Bedrock of India’s development is ‘Sabka Sath, Sabka Vikas': PM Modi
India has a long tradition of partnerships with fellow developing countries, while pursuing our own aspirations for growth: PM
PM Modi in Xiamen: Calls for coordinated action & cooperation in areas such as counter terrorism, cyber security & disaster management
Our no strings attached model of cooperation is driven purely by the requirements and priorities of our partner countries: PM

মাননীয়প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং, আমার শ্রদ্ধাভাজন ব্রিক্‌স সহকর্মীবৃন্দ, এবং 

বিশিষ্টনেতৃবৃন্দ, 

আপনাদেরসকলের সঙ্গে আজ এখানে মিলিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। যে সমস্ত দেশের আজ আপনারা এখানেপ্রতিনিধিত্ব করছেনতারা সকলেই ভারতের ঘনিষ্ঠ ও মূল্যবান বন্ধু-রাষ্ট্র।নিরন্তর ওসুসংবদ্ধ উন্নয়নের লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়কে আমরা অগ্রাধিকারদিয়েছি, তার বিভিন্ন প্রেক্ষিত নিয়ে আমি আলোচনা করতে আগ্রহী। এ ধরনের আলাপ-আলোচনারউদ্দেশ্যে আমাদের সকলকে এখানে একত্রিত হওয়ার সুযোগদানের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাইপ্রেসিডেন্ট জি জিনপিং-কে। 

মাননীয়নেতৃবৃন্দ, 

রাষ্ট্রসঙ্ঘের২০৩০-এর লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ এবং এর আওতায় ১৭টি নিরন্তর উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাস্থির করার পর অতিক্রান্ত হয়েছে দুটি বছর।আমরা লক্ষ্য করেছি যে এই সময়কালে নির্দিষ্টলক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য সমবেত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সদ্যসমাপ্ত জুলাই মাসে নিরন্তর উন্নয়নের লক্ষ্যগুলি সম্পর্কে এক জাতীয় পর্যালোচনার কাজভারত সম্পূর্ণ করেছে। আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচির মূল মন্ত্রই হল – “সব কা সাথ, সব কাবিকাশ”, অর্থাৎ, সমবেত প্রচেষ্টা, অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশ। প্রত্যেকটি নিরন্তরউন্নয়নের লক্ষ্যকে আমাদের নিজস্ব উন্নয়ন কর্মসূচি ও প্রকল্প অনুযায়ী আমরা স্থিরকরেছি রাজ্য তথা যুক্তরাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। নিরন্তর উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাগুলিসম্পর্কে সংসদীয় আলোচনা ও বিতর্কেরও আয়োজন করা হয় আমাদের দেশের সংসদে। সুনির্দিষ্টএক মেয়াদের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণের তাগিদেরূপায়িত হচ্ছে আমাদের এই কর্মসূচিগুলি।একটিমাত্র দৃষ্টান্তআমি এই প্রসঙ্গে তুলে ধরতে চাই। ব্যাঙ্কের সুযোগ-সুবিধা থেকেবঞ্চিত মানুষের কাছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা যেমনসচেষ্ট হয়েছি, অন্যদিকে তেমনই ব্যবস্থা করেছি প্রত্যেকের জন্যই একটি করেবায়োমেট্রিক পরিচয়পত্রের। এছাড়াও, মোবাইল ফোনের সাহায্যে এক উদ্ভাবনী পদ্ধতিঅবলম্বন করে প্রত্যক্ষ সুফল হস্তান্তরেরসুযোগ আমরা এই প্রথম পৌঁছে দিয়েছি দেশের ৩৬কোটি নাগরিকের কাছে।

মাননীয়নেতৃবৃন্দ, 

দেশে আমরাযেভাবে এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, সেই একই ধরনের প্রচেষ্টা এক বলিষ্ঠআন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গড়ে উঠুক এটাই আমাদের লক্ষ্য। এজন্যআমাদের পক্ষ থেকে যা কিছু করণীয় তা করার জন্যও আমরা এখন প্রস্তুত। প্রতিবেশীবিকাশশীল দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতার এক সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে ভারতের। উন্নয়নেরক্ষেত্রে আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নের পাশাপাশি, এই সহযোগিতা আমরা অব্যাহতরেখেছি। প্রতিটি পদক্ষেপেই আমাদের সম্পদ ও অভিজ্ঞতা আমরা ভাগ করে নিয়েছি বিভিন্নক্ষেত্রে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করে তোলা থেকে শুরু করে সাধারণমানুষের কল্যাণে উচ্চ প্রযুক্তির সাহায্যে সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করা –সর্বত্রই আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতাকে আমরা ভাগ করে নিয়েছি অন্যের সঙ্গে। এ বছরেরপ্রথম দিকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, যোগাযোগ এবং বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে আগ্রহীআঞ্চলিক সহযোগীদেশগুলির কল্যাণে আমরা উৎক্ষেপণ করেছি দক্ষিণ এশীয় উপগ্রহ।ভারতীয়কারিগরি তথা অর্থনৈতিক সহযোগিতা হল ভারতের অন্যতম একটি প্রধান কর্মসূচিযা অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময়কাল ধরে এশিয়া, আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা,ক্যারিবিয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরের ১৬১টি সহযোগী দেশের কাছে পৌঁছে দিয়েছেদক্ষতাবিকাশ ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা। শুধুমাত্র আফ্রিকা থেকেই বিগত দশকটিতে২৫ হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী ভারতে প্রশিক্ষণ লাভ করেছে আইটিইসি বৃত্তির জন্য।২০১৫-তে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ভারত-আফ্রিকা ফোরাম শীর্ষ বৈঠকে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই আইটিইসিবৃত্তির সংখ্যা দ্বিগুণ অর্থাৎ৫০ হাজারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করেছি।ঐ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেয় আফ্রিকার ৫৪টি দেশ। আফ্রিকার ‘সোলার মামাজ’ প্রশিক্ষণ লাভকরে ভারতেই যা এখন আফ্রিকা মহাদেশের হাজার হাজার বাসস্থানে আলোর সুযোগ পৌঁছেদিচ্ছে। আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের ক্রমপ্রসারমান সহযোগিতার সম্পর্ক এতটাই নিবিড় যে এইপ্রথম আফ্রিকার বাইরে আফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্কের প্রথম বার্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলভারতেএ বছরের গোড়ার দিকে।পারস্পরিক অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে যে সমস্ত প্রকল্প আমরাবাস্তবায়িত করে চলেছি, তা বিশ্বের বহু দেশের মানুষের কাছেই পৌঁছে দিচ্ছে জল,বিদ্যুৎ, সড়ক, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, টেলি-মেডিসিন এবং প্রাথমিক পরিকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা।আমাদের এই সমস্ত প্রচেষ্টার মধ্যে কোনরকম গূঢ় উদ্দেশ্য বা অভিপ্রায় নেই। আমাদেরলক্ষ্য হল, আমাদের সহযোগী দেশগুলির চাহিদা ও অগ্রাধিকারগুলিকে ভিত্তি করে সহযোগিতাপ্রসারের এক বিশেষ আদর্শকে বাস্তবে রূপ দেওয়া।

মাননীয়নেতৃবৃন্দ, 

যে দেশগুলিআজ এখানে প্রতিনিধিত্ব করছে, বিশ্বের মানবজাতির প্রায় অর্ধাংশেরই তা বসবাসভূমি।আমরা যা কিছুই করি না কেন, তা বিশেষভাবে প্রভাবিত করবে সমগ্র বিশ্ব জগৎকে। সুতরাং,আমাদের মূল কর্তব্যই হল একটু একটু করে এক উন্নততর বিশ্ব গড়ে তোলা আমাদের এই ব্রিক্‌সপ্রচেষ্টার মাধ্যমেই। পরবর্তী ১০ বছরকে এক সুবর্ণ দশকে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রেব্রিক্‌স যে এক বিশেষ চালিকাশক্তির ভূমিকা পালন করে চলেছে, গতকালই আমি একথারউল্লেখ করেছিলাম আমার বক্তব্যের মধ্যে। আমাদের সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি, নীতি এবংইতিবাচক কাজকর্মের মধ্য দিয়ে ১০টি মহান প্রতিশ্রুতি পালনের প্রস্তাব আমি আপনাদেরকাছে পেশ করছি : 

1. এক সুরক্ষিত বিশ্ব ব্যবস্থা সম্ভব করেতোলা। এজন্য প্রয়োজন সংগঠিতভাবে এবং সমন্বয়সাধনের মাধ্যমে সন্ত্রাস মোকাবিলা,সাইবার নিরাপত্তা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা- এই তিনটি বিষয়কে লক্ষ্য করে সর্বতোভাবেপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। 

2. এক সবুজ বিশ্ব পরিবেশ গঠন। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় আমাদের সমষ্টিগতভাবেসচেষ্ট হতে হবে। জোরদার করে তুলতে হবে আন্তর্জাতিক সৌর সমঝোতার মতো একটিকর্মসূচিকে। 

3. অধিকতর শক্তি ও ক্ষমতাসম্পন্নএক বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলা। অর্থনীতিরবিকাশ, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কার্যকারিতারপ্রসারের লক্ষ্যে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি গ্রহণএজন্য একান্ত প্রয়োজন। 

4. এক অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়ে তোলা। সাধারণ মানুষকে ব্যাঙ্ক ও আর্থিকক্ষেত্র সহঅর্থনৈতিক মূলস্রোতে এজন্য সামিল করতে হবে। 

5. ডিজিটাল বিশ্ব গঠনের স্বপ্নকে সফল করে তোলা। আমাদের অর্থনীতির ভেতরে এবংবাইরে যে সমস্ত ব্যবস্থা এখনও ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত, সেগুলিকে প্রযুক্তিরআওতায় নিয়ে আসতে হবে। 

6. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দক্ষতার প্রসার। কোটি কোটি যুবক-যুবতীকে ভবিষ্যৎপ্রজন্মের উপযোগী দক্ষতায় প্রশিক্ষিত করে তোলা প্রয়োজন। 

7. সুস্থ বিশ্ব গঠন। রোগ-ব্যাধি নির্মূলকরণে এবং সুলভ স্বাস্থ্য ব্যবস্থারসুযোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে এক সুস্থ বিশ্ব আমরা গড়ে তুলতে পারি। 

8. সমতার ভিত্তিতে বিশ্বকে নতুন করে রূপ দেওয়া। লিঙ্গের ক্ষেত্রে সমতারক্ষার পাশাপাশি সকলের জন্যই সমান সুযোগের ব্যবস্থা করা। 

9. পরস্পর সংযুক্ত এক বিশ্ব শৃঙ্খল। পণ্য ও পরিষেবার যোগান বৃদ্ধি এবংমানবসম্পদের বিনিময় সফরসূচির মাধ্যমে এই শৃঙ্খল গড়ে তোলার সম্ভব। 

10. বিশ্ব সম্প্রীতি। মতাদর্শ, ব্যবহারিক আচার-আচরণ এবং ঐতিহ্য – এইবিষয়গুলির ওপর এজন্য জোর দিতে হবে। কারণ, প্রকৃতির সঙ্গে শান্তি ও সম্প্রীতিপূর্ণসহাবস্থানের মূলে রয়েছে এই বৈশিষ্ট্যগুলি।

আমাদের কার্যসূচিরএই বিশেষ বিশেষ দিকগুলি অনুসরণ করে এবং সেইমতো আমাদের কর্মপ্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেনিজের নিজের দেশের কল্যাণসাধন ছাড়াও বিশ্ব মানবতার কল্যাণেও প্রত্যক্ষভাবে আমরাঅবদান সৃষ্টি করতে পারি। প্রতিটি দেশের জাতীয় প্রচেষ্টায় সমর্থন ও সহযোগিতাপ্রসারের জন্য ভারত সর্বদাই প্রস্তুত সঙ্কল্পবদ্ধ এক অংশীদার হিসেবে। এই বিশেষলক্ষ্যে একযোগে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমি বিশেষভাবে আগ্রহী। ২০১৭-তে ব্রিক্‌স-এরচেয়ারম্যান পদ বিশেষ যোগ্যতার সঙ্গেই অলঙ্কৃত করার জন্য আমি প্রশংসা করিপ্রেসিডেন্ট জি-কে। জিয়ামেনের মতো একটি মনোরম শহরে তিনি যেভাবে আমাদের সাদরঅভ্যর্থনা জানিয়েছেন এবং আতিথেয়তার ব্যবস্থা করেছেন, সেজন্যও আমি তাঁর বিশেষপ্রশংসা করি। আমি স্বাগত জানাই প্রেসিডেন্ট জুমাকে। আগামী বছর জোহানেসবার্গে শীর্ষবৈঠকে ভারতের পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি আমি দিয়ে যাচ্ছি। 

ধন্যবাদ।

 

 

 

 

 

 

 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the Odisha Parba
November 24, 2024
Delighted to take part in the Odisha Parba in Delhi, the state plays a pivotal role in India's growth and is blessed with cultural heritage admired across the country and the world: PM
The culture of Odisha has greatly strengthened the spirit of 'Ek Bharat Shreshtha Bharat', in which the sons and daughters of the state have made huge contributions: PM
We can see many examples of the contribution of Oriya literature to the cultural prosperity of India: PM
Odisha's cultural richness, architecture and science have always been special, We have to constantly take innovative steps to take every identity of this place to the world: PM
We are working fast in every sector for the development of Odisha,it has immense possibilities of port based industrial development: PM
Odisha is India's mining and metal powerhouse making it’s position very strong in the steel, aluminium and energy sectors: PM
Our government is committed to promote ease of doing business in Odisha: PM
Today Odisha has its own vision and roadmap, now investment will be encouraged and new employment opportunities will be created: PM

जय जगन्नाथ!

जय जगन्नाथ!

केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी श्रीमान धर्मेन्द्र प्रधान जी, अश्विनी वैष्णव जी, उड़िया समाज संस्था के अध्यक्ष श्री सिद्धार्थ प्रधान जी, उड़िया समाज के अन्य अधिकारी, ओडिशा के सभी कलाकार, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

ओडिशा र सबू भाईओ भउणी मानंकु मोर नमस्कार, एबंग जुहार। ओड़िया संस्कृति के महाकुंभ ‘ओड़िशा पर्व 2024’ कू आसी मँ गर्बित। आपण मानंकु भेटी मूं बहुत आनंदित।

मैं आप सबको और ओडिशा के सभी लोगों को ओडिशा पर्व की बहुत-बहुत बधाई देता हूँ। इस साल स्वभाव कवि गंगाधर मेहेर की पुण्यतिथि का शताब्दी वर्ष भी है। मैं इस अवसर पर उनका पुण्य स्मरण करता हूं, उन्हें श्रद्धांजलि देता हूँ। मैं भक्त दासिआ बाउरी जी, भक्त सालबेग जी, उड़िया भागवत की रचना करने वाले श्री जगन्नाथ दास जी को भी आदरपूर्वक नमन करता हूं।

ओडिशा निजर सांस्कृतिक विविधता द्वारा भारतकु जीबन्त रखिबारे बहुत बड़ भूमिका प्रतिपादन करिछि।

साथियों,

ओडिशा हमेशा से संतों और विद्वानों की धरती रही है। सरल महाभारत, उड़िया भागवत...हमारे धर्मग्रन्थों को जिस तरह यहाँ के विद्वानों ने लोकभाषा में घर-घर पहुंचाया, जिस तरह ऋषियों के विचारों से जन-जन को जोड़ा....उसने भारत की सांस्कृतिक समृद्धि में बहुत बड़ी भूमिका निभाई है। उड़िया भाषा में महाप्रभु जगन्नाथ जी से जुड़ा कितना बड़ा साहित्य है। मुझे भी उनकी एक गाथा हमेशा याद रहती है। महाप्रभु अपने श्री मंदिर से बाहर आए थे और उन्होंने स्वयं युद्ध का नेतृत्व किया था। तब युद्धभूमि की ओर जाते समय महाप्रभु श्री जगन्नाथ ने अपनी भक्त ‘माणिका गौउडुणी’ के हाथों से दही खाई थी। ये गाथा हमें बहुत कुछ सिखाती है। ये हमें सिखाती है कि हम नेक नीयत से काम करें, तो उस काम का नेतृत्व खुद ईश्वर करते हैं। हमेशा, हर समय, हर हालात में ये सोचने की जरूरत नहीं है कि हम अकेले हैं, हम हमेशा ‘प्लस वन’ होते हैं, प्रभु हमारे साथ होते हैं, ईश्वर हमेशा हमारे साथ होते हैं।

साथियों,

ओडिशा के संत कवि भीम भोई ने कहा था- मो जीवन पछे नर्के पडिथाउ जगत उद्धार हेउ। भाव ये कि मुझे चाहे जितने ही दुख क्यों ना उठाने पड़ें...लेकिन जगत का उद्धार हो। यही ओडिशा की संस्कृति भी है। ओडिशा सबु जुगरे समग्र राष्ट्र एबं पूरा मानब समाज र सेबा करिछी। यहाँ पुरी धाम ने ‘एक भारत श्रेष्ठ भारत’ की भावना को मजबूत बनाया। ओडिशा की वीर संतानों ने आज़ादी की लड़ाई में भी बढ़-चढ़कर देश को दिशा दिखाई थी। पाइका क्रांति के शहीदों का ऋण, हम कभी नहीं चुका सकते। ये मेरी सरकार का सौभाग्य है कि उसे पाइका क्रांति पर स्मारक डाक टिकट और सिक्का जारी करने का अवसर मिला था।

साथियों,

उत्कल केशरी हरे कृष्ण मेहताब जी के योगदान को भी इस समय पूरा देश याद कर रहा है। हम व्यापक स्तर पर उनकी 125वीं जयंती मना रहे हैं। अतीत से लेकर आज तक, ओडिशा ने देश को कितना सक्षम नेतृत्व दिया है, ये भी हमारे सामने है। आज ओडिशा की बेटी...आदिवासी समुदाय की द्रौपदी मुर्मू जी भारत की राष्ट्रपति हैं। ये हम सभी के लिए बहुत ही गर्व की बात है। उनकी प्रेरणा से आज भारत में आदिवासी कल्याण की हजारों करोड़ रुपए की योजनाएं शुरू हुई हैं, और ये योजनाएं सिर्फ ओडिशा के ही नहीं बल्कि पूरे भारत के आदिवासी समाज का हित कर रही हैं।

साथियों,

ओडिशा, माता सुभद्रा के रूप में नारीशक्ति और उसके सामर्थ्य की धरती है। ओडिशा तभी आगे बढ़ेगा, जब ओडिशा की महिलाएं आगे बढ़ेंगी। इसीलिए, कुछ ही दिन पहले मैंने ओडिशा की अपनी माताओं-बहनों के लिए सुभद्रा योजना का शुभारंभ किया था। इसका बहुत बड़ा लाभ ओडिशा की महिलाओं को मिलेगा। उत्कलर एही महान सुपुत्र मानंकर बिसयरे देश जाणू, एबं सेमानंक जीबन रु प्रेरणा नेउ, एथी निमन्ते एपरी आयौजनर बहुत अधिक गुरुत्व रहिछि ।

साथियों,

इसी उत्कल ने भारत के समुद्री सामर्थ्य को नया विस्तार दिया था। कल ही ओडिशा में बाली जात्रा का समापन हुआ है। इस बार भी 15 नवंबर को कार्तिक पूर्णिमा के दिन से कटक में महानदी के तट पर इसका भव्य आयोजन हो रहा था। बाली जात्रा प्रतीक है कि भारत का, ओडिशा का सामुद्रिक सामर्थ्य क्या था। सैकड़ों वर्ष पहले जब आज जैसी टेक्नोलॉजी नहीं थी, तब भी यहां के नाविकों ने समुद्र को पार करने का साहस दिखाया। हमारे यहां के व्यापारी जहाजों से इंडोनेशिया के बाली, सुमात्रा, जावा जैसे स्थानो की यात्राएं करते थे। इन यात्राओं के माध्यम से व्यापार भी हुआ और संस्कृति भी एक जगह से दूसरी जगह पहुंची। आजी विकसित भारतर संकल्पर सिद्धि निमन्ते ओडिशार सामुद्रिक शक्तिर महत्वपूर्ण भूमिका अछि।

साथियों,

ओडिशा को नई ऊंचाई तक ले जाने के लिए 10 साल से चल रहे अनवरत प्रयास....आज ओडिशा के लिए नए भविष्य की उम्मीद बन रहे हैं। 2024 में ओडिशावासियों के अभूतपूर्व आशीर्वाद ने इस उम्मीद को नया हौसला दिया है। हमने बड़े सपने देखे हैं, बड़े लक्ष्य तय किए हैं। 2036 में ओडिशा, राज्य-स्थापना का शताब्दी वर्ष मनाएगा। हमारा प्रयास है कि ओडिशा की गिनती देश के सशक्त, समृद्ध और तेजी से आगे बढ़ने वाले राज्यों में हो।

साथियों,

एक समय था, जब भारत के पूर्वी हिस्से को...ओडिशा जैसे राज्यों को पिछड़ा कहा जाता था। लेकिन मैं भारत के पूर्वी हिस्से को देश के विकास का ग्रोथ इंजन मानता हूं। इसलिए हमने पूर्वी भारत के विकास को अपनी प्राथमिकता बनाया है। आज पूरे पूर्वी भारत में कनेक्टिविटी के काम हों, स्वास्थ्य के काम हों, शिक्षा के काम हों, सभी में तेजी लाई गई है। 10 साल पहले ओडिशा को केंद्र सरकार जितना बजट देती थी, आज ओडिशा को तीन गुना ज्यादा बजट मिल रहा है। इस साल ओडिशा के विकास के लिए पिछले साल की तुलना में 30 प्रतिशत ज्यादा बजट दिया गया है। हम ओडिशा के विकास के लिए हर सेक्टर में तेजी से काम कर रहे हैं।

साथियों,

ओडिशा में पोर्ट आधारित औद्योगिक विकास की अपार संभावनाएं हैं। इसलिए धामरा, गोपालपुर, अस्तारंगा, पलुर, और सुवर्णरेखा पोर्ट्स का विकास करके यहां व्यापार को बढ़ावा दिया जाएगा। ओडिशा भारत का mining और metal powerhouse भी है। इससे स्टील, एल्युमिनियम और एनर्जी सेक्टर में ओडिशा की स्थिति काफी मजबूत हो जाती है। इन सेक्टरों पर फोकस करके ओडिशा में समृद्धि के नए दरवाजे खोले जा सकते हैं।

साथियों,

ओडिशा की धरती पर काजू, जूट, कपास, हल्दी और तिलहन की पैदावार बहुतायत में होती है। हमारा प्रयास है कि इन उत्पादों की पहुंच बड़े बाजारों तक हो और उसका फायदा हमारे किसान भाई-बहनों को मिले। ओडिशा की सी-फूड प्रोसेसिंग इंडस्ट्री में भी विस्तार की काफी संभावनाएं हैं। हमारा प्रयास है कि ओडिशा सी-फूड एक ऐसा ब्रांड बने, जिसकी मांग ग्लोबल मार्केट में हो।

साथियों,

हमारा प्रयास है कि ओडिशा निवेश करने वालों की पसंदीदा जगहों में से एक हो। हमारी सरकार ओडिशा में इज ऑफ डूइंग बिजनेस को बढ़ावा देने के लिए प्रतिबद्ध है। उत्कर्ष उत्कल के माध्यम से निवेश को बढ़ाया जा रहा है। ओडिशा में नई सरकार बनते ही, पहले 100 दिनों के भीतर-भीतर, 45 हजार करोड़ रुपए के निवेश को मंजूरी मिली है। आज ओडिशा के पास अपना विज़न भी है, और रोडमैप भी है। अब यहाँ निवेश को भी बढ़ावा मिलेगा, और रोजगार के नए अवसर भी पैदा होंगे। मैं इन प्रयासों के लिए मुख्यमंत्री श्रीमान मोहन चरण मांझी जी और उनकी टीम को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

ओडिशा के सामर्थ्य का सही दिशा में उपयोग करके उसे विकास की नई ऊंचाइयों पर पहुंचाया जा सकता है। मैं मानता हूं, ओडिशा को उसकी strategic location का बहुत बड़ा फायदा मिल सकता है। यहां से घरेलू और अंतर्राष्ट्रीय बाजार तक पहुंचना आसान है। पूर्व और दक्षिण-पूर्व एशिया के लिए ओडिशा व्यापार का एक महत्वपूर्ण हब है। Global value chains में ओडिशा की अहमियत आने वाले समय में और बढ़ेगी। हमारी सरकार राज्य से export बढ़ाने के लक्ष्य पर भी काम कर रही है।

साथियों,

ओडिशा में urbanization को बढ़ावा देने की अपार संभावनाएं हैं। हमारी सरकार इस दिशा में ठोस कदम उठा रही है। हम ज्यादा संख्या में dynamic और well-connected cities के निर्माण के लिए प्रतिबद्ध हैं। हम ओडिशा के टियर टू शहरों में भी नई संभावनाएं बनाने का भरपूर हम प्रयास कर रहे हैं। खासतौर पर पश्चिम ओडिशा के इलाकों में जो जिले हैं, वहाँ नए इंफ्रास्ट्रक्चर से नए अवसर पैदा होंगे।

साथियों,

हायर एजुकेशन के क्षेत्र में ओडिशा देशभर के छात्रों के लिए एक नई उम्मीद की तरह है। यहां कई राष्ट्रीय और अंतर्राष्ट्रीय इंस्टीट्यूट हैं, जो राज्य को एजुकेशन सेक्टर में लीड लेने के लिए प्रेरित करते हैं। इन कोशिशों से राज्य में स्टार्टअप्स इकोसिस्टम को भी बढ़ावा मिल रहा है।

साथियों,

ओडिशा अपनी सांस्कृतिक समृद्धि के कारण हमेशा से ख़ास रहा है। ओडिशा की विधाएँ हर किसी को सम्मोहित करती है, हर किसी को प्रेरित करती हैं। यहाँ का ओड़िशी नृत्य हो...ओडिशा की पेंटिंग्स हों...यहाँ जितनी जीवंतता पट्टचित्रों में देखने को मिलती है...उतनी ही बेमिसाल हमारे आदिवासी कला की प्रतीक सौरा चित्रकारी भी होती है। संबलपुरी, बोमकाई और कोटपाद बुनकरों की कारीगरी भी हमें ओडिशा में देखने को मिलती है। हम इस कला और कारीगरी का जितना प्रसार करेंगे, उतना ही इस कला को संरक्षित करने वाले उड़िया लोगों को सम्मान मिलेगा।

साथियों,

हमारे ओडिशा के पास वास्तु और विज्ञान की भी इतनी बड़ी धरोहर है। कोणार्क का सूर्य मंदिर… इसकी विशालता, इसका विज्ञान...लिंगराज और मुक्तेश्वर जैसे पुरातन मंदिरों का वास्तु.....ये हर किसी को आश्चर्यचकित करता है। आज लोग जब इन्हें देखते हैं...तो सोचने पर मजबूर हो जाते हैं कि सैकड़ों साल पहले भी ओडिशा के लोग विज्ञान में इतने आगे थे।

साथियों,

ओडिशा, पर्यटन की दृष्टि से अपार संभावनाओं की धरती है। हमें इन संभावनाओं को धरातल पर उतारने के लिए कई आयामों में काम करना है। आप देख रहे हैं, आज ओडिशा के साथ-साथ देश में भी ऐसी सरकार है जो ओडिशा की धरोहरों का, उसकी पहचान का सम्मान करती है। आपने देखा होगा, पिछले साल हमारे यहाँ G-20 का सम्मेलन हुआ था। हमने G-20 के दौरान इतने सारे देशों के राष्ट्राध्यक्षों और राजनयिकों के सामने...सूर्यमंदिर की ही भव्य तस्वीर को प्रस्तुत किया था। मुझे खुशी है कि महाप्रभु जगन्नाथ मंदिर परिसर के सभी चार द्वार खुल चुके हैं। मंदिर का रत्न भंडार भी खोल दिया गया है।

साथियों,

हमें ओडिशा की हर पहचान को दुनिया को बताने के लिए भी और भी इनोवेटिव कदम उठाने हैं। जैसे....हम बाली जात्रा को और पॉपुलर बनाने के लिए बाली जात्रा दिवस घोषित कर सकते हैं, उसका अंतरराष्ट्रीय मंच पर प्रचार कर सकते हैं। हम ओडिशी नृत्य जैसी कलाओं के लिए ओडिशी दिवस मनाने की शुरुआत कर सकते हैं। विभिन्न आदिवासी धरोहरों को सेलिब्रेट करने के लिए भी नई परम्पराएँ शुरू की जा सकती हैं। इसके लिए स्कूल और कॉलेजों में विशेष आयोजन किए जा सकते हैं। इससे लोगों में जागरूकता आएगी, यहाँ पर्यटन और लघु उद्योगों से जुड़े अवसर बढ़ेंगे। कुछ ही दिनों बाद प्रवासी भारतीय सम्मेलन भी, विश्व भर के लोग इस बार ओडिशा में, भुवनेश्वर में आने वाले हैं। प्रवासी भारतीय दिवस पहली बार ओडिशा में हो रहा है। ये सम्मेलन भी ओडिशा के लिए बहुत बड़ा अवसर बनने वाला है।

साथियों,

कई जगह देखा गया है बदलते समय के साथ, लोग अपनी मातृभाषा और संस्कृति को भी भूल जाते हैं। लेकिन मैंने देखा है...उड़िया समाज, चाहे जहां भी रहे, अपनी संस्कृति, अपनी भाषा...अपने पर्व-त्योहारों को लेकर हमेशा से बहुत उत्साहित रहा है। मातृभाषा और संस्कृति की शक्ति कैसे हमें अपनी जमीन से जोड़े रखती है...ये मैंने कुछ दिन पहले ही दक्षिण अमेरिका के देश गयाना में भी देखा। करीब दो सौ साल पहले भारत से सैकड़ों मजदूर गए...लेकिन वो अपने साथ रामचरित मानस ले गए...राम का नाम ले गए...इससे आज भी उनका नाता भारत भूमि से जुड़ा हुआ है। अपनी विरासत को इसी तरह सहेज कर रखते हुए जब विकास होता है...तो उसका लाभ हर किसी तक पहुंचता है। इसी तरह हम ओडिशा को भी नई ऊचाई पर पहुंचा सकते हैं।

साथियों,

आज के आधुनिक युग में हमें आधुनिक बदलावों को आत्मसात भी करना है, और अपनी जड़ों को भी मजबूत बनाना है। ओडिशा पर्व जैसे आयोजन इसका एक माध्यम बन सकते हैं। मैं चाहूँगा, आने वाले वर्षों में इस आयोजन का और ज्यादा विस्तार हो, ये पर्व केवल दिल्ली तक सीमित न रहे। ज्यादा से ज्यादा लोग इससे जुड़ें, स्कूल कॉलेजों का participation भी बढ़े, हमें इसके लिए प्रयास करने चाहिए। दिल्ली में बाकी राज्यों के लोग भी यहाँ आयें, ओडिशा को और करीबी से जानें, ये भी जरूरी है। मुझे भरोसा है, आने वाले समय में इस पर्व के रंग ओडिशा और देश के कोने-कोने तक पहुंचेंगे, ये जनभागीदारी का एक बहुत बड़ा प्रभावी मंच बनेगा। इसी भावना के साथ, मैं एक बार फिर आप सभी को बधाई देता हूं।

आप सबका बहुत-बहुत धन्यवाद।

जय जगन्नाथ!