সোমবার নয়াদিল্লিতে ‘প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলীহর ঘর যোজনা’, অর্থাৎ, ‘সৌভাগ্য’ কর্মসূচিরআনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই কর্মসূচির মূললক্ষ্য হল দেশের প্রত্যেকটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া।
পণ্ডিতদীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘দীনদয়াল উর্জা ভবন’ নামে ওএনজিসি-র একটিনতুন ভবনও উৎসর্গ করেন জাতির উদ্দেশে।
গ্যাসক্ষেত্রের একটি বুস্টার কম্প্রেসারও এদিন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন তিনি।
জন ধনযোজনা, বিমা কর্মসূচি, মুদ্রা যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা এবং উড়ান কর্মসূচির সাফল্যেরদৃষ্টান্তগুলি প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন তাঁর ভাষণে। দেশের দরিদ্রতম মানুষেরকল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার কিভাবে এই সমস্ত কর্মসূচি রূপায়ণের কাজে এগিয়ে গেছে, তাতিনি ব্যাখ্যা করেন তাঁর এদিনের বক্তব্যে।
প্রধানমন্ত্রীসহজ বিজলী হর ঘর যোজনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যে ৪ কোটি বাড়িবিদ্যুতের সুযোগ থেকে এখনও বঞ্চিত রয়ে গেছে, সেই সমস্ত বাড়িতে ১৬ হাজার কোটি টাকাব্যয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। দরিদ্রদের কাছে এই ব্যবস্থা পৌঁছেদেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনা খরচে।
প্রসঙ্গততিনি উল্লেখ করেন যে এর আগে বিদ্যুৎহীন ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুতের সুযোগ পৌঁছেদেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছিলেন তিনি। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত বাকি রয়েছে ৩হাজারটিরও কম গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার কাজ।
শ্রী মোদীবলেন, কয়লার অপ্রাচুর্য এখন এক অতীত ইতিহাস মাত্র। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিপাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ যোগানে ঘাটতির পরিমাণ দূর করার পাশাপাশি উৎপাদনের সুনির্দিষ্টলক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করাও সম্ভব হয়েছে।
আগামী ২০২২সালের মধ্যে ১৭৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করারলক্ষ্যে তাঁর সরকার কিভাবে কাজ করে চলেছে তাও এদিন প্রসঙ্গত ব্যাখ্যা করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রে বিদ্যুতের মাশুল উল্লেখযোগ্যভাবেকমিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে, বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুৎ সংবহন ক্ষমতা।
‘উদয়’কর্মসূচির মাধ্যমে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাগুলি যেভাবে তাদের লোকসানের মাত্রা কমিয়েআনার কাজে সাফল্য অর্জন করেছে, তা সহযোগিতা তথা প্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়তারএক বিশেষ দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
‘উজালা’কর্মসূচির প্রসঙ্গও এদিন উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। এলইডি বাল্বের দাম যেঅনেকটাই কমিয়ে আনা গেছে একথারও উল্লেখ ছিল এদিন তাঁর ভাষণে।
শ্রী মোদীবলেন, ‘নতুন ভারত’ গড়ে তুলতে প্রয়োজন জ্বালানির এমন এক কাঠামোগত ব্যবস্থা যা সমতা,দক্ষতা এবং নিরন্তর বিকাশের নীতি অনুসরণ করে গড়ে উঠবে। জ্বালানি ক্ষেত্রকে আরওচাঙ্গা ও শক্তিশালী করে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মসংস্কৃতির ক্ষেত্রেও যে আমূলপরিবর্তন ঘটেছে, সেই প্রসঙ্গটিও এদিন স্থান পায় তাঁর বক্তব্যে। সরকারিকর্মসংস্কৃতি পরিবর্তনের পাশাপাশি সমগ্র দেশের কর্মসংস্কৃতি বিশেষভাবে উৎসাহিত হবেবলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।