প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মণিপুরে ৭৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরসূচনা করেছেন। তিনি জাতীয় ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।এছাড়া, এক হাজারটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলকপ্রকল্পেরও সূচনা করেছেন। তিনি রানী গাইদিঁলু পার্কে লুয়াংপোকপা মাল্টি স্পোর্টসকমপ্লেক্সের এবং আরও কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তিনি লুয়াংসাংবাম-এএকটি জনসভাতেও ভাষণ দেন।
অত্যন্তউৎসাহী মানুষের এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে গত এক বছর ধরে যে সবউন্নয়নমূলক কাজকর্ম হয়েছে তার জন্য রাজ্য সরকারের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, আজযে সমস্ত প্রকল্পের সূচনা হয়েছে, তার সঙ্গে এ রাজ্যের প্রতিভাবান যুবকদেরআশা-আকাঙ্ক্ষা, তাঁদের কর্মসংস্থান, মহিলা ক্ষমতায়ন এবং যোগাযোগ পরিকাঠামোউন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যুবকদের ক্রীড়া দক্ষতা এবংপ্রতিভার কথা মাথায় রেখে জাতীয় ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী, সম্প্রতি শুরু হওয়া ‘খেলো ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের সর্বাধিক সুযোগগ্রহণের জন্য মণিপুরের যুবকদের প্রতি আহ্বান জানান। সম্প্রতি শেষ হওয়া ‘খেলোইন্ডিয়া’ গেম্স-এ অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য তিনি মণিপুরের যুবকদেরপ্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মাল্টি স্পোর্টস কমপ্লেক্স এইসব যুবকদের খেলাধূলারপ্রশিক্ষণ এবং প্রতিযোগিতার সুযোগ এনে দেবে।
প্রধানমন্ত্রীবলেন, খেলাধূলার মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়নের এক পথ দেখিয়েছে মণিপুর। তিনি মীরাবাঈচানু এবং সরিতা দেবীর মতো রাজ্যের বিখ্যাত ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের প্রশংসা করেন। রাজ্যসরকারের উদ্যোগে মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য অন্যান্য যে সব পদক্ষেপ রাজ্য সরকারনিয়েছে তিনি তারও প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি এক হাজারটি নতুন অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথাও উল্লেখ করেন। এছাড়া, সম্প্রতি সূচনা হওয়াজাতীয় পুষ্টি মিশনের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীবলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে ‘পরিবহণের মাধ্যমেরূপান্তর’। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিরনতুন ‘ইঞ্জিন’ হিসাবে উঠে আসতে পারে। সরকার দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গেঅর্থনৈতিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির সামঞ্জস্য বিধানেরলক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি জানান। শ্রী মোদী বলেন, গত চার বছরে তিনি ২৫বারেরও বেশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি সফর করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীবলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সড়কএবং রেল যোগাযোগ স্থাপনে সরকার গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তিনি তুলে ধরেন।
শ্রীমোদী রাজ্য সরকারের নাগরিক-কেন্দ্রিক বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এরমাধ্যমে সুন্দরভাবে জন-অভিযোগের নিষ্পত্তি করা সম্ভব।প্রধানমন্ত্রীস্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৪৪ সালের এপ্রিল মাসে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দবাহিনী স্বাধীনতার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিল। তিনি বলেন, আজ সেই মণিপুর নতুন ভারতেরউত্থানে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।