সিওল শান্তি কমিটি প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে ২০১৮-র সিওল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে তাঁর আন্তরিকতা, বিশ্ব আর্থিক বিকাশ ত্বরান্বিত করতে তাঁর বিশেষ ভূমিকা, বিশ্বের দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতিতে আর্থিক বিকাশে উৎসাহদানের মাধ্যমে ভারতবাসীর জীবনের মানোন্নয়ন ঘটানো এবং সেইসঙ্গে দুর্নীতি দমন তথা সামাজিক সংহতি বজায় রেখে গণতন্ত্রের অগ্রগতির ধারাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে সম্মানজনক এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
২০১৮-র সিওল শান্তি পুরস্কারপ্রাপকের নাম ঘোষণার সময় পুরস্কার কমিটি ভারতীয় ও বিশ্ব অর্থনীতির বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর অবদান, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে ‘মোদীনমিক্স’ নীতির কৃতিত্বকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন। দুর্নীতি দমনে বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং বিমুদ্রাকরণের মাধ্যমে সরকারি ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করতে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত উদ্যোগগুলিরও অকুন্ঠ প্রশংসা করেছে কমিটি। ‘মোদীর শাসনকালে’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এক কার্যকর বৈদেশিক নীতির মাধ্যমে আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক অবদানকেও কমিটি বিশেষ কৃতিত্ব দিয়েছে। শ্রী মোদীর ‘পূর্বে তাকাও নীতি’র (অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি) কথাও কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী এই পুরস্কারের চতুর্দশ প্রাপক।
মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার প্রদানের জন্য তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে ভারতের নিবিড় অংশীদারিত্বকে প্রাধান্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী সিওল শান্তি পুরস্কার গ্রহণে সম্মত হয়েছেন। সিওল শান্তি পুরস্কার ফাউন্ডেশন উভয় পক্ষের সুবিধাজনক সময়ে এই পুরস্কার শ্রী মোদীকে প্রদান করবে।
প্রেক্ষাপট
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সিওলে আয়োজিত ২৪তম অলিম্পিক গেম্স-এর সাফল্য উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে ১৯৯০ সালে সিওল শান্তি পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। এই অলিম্পিক গেম্স-এ ১৬০টি দেশ অংশ নিয়েছিল, যা বিশ্ব জুড়ে সম্প্রীতি ও মৈত্রীর পাশাপাশি শান্তি এবং সমন্বয়সাধনের এক অনন্য বাতাবরণ তৈরি করেছিল। কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চল এবং অবশিষ্ট বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য কোরিয়ার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যেই সিওল শান্তি পুরস্কার প্রদান শুরু হয়।
দ্বিবার্ষিক সিওল শান্তি পুরস্কার সেই সমস্ত ব্যক্তিকে দেওয়া হয় যাঁরা মানবজাতির সম্প্রীতি বজায় রাখা, রাষ্ট্রের মধ্যে সমন্বয়সাধন এবং বিশ্ব শান্তিতে অবদান রেখে গভীর প্রভাব ফেলেছেন। অতীতের পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন – রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাক্তন মহাসচিব কোফি আন্নান, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, সপরিচিত আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা সংগঠন ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স এবং অক্সফ্যাম। সারা বিশ্ব থেকে ১,৩০০-রও বেশি মনোনীত ব্যক্তির প্রস্তাব করা শতাধিক পুরস্কার প্রাপকের মধ্য থেকে পুরস্কার প্রদান কমিটি প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীকে ‘উপযুক্ত ব্যক্তি’ হিসেবে এবার এই পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।