My intention is to make India, which is already the cutting and polishing hub, into an International Diamond Trading Hub: PM 
Our goal is to transform India in one generation: PM Modi 
#MakeInIndia one of the most transformative initiatives, our aim is to make India a preferred destination for manufacturing: PM 
Gems & jewellery industry must encourage start-ups, create a growing market for made-to-order Indian jewellery: PM

দেশ-বিদেশেরবিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ

সমবেতপ্রতিনিধিরা

ভদ্রমহিলাও ভদ্রমহোদয়গণ

আন্তর্জাতিকহীরক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এই নৈশভোজের অনুষ্ঠানে আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখারসুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। ভারতের রত্ন ও অলঙ্কার রপ্তানি প্রসার পরিষদের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালনের একটি বিশেষ অঙ্গ হিসেবেই আয়োজন এই সম্মেলনের। বিশ্বের বিভিন্নখনি সংস্থা, হীরে ব্যবসায়ী সংস্থা, রপ্তানিকারক, খুচরো বিক্রেতা, ব্যাঙ্ককর্তৃপক্ষ এবং বিশ্লেষকরা সমবেত হয়েছেন “খনি থেকে বাজার, ২০১৭” – এই মূল বিষয়টিকে অবলম্বনকরে আয়োজিত এই সম্মেলনে।

আজথেকে ৫০ বছর আগে পরিষদ গঠনের পর থেকে সংশ্লিষ্ট শিল্পক্ষেত্রে দ্রুত প্রসার ওঅগ্রগতি হয়েছে আমাদের দেশে। আপনারা সকলেই অবগত যে ভারত হল বর্তমানে বিশ্বের কাটাএবং পালিশ করা হীরের বৃহত্তম উৎপাদক একটি দেশ । রপ্তানি মূল্য এবংকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি – উভয় দিক থেকেই ভারতের রত্ন ও অলঙ্কার শিল্প হয়েউঠেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। গত চার দশকে হীরে উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশহিসেবে উত্থান ঘটেছে ভারতের। ভারতের মোট বাণিজ্যিক রপ্তানি পণ্যের ১৫ শতাংশ স্থানদখল করে রয়েছে হীরে। ভারতের সাফল্যের ইতিহাসে এটি এক বিশেষ পর্ব বা কাহিনী হিসেবেস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৬৬-৬৭ সালে রপ্তানির বাণিজ্যিক মূল্য ছিল ২৮ মিলিয়ন মার্কিনডলার। তুলনায় ১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৭-৮৮ সালে রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি পায় যথাক্রমে ১বিলিয়ন এবং ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। আবার, ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে এই মাত্রা বৃদ্ধিপেয়ে দাঁড়ায় ১০ বিলিয়ন ডলারে যা কিনা ২০০৭-০৮ সালে উন্নীত হয় ২০ বিলিয়ন ডলারে। আরবর্তমানে হীরে রপ্তানির বাণিজ্যিক মূল্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বন্ধুগণ,এই সেদিন পর্যন্ত ভারতীয় আমদানিকারকদের বিদেশে গিয়ে কাঁচা হীরে দেখে, বেছে কিনেআনতে হত। এর ফলে যোগান শৃঙ্খলের ক্ষেত্রে দক্ষতা বিশেষভাবে বাধাপ্রাপ্ত হত।আপনাদের অনেকেই তখন চেয়েছিলেন যে হীরে দেখে, বেছে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ ঘটুকভারতেই। ২০১৪-র ডিসেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব হীরক সম্মেলনে রাশিয়ারপ্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে আমি ঘোষণা করেছিলাম যে এই ঘটনাকে বাস্তবায়িত করে তুলতেএক বিশেষ বিজ্ঞাপিত অঞ্চল গড়ে তুলব আমরা । এই প্রতিশ্রুতি আমরা রক্ষা করেছি। কাঁচা হীরেশুল্কমুক্ত উপায়ে দেখে এবং যাচাই করে আমদানি-রপ্তানির বিষয়টি যাতে সম্ভব করে তোলাযায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট আইনে সংশোধনও আনা হয়েছে। বিশেষ বিজ্ঞাপিত অঞ্চল গড়ে তোলাহয়েছে ২০১৫-র নভেম্বর মাসে। তার ইতিবাচক ফলও আমরা ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করেছি। অতীতেবেলজিয়াম, আফ্রিকা এবং ইজরায়েল সফর করে বিশ্বের কাঁচা হীরে দেখা ও যাচাই করারসৌভাগ্য ঘটত মাত্র ৮০ থেকে ৯০টি বড় বড় বাণিজ্যিক সংস্থার। কিন্তু নতুন বিশেষবিজ্ঞাপিত অঞ্চলের আওতায় এই সুযোগ বর্তমানে লাভ করছে প্রায় ৩ হাজার ক্ষুদ্র ওমাঝারি বাণিজ্যিক সংস্থা। হীরক শিল্পে সবচেয়ে নামী-দামি বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিরঅনেকেই হীরে দেখে, বেছে কেনার জন্য ২৪৪ দিনেরও বেশি সময় ব্যয় করেছে। ভারতইতিমধ্যেই হীরে কাটা এবং পালিশ করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।আমার লক্ষ্য হল দেশকে হীরের এক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র রূপে গড়ে তোলা।

ভদ্রমহিলাও ভদ্রমহোদয়গণ, আমাদের লক্ষ্য মাত্র এক প্রজন্মের মধ্যেই ভারতের সার্বিক রূপান্তর।দেশের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই রূপান্তরমুখী বিভিন্ন উদ্যোগের ওপর জোর দিয়েছেবর্তমান সরকার। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি তারই অন্যতম। নির্মাণ তথা উৎপাদনশিল্পের ক্ষেত্রে একটি পছন্দের গন্তব্য হিসেবে আমরা তুলে ধরতে চাই ভারতকে। গত ৫০বছরে রত্ন ও অলঙ্কার শিল্পে রপ্তানি বাণিজ্যের অর্থমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৭৫ মিলিয়নমার্কিন ডলার। ভারতে নামমাত্র সোনা বা হীরে উৎপাদিত হয়। তা সত্ত্বেও এই সাফল্যঅর্জন করেছি আমরা। আমাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হল দক্ষ ভারত গড়ে তোলারআন্দোলন। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হল যাঁরা নতুন কর্মী হিসেবে যোগ দেবেন, তাঁদেরএমনভাবে দক্ষ করে গড়ে তোলা যাতে একুশ শতকের অর্থনীতিতে তাঁরা বিশেষ অবদানের নজিররাখতে পারেন। রত্ন ও অলঙ্কার শিল্পে যুক্ত রয়েছেন ৪০ লক্ষ ৬০ হাজার কর্মী। তাঁদেরমধ্যে ১০ লক্ষ মানুষের রুজি-রোজগারের ক্ষেত্র হল হীরে শিল্প। সুতরাং, ‘মেক ইনইন্ডিয়া’ এবং ‘স্কিল ইন্ডিয়া’ গড়ে তোলার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে রত্ন ও অলঙ্কারশিল্পকে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরা যেতে পারে।

আজএখানে আমাদের সঙ্গেই উপস্থিত রয়েছেন আফ্রিকার কয়েকটি দেশের মন্ত্রী মহোদয়রা। ঐ অঞ্চলেরসঙ্গে ভারতের এক বিশেষ ও সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে। উপনিবেশবাদ-পরবর্তী ঐতিহ্যের ধারাএবং উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলির সাদৃশ্য ভারত ও আফ্রিকাকে পরস্পরের স্বাভাবিক অংশীদার করেতুলেছে। আমি এই সুযোগে আমার আফ্রিকার বন্ধুদের আশ্বাস দিতে চাই যে তাঁদের রত্ন ওঅলঙ্কার শিল্পের বিকাশে এবং শিল্পীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত সানন্দেইসাহায্য ও সমর্থন যুগিয়ে যেতে প্রস্তুত।

আমিশুরুতেই উল্লেখ করেছি যে কিভাবে একটি ক্ষেত্র তার যাত্রা শুরু করে বর্তমান অবস্থায়এসে পৌঁছেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের থেকে আমাদের বর্তমানঅবস্থান কিন্তু বেশ দূরে। আমাদের শক্তির মূল ক্ষেত্রটি হল হীরে কাটা ও পালিশ করারশিল্প। রত্ন ও অলঙ্কারের আন্তর্জাতিক মূল্য সংযোজনের ক্ষেত্রে আমাদের অবদান কিন্তুএখনও যথেষ্ট নয়। শুধুমাত্র হীরে কাটা ও পালিশ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না।ভবিষ্যতে আমাদের তা ছাপিয়ে যেতে হবে আরও অনেক দূর। এমন কিছু সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রআমাদের রয়েছে, যা এযাবৎকাল অনাবিষ্কৃতই থেকে গেছে। ধরুন, যদি আপনাদের আমি প্রশ্নকরি যে অলঙ্কার বিপণনের ক্ষেত্রে ভারতের অবদান বাড়িয়ে তোলার জন্য কি কৌশল আপনারাঅবলম্বন করবেন?

এরউত্তরে অনেকেই আমাকে বলে থাকেন যে ভারতের রপ্তানি বাণিজ্য আমদানি-নির্ভর : আমদানিকারকরা যেনকশা এবং খুঁটিনাটি বেছে দেন, তার ওপরই নির্ভর করে চলতে হয় রপ্তানি বাণিজ্যকে। এরঅর্থ, বিশ্বের রুচি বা মান নয়, বরং আন্তর্জাতিক ফ্যাশনকেই অনুসরণ করে যেতে হয়ভারতকে। কিন্তু এই ঘটনা কিন্তু আমাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং ডিজাইন বা নকশা তৈরির মেধাবা প্রতিভার ক্ষেত্রে সুবিচার করতে পারে না। একটি উদাহরণ দিয়ে আপনাদের বিষয়টিবোঝানো যাক। দু’হাজারের বছরেরও বেশি সময়কালের ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও মূর্তিরপ্রাচুর্য রয়েছে আমাদের দেশে। এই সমস্ত মূর্তি ও স্থাপত্য শিল্পে অলঙ্কারেরউপস্থিতি আমরা লক্ষ্য করেছি। এই শিল্পকর্মগুলি সারা বিশ্বের জনসাধারণকেই আকৃষ্ট ওমুগ্ধ করেছে। কিন্তু আমরা বাস্তবের মাটিতে কি তা যথাযথভাবে তুলে ধরতে পেরেছি? কখনওকি আমরা ভেবে দেখেছি যে এই শিল্পকর্মগুলিকেই ভিত্তি করে আমরা বিকাশ ও প্রসার ঘটাতেপারি আমাদের অলঙ্কার শিল্পের?

বন্ধুগণ,আমরা এমন এক যুগে বাস করছি যেখানে খুচরো বস্ত্র ব্যবসায়ীরা রুচি বদলানোর দায়িত্বসামলান সাধারণ মানুষের পছন্দ-অপছন্দের ক্ষেত্রে। এমনকি কেশ শিল্পীরা তাঁদেরখদ্দেরদের চুল কাটার ফ্যাশনটিও ঠিক করে দেন। আমরা বাস করছি এমন এক যুগে যেখানেহীরে ব্যবহার করা হচ্ছে চশমা, হাতঘড়ি এমনকি কলমেও। আমাদের অলঙ্কার শিল্পীরা কিপারেন না তাঁদের দক্ষতা, ক্ষমতা এবং ঐতিহ্যকে সম্বল করে সারা বিশ্বের পছন্দ ওরুচির ফ্যাশনকে বদলে ফেলতে?

বিশ্বেররুচি ও ফ্যাশনকে বদলে ফেলার জন্য আমাদের এই শিল্পক্ষেত্রটির প্রথম প্রয়োজন হলবাজারের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান ও ধারণা অর্জনের। শিল্পের সঙ্গে যুক্তসকলকেই খুব ভালোভাবে সমীক্ষা করে বুঝতে হবে যে যাঁরা মূল ব্যবহারকারী তাঁদের রুচিবা পছন্দটি কি। যেমন, কেউ কেউ বলতে পারেন তাঁরা সোনা পছন্দ করেন। আবার, কারোর হয়তোপছন্দ হীরে বা প্ল্যাটিনাম । যাই হোক না কেন, মূল কথাটি হল, যদি মূল ক্রেতা বাখরিদ্দারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ ও যোগাযোগ আমরা না গড়ে তুলতে পারি তাহলে বিশ্বকেপথ দেখানো কখনই সম্ভব হবে না। ই-কমার্স, অর্থাৎ বৈদ্যুতিন বাণিজ্য মূল ক্রেতা বাখরিদ্দারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগকে অনেক সহজ করে তুলেছে। ভারতীয় শিল্পের কাছে এএক সুবর্ণ সুযোগ। তরুণ শিল্পোদ্যোগীরা যাতে স্টার্ট আপ সংস্থা গড়ে তুলতে পারেন,সেজন্য তাঁদের উৎসাহিত করার কথা চিন্তা করতে পারে আপনাদের শিল্পক্ষেত্রটি। কারণ, অর্ডারঅনুযায়ী ভারতীয় অলঙ্কারের যোগান দিয়ে ভালো বাজার সৃষ্টি করার সম্ভাবনা রয়েছে এইস্টার্ট আপ সংস্থাগুলির ।

অতীতেএমন একটা সময় ছিল যখন ভারতের কোন কোন পণ্যের খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া । বর্তমানে উচ্চতরদক্ষতা এবং সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে পারদর্শিতার ক্ষেত্রে বিশ্বের একটি বিশেষব্র্যান্ড নাম হয়ে উঠেছে ‘ভারত’। এইভাবে অলঙ্কার শিল্পেও বিশেষ খ্যাতি ও সুনাম অর্জনকরতে হবে আমাদের এবং যদি আমরা তা করতে পারি তাহলে তা হয়ে উঠবে প্রচুর সম্ভাবনাময়একটি প্রচেষ্টা । সুতরাং, এই কাজটি সম্ভব করে তোলার জন্য বিশেষভাবেআগ্রহী হওয়া প্রয়োজন পরিষদের। এই কাজে ভূমিকা পালনের দায়িত্ব রয়েছে রাজ্যগুলিরও।দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে রাজ্যগুলিকে আমরা উৎসাহিত করেছি রপ্তানির বিকাশেসক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য। সংশ্লিষ্ট শিল্পক্ষেত্রটি রাজ্যগুলির সঙ্গে এ ব্যাপারেযোগাযোগ রেখে চলেছে বলে আমি মনে করি। রপ্তানি ছাড়াও দ্রুততম গতিতে বেড়ে ওঠা একটিবিশ্ব অর্থনীতি হিসেবে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টিও ভেবে দেখতে হবেভারতকে।

রপ্তানিশিল্পের বিকাশ ও প্রসারের বিষয়টি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনার একগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রটির। কিন্তু শুধুমাত্র তাই-ই যথেষ্টনয়। আপনাদের মধ্যে যাঁরা দুর্বলতম, তাঁদের কথাও চিন্তা করতে হবে আপনাদের।শিল্পক্ষেত্রটির সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত কর্মীর পারিশ্রমিক সবথেকে কম, কিংবা যাঁদেরঅবস্থা সচ্ছল নয়, তাঁদের কথাও বিবেচনা করা উচিৎ আপনাদের। জয়পুর, ত্রিচুর, বারাণসী,রাজকোট এবং কোয়েম্বাটোরে যাঁরা বসবাস করেন সেইসব শিল্পীদের কথা চিন্তা করুন তো আপনারা?এই সমস্ত মানুষদের প্রত্যেকেই যাতে দুর্ঘটনা বিমার জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষাবিমা যোজনা’, জীবন বিমার জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা’ এবং নিশ্চিতন্যূনতম পেনশন লাভের জন্য ‘অটল পেনশন যোজনা’র মতো স্বল্প ব্যয়ের সরকারি সামাজিকনিরাপত্তা কর্মসূচিগুলিতে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ লাভ করতে পারেন তা কি নিশ্চিত করতেপারে না সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রটি?

দুর্ঘটনাবিমার জন্য মাসে খরচ মাত্র ১ টাকার মতো। অন্যদিকে জীবন বিমা খাতে ব্যয় দিনে মাত্র১ টাকা। ৫ হাজার টাকার মতো ব্যাঙ্ক আমানত থেকে অর্জিত সুদ থেকে স্থায়ীভাবে এইসমস্ত বিমার কিস্তি মেটানো যেতে পারে।

বন্ধুগণ,আগামী ২০২২ সালে ৭৫ তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপন করতে চলেছে ভারত। ঐ সময়ের মধ্যেকোন কোন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে ভারতের রপ্তানি ও অলঙ্কার শিল্প? দেশের জন্য ঐসময়কালের মধ্যে আপনারা কি কি অবদান সৃষ্টি করতে পারেন? ঐ সময়ের মধ্যে এইশিল্পক্ষেত্রটি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে? আপনারা কিভাবেই বা পৌঁছবেন আপনাদেরসুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায়? কি সংখ্যক নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতেপারবেন আপনারা? আমি আপনাদের সকলকেই এ বিষয়টি সম্পর্কে গভীর ও আন্তরিকভাবেচিন্তাভাবনা করে পরিকল্পনা স্থির করার আহ্বান জানাব। যদি মনে করেন নিয়ম-নীতিরক্ষেত্রে পরিবর্তন প্রয়োজন, বেশ, আপনারা আসুন আপনাদের সুনির্দিষ্ট ব্যবহারিক ওবাস্তবসম্মত প্রস্তাব ও পরামর্শ নিয়ে। তা যদি দেশের স্বার্থরক্ষা ও পূরণের অনুকূলহয়ে ওঠে আমরা অবশ্যই সেগুলি বিবেচনা করে দেখব।

এইভাবেসকলের সঙ্গে মত ও চিন্তাভাবনা বিনিময়ের সুযোগদানের জন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদজানিয়ে আজকের বক্তব্য শেষ করছি। এই সম্মেলনের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য আমি কামনা করি।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।