রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত রাজ্যপাল সম্মেলনের সমাপ্তি পর্বে আজ ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্মেলনের আলাপ-আলোচনা এবং প্রস্তাব ও পরামর্শ বিনিময়ের উদ্যোগেরও বিশেষ প্রশংসা করেন।
‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ কর্মসূচিকে আরও জোরদার করে তোলার জন্য রাজ্যপালদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে একদিকে যেমন অংশীদারিত্বের মানসিকতাকে উৎসাহ দেওয়া হয়, অন্যদিকে তেমনই বিভিন্ন রাজ্যের অধিবাসীদের মধ্যে যোগাযোগ ও সংস্কৃতি বিনিময়ের পরিধিও প্রসারিত হয়। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সংহতি ও সম্প্রীতির বাতাবরণকে আরও উন্নত করে তুলতে নতুন নতুন পথ ও উপায় খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও বিশেষ জোর দেন তিনি। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রে পঠনপাঠনের মান ও উৎকর্ষ বৃদ্ধিতেও রাজ্যপালদের উদ্যোগী হওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উচিৎ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে নিজেদের স্থান করে নেওয়া। এই রূপান্তর প্রচেষ্টায় রাজ্যপালরা যে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন, একথারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট এবং শীর্ষস্থানীয় ১০টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, সে প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন তিনি।
শ্রী মোদী বলেন, সাধারণ মানুষের জীবনযাপনকে সহজতর করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যপালরা জনজীবনে তাঁদের কাজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন সংস্থা ও কেন্দ্রীয় দপ্তরগুলিকে অঙ্গীকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে পারেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক স্বাস্থ্য কর্মসূচি ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন তিনি।
শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আগামী ২০২২ সালে দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি এবং ২০১৯-এ মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী হল এমন দুটি উপলক্ষ যা উন্নয়নের লক্ষ্য ও লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উৎসাহ যোগানের ক্ষেত্রে দুটি বিশেষ মাইলফলক। জাতীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিকে আরও ভালোভাবে তুলে ধরার জন্য আসন্ন কুম্ভ মেলাও যে আরেকটি বিশেষ উপলক্ষ, একথাও তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।