প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে ষোড়শ আসিয়ান-ভারত শিখর বৈঠকে যোগ দেন।
শিখর বৈঠকের প্রারম্ভিক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকে যোগ দিতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন। উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য থাইল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আগামী বছর এই শিখর বৈঠকের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ভিয়েতনামের সাফল্য কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলগত দিক থেকে ভারতের ‘পুবে তাকাও নীতি’ গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এই নীতির একেবারে মধ্যস্থলে রয়েছে আসিয়ান। এক মজবুত আসিয়ান গড়ে উঠলে, পক্ষান্তরে ভারতও ব্যাপক লাভবান হবে। আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে স্থলপথ, নৌ-পথ, আকাশপথ এবং ডিজিটাল যোগসূত্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তার কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের বাস্তবিক ও ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়নে ভারতের পক্ষ থেকে সহজ শর্তে যে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার কথা ঘোষণা করা হয়েছে তার ফলে সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উপকৃত হবে।
প্রধানমন্ত্রী গত বছরের স্মারক শিখর বৈঠক এবং সিঙ্গাপুরে আয়োজিত ঘরোয়া শিখর বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলি রূপায়ণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, এই সিদ্ধান্তগুলি ভারত ও আসিয়ানকে আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। ভারত ও আসিয়ানের পক্ষে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বাড়াতে আগ্রহের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসিয়ানের সঙ্গে কৃষি, গবেষণা, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান ও তথ্য তথা যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে ভারত আগ্রহী।
তিনি আরও জানান, ভারত নৌ-নিরাপত্তা ও নীল অর্থনীতি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত। ভারত-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য চুক্তি পর্যালোচনার সময় গৃহীত সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে আসিয়ান ও ভারতের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাবে।