দক্ষতা বিনিময় এবং শ্রেষ্ঠ পন্থা-পদ্ধতি গ্রহণ করার লক্ষ্যে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রসারের উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় এবং দলগতভাবে কর্মতৎপর হয়ে ওঠার জন্য জেলা ও রাজ্য পর্যায়ে পুলিশের ডিজি এবং আইজি স্তরে সম্মেলনের উদ্যোগ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
গত ২১ ও ২২ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে আয়োজিত পুলিশ বাহিনীর ডিজি এবং আইজি-দের ৫৭তম সর্বভারতীয় সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাঁর ভাষণে পুলিশ বাহিনীকে আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠার পরামর্শ দেন, জোর দেন নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে তাঁদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার উপরও। বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে ডেটা বিনিময় ব্যবস্থাকে আরও সহজ ও সুষ্ঠু করে তুলতে জাতীয় ডেটা ব্যবস্থাপনা কাঠামো (এনডিজিএফ)-র উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বায়োমেট্রিকস্ – এর মতো প্রযুক্তিগত সমাধানের রাস্তায় হাঁটার পাশাপাশি পদব্রজে টহল দেওয়ার মতো প্রথাগত পুলিশি ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করে তোলা প্রয়োজন। অপ্রচলিত ফৌজদারি আইনগুলিকে পরিহার করে পুলিশ সংগঠনগুলির মানোন্নয়নেরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কারা ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করে তুলতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণেরও প্রস্তাব দেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, দেশের সীমান্ত তথা উপকূল রেখা বরাবর নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করে তুলতে পুলিশ বাহিনীর উচিৎ ঐ এলাকাগুলি ঘন ঘন পরিদর্শন করা।
প্রশংসনীয় কাজের জন্য পুলিশ বাহিনীর কর্মী ও আধিকারিকদের পুলিশ পদক দিয়ে সম্মানিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
দু’দিনের এই সম্মেলনে পুলিশ বাহিনীর সার্বিক কাজকর্ম সহ জাতীয় সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলিও আলোচিত হয়। সন্ত্রাস প্রতিরোধ, অপরাধ মোকাবিলা এবং সাইবার নিরাপত্তাও ছিল আলোচ্য সূচির তালিকায়। সম্মেলনে উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী.
দু’দিনের এই সম্মেলনে পুলিশ বাহিনীর সার্বিক কাজকর্ম সহ জাতীয় সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলিও আলোচিত হয়। সন্ত্রাস প্রতিরোধ, অপরাধ মোকাবিলা এবং সাইবার নিরাপত্তাও ছিল আলোচ্য সূচির তালিকায়। সম্মেলনে উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিশ বাহিনীর ডিজি এবং আইজি পর্যায়ের আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ সংগঠন ও কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর প্রধানরা। বিভিন্ন রাজ্যের ৬০০ জনেরও বেশি পুলিশ আধিকারিক এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন ভার্চ্যুয়াল ব্যবস্থানার মাধ্যমে।