ধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুনদিল্লীতে লোককল্যাণ মার্গে এক অনুষ্ঠানে সহজে ব্যবসার সুযোগ বিষয়ে মহা চ্যালেঞ্জ কর্মসূচির সূচনা করেছেন।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে, কৃত্রিম মেধা, ইন্টারনেট অফ থিংস, বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্লকচেইনের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-ভিত্তিক অভিনব ধারনা বা প্রস্তাব আহ্বান করা, যার মাধ্যমে সরকারি কর্মপ্রক্রিয়ার সংস্কার করা যায়। স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া পোর্টালকেই এই মহা চ্যালেঞ্জের মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
এই উপলক্ষে আয়োজিত এক জমায়েতে প্রধানমন্ত্রী ‘সহজে ব্যবসার সুযোগ’-এর বিশ্ব ক্রমতালিকায় ভারতের অবস্হানকে উন্নত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়ায় শিল্পমহলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি স্মরণ করেন যখন ‘সহজে ব্যবসার সুযোগ’ সংক্রান্ত বিশ্ব সূচকে ভারতের স্হানকে শীর্ষস্হানীয় ৫০টি দেশের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার কথা তিনি প্রথম উত্থাপন করেছিলেন, তখন তাঁর কথায় সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র চার বছরে আমরা অনেকদূর অগ্রসর হতে পেরেছি বলে তিনি জানান। এই সময়ে সহজে ব্যবসার সুযোগের সূচকে ভারত ৬৫ ধাপ এগিয়েছে। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত প্রথম স্হানে রয়েছে এবং শীর্ষস্হানীয় ৫০টি দেশের তালিকায় ভারতের স্হান করে নিতে আর মাত্র কয়েক ধাপ বাকি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়তার ধারণায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি সহজে ব্যবসার সুযোগকে আরও উন্নত করতে একযোগে কাজ করে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সুনির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে প্রশাসন পরিচালনা ও স্বচ্ছ নীতির ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, সাধারণ মানুষের জীবনযাপনকে আরও সহজ করে তোলাও তার অন্যতম লক্ষ্য। বর্তমানে ছোট ব্যবসায়ীরা অনেক সহজেই ব্যবসা করতে পারেন। বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার কাজ সহজে হয়েছে। গত চার বছরে ১৪০০’র ও বেশি পুরনো আইন সরকার বাতিল করেছে। বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি এবং আমদানি করা জিনিসপত্র ছাড়াতে এখন অনেক কম সময় লাগছে।
তিনি বলেন, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্ষেত্র বা এম.এস.এম.ই-তে মাত্র ৫৯ মিনিটে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ অনুমোদন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আই.এম.এফ এবং মুডিজের মতো সংস্হাগুলিও ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন- কতো কম সময়ের মধ্যে ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা যায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তবে এর জন্য অর্থনীতির সর্বক্ষেত্রে আরও উন্নতির প্রয়োজন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমান বাস্তব পরিস্হিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিল্পনীতির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে এবং এই নীতি নতুন ভারতের উদ্যোগপতিদের নতুন ধ্যান-ধারনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। প্রধানমন্ত্রী সহজে ব্যবসা সুযোগের ক্রমতালিকায় ভারতকে শীর্ষস্হানীয় ৫০টি দেশের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার জন্য সমাবেশে উপস্হিত সকলের কাছে আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন- আধুনিক ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিল্পসংস্হা কাজের প্রক্রিয়ায় মানুষের হস্তক্ষেপ করা দরকার। তিনি বলেন, এই ধারনা ভিত্তি কর্মসংস্কৃতি, সুনির্দিষ্ট নীতি দ্বারা চালিত প্রশাসনিক কাজকর্মকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।