A definite change is now visible in India, says PM Narendra Modi
Change in the economic and social content, represents the essence of the New Rules for the New India and the New Economy: PM
India, once mentioned among the ‘Fragile Five’ is now rapidly moving towards becoming a “Five Trillion Dollar” economy: PM
India is playing a key role in the entire world’s growth, the country’s share of the world GDP has risen from 2.4% in 2013, to 3.1% in 2017: PM
A new approach and a new work culture has developed in India: PM Narendra Modi
Speed + Scale + Sensitivity = Success: PM Narendra Modi
Unprecedented investment is being made today in infrastructure, agriculture, technology, health sector, and education sector: PM

ইকনোমিক্স টাইমস —গ্লোবাল বিজনেস সামিটে দেশ-বিদেশ থেকেআসা অতিথিগণ, এখানে উপস্থিত সমস্ত অভ্যাগতরা, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,

নিউইন্ডিয়া বা নব ভারতের সংকল্পের এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনারা সবাই ‘নিউ ইকোনোমি —নিউ রুলস ’ নিয়েআলোচনা করার জন্য সম্মিলিত হয়েছেন| প্রশ্ন হচ্ছে যে, এতে নতুন কী আছে? ইকোনোমিক্সটাইমস-ও প্রতিদিন ছাপা হয়, পেপারের গুণমান প্রতিদিন এরকমই হয়, প্রিন্টিং-এর গুণমানওপ্রতিদিন এরকমই হয়, ব্যানারের মধ্যে আপনারা যে পত্রিকার নাম লিখেন, তার ফন্ট ওস্টাইলও একই থাকে| তারপরও আমরা বলে থাকি প্রতিদিন নতুন পত্রিকা বের হয়| ব্যতিক্রমহয় শুধুমাত্র এর বিষয়ের| আর এই বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই আপনারা বলেন, এটা তাজা খবর,নতুন খবর|

বন্ধুগণ,আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের সরকার চার বছর সম্পূর্ণ করতে যাচ্ছে| দেশ সেটাই,মানুষও সেই, আমলাতন্ত্রও সেটাই, কিন্তু তারপরও একটা পরিবর্তন দেশ-বিদেশে স্পষ্টদেখা যাচ্ছে| দেশের আর্থিক ও সামাজিক বিষয়ে আসা এই পরিবর্তনেই নিউ ইন্ডিয়া, নিউইকোনোমির নিউ রুলস বা নতুন নিয়ম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে|

আপনাদেরমনে থাকবে, চার বছর আগে গোটা দুনিয়ায় যখন ভারতের অর্থব্যবস্থার আলোচনা হতো, তখনবলা হতো, ফ্র্যাজিল ফাইভ বা ভঙ্গুর পাঁচ…| গোটা পৃথিবী আমাদের নিয়ে হাসাহাসিকরতো আর চোখ তুলে বলতো, এই দেশটা নিজেও ডুববে, আর আমাদেরও ডোবাবে| আজ সেইফ্র্যাজিল ফাইভ নয়, ভারতের ফাইভ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির লক্ষ্য নিয়ে আলোচনাহচ্ছে| আজ দুনিয়া ভারতের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে চাইছে|

বন্ধুগণ,ভারতের উন্নয়ন, গোটা বিশ্বের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে|

· গত তিন-চার বছরে ভারত নিজের সঙ্গেগোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে শক্তিশালী করেছে|

· বিশ্বের জি.ডি.পি.-তে যদি আমরানমিন্যাল টার্মের ডেটা-কে দেখি, তাহলে খুব আকর্ষণীয় তথ্য সামনে আসে| আন্তর্জাতিকমুদ্রা তহবিলের তথ্য অনুসারে ২০১৩ সালের শেষে বিশ্ব জি.ডি.পি.-তে নমিন্যাল টার্মেভারতের অবদান ২.৪ শতাংশ ছিল| আমাদের সরকারের প্রায় ৪ বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩.১শতাংশ হয়ে গেছে|

· বিশ্ব অর্থব্যবস্থার যে অংশ পেতে ভারতের ৮ বছরলেগেছিল, তা আমাদের সরকারের ৪ বছরে হয়েছে| তার চেয়েও চমকপ্রদ তথ্য আই.এম.এফ.-এরডেটা থেকে বেরিয়ে আসে| বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থায় নমিন্যাল টার্মে গত ৪ বছরে যা বৃদ্ধিহয়েছিল, তার ২১ শতাংশ ভারতে হওয়া বৃদ্ধির জন্যই হয়েছে|

· এখন আপনারা নিজেরাই ধারণা করতে পারেন, যে দেশবিশ্ব জি.ডি.পি. ’র শুধুমাত্র ৩ শতাংশ অংশ ছিল, তাবিশ্ব অর্থব্যবস্থার বৃদ্ধিতে ৭ গুণ বেশি অবদান রাখছে|

· আপনারা যেকোনো ম্যাক্রো-ইকনোমিক মানদণ্ড দেখুন,তা সে মুদ্রাস্ফীতি হোক, কারেন্ট একাউন্ট ঘাটতি হোক, ফিস্কাল ঘাটতি হোক, জি.ডি.পি.বৃদ্ধি হোক, সুদের হার হোক, এফ.ডি.আই. ’র অন্তর্প্রবাহহোক, ভারত সমস্ত ক্ষেত্রেই আরও ভালো কাজ করছে|

· দেশের কারেন্ট একাউন্ট ঘাটতি, যা ৪ শতাংশেরবিপজ্জনক স্তরে ছিল, তাকে কমিয়ে দিয়ে আমাদের সরকার প্রথম তিন-সাড়ে তিন বছরে গড়ে একশতাংশে নিয়ে এসেছে|

· আগের সরকারের সময় ফিস্কাল ঘাটতি,যা ৪.৫ শতাংশের অশেপাশে ছিল, তা আমাদের সরকার কমিয়ে ৩.৫ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে|

· আমাদের সরকারের সাড়ে তিন বছরেপ্রায় ২০৯ বিলিয়ন ডলার গ্রস এফ.ডি.আই. এসেছে, যেখানে আগের সরকারের তিন বছরে ১১৭বিলিয়ন ডলার এফ.ডি.আই. এসেছিল|

· আজ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারপ্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪১৯ বিলিয়ন ডলারের স্তরে রয়েছে| এছাড়াও ২০১৩ সালের সংকটের সময় করা স্পেশাল ফরেন কারেন্সি নন-রেসিডেন্ট ডেপজিটঅর্থাত এফ.সি.এন.আর.-এর প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার পরিশোধও দেশ সম্পূর্ণ করেছে|

· মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রিতরাখতে আর উচ্চ উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য টাকা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিও ভালো রয়েছে|সুদের হারে এক শতাংশের বেশি কম হওয়ার লাভ গ্রাহক, আবাসন ক্ষেত্র ও অন্যান্যউদ্যোগীরা পাচ্ছেন|

বছরের পর বছর আমাদের সরকারসমস্ত মাইক্রো-ইকনোমিক সূচককে উন্নত করতে সফল হয়েছে| কিন্তু পুরনো পদ্ধতিতে এটা কিসম্ভব ছিল? না| পুরনো দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে গিয়ে এই পরিবর্তন সম্ভব ছিলনা|

দেশে এইপরিবর্তন আসার কারণ হচ্ছে দেশ এখন এক নতুন কর্মসংস্কৃতির সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে|নিজের শক্তি, নিজের সম্পদের ওপর ভরসা করে নিউ ইন্ডিয়া ’র সংকল্পের সঙ্গে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে|

গত তিনবছরে দেশের অর্থনৈতিক বিশ্ব এক নতুন বিষয় শিখেছে, আর তা হচ্ছে প্রতিযোগিতা…| যখনসামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা থাকবে না, যখন এক স্বাস্থ্যপূর্ণ প্রতিযোগিতা হবেনা, তখন যেমন গতি আসবে না, তেমনি দিগন্ত বিস্তৃত মাত্রায় গিয়ে চিন্তাও করতে পারবোনা|

বন্ধুগণ,আজ ভারতের এই প্রতিযোগিতার বিষয়টিকে গোটা দুনিয়া মূল্যায়ন করছে, অভিবাদনজানাচ্ছে|

· আঙ্কটাড (ইউ.এন.সি.টি.এ.ডি.)-এরবিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন অনুসারে ভারত বিশ্বের মধ্যে পছন্দের এফ.ডি.আই.গন্তব্যগুলোর একটি|

· বিশ্বের প্রথম তিনটি সম্ভাব্যআহ্বানকারী অর্থনীতির মধ্যেও ভারতের নাম রয়েছে|

· এফ.ডি.আই. বিশ্বস্ততা সূচকেরমধ্যে শীর্ষ দুই উদীয়মান বাজার নিষ্পাদকের মধ্যে একটি ভারত|

· বিশ্ব ব্যাঙ্কের বাণিজ্য সহজতাররেঙ্কিং-এ আমরা মাত্র তিন বছরে ৪২ স্থান উপরে এগিয়েছি| আজ আমরা ১৪২ থেকে ১০০নম্বরে পৌঁছে গেছি| সব ধরনের রেটিং এজেন্সিগুলো ভারতের রেটিংকে উন্নত করছে|

· ভারত আজ পৃথিবীর সবচেয়ে উন্মুক্তঅর্থনীতিগুলোর মধ্যে একটি|

বন্ধুগণ,আমি এর আগের বার যখন আপনাদের এই অনুষ্ঠানে এসেছিলাম, সেইসময় জি.এস.টি. শুধুমাত্রসম্ভাবনার মধ্যে ছিল|

আজজি.এস.টি. এক সত্য বিষয়| স্বাধীনতার পরে দেশের সবচেয়ে বড় এই কর সংস্কার কার্যকরহয়ে ৭ মাস হয়ে গেছে| জি.এস.টি. দেশকে এক উন্নত কর অনুবর্তী পদ্ধতি, উন্নত রাজস্বপদ্ধতি দিয়েছে| এটা পণ্যের দ্রুত চলাচলে উত্সাহ দিয়েছে, পরিবহন ব্যয় কমিয়েছে আররফতানিতে এক প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করেছে|

· ভাই ও বোনেরা, আমাদের দেশে ৭0বছরের অপ্রত্যক্ষ কর পদ্ধতি সত্বেও প্রায় ৬0 লক্ষ ব্যবসায়ীই ছিলেন, যারাঅপ্রত্যক্ষ করের অধীনে ছিলেন|

· জি.এস.টি. ’র শুধুমাত্র ৭ মাসের মধ্যেই ৪৪ লক্ষের বেশি নতুন মানুষ এই প্রত্যক্ষ করপদ্ধতিতে যুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন|

· এর ফলে দেশে সৎ ব্যবসার সংস্কৃতিতো শক্তিশালী হয়েছেই, করের এই বিস্তারের ফলে ন্যায়নিষ্ঠ করদাতারা কম করেরপুরস্কারও পেয়েছেন|

বন্ধুগণ,আপনারা এটা জানেন যে, আমাদের সরকার টুইন ব্যালেন্স শিটের কী ধরনের উত্তরাধিকারপেয়েছিল| ব্যাংকের আগের ব্যবস্থা সম্পর্কে তো আপনারা অবগত আছেন যে, কীভাবেস্বজনপোষণ পুঁজিবাদের (ক্রনি ক্যাপিটালিজম) পরিবেশ ব্যাপকভাবে সমস্ত ব্যবস্থারমধ্যে প্রোথিত ছিল| একে উন্নত করার জন্য ইনসলভেন্সি ও ব্যাঙ্করাপটসি কোড-এর মতোবিশাল সংস্কার আমরা করেছি|

আজ দেশেদুই হাজারের বেশি ইন্সলভেন্সি প্রফেশনাল এবং ৬২ ইন্সলভেন্সি এনটিটি ২৪ ঘণ্টা ধরেএই সমস্যা দূর করার জন্য নিযুক্ত রয়েছেন| শুধুমাত্র তিন মাসেই আমাদের সরকার২৭০০-এর বেশি মামলার নিষ্পত্তি করেছে|

আরও একটিপ্রতিকূলতা আমার বিষয় ছিল, রফতানির বিষয়| আমরা যদি ২০১৫-১৬ সালে আমদানি ও রফতানির তথ্য দেখি তাহলে দেখতে পাবো যে, দুইক্ষেত্রেই প্রায় ১৫ শতাংশ পতন হয়েছে| এই পতন কেন হয়েছে, তা নিয়ে অনেক ধরনের মতামতএসেছে| একটি সম্ভাবনা আরও রয়েছে, যেখানে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের আলোচনা করা উচিত|

বন্ধুগণ,২০১৪ সালে সরকার গঠন হওয়ার পর, কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আমাদের সরকারেরপ্রথম বড় সিদ্ধান্ত ছিল, সিট (এস.আই.টি.) গঠন করা| ‘সিট ’ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, আমদানি-রফতানিতে অতিরিক্ত-চালানও খুব গুরুতরবিষয়| এই প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্য থেকে সরকার অতিরিক্ত-চালানের মোকাবিলায় কঠোরপদক্ষেপ গ্রহণ করেছে| এখন তা অর্থনীতিবিদদের জন্য গবেষণার বিষয় যে,বাণিজ্য-ঘাটতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন না হয়েও কেনো আমদানি-রফতানিতে এক ধরনেরইনিম্নগামী প্রবণতা আসছিল? এর পেছনের কারণ কি অতিরিক্ত-চালান ছিল, নাকি বেস-কারেকশনছিল?

বিনীতজি,এবার কালকেই আপনি ছাপিয়ে দেবেন না যে, রফতানির পতনে মোদির সাফাই| আমি একটিদৃষ্টিকোণ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি, যা নিয়ে আপনাদের সবাইকেই ভাবা উচিত| তাছাড়াআপনারা এটাও জানবেন যে, নিয়ন্ত্রণ ও কড়াকড়ির দীর্ঘ সময়ের পর এখন রফতানির বর্তমানেতথ্য এটা জানাচ্ছে যে, পরিস্থিতির এখন উন্নতি ঘটছে|

বন্ধুগণ,আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দেখতে পাই যে, যখন আমরা জল গরম করি, তখন এক বিশেষতাপমাত্রায় পৌঁছানোর পরই তা বাষ্পে রুপান্তরিত হয়| সেই তাপমাত্রায় পৌঁছানোর আগে জলগরমও হয়না, আর বাষ্পও হয়না| সেভাবেই সরকারের উদ্যোগ মানুষের কাছে যাতে পৌঁছে, তারজন্য গতি, মাত্রা ও সংবেদনশীলতার (স্পিড, স্কেল ও সেনসিটিভিটি) প্রয়োজনীয়তা রয়েছে|

স্পিড,স্কেল ও সেনসিটিভিটির সঙ্গে কাজ হলে এর সাফল্যও পাওয়া যাবে| আমাদের সরকার আটকেদেওয়া-বিপথে চালিত করা-ঝুলিয়ে রাখার (আটকানে-ভটকানে-লটকানে) সংস্কৃতি সমাপ্ত করেদিয়েছে| এ ফলে গোটা ব্যবস্থার মধ্যে এক নতুন গতি এসেছে|

· আগের সরকারের সময় যে গতিতে রেললাইনের ব্রডগেজে রূপান্তর হচ্ছিল, আজ তার দ্বিগুণ গতিতে ব্রডগেজে রূপান্তর হচ্ছে|

· আগের সরকারের সময় যে গতিতে গ্রামেসড়ক নির্মাণ হচ্ছিল, জাতীয় মহাসড়ক তৈরি হচ্ছিল, এখন এই সরকার সেই কাজ দ্বিগুণগতিতে করছে|

· আগের সরকারের সময় যে গতিতেবিদ্যুতের পরিবাহী তার টানা হচ্ছিল, এখন সেই কাজই তার দ্বিগুণ গতিতে করা হচ্ছে|

· আগের সরকারের সময় যে গতিতেবিদ্যুত উত্পাদন ক্ষমতা যুক্ত হচ্ছিল, এখন তার চেয়ে বেশি গতিতে কাজ হচ্ছে|

· আগের সরকারের সময় ৩ বছরেরপ্রচেষ্টায় যেখানে মাত্র ৫৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে অপটিক্যাল ফাইবারে যুক্ত করাহয়েছিল, সেখানে আমরাও ৩ বছরে ১ লক্ষ ১০ হাজারেরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতকে অপটিক্যালফাইবারে যুক্ত করেছি|

· প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের (ডি.বি.টি.)অধীনে আগে মাত্র ২৮টি প্রকল্পের অর্থ ব্যাংকে সরাসরি হস্তান্তর করা হতো, সেখানেএখন ৪০০ টির বেশি যোজনা এই ডি.বি.টি. ’র সঙ্গে যুক্তহয়েছে|

· আপনারা ভাবুন, ছোট একটি এল.ই.ডি. বাল্ব-এরজন্য আগে সাড়ে তিনশ টাকা লাগতো| একে কমিয়ে কমিয়ে আমরা ৪০-৫0 টাকায় নিয়ে এসেছি|পৃথিবীর অনেক দেশেই আজও এই এল.ই.ডি. ’র জন্য ৩ ডলারলাগে| কিন্তু আমাদের সরকার এর দাম ১ ডলারেরও কমে নিয়ে এসেছে|

· ২০১৪ সালে আগে আমাদের দেশে যেখানেমাত্র ৩টি মোবাইল নির্মাতা কোম্পানি ছিল, সেখানে এদের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে এখন ১২০-এরআশেপাশে পৌঁছে গেছে| এর ফলেই ২০১৪-১৫ সালে যেখানে দেশে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশিমূল্যের মোবাইল আমদানি করা হতো, সেখানে এখন তা কমে গিয়ে অর্ধেক হয়ে গেছে|

এই পরিবর্তন কি এমনি এমনিএসে গেছে? এই বদল কি এমনি এমনি হয়ে গেছে? এর জন্য যে ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন হয়েথাকে, তা আমাদের সরকার দেখিয়েছে| এটাইহচ্ছে নতুন অর্থনীতির নতুন নিয়ম|

ভাই ও বোনেরা, ২০১৪ সালেসরকার গঠন করার পর থেকে আমরা সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, সম্পদ নির্ভর উন্নয়ন নীতিও উন্নয়ন নীতি নির্ভর বাজেটের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি|

· আজ দেশে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে,কৃষির ক্ষেত্রে, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, শিক্ষার ক্ষেত্রে যতটাবিনিয়োগ করা হচ্ছে, ততটা এর আগে কখনো করা হয়নি|

· প্রথম বারের মতো দেশে এভিয়েশনপলিসি তৈরি করা হয়েছে| যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এফ.ডি.আই. নিয়ে কেউ ভাবতেই পারত না,সেই ক্ষেত্রেও আমাদের সরকার বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে|

· আমাদের সরকার দেশের পরিবহনক্ষেত্রকে একবিংশ শতকের প্রয়োজনীয়তার দিকে লক্ষ্য রেখে তৈরি করা হচ্ছে, সেগুলোকেসংহত করা হচ্ছে|

এই সমস্তবিনিয়োগ ও সরকারের প্রকল্পগুলো একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের প্রচুর সুযোগ নিয়েও আসছে|গত চার বছরে আমাদের সরকার দেশে কর্মসংস্থান-কেন্দ্রিকের পাশাপাশি জন-কেন্দ্রিকবৃদ্ধির দিকেও গুরুত্ব দিয়েছে| এ এমন এক অর্থব্যবস্থা যেখানে দেশের গরিব মানুষদেরঅর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিও হবে, যা মধ্যবিত্তের আকাঙ্ক্ষার দিকেও মনোযোগ দেবে|

বন্ধুগণ,আমাদের সরকারের কাছে এই দম্ভ নেই যে, আমরাই সমস্ত কিছু জানি| ‘সবকা সাথ-সবকা বিকাশ ’-এর মন্ত্র মেনে চলে আমরা সবারমতামত ও সবার অভিজ্ঞতাকে সঙ্গে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি| আমাদের সরকার সম্পূর্ণসংবেদনশীলতার সঙ্গে তাদের আবশ্যকতা, তাদের উদ্বেগের বিষয় শুনে থাকে, আর সেজন্যঅনেক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার উদ্ভাবনাপূর্ণ সমাধান বেরিয়ে আসছে|

প্রথমদিন থেকে আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে যে, ব্যবস্থার মধ্যে যাতে অনুভূমিক ও উলম্বসংবেদনশীলতাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া যায়| আমি স্বয়ং নানা সময়ে কৃষকদের, নবযুবদের,ছাত্রছাত্রীদের, যুব সি.ই.ও.-দের সঙ্গে সাক্ষাত করে আলাদা আলাদা মঞ্চে মত বিনিময়করে যাচ্ছি| আমরা এমন ব্যবস্থা তৈরি করেছি যেখানে মানুষের প্রতিক্রিয়া আমরাপ্রত্যক্ষভাবে পাচ্ছি| অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়টিতেও আমাদের সরকার অনেক বেশি মনোযোগদিয়েছে|

বন্ধুগণ,অনেক ক্ষেত্রেই যেসব তাত্ত্বিক সমাধান অনেক সঠিক বলে মনে হতে থাকে, সেগুলোইব্যবহারিক সমস্যার উত্স হয়ে দাঁড়ায়| এটাকে তখনই বোঝা যায়, যখন সরকার সংবেদনশীলতারসঙ্গে সমস্ত খুঁটিনাটিকে বোঝে থাকে|

যেমনবাঁশের ক্ষেত্রে সম্প্রতি নেওয়া সিদ্ধান্ত, ইউরিয়ায় ১০০ শতাংশ নীমের কোটিং,গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি ’র চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ তুলেদেওয়ার সিদ্ধান্ত, গেজেটেড অফিসারকে দিয়ে প্রত্যায়িত করার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ারসিদ্ধান্ত| এই কাজগুলো আগেই করা যেতো, কিন্তু সংবেদনশীলতার ঘাটতির জন্য, জনগণেরসঙ্গে সংযুক্তির ঘাটতির জন্য এটা হয়নি|

বন্ধুগণ,আমাদের এখানে স্বাস্থ্য এমন এক ক্ষেত্র, যা সার্বিক মনোযোগ থেকে সবসময়ই দূরে রয়ে গেছে|স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প আগেও হয়েছে, কিন্তু সেগুলোতে সংবেদনশীলতার ঘাটতি ছিল|আমরা উন্নত স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি উন্নত স্বাস্থ্যও সুনিশ্চিত করছি|

· মিশন ইন্দ্রধনুষ-এর জন্য দেশেটিককরণের বিস্তার বৃদ্ধির গতি ৬ গুণ বেড়েছে|

· তিন হাজারেরও বেশি জন-ঔষধি দোকানে৮০০-এর বেশি ওষুধ কম দামে দেওয়া হচ্ছে| আমাদের সরকার স্টেন্ট-এর দাম ৮০ শতাংশকমিয়ে দিয়েছে| হাঁটুর প্রতিস্থাপনের খরচও নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে| ডায়াবেটিসের প্রায়আড়াই লক্ষ রোগীকে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ ডায়ালিসিস সেশন বিনামূল্যে করানো হয়েছে|

· এবারকার বাজেটে আমরা দেশের ১০কোটি গরিব পরিবারকে সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার স্বাস্থ্য নিশ্চয়তা প্রকল্প —আয়ুষ্মান ভারতের ঘোষণা দিয়েছে| এর অধীনে প্রতিটি গরিব পরিবারকে গুরুতরঅসুখের চিকিত্সার জন্য বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য নিশ্চয়তা দেওয়াহবে|

বন্ধুগণ,ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ান মিশনের ভিত্তি হচ্ছে আমাদের সমাজকে ডিজিট্যালভাবে সক্ষম একসমাজ হিসেবে পরিবর্তিত করা এবং দেশের অর্থব্যবস্থাকে জ্ঞান-নির্ভর অর্থনীতিতেপরিবর্তিত করা| ১০০ কোটি ব্যাঙ্ক একাউন্ট, ১০০ কোটি আধার কার্ড, ১০০ কোটি মোবাইলফোনের ত্রয়ী-সংযুক্তি এক এমন বাস্তুতন্ত্র তৈরি করবে, যা গোটা দুনিয়ায় সম্পূর্ণভিন্ন এক বিষয় হবে|

বন্ধুগণ,এম.এস.এম.ই. ’র বাস্তুতন্ত্র আমাদের অর্থ ব্যবস্থার মেরুদণ্ড| এইক্ষেত্রকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছি| যত বেশি সম্ভব লঘুউদ্যোগকে প্রথাগত ক্ষেত্রে নিয়ে আসার জন্য উচ্চ মাত্রার ঋণ সহায়তা, মূলধন ও ঋণভর্তুকি এবং উদ্ভাবনার দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে|

এতেঅর্থনৈতিক প্রযুক্তি অর্থাত ফিন-টেক এরও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে|এম.এস.এম.ই.-কে আর্থিক অধিগম্যতা প্রদান করার জন্য, এর উন্নয়নে আরও গতি নিয়ে আসারজন্য ফিন-টেক এর ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে| এর বর্দ্ধিত ব্যবহার, দেশের অর্থব্যবস্থাকে শক্তিশালী করছে|

বন্ধুগণ,আমি যখন এর আগে আপনাদের এই আয়োজনে এসেছিলাম, তখন আমি সবার জন্য আবাস, সবার অন্যবিদ্যুত, সবার জন্য পরিচ্ছন্ন রান্নার জ্বালানি, সবার জন্য স্বাস্থ্য, সবার জন্যবিমা ’র কথা বলেছিলাম|

· দেশে গত তিন বছরে গরিব ওনিম্ন-মধ্যবিত্তের জন্য প্রায় এক কোটি ঘরের নির্মাণ করা হয়েছে|

· ৪ কোটি ঘরকে বিদ্যুতের মাধ্যমেউজ্জ্বল করে তোলার জন্য সৌভাগ্য যোজনা শুরু করা হয়েছে|

· উজ্জ্বল যোজনার মাধ্যমে ৩ কোটি ৪০লক্ষ মহিলাকে বিনামূল্যে গ্যাসের সংযোগ প্রদান করা হয়েছে|

· শুধুমাত্র ৯০ পয়সা প্রতিদিন এবংএক টাকা মাসে প্রিমিয়াম দিয়ে আমাদের সরকার ১৮ কোটির বেশি গরিব জনগণকে সুরক্ষা কবচপ্রদান করা হয়েছে| এই বিমা যোজনার মাধ্যমে গরিব মানুষকে এখন পর্যন্ত ২ হাজার কোটিটাকারও বেশি দাবির টাকা প্রদান করা হয়েছে|

বন্ধুগণ,আমাদের সরকারের নীতি, নিযুক্তি, সিদ্ধান্ত, উদ্দেশ্য, নিয়ম সবকিছুর একই লক্ষ্য —দেশের উন্নয়ন, দেশের গরিব মানুষের উন্নয়ন| সবার সঙ্গে-সবার উন্নয়নেরমন্ত্র নিয়ে এগিয়ে গিয়ে আমরা গরিবকে সক্ষম করার কাজ করছি|

· গত তিন সাড়ে তিন বছরে জনধন যোজনারঅধীনে দেশে ৩১ কোটিরও বেশি গরিব জনগণের ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলা হয়েছে| শুধুমাত্রএকাউন্টই নয়, এতে আজ প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছে|

· এই সময়ের মধ্যে সরকার ৬ কোটিরওবেশি শৌচালয় তৈরি করেছে| দেশে গ্রামীণ স্বচ্ছতার এলাকা ২০১৪ সালের প্রায় ৪০ শতাংশথেকে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৭৮ শতাংশেরও বেশি হয়ে গেছে|

· সরকার মুদ্রা যোজনার অধীনে ১১কোটি ঋণ দিয়েছে| যার মাধ্যমে ৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ কোনো ব্যাঙ্কগ্যারান্টি ছাড়াই যুব অংশকে ও মহিলাদের প্রদান করা হয়েছে| এই যোজনায় দেশের প্রায়তিন কোটি নতুন উদ্যমী পাওয়া গেছে|

· এখন পর্যন্ত ১১ কোটিরও বেশিমৃত্তিকা স্বাস্থ্যপত্র বিতরণ করা হয়েছে| ২০ লক্ষ হেক্টর থেকে বেশি জমিকে লঘুসেচের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে|

বন্ধুগণ,এই বছরের বাজেটে নতুন অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত আরও বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে|

বিজ্ঞাপিতসিদ্ধান্তের জন্য, ন্যুনতম সহায়ক মূল্য —অর্থাত এম.এস.পি.,এর ব্যয় কমপক্ষে দেড় গুণ ঘোষিত করা হবে| এই ব্যয়ে কৃষক যে অন্য কৃষি শ্রমিকনিয়েছেন, তার পরিশ্রমের মূল্য, নিজের গবাদি পশু বা মেশিন অথবা ভাড়ায় নেওয়া গবাদিপশু বা মেশিনের খরচ, বীজের মূল্য, সমস্ত রকম সারের মূল্য, সেচের খরচ, রাজ্য সরকারকে দেওয়া জমির রাজস্ব, ব্যাংকেরমূলধনের ওপর দেওয়া সুদ, লিজে নেওয়া জমির জন্য দেওয়া ভাড়া সহ অন্যান্য সমস্ত খরচযুক্ত রয়েছে| এটুকুই নয়, কৃষকের স্বয়ং এবং তার পরিবারের সদস্যদের দেওয়া শ্রমেরমূল্য, উত্পাদন ব্যয়ের মধ্যে যুক্ত করা হবে|

দেশেরপরিশ্রমী কৃষকদের আয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা এ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ| যদিও কিছুঅর্থশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ এর ফলে মূল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিতও দিয়েছেন|

বন্ধুগণ,এইসব অর্থশাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের এটাও তো দেখা উচিত যে, আমাদের অন্নদাতা, আমাদেরকৃষকদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব কী হওয়া উচিত? আমি মনে করি কৃষকদের আয় বৃদ্ধির সঙ্গেযুক্ত সমস্ত সিদ্ধান্তকে আমাদের সমর্থন করা উচিত| আর সরকার এই পদক্ষেপে আয়ের উত্সচিহ্নিত করলে নিঃসংকোচে নিজের অংশ গ্রহণ বাড়ানো উচিত|

বন্ধুগণ,সরকার গত তিন বছর ধরে সততাকে প্রাতিষ্ঠানিক করার কাজ করেছে| প্রযুক্তির মাধ্যমেপদ্ধতিকে নিপুন করা হচ্ছে, মাঝপথে যে লিকেজ হতো, তা বন্ধ করা হচ্ছে|

· ডি.বি.টি. ’র মাধ্যমে সরকার ৫৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ ভুল হাতে পড়া থেকেবাঁচানো গেছে|

· দুই লক্ষেরও বেশি সন্দেহভাজনকোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে| এই কোম্পানিগুলোর ডিরেক্টরদের একাউন্টওফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে| আর অন্য কোনো কোম্পানিতে তাদের ডিরেক্টর হওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞাআরোপ করা হয়েছে|

এখানে এইঅনুষ্ঠানে আমি দেশের উদ্যোগ জনগত, সমস্ত ক্ষেত্রের মানুষদের, সমস্ত পেশাজীবীদেরআহ্বান জানাতে চাই| দেশের বর্তমান প্রয়োজনীয়তা কী, ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা কী, এইবিষয়গুলোকে সবসময় নিজের মনে রাখুন|

আরও একটিআহ্বান আমি করতে চাই যে, বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে নিয়ম ও উদ্দেশ্য অর্থাতনৈতিকতা বজায় রাখার দায়িত্ব যাদেরকে দেওয়া হয়েছে, তারা যেন সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গেতাদের দায়িত্ব পালন করেন| বিশেষ করে যাদেরকে পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রদান করা হয়েছে|

আমিস্পষ্ট করতে চাই যে, এই সরকার আরিঠিক বিষয়ের সঙ্গে সংযুক্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোরপদক্ষেপ গ্রহণ করবে| নিয়ম বহির্ভূতভাবে জনগণের টাকা নিয়ে যাওয়া, এই ব্যবস্থায়গ্রহণীয় হবে না| এটাই হচ্ছে নতুন অর্থনীতি-নতুন নিয়মের মূল মন্ত্র|

বন্ধুগণ,এখানে নতুন অর্থনীতির কথা আলোচনা হচ্ছে| আমি এখানে হওয়া আলাদা আলাদা বিভিন্নআলোচনার বিষয় নিয়ে জানার পর আমারও মনে একটা বিষয় এসেছে| এই বিষয়টি দেশের অর্থব্যবস্থার সঙ্গে অত্যন্ত গভীরভাবে যুক্ত| আমার মনে হয়, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনএকসঙ্গে করলে যে ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাব দেশের ওপর পড়বে, তা নিয়েও আলোচনা হওয়া উচিত|

এইবিষয়টা শুধুমাত্র ভারত পর্যন্ত সীমিত নয়| বিদেশি কোম্পানিগুলোও তো এর দ্বারাপ্রভাবিত হয়| বিনয়োগও এর ফলে প্রভাবিত হয়| বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের সময়, মাস ও দিনপর্যন্ত স্থির থাকে| সেইসব দেশে এর ফলে উদ্যোগের ওপর কী প্রভাব পড়ে, এগুলো নিয়েওআলোচনা করা যেতে পারে|

ভারতেরআর্থিক উন্নয়ন, ভারতে সু-প্রশাসনের প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা, ভারতে বৈশ্বিক মানদণ্ডকেপাওয়ার নীতি ও প্রচেষ্টা, বিশ্বের সঙ্গে আর্থিক ও বাণিজ্যিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেব্যাপক সহমতের প্রয়াস, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনের কেন্দ্রে দীর্ঘস্থায়ীউন্নয়নের প্রাথমিকতা —ইত্যাদি সমস্ত বিষয় গোটা বিশ্বের কাছেস্পষ্ট হয়ে উঠছে, তাতে তারা ভারতের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন|

আধুনিকপরিবেশ, নতুন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ভারত সামনের সারির শক্তি হতে পারে, প্রযুক্তিরক্ষেত্রে, উদ্ভাবনার ক্ষেত্রে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে|

আমাদেরমধ্যে এই সামর্থ্য রয়েছে, আমাদের কাছে এই সম্পদ রয়েছে যে, আমরা নব ভারতের স্বপ্নপূরণ করতে পারি| আর আমাদের উন্নয়ন শুধুমাত্র আমাদেরই নয়, এটা গোটা বিশ্বে সমৃদ্ধিনিয়ে আসবে|

আসুন,আমাদের সামনের সমস্ত প্রতিকূলতাকে সুযোগে পরিবর্তন করে, আমরা নব ভারত নির্মাণ করি,আমাদের সংকল্প পূরণ করি|

আরওএকবার আপনাদের সবাইকে এই আয়োজনের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনার সঙ্গে আমার ভাষণসমাপ্ত করছি|

সবাইকেঅনেক অনেক ধন্যবাদ!!!

 

 

 

Click here to read PM's speech 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।