেশের সম্পদকেও রক্ষা করতে হবে।

|

প্রধানমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যেককে তিনটি মন্ত্র-আত্ম-সচেতনতা, আত্ম-বিশ্বাস এবং নিঃস্বার্থ হবার পরামর্শ দিয়েছেন যাতে এর সাহায্যে তারা ভবিষ্যতে যেকোন সংশয় ও বাধা অতিক্রম করতে পারে। এই ছাত্রছাত্রীদের তাদের সম্ভাবনার দিকটি চিহ্নিত করে আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে নিঃস্বার্থভাবে আরও এগিয়ে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দ্রুততার কোনও স্থান নেই। যে কাজ কেউ শুরু করেছে সেই উদ্ভাবনের সম্পূর্ণ সাফল্য একজন নাও পেতে পারে। কিন্তু এই ব্যর্থতাকেই সাফল্য বলে বিবেচনা করা উচিত। কারণ তার থেকেও একজন শিখতে পারেন। একবিংশ শতাব্দীতে আইআইটিগুলির ভূমিকা ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিজিনিয়াস টেকনোলজিতে পরিবর্তন করতে হবে, যাতে নতুন ভারতের চাহিদা ও আকাঙ্খা পূরণ করা যায়।

শ্রী মোদী বলেছেন, সারা বিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবিলা করছে, ভারত তখন আন্তর্জাতিক সৌর জোটের ধারণা নিয়ে এসেছে। তিনি বলেছেন, ভারতে সৌরশক্তির খরচ অত্যন্ত কম, কিন্তু সৌরশক্তিকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এখনও অনেক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। ভারতকে এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে যার ফলে পরিবেশের ক্ষতি কম হয় এবং সেই স্থিতিশীল প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের পক্ষে সুবিধাজনক হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সারা বিশ্ব এখন বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। যে কোন বড় আকারের বিপর্যয়ের সময় জীবন ও পরিকাঠামো সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বিষয়টি উপলব্ধি করে রাষ্ট্রসংঘে কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইন্ফ্রাসট্রাকচার গড়ে তোলার জন্য ভারত উদ্যোগী হয়েছিল।

চতুর্থ পর্বের শিল্পের জন্য উদ্ভাবনের গুরুত্বের তাৎপর্যের কথা শ্রী মোদী উল্লেখ করেছেন। শিল্প ক্ষেত্রে, ইন্টারনেটের প্রয়োগ ও আধুনিক নির্মাণ প্রযুক্তিতে কৃত্রিম মেধা সংক্রান্ত বিভিন্ন শিক্ষামূলক গবেষণার উদ্যোগের বিষয়ে আইআইটি খড়গপুরের প্রয়াসের তিনি প্রশংসা করেছেন। আইআইটি খড়গপুরের উদ্ভাবিত সফ্টওয়্যার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি স্বাস্থ্য প্রযুক্তিতে এই প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন উদ্ভাবনমূলক কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগত স্তরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামের বিপুল বাজার রয়েছে। সুস্থ থাকার জন্য যেসব সরঞ্জামের প্রয়োজন সেগুলির বাজারও ক্রমশ বাড়ছে। ভারতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরির ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে, যেগুলি যাতে স্বল্প মূল্যে পাওয়া যায় এবং নিখুঁতভাবে কাজ করে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনার পর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গবেষণা ও উদ্ভাবনে ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করেছে। এই উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বাজেটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। দিন কয়েক আগে মানচিত্র ও ভূস্থানিক তথ্যকে সরকার নিয়ন্ত্রণমুক্ত করেছে। এর ফলে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগের সুবিধা হবে। স্টার্টআপ ও উদ্ভাবন নিয়ে যেসব তরুণ-তরুণী কাজ করছেন তারা আরও স্বাধীনতা পাবেন এবং দেশ আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাবে।

নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য আইআইটি খড়গপুরের উদ্যোগকে প্রধানমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এই প্রতিষ্ঠান যেভাবে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করে তার ফলে ভবিষ্যতের উদ্ভাবনমূলক কাজে শক্তির সঞ্চার হবে। শ্রী মোদী দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে ৭৫ রকমের উদ্ভাবনমূলক কাজ করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানিয়েছেন, যার সুফল দেশ এবং পৃথিবী পাবে । এর মাধ্যমে নতুন কিছু করার ক্ষেত্রে দেশ আস্থা অর্জন করবে। 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
How NEP facilitated a UK-India partnership

Media Coverage

How NEP facilitated a UK-India partnership
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 29 জুলাই 2025
July 29, 2025

Aatmanirbhar Bharat Transforming India Under Modi’s Vision