শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ২০২৩-এর জাতীয় শিক্ষক পুরস্কারজয়ীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মিলিত হন। এই আলাপচারিতায় যোগ দিয়েছিলেন ৭৫ জন পুরস্কারজয়ী শিক্ষক।
দেশের তরুণদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রয়াসের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভালো শিক্ষকদের গুরুত্ব এবং দেশ গঠনে তাঁদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তৃণমূল স্তরে সাফল্য অর্জনকারীদের সম্পর্কে শিশুদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদের অনুপ্রাণিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
শ্রী মোদী আমাদের দেশের আঞ্চলিক ঐতিহ্য এবং ইতিহাস সম্পর্কে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন এবং আঞ্চলিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে পড়ুয়াদের অনুপ্রাণিত করার জন্য শিক্ষকদের কাছে আর্জি জানান। বৈচিত্র্যে ভরা এই দেশের শক্তি সম্পর্কে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী স্কুলগুলিতে ভারতের বিভিন্ন অংশের সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য উদযাপন করার জন্য শিক্ষকদের অনুরোধ জানান।
চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য সম্পর্কে উল্লেখ করতে গিয়ে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে পড়ুয়াদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তরুণদের দক্ষতার শিক্ষা এবং তাঁদের ভবিষ্যতের উপযোগী করে গড়ে তোলার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন।
মিশন লাইফ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্যবহার এবং ছুঁড়ে ফেলার সংস্কৃতির পরিবর্তে পুনর্ব্যবহারের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। বেশ কয়েকজন শিক্ষক তাঁদের স্কুলে স্বচ্ছতা কর্মসূচি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তাঁদের পেশাগত জীবনে ক্রমাগত শিক্ষা এবং দক্ষতার উন্নতির ধারা বজায় রাখার জন্য শিক্ষকদের পরামর্শ দেন শ্রী মোদী।
শিক্ষক দিবসের উদ্দেশ্য হল, দেশের সেরা শিক্ষকদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সেইসব শিক্ষককে সম্মানিত করা, যাঁরা শুধুমাত্র শিক্ষার গুণগত মানের উন্নতি ঘটাননি, সেইসঙ্গে পড়ুয়াদের জীবনেরও মানোন্নয়ন ঘটিয়েছেন। এবছর পুরস্কারের কলেবর বাড়িয়ে বিদ্যালয় শিক্ষা ও সাক্ষরতা দফতরের বাছাই করা শিক্ষকদের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রকের বাছাই করা শিক্ষকদেরও পুরস্কৃত করা হচ্ছে।