প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বুধবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিষয়ে আলোচনা করতে একাধিক সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, এই আলাপচারিতা দেশের স্বার্থে সমাজ ও সরকার একসঙ্গে কাজ করার আরও একটি উদাহরণ। তিনি কোভিড-১৯ –এর জেরে যে সমস্যাগুলি উদ্ভূত হয়েছে তা মোকাবিলার লক্ষ্যে এই সংস্থাগুলির কাজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বর্ণ, ধর্ম ইত্যাদিকে বিবেচনার বাইরে রেখেই সাধারণ মানুষকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এটি ‘এক ভারত – একনিষ্ঠ প্রয়াস’-এর এক উজ্জ্বল উদাহরণ। সারা দেশে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরদুয়ারায় হাসপাতাল এবং আইসোলেশন কেন্দ্র দ্বিগুণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুঃস্থদের খাবার এবং ওষুধ সরবরাহ করতে সহায়তা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী দেশে দ্রুত টিকাকরণ অভিযানের বিষয়ে আলোচনা করেন এবং জানান যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘সবাইকে টিকা, বিনামূল্যে টিকা’ –এর বিষয়ে প্রচার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে টিকা নেওয়ার বিষয়ে সচেতন করে তুলতে ও টিকা গ্রহণ বিষয়ে গুজব এবং বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের প্রচেষ্টায় ধর্মীয় ও সম্প্রদায়ভিত্তিক নেতাদের যুক্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী তাদের সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রাখে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। যেসব অঞ্চলে টিকা গ্রহণ নিয়ে নানান সংশয় রয়েছে, সেখানে এই ধরণের প্রচার অভিযানের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। এই পদক্ষেপ দেশের স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রতিটি নাগরিকের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিতে বিশেষ সাহায্য করবে।
প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনের অঙ্গ হওয়ার জন্য নেতাদের কাছে আহ্বান জানান। সকলেই যেন ‘আজাদিকা অমৃত মহোৎসব’ –এর অংশ হন, তা সুনিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উপলক্ষে ‘ভারত জড়ো আন্দোলন’ –এর মাধ্যমে দেশকে একত্রিত করার কাজ এবং ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ –এর প্রকৃত উদ্দীপনাকে তুলে ধরা প্রয়োজন।
কেন্দ্রীয় ধার্মিক জনমোর্চার আহ্বায়ক অধ্যাপক সালিম ইঞ্জিনিয়ার, জামাত-ই-ইসলামি হিন্দ –এর সহ সভাপতি, উত্তরপ্রদেশের ভারতীয় সর্বধর্ম সংসদের জাতীয় আহ্বায়ক মহাঋষি পিঠাধীশ্বর গোস্বামী সুশীল মহারাজ, নতুন দিল্লির ওঙ্কার ধামের পিঠাধীশ্বর ওঙ্কারানন্দ সরস্বতী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত নেতারা এই আলাপচারিতা পর্ব আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ব্যক্ত করেন। কোভিড-১৯ –এর জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন অনুকরণীয় কাজ করেছে। বর্তমানে টিকাদান অভিযান সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারে তারা নিরন্তর সাহায্য এবং করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধের জন্য পরামর্শও প্রদান করে চলেছেন।