নেতাজি ভারতের শক্তি ও অনুপ্রেরণার মূর্ত প্রতীক : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কলকাতায় নেতাজির ১২৫- তম জন্মজয়ন্তীতে অংশ নিয়েছেন। কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে তিনি "পরাক্রম দিবস"-এ পৌরোহিত্য করেন। নেতাজি নামাঙ্কিত একটি স্থায়ী সংগ্রহশালা এবং প্রজেকশন ম্যাপিং শোয়েরও তিনি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। একটি স্মারক ডাকটিকিট ও মুদ্রার প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। নেতাজির ভাবাদর্শে নির্মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান "আমরা নতুন যৌবনেরই দূত" পরিবেশিত হয়।

এই অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী এলগিন রোডে সুভাষচন্দ্র বসুর বাড়ি নেতাজি ভবন পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে যান। সেখানে "রি-ভিজিটিং দ্যা লেগেসি অফ নেতাজি সুভাষ ইন দ্যা টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি" বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং একটি কলা শিবিরে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী শিল্পী ও সম্মেলনে আগত অভ্যাগতদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, আজ মা ভারতীর সেই সাহসী পুত্রের জন্ম দিবস, যিনি স্বাধীন ভারতের স্বপ্নকে নতুন দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আজকের দিনে আমরা সেই চেতনাকে অনুভব করি যা দাসত্বের অন্ধকারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং বিশ্বের শক্তিশালী শক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল যে, আমি স্বাধীনতার জন্য ভিক্ষা চাইবো না, আমি তা ছিনিয়ে নেব।

প্রধানমন্ত্রী জানান যে, দেশ প্রতিবছর ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনটি স্মরণীয় করে রাখতে "পরাক্রম দিবস" হিসেবে উদযাপন করবে।
তিনি বলেন, এটা আমাদের পরম সৌভাগ্য যে, সরকার ২০১৮ সালে আন্দামান দ্বীপের নাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামাঙ্কিত করেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কিত ফাইল জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজে আইএনএ ভেটারেন্সের অংশ নেওয়া এবং লালকেল্লা আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তির বিষয়টিও গর্বের সাথে উল্লেখ করেন।

নেতাজির অন্তর্ধান এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যদি প্রতিটি ভারতীয় তাঁদের হৃদয়ে হাত রেখে নেতাজির উপস্থিতি অনুভব করে তবে তিনিও একই প্রশ্ন শুনবেন, তুমি কি আমার জন্য কিছু করবে? এই কাজ এবং এই লক্ষ্য হচ্ছে আজ ভারতকে স্বাবলম্বী করা। দেশের প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি অঞ্চল দেশেরই অঙ্গ।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন যে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দেশের বৃহত্তম সমস্যাগুলি যেমন, দারিদ্র, নিরক্ষরতা, অসুখ- এসব অনুভব করতেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বৃহত্তম সমস্যা হল দারিদ্রতা, নিরক্ষরতা, অসুখ এবং বৈজ্ঞানিক উৎপাদনের অভাব। এই সমস্যাগুলি সমাধান করতে সমাজকে একত্রিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতাজি সুভাষ এবং এর সাথে আত্মনির্ভর ভারত সোনার বাংলার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। নেতাজি দেশের স্বাধীনতায় যে ভূমিকা নিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গকেও একইভাবে আত্মনির্ভর ভারত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আত্মনির্ভর বাংলা এবং সোনার বাংলাই আত্মনির্ভর ভারতের নেতৃত্ব দেবে।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Cabinet approves minimum support price for Copra for the 2025 season

Media Coverage

Cabinet approves minimum support price for Copra for the 2025 season
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 ডিসেম্বর 2024
December 21, 2024

Inclusive Progress: Bridging Development, Infrastructure, and Opportunity under the leadership of PM Modi