প্রধানমন্ত্রী তাঁর সর্বশেষ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশে ভাষণে সেপ্টেম্বর মাসকে পোষণ মাস বা পুষ্টির মাস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, দেশের সঙ্গে পুষ্টির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মানসিক ও মেধাগত বিকাশের সঙ্গে আমরা যে অন্ন গ্রহণ করি তার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুষ্টি ও যথাযথ পরিচর্যা শিশু ও ছাত্রছাত্রীদের পূর্ণ সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়, যাতে তাদের শারীরিক দৃঢ়তা আরও বৃদ্ধি পায়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শিশুদেরকে পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ করে তুলতে তার মাকেও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। কেবল খাবারের সঙ্গেই পুষ্টির সম্পর্ক নেই, বরং লবন, ভিটামিন প্রভৃতি থেকেও অত্যাবশ্যক পুষ্টি পাওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বিগত কয়েক বছরে, বিশেষ করে গ্রামগুলিতে পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনে জনগণের অংশগ্রহণের ওপর এবং পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সর্বাত্মক প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে পুষ্টি সম্পর্কিত সচেতনতাকে গণ-আন্দোলনের রূপ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই বিদ্যালয়গুলিকেও এই গণ-আন্দোলনের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তোলা হয়েছে। সেইসঙ্গে, পুষ্টি সম্পর্কে শিশুদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটি শ্রেণীকক্ষে যেমন ক্লাস মনিটর থাকে, তেমনই নিউট্রিশন মনিটর বা পুষ্টির ব্যাপারে নজরদারি ভূমিকা পালনের ব্যক্তি বিশেষ থাকাও প্রয়োজন। একইভাবে, একটি রিপোর্ট কার্ডের মতো দেশে নিউট্রিশন বা পুষ্টি কার্ড চালু করা যেতে পারে। তিনি জানান, পুষ্টি মাস উদযাপনের সময় MyGov পোর্টালে একটি খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। তিনি শ্রোতাদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, স্ট্যাচু অফ ইউনিটি-তে এক অভিনব নিউট্রিশন পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে যে কেউ শিশুদের মতো খেলার ছলে পুষ্টি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য ও শিক্ষা পেতে পারেন।
ভারতকে বিভিন্ন ধরনের অন্ন ও পানীয় সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি অঞ্চলের আবহাওয়া অনুসারে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের পরিকল্পনা প্রস্তুত করা যেতে পারে। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের এই পরিকল্পনায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্যশস্য, ফলমূল, শাকসব্জিকেও সামিল করা যায়। তিনি আরও জানান, দেশে একটি কৃষি তহবিল গঠন করা হচ্ছে যেখানে শস্য সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ তথ্য থাকবে। এমনকি, প্রতিটি জেলা এবং সেখানকার পুষ্টির বিষয়ে তথ্যও এখান থেকে পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রোতাদের পুষ্টি মাস উদযাপনের সময় পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ার এবং সুস্থ-সবল থাকার পরামর্শ দেন।