Greetings on the occasion of Chhath Puja: PM Modi
Chhath Puja is an example of Ek Bharat Shreshtha Bharat: PM Modi
Today we are one of the largest solar power generating countries: PM Modi
Our country is doing wonders in the solar as well as the space sector. The whole world, today, is astonished to see the achievements of India: PM Modi
Urge more and more Start-ups and innovators to take full advantage of the huge opportunities being created in India in the space sector: PM Modi
Student power is the basis of making India strong. It is the youth of today who would lead India in the journey till 2047: PM Modi
In India, Mission LiFE has been launched. The simple principle of Mission LiFE is - Promote a lifestyle which does not harm the environment: PM Modi

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আজ দেশের বহু অংশে সূর্য উপাসনার মহাপর্ব ‘ছট’ পালন করা হচ্ছে। ‘ছট’ পর্বে অংশ নেওয়ার জন্য লক্ষ-লক্ষ পুণ্যার্থী নিজেদের গ্রাম, নিজেদের বাড়ি, নিজেদের পরিবারের মাঝে পৌঁছে গিয়েছেন। আমার প্রার্থনা ছট মা সবার সমৃদ্ধি, সবার কল্যাণের আশীর্বাদ দিন।

বন্ধুরা, সূর্য উপাসনার পরম্পরা এই ব্যাপারের প্রমাণ যে আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের আস্থার, প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক কত গভীর। এই পূজার মাধ্যমে আমাদের জীবনে সূর্যের আলোর গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই বার্তাও দেওয়া হয়েছে যে উত্থানপতন জীবনের অভিন্ন অংশ। এই জন্য সব পরিস্থিতিতে আমাদের সমান একটা মনোভাব রাখতে হবে। ছট মায়ের পুজোতে নানা রকমের ফল আর ঠেকুয়া প্রসাদ হিসাবে রাখা হয়। এর ব্রতও কোনও কঠিন সাধনার থেকে কম নয়। ছট পূজার আর এক বিশেষ দিক হল যে এই পূজায় যে সব সামগ্রীর ব্যবহার হয় তা সমাজের বিভিন্ন লোক মিলে তৈরি করেন। এতে বাঁশের তৈরি ছোট ঝুড়ির ব্যবহার হয়। মাটির প্রদীপের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে ছোলা ফলানো কৃষক আর বাতাসা বানানো ছোট ব্যবসায়ীদের গুরুত্ব সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এঁদের সহায়তা ছাড়া ছটের পূজা কখনই সম্পূর্ণ হতে পারে না। ছটের পর্ব আমাদের জীবনে স্বচ্ছতার গুরুত্বের উপরও জোর দেয়। এই পর্ব এলে সর্বজনীন ক্ষেত্রে রাস্তা, নদী, ঘাট, জলের বিভিন্ন স্রোত, সব কিছু পরিষ্কার করা হয়। ছটের পর্ব ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এরও উদাহরণ। আজ বিহার এবং পূর্বাঞ্চলের মানুষ দেশের যে কোণেই থাকুন না কেন, সেখানে ধুমধাম করে ছটের আয়োজন করা হচ্ছে। দিল্লী, মুম্বাই সহ মহারাষ্ট্রের আলাদা-আলাদা জেলা এবং গুজরাতের অনেক অংশে বড় আকারে ছটের আয়োজন হচ্ছে। আমার তো মনে আছে, আগে গুজরাতে ছট পূজা অতটা হত না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে আজ গুজরাতের প্রায় সর্বত্র ছট পূজার রং দেখা যাচ্ছে। এটা দেখে আমারও খুব আনন্দ হয়। আজকাল আমরা দেখি, বিদেশেও ছট পূজার কত নান্দনিক দৃশ্য দেখা যায়। অর্থাৎ ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, আমাদের আস্থা, বিশ্বের কোণায়-কোণায় নিজের পরিচয়ের বিস্তার ঘটাচ্ছে। এই মহাপর্বে সামিল হওয়া প্রত্যেক আস্থাবানকে আমার তরফ থেকে অনেক-অনেক শুভেচ্ছা।

আমার প্রিয় দেশবাসী, এইমাত্র আমরা পবিত্র ছট পূজার কথা বললাম, ভগবান সূর্যের উপাসনার কথা বললাম। আচ্ছা, তাহলে সূর্য উপাসনার সঙ্গে সঙ্গে ওঁর বরদান নিয়েও আলোচনা করি? সূর্য দেবতার বরদান হল সৌরশক্তি। সোলার এনার্জি আজ এমন একটি বিষয় যার মধ্যে সারা পৃথিবী ভবিষ্যতের সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছে এবং ভারতের ক্ষেত্রে তো বহু যুগ ধরে সূর্যদেবতার শুধু উপাসনাই হচ্ছে তাই নয়, জীবন পদ্ধতির কেন্দ্রবিন্দুতেও রয়েছে। ভারত, আজ তার পারম্পরিক অভিজ্ঞতাকে আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত করছে, এই কারণেই, আজ আমরা, সৌর বিদ্যুৎ নির্মাণে শ্রেষ্ঠ বড় দেশগুলির মধ্যে পৌঁছাতে পেরেছি। সৌর শক্তি কীভাবে আমাদের দেশের গরিব এবং মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনছে, সেটিও অধ্যয়নের একটি বিষয়। তামিলনাড়ুতে, কাঞ্চিপুরামের মেয়ে একজন কৃষক আছেন, থিরু. কে. এঝিলান। তিনি 'পি. এম. কুসুম যোজনা' থেকে লাভবান হয়েছেন এবং নিজের ক্ষেতে দশ হর্সপাওয়ারের সোলার পাম্প সেট লাগিয়েছেন। এখন ওকে ওর ক্ষেতের বিদ্যুতের জন্য কোন খরচা করতে হয়না। ক্ষেতে জলসিঞ্চনের জন্য এখন সরকারের বিদ্যুৎ সাপ্লাই-এর উপর নির্ভরও করতে হয় না। একইভাবে রাজস্থানের ভরতপুরে 'পি.এম. কুসুম যোজনা'র আরো একজন লাভবান কৃষক কমলজী মীণা। কমলজী ক্ষেতে সোলার পাম্প লাগিয়েছিলেন যাতে ওঁর খরচ কমে গেছে। খরচা কমে যাওয়ায় আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কমলজী সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহার করে অন্য অনেক ছোট উদ্যোগকেও যুক্ত করছেন। ওঁর এলাকায় কাঠের কাজ আছে, গরুর গোবর থেকে বিভিন্ন দ্রব্য উৎপাদন করা আছে, তাতেও সৌর বিদ্যুৎ-এর ব্যবহার হচ্ছে, তিনি, ১০-১২ জনকে রোজগারের পথ দেখাচ্ছেন, কুসুম যোজনা থেকে কমলজী যে সূত্রপাত করেছিলেন, তার সৌরভ আরো কত মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে।

বন্ধুরা, আপনারা কি কল্পনা পারেন যে আপনি গোটা মাস বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন এবং আপনার বিদ্যুতের বিল আসার পরিবর্তে, আপনি বিদ্যুতের জন্য টাকা পাবেন? সৌরশক্তি এই কাজটাও করে দেখিয়েছে। কিছুদিন আগে, আপনি নিশ্চয়ই দেশের প্রথম সূর্য গ্রাম - গুজরাটের মোঢেরা সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছেন। মোঢেরা সূর্য গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ি, সৌরবিদ্যুৎ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে শুরু করেছে। এখন অনেক বাড়িতে মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল আসে না, তার বদলে আসছে বিদ্যুৎ থেকে উপার্জিত চেক। এই ঘটনা দেখে এখন দেশের অনেক গ্রামের মানুষ আমাকে চিঠি লিখছেন, যাতে তাদের গ্রামকেও সূর্যগ্রামে রূপান্তরিত করা হয়, অর্থাৎ সেই দিন বেশি দূরে নয়, যেদিন ভারতে সূর্যগ্রাম নির্মাণ, একটি বড় গণআন্দোলনে পরিণত হবে এবং মোঢেরা গ্রামের মানুষ তা ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে।

আসুন মন কি বাত এর শ্রোতাদেরও সঙ্গে মোঢেরার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপ করাই। আমাদের সঙ্গে এই মূহুর্তে ফোন লাইনে আছেন শ্রীমান বিপিন ভাই পাটেল।

প্রধানমন্ত্রী জী : বিপিন ভাই নমস্কার। দেখুন এখন তো মোঢেরা গোটা দেশের জন্য এক মডেল হিসেবে আলোচনায় আছে। কিন্তু যখন আপনাকে আপনার আত্মীয়, পরিচিতরা জিজ্ঞেস করেন, তাদেরকে আপনি কি বলেন? কি কি লাভ হয়েছে জানান তাদের?

বিপিন জী : স্যার, লোকে জিজ্ঞেস করলে আমি তাদের এটাই বলি যে আগে আমাদের বিদ্যুৎ বিল আসত, এখন তা শূন্য আসে। কখনো কখনো কিছু বিল আসে - এই ৭০টাকা। কিন্তু, গোটা গ্রামের আর্থিক পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেক ভাল।

প্রধানমন্ত্রী জী : তার মানে, বিদ্যুৎ এর বিলের যে চিন্তা ছিল সেটা এক প্রকার নির্মূল হয়ে গেছে।

বিপিন জী : হ্যাঁ স্যার, এই কথাটা একদম ঠিক। এখন পুরো গ্রামে কোনো চিন্তা নেই। সবার মনে হচ্ছে স্যার যেটা করেছেন খুবই ভালো কাজ হয়েছে তাতে। সবাই খুব খুশি ও আনন্দিত।

প্রধানমন্ত্রী জি : আপনি তো নিজেই নিজের বাড়িতেই বিদ্যুৎ কারখানা বানিয়ে তার মালিক হয়ে গেছেন। নিজের বাড়ির ছাদেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

বিপিন জী : হ্যাঁ স্যার, একদম ঠিক বলেছেন স্যার।

প্রধানমন্ত্রী জী : এই পরিবর্তনে গ্রামের মানুষের উপর কি প্রভাব পরেছে?

বিপিন জী : স্যার আমাদের গ্রামের লোকেরা চাষবাস করে। এই কাজে বিদ্যুৎ-এর চাহিদা নিয়ে যে চিন্তা, ঝঞ্জাট ছিল, সেটা একদম চলে গেছে। কোনো বিল দিতে হবে না, আমরা সবাই নিশ্চিন্ত।

প্রধানমন্ত্রী জী : মানে বিদ্যুৎ-এর বিল ও নেই, উপরন্তু বাড়তি সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে।

বিপিন জী : স্যার সব রকম ঝঞ্জাট তো চলে গেছেই। স্যার আপনি যখন মোঢেরা গ্রামে এসেছিলেন, সেই 3D Show-এর উদবোধন করেছিলেন, তারপর তো স্যার এখানকার পুরো ভোলই পালটে গেছে। আপনার সাথে যে সেক্রেটারি এসেছিলেন...

প্রধানমন্ত্রী জী : হ্যাঁ হ্যাঁ

বিপিন জী : আমাদের গ্রাম বিখ্যাত হয়ে গেছে স্যার।

প্রধানমন্ত্রী জী : হ্যাঁ উনি UN এর Secretary General। উনি নিজে আসার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী ছিলেন। উনি আমাকে বলেছিলেন এত বড় একটা কাজ যখন হয়েছে, আমি নিজে গিয়ে দেখতে চাই। অনেক ধন্যবাদ বিপিন ভাই। আপনাকে এবং আপনার গ্রামের সকলকে আমার অনেক অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানাই। দুনিয়া আপনাদের থেকে অনুপ্রেরণা পাক এবং সোলার এনের্জির এই অভিযান প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে যাক।

বিপিন জী : ঠিক আছে স্যার, আমরা সবাইকে বলবো, স্যার, যে ভাই সোলার ইন্সটল করে নিন, নিজের টাকা দিয়েও ইন্সটল করে নিলে অনেক লাভ হবে।

প্রধানমন্ত্রী জী : হ্যাঁ, জনগণকে বুঝিয়ে বলুন, অনেক শুভকামনা ও ধন্যবাদ ভাই।

বিপিন জী : আপনাকে ধন্যবাদ স্যার, আপনাকে ধন্যবাদ, আমার জীবন ধন্য হয়ে গেছে আপনার সঙ্গে কথা বলে।

প্রধানমন্ত্রী জী : বিপিন ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

এবার আসুন আমরা মোঢেরা গ্রামের বর্ষাবেনের সঙ্গে কথা বলি।

বর্ষা বেন : হ্যালো নমস্কার স্যার।

প্রধানমন্ত্রী জী : নমস্কার, নমস্কার বর্ষা বেন, কেমন আছেন?

বর্ষা বেন : আমরা খুব ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন?

প্রধানমন্ত্রী জী : আমিও খুব ভাল আছি।

বর্ষা বেন : আমরা ধন্য হয়ে গেছি আপনার সঙ্গে কথা বলতে পেরে।

প্রধানমন্ত্রী জী : আচ্ছা বর্ষা বেন

বর্ষা বেন : হ্যাঁ…

প্রধানমন্ত্রী জী : মোধেরাতে থেকে আপনি কথা বলছেন, আপনি তো একটি সৈনিক পরিবারের সদস্য তাই না?

বর্ষা বেন : হ্যা, আমি সৈনিক পরিবারের থেকেই, আমার স্বামী প্রাক্তন সেনাকর্মী ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী জী : তো ভারতের কোন কোন জায়গায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন?

বর্ষা বেন : রাজস্থানে গেছি, গান্ধীনগরে গিয়েছি, কচরা কান্ঝোর জম্মুতে যাওয়ার ও থাকার সুযোগ মিলেছে। ওখানে অনেক সুবিধেই পেয়েছি স্যার।

প্রধানমন্ত্রী জী : হ্যাঁ সেনাবাহিনীতে থাকার ফলে আপনি বেশ ভাল হিন্দী বলতে শিখেছেন।

বর্ষা বেন : হ্যাঁ… হ্যাঁ স্যার তা তো শিখেছি, হ্যাঁ।

প্রধানমন্ত্রী জী : আমায় বলুন তো মোঢেরায় এত বড় পরিবর্তন কিভাবে এলো, যে আপনারা এই সোলার রুফটপ প্ল্যান্ট বসিয়েছেন? মানুষ নিশ্চয়ই শুরুতে যখন বলেছেন, তখন নিশ্চয়ই আপনার মাথায় এসেছে যে এসবের মানে কী, কী করতে হবে, কিভাবে বিদ্যুৎ আসবে, এইসব আপনার মনে নিশ্চয়ই এসেছে। এখন কী অভিজ্ঞতা হল, এতে লাভ হয়েছে কিছু?

বর্ষা বেন : লাভ বলতে লাভ! অনেক লাভ হয়েছে স্যার। আপনার কারণে আমাদের গ্রামে প্রতিদিনই দীপাবলি উদযাপন হয়। ২৪ ঘন্টা আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি। বিল তো আসেই না একেবারে। আমরা আমাদের বাড়িতে সব ইলেকট্রিক জিনিস এনে রেখেছি স্যার, সব জিনিস ব্যবহার করছি, আপনার জন্যেই স্যার। বিল তো আসেই না, তা আমরা ফ্রি মাইন্ডে সব ইউজ করতে পারি যেঁ।

প্রধানমন্ত্রী জী : এটা ঠিক কথা, আপনারা বিদ্যুতের সর্বোচ্চ ব্যবহার করার জন্যে মনস্থির করে ফেলেছেন?

বর্ষা বেন : করে ফেলেছি স্যার, করে ফেলেছি। একেবারে মনস্থির করেছি। এখন আমাদের কোন অসুবিধাই নেই। আমরা ফ্রি মাইন্ডে ওয়াশিং মেশিন, এসি সব চালাতে পারি স্যার।

প্রধানমন্ত্রী জী : আর গ্রামের বাকি লোকও এর জন্যে খুশি তো?

বর্ষা বেন : খুব খুব খুশি স্যার।

প্রধানমন্ত্রী জী : আচ্ছা আপনার স্বামী তো এখানে সূর্য মন্দিরে কাজ করেন? তো ওখানে যে লাইট শো হয়েছে, এত বড় ইভেন্ট হয়েছে, এখন ওখানে সারা পৃথিবী থেকে অতিথিরাও আসছেন।

বর্ষা বেন : সারা পৃথিবীর ফরেনাররা আসতে পারেন , আপনি আমাদের গ্রামকে এতটাই বিখ্যাত করে দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী জী : তাহলে আপনার স্বামীর কাজ অনেক বেড়ে গেছে, এত অতিথিরা আসছেন মন্দিরে দেখতে আসছেন।

বর্ষা বেন : আরে কোন ব্যাপার নয়, কাজ যতই বাড়ুক, স্যার কোন ব্যাপার নয়, এতে আমার বা আমার স্বামীর কোন অসুবিধা নেই, আপনি শুধু আমাদের গ্রামের উন্নতি করতে থাকুন।

প্রধানমন্ত্রী জী : এখন এই গ্রামের উন্নতি তো আমাদের সকলকে একসঙ্গে মিলেমিশে করতে হবে

বর্ষা বেন : হ্যাঁ হ্যাঁ স্যার আমরা আপনার সঙ্গে আছি।

প্রধানমন্ত্রী জী : আমি মোঢেরা বাসীদের অভিনন্দন জানাবো, কারণ গ্রামবাসীরা এই যোজনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ওঁরা বিশ্বাস করেন যে হ্যাঁ, আমরা নিজেদের বাড়িতেই বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারি।

বর্ষা বেন : ২৪ ঘন্টা স্যার! আমাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ রয়েছে এবং আমরা অত্যন্ত খুশি।

প্রধানমন্ত্রী জী : বেশ! আপনাকে জানাই অনেক শুভকামনা। যে অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে তা বাচ্চাদের স্বার্থে ব্যবহার করুন। ওই অর্থের সদ্ব্যবহার করুন যাতে আপনিও জীবনে লাভবান হন। আমি সবাইকে অনেক শুভকামনা জানাই। আর সমস্ত মোঢেরা বাসীদের জানাই নমস্কার।

বন্ধুরা, বর্ষা বেন ও বিপিন ভাই যা বললেন তা পুরো দেশের জন্য, গ্রাম আর শহরের জন্য এক প্রেরণা। মোঢেরার এই অভিজ্ঞতা পুরো দেশে পুনরায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। সৌর শক্তির দ্বারা এবার অর্থেরও সাশ্রয় হবে আবার আয়েরও বৃদ্ধি হবে। জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরের এক বন্ধু - মঞ্জুর আহমাদ লরহওয়াল। শীতের জন্য কাশ্মীরে বিদ্যুতের খরচা অনেক বেশি। তাই মঞ্জুর জির বিদ্যুতের বিল ৪০০০ টাকারও বেশি হত। কিন্তু যেদিন থেকে মঞ্জুর জি নিজের বাড়িতে Solar Rooftop Plant লাগিয়েছেন, তাঁর খরচা অর্ধেকেরও কম হয়ে গেছে। এইভাবে উড়িষ্যার এক মেয়ে কুন্নী দেউরি, সৌর শক্তির মাধ্যমে নিজের ও অন্যান্য মহিলাদের রোজকারের উপায় বার করেছেন। কুন্নী, উড়িষ্যার কেন্দুঝর জেলার কর্দাপাল গ্রামে থাকে। সে আদিবাসী মহিলাদের solar চালিত রিলিং মেশিনে silk বুননের training দেয়। Solar Machine-এর জন্য এই আদিবাসী মহিলাদের উপর বিদ্যুৎ বিলের ভার পড়ে না, আর ওদের আয়ও বেড়েছে। এটাই তো সূর্য দেবের ও সৌর শক্তির আশীর্বাদ। আশীর্বাদ ও অনুগ্রহ যত প্রসারিত হবে ততই মঙ্গল। তাই আমি আপনাদের সবার কাছে প্রার্থনা করি, আপনিও এর সঙ্গে যুক্ত হন ও অন্যদেরও সংযুক্ত করুন।

আমার প্রিয় দেশবাসী, একটু আগেই আমি আপনাদের সঙ্গে সূর্য নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এখন আমার মনযোগ স্পেসের দিকে যাচ্ছে। সেটা এইজন্য যে আমাদের দেশ সোলার সেক্টরের সঙ্গে স্পেস সেক্টরেও দারুণ সাফল্য দেখাচ্ছে। গোটা বিশ্ব আজ ভারতের সাফল্য দেখে হতচকিত। এই জন্য আমি ভাবলাম, মন কি বাতের শ্রোতাদের এটা বলে আমি তাঁদেরও আনন্দ বাড়িয়ে দিই।

বন্ধুরা, আজ থেকে কিছু দিন আগে আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে ভারত এক সঙ্গে ছত্রিশটা স্যাটেলাইট অন্তরীক্ষে স্থাপন করেছে। দীপাবলীর ঠিক এক দিন আগে পাওয়া এই সাফল্য এক অর্থে আমাদের তরুণদের পক্ষ থেকে দেশের জন্য এক স্পেশাল দীওয়ালি গিফট। এই লঞ্চঙ্গিয়ের ফলে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা, আর কচ্ছ থেকে কোহিমা অবধি, পুরো দেশে, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি আরও শক্তিশালী হবে। এর সাহায্যে নিতান্ত দূর-দূরান্তের এলাকাও দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সহজে যুক্ত হয়ে যাবে। দেশ যখন আত্মনির্ভর হয়, তখন কেমনভাবে সফলতার নতুন শিখরে পৌঁছে যায় – তারও এক উদাহরণ এটা। আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে-বলতে আমার সেই পুরনো সময়ও মনে পড়ে যাচ্ছে যখন ভারতকে ক্রায়োজেনিক রকেট টেকনোলজি দেওয়া হয়নি। কিন্তু, ভারতের বৈজ্ঞানিকরা কেবল স্বদেশী প্রযুক্তিরই বিকাশ ঘটান নি বরং আজ এর সাহায্যে ডজন-ডজন স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাচ্ছেন। এই লঞ্চিংয়ের ফলে ভারত গ্লোবাল কমার্শিয়াল মার্কেটে এক শোক্তিশালী প্লেয়ার হয়ে দেখা দিয়েছে। এর ফলে অন্তরীক্ষের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য নতুন সুযোগের দ্বারও উন্মুক্ত হয়েছে।

বন্ধুরা, বিকশিত ভারতের সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে আমাদের দেশ, সবার প্রয়াসেই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। ভারতে প্রথমে স্পেস সেক্টর, সরকারী ব্যবস্থার গণ্ডীতে সীমাবদ্ধ ছিল। যখন এই স্পেস সেক্টর, ভারতের তরুণদের জন্য, ভারতের প্রাইভেট সেক্টরের জন্য খুলে দেওয়া হল তখন থেকে এতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। ভারতীয় ইণ্ডাস্ট্রি আর স্টার্ট-আপ এই ক্ষেত্রে নতুন-নতুন ইনোভেশন আর নতুন-নতুন টেকনোলজি আনতে উদ্যোগী হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে, ইন-স্পেসের সহযোগিতায় এই ক্ষেত্রে বড়ো পরিবর্তন আসতে চলেছে। ইন-স্পেসের মাধ্যমে বেসরকারী কোম্পানিদেরও নিজের-নিজের পে-লোড আর স্যাটেলাইট লঞ্চ করার সুযোগ মিলছে। আমি আরও বেশি-বেশি স্টার্ট-আপ আর ইনোভেটরদের কাছে অনুরোধ করব যে তারা স্পেস সেক্টরে ভারতে তৈরি হওয়া এই সব বড় সুযোগের পুর্ণ লাভ নিন।

আমার প্রিয় দেশবাসী, যখন স্টুডেন্ট দের প্রসঙ্গ আসে, যুবশক্তির প্রসঙ্গ আসে, নেতৃত্ব শক্তির কথা আসে, তখন আমাদের মনের মধ্যে সেই বহু পুরোনো ধ্যান ধারণা বাসা বেঁধে আছে। অনেক সময় আমরা দেখি স্টুডেন্টস পাওয়ারের কথা উঠলে সেটাকে ছাত্রসংঘের নির্বাচনের সঙ্গে জুড়ে, এর পরিধি সীমিত করে দেওয়া হয়। কিন্ত স্টুডেন্টস পাওয়ারের পরিধির ব্যাপ্তি অনেক বৃহৎ এবং বিশাল। স্টুডেন্টস পাওয়ার ভারতকে powerful গড়ে তোলার মূল ভিত্তি। সর্বোপরি, আজ যারা তরুণ তারাই তো ভারতকে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত নিয়ে যাবে। ভারত যখন শতবর্ষ উদযাপন করবে, তখন তারুণ্যের এই শক্তি, তাদের কঠোর পরিশ্রম, তাদের ঘাম, তাদের প্রতিভা, ভারতকে সেই উচ্চতায় নিয়ে যাবে, যার জন্য দেশ আজ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের আজকের তরুণরা যেভাবে দেশের জন্য কাজ করছে, Nation Building এ যোগ দিয়েছে, তা দেখে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। আমাদের তরুণরা যেভাবে হ্যাকাথনে সমস্যার সমাধান করে, রাতের পর রাত জেগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে, তা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। গত বছর অনুষ্ঠিত একটি হ্যাকাথন, দেশের লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর সঙ্গে একযোগে, অনেক চ্যালেঞ্জের সমাধান করেছে, দেশকে নতুন solution দিয়েছে।

বন্ধুরা, আপনাদের মনে থাকবে আমি লাল কেল্লা থেকে 'জয় অনুসন্ধান' ডাক দিয়েছিলাম। আমি এই দশকে ভারতকে Techade বানানোর কথাও বলেছিলাম। আমি এটা দেখে খুবই খুশি যে আমাদের IIT-এর স্টুডেন্টসরা এই বিষয়ে খুবই আগ্রহী হয়ে এগিয়ে এসেছে। এই মাসে ১৪-১৫ অক্টোবর, ২৩টি IIT তাদের innovation এবং research project প্রদর্শন করার জন্য প্রথমবারের মতো একটি মঞ্চে এসেছিল৷ এই প্রদর্শনীতে সারা দেশের বাছাই করে আনা স্টুডেন্টস এবং Researchers-রা ৭৫টিরও বেশি অসাধারণ প্রজেক্ট প্রদর্শন করেন। হেলথ কেয়ার, এগ্রিকালচার, রোবোটিক্স, সেমিকন্ডাক্টরস, 5G কমিউনিকেশন, এই রকম অনেক থিমের উপর এই প্রোজেক্টগুলি তৈরি করা হয়েছিল। যদিও এই সমস্ত প্রোজেক্ট ছিল একাধিক, কিন্তু, আমি কিছু প্রোজেক্ট সম্পর্কে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। যেমন IIT ভুবনেশ্বরের একটি দল নবজাতক শিশুর জন্য পোর্টেবল ভেন্টিলেটর তৈরি করেছে । এটি ব্যাটারিতে চলে এবং সহজেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যবহার করা যায়। নিদিষ্ট সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের জীবন বাঁচাতে এটি খুবই উপযোগী প্রমাণিত হতে পারে। Electric mobility হোক, দ্রোণ Technology হোক, 5G হোক আমাদের অনেক শিক্ষার্থী এগুলির সঙ্গে যুক্ত নতুন টেকনোলজির বিকাশে উদ্যত। অনেকগুলো IIT, একটি বহুভাষিক প্রজেক্টে একসঙ্গে কাজ করছে যা স্থানীয় ভাষা শেখাকে সহজ করে তোলে। এই প্রজেক্টটি নতুন রাষ্ট্রীয় শিক্ষা নীতিকে, তার লক্ষ্যগুলি অর্জনেও অনেক সাহায্য করবে। আপনাদের এটা জেনেও হয়তো ভালো লাগবে যে IIT মাদ্রাজ এবং IIT কানপুর ভারতের স্বদেশী 5G Test Bed তৈরিতে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি দুর্দান্ত সূচনা। আমি আশা করি আগামী দিনে এরকম আরও অনেক উদ্যোগ দেখতে পাব। আমি আরও আশা করি যে IIT থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে অন্যান্য ইনস্টিটিউশনগুলিও তাদের গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীলতা আমাদের সমাজের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জায়গায় সমাহিত আর এটাকে আমরা আমাদের চারপাশে অনুভব করতে পারি। দেশে এমন মানুষের অভাব নেই যারা পরিবেশ রক্ষার্থে নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেন।

কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর অধিবাসী সুরেশ কুমারজির কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি, ওনার মধ্যে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার জন্য এক আলাদাই উন্মাদনা বর্তমান। কুড়ি বছর আগে উনি শহরের সহকার নগরের এক জঙ্গলকে পুনরায় সজীব করার সংকল্প গ্রহণ করেছিলেন । এই কাজ অনেক কঠোর ছিল, কিন্তু, কুড়ি বছর আগে লাগানো সেই সব চারা আজ চল্লিশ ফিট লম্বা বিশালায়তন মহীরুহে পরিণত হয়েছে। এখন এদের সৌন্দর্য্য সবার মন কেড়ে নেয়। এতে ওখানের বাসিন্দাদেরও অনেক গর্ব অনুভব হয়। সুরেশ কুমারজি আরও একটি অদ্ভুত কাজ করেন। উনি কন্নড় ভাষা এবং সংস্কৃতিকে বাড়তি উৎসাহ প্রদানের জন্য সহকার নগরে একটি বাস শেল্টার বানিয়েছেন। কয়েকশো মানুষকে কন্নড় ভাষায় লেখা পেতলের প্লেট প্রদান করেছেন । ইকোলজি ও কালচার দুটোই একসঙ্গে এগিয়ে চলুক ও প্রস্ফুটিত হোক, ভাবুন, এটা কত বড় ব্যাপার।

বন্ধুরা, আজ ইকো ফ্রেন্ডলী লিভিং আর ইকো ফ্রেন্ডলী প্রোডাক্টস এর ব্যাপারে মানুষের মধ্যে আগের থেকে অনেক বেশি সচেতনতা দেখা যাচ্ছে। আমার তামিলনাড়ুর এরকমই একটি প্রচেষ্টা সম্বন্ধে জানার অবকাশ হয়েছে। এই চমৎকার প্রচেষ্টা Coimbatore এর Anaikatti র বাসিন্দা কিছু আদিবাসী মহিলাদের একটি টিমের। এই মহিলারা রপ্তানির জন্য দশ হাজার ইকোফ্রেন্ডলির টেরাকোটার চায়ের কাপ বানিয়েছেন। আশর্যের বিষয় এটা যে টেরাকোটা চায়ের কাপ বানানোর সমগ্র দায়িত্ব এই মহিলারা নিজেরাই নিয়েছিলেন। Clay mixing থেকে final প্যাকেজিং পর্যন্ত সব কাজ এনারা নিজেরাই করেছেন। এই কাজের জন্য এনারা প্রশিক্ষণ ও নিয়েছিলেন। এই অদ্ভুত প্রচেষ্টার যতই প্রশংসা করা হোক না কেনো তা কম।

বন্ধুরা, ত্রিপুরার কিছু গ্রাম ও অনেক সুন্দর শিক্ষা দিয়েছে আমাদের। আপনারা Bio ভিলেজের কথা তো অবশ্যই শুনেছেন, কিন্তু ত্রিপুরার কিছু গ্রাম তো Bio Village 2 এর ধাপেও উঠে গেছে। Bio Village 2 তে এই ব্যাপারে জোর দেওয়া হয় যে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে হওয়া ক্ষয় ক্ষতি কি করে কমানো যায়। এতে বিভিন্ন উপায়ে মানুষের জীবন স্তরকে আরও ভালো বানানোর প্রতি নজর দেওয়া হয়। Solar Energy, Biogas, Bee Keeping ও Bio Fertilizers এই সব বিষয়ে সমগ্র ফোকাস থাকে।

সব মিলিয়ে যদি দেখা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এই সচেতনতা অভিযান কে Bio-Village-2 অনেক শক্তিশালী করে তুলবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত কারণ আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে মানুষের উৎসাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছুদিন আগেই, ভারতে পরিবেশ-রক্ষার উদ্দেশ্যে 'Mission Life' launch করা হয়েছে। Mission Life'এর মূল কথা হলো- এমন জীবনশৈলী ও এমন lifestyle'এর বিষয়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা, যা পরিবেশের জন্য একেবারেই ক্ষতিকর নয়। আমার অনুরোধ, আপনারাও Mission Life'এর ব্যাপারে জানুন‌ এবং তা আয়ত্ত করার চেষ্টা করুন।

বন্ধুরা, আগামীকাল অর্থাৎ ৩১শে অক্টোবর রাষ্ট্রীয় ঐক্য দিবস, যা সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মজয়ন্তীর পুণ্যতিথিও। এই দিন দেশের কোনে কোনে Run for Unity'র আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই দৌড় দেশে ঐক্যের বন্ধন কে আরো সুদৃঢ় করে, আমাদের যুব-সমাজকে অনুপ্রাণিত করে। কিছুদিন আগে, এই চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন আমরা জাতীয় ন্যাশেনাল গেমস চলাকালীন দেখেছি। 'জুড়েগা ইন্ডিয়া তো জিতেগা ইন্ডিয়া' এই থিম নিয়ে জাতীয় ন্যাশেনাল গেমস যেমন ঐক্যের একটা সুদৃঢ় বার্তা দিয়েছে, তেমনি ভারতের ক্রীড়া সংস্কৃতিকেও বিস্তৃত করেছে। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে এটি এখনো পর্যন্ত ভারতে আয়োজীত সর্ব বৃহৎ থেকে বড় ন্যাশেনাল গেমস ছিল। এতে ৩৬টি খেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যার মধ্যে সাতটি নতুন এবং যোগাসন ও মল্লখম্ব সহ দুটি স্বদেশী খেলাও ছিল। স্বর্ণপদক পাওয়ার দৌড়ে সর্বাগ্রে যে তিনটি টিম ছিল তারা হলো- সার্ভিসেস, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার টিম। এই প্রতিযোগিতায় ছটি Natinal Record এবং অন্ততপক্ষে ৬০টি National Games Record তৈরী হয়েছে। যারা পদক জিতেছেন, নতুন Record গড়েছেন, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন, সেই সমস্ত ক্রীড়া প্রতিযোগীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। এই খেলোয়ারদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি ।

বন্ধুরা, গুজরাটে আয়োজিত এই ন্যাশেনাল গেমসকে সফল করে তুলতে যাদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাদের সকলকে আমি আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই।

আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, গুজরাটে, নব-রাত্রির সময় এই ন্যাশেনাল গেমসের আয়োজন হয়েছিল। এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের আগে, একবার তো আমারও মনে হয়েছিল, যে এই সময় সারা গুজরাট উৎসবে ব্যস্ত থাকে, তাহলে মানুষ প্রতিযোগিতার আনন্দ কী করে উপভোগ করবে? একদিকে এত বড় ব্যবস্থাপনা আর অন্যদিকে নবরাত্রির গর্বার মতো উৎসবের আয়োজন। এই সমস্ত কাজ গুজরাট একসঙ্গে কিভাবে করবে? কিন্তু গুজরাটের মানুষ তাদের আতিথেয়তার মধ্যে দিয়ে সকল অতিথির মন জয় করে নিয়েছেন।

আমেদাবাদের National Games চলাকালীন যেভাবে শিল্পকলা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতির সমন্বয় হয়েছিল তা খুবই উৎসাহপূর্ণ ছিল। দিনের বেলায় খেলোয়াড়রা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন আবার সন্ধ্যেবেলায় তারা গারবা ও ডান্ডিয়ার উৎসবে মেতে উঠতেন। তারা গুজরাটি খাবার ও নবরাত্রির প্রচুর ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন। এইটা দেখা আমাদের প্রত্যেকের জন্য খুবই আনন্দময় ছিল। সর্বোপরি, এই খেলাগুলির মাধ্যমে, ভারতবর্ষের বৈচিত্রময় সংস্কৃতির একটি আভাস পাওয়া যায়। এটি "এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের" ভাবনাকে আরো মজবুত করে তোলে।

আমার প্রিয় দেশবাসী। নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখে আমাদের দেশে উদযাপিত হবে জনজাতি গৌরব দিবস। মনে আছে নিশ্চয়ই, গত বছর এটা শুরু করা হয়েছিল, ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীর দিনে আদিবাসীর ঐতিহ্য ও গৌরবকে সম্মান জানানোর জন্য। ভগবান বিরসা মুন্ডা নিজের ছোট্ট জীবন কালেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষকে একজোট করতে পেরেছিলেন। উনি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ও আদিবাসীদের সংস্কৃতির রক্ষার জন্য নিজের জীবন বলিদান করে দিয়েছিলেন। এরকম কত কি আছে যা আমরা ধারতি আবা বীরসা মুন্ডার কাছ থেকে শিখতে পারি।

বন্ধুরা, যখনই ধরতি আবা বিরসা মুন্ডার কথা ওঠে, ওঁর ছোট্ট জীবনের দিকে ফিরে তাকাই, আজও আমরা তার থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারি, আর ধরতি আবা বলেছেন এই মাটি আমার, আর আমরাই এর রক্ষক। ওঁর এই একটি বাক্যের মধ্যে মাতৃভূমির প্রতি কর্তব্যের ভাবনাও যেমন আছে, তেমনি রয়েছে পরিবেশ সম্পর্কে আমাদের কর্তব্যের সচেতনতা। উনি সবসময়ই এই কথার উপর জোর দিয়েছেন যে আমরা আমাদের আদিবাসী সংস্কৃতিকে কখনোই ভুলবো না ও তার থেকে এক বিন্দুও দূরে সরে যাব না। আজও আমরা আমাদের দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের থেকে প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্বন্ধে অনেক কিছু শিখতে পারি।

বন্ধুরা, গত বছর ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রাঁচিতে ভগবান বিরসা মুন্ডার নামে একটি মিউজিয়াম উদঘাটন করার আমার পরম সৌভাগ্য হয়েছিল। আমি দেশের যুবা বন্ধুদের অনুরোধ করবো যে তারা যখনই সময় পাবেন যেন এই মিউজিয়ামটি দেখতে অবশ্যই যান। আমি আপনাদের এটাও জানাতে চাই যে পয়লা নভেম্বর মানে, পরশুদিন আমি গুজরাট ও রাজস্থানের বর্ডারের একটি জায়গা, মানগঢ়-এ থাকবো। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ও আমাদের সমৃদ্ধ আদিবাসীদের ঐতিহ্যে মানগঢ়-এর এক বিশিষ্ট স্থান রয়েছে। এখানে ১৯১৩-র নভেম্বর মাসে একটি ভয়ংকর হত্যাকাণ্ডে ইংরেজরা স্থানীয় আদিবাসীদের নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিল। কথিত আছে যে এই হত্যাকাণ্ডে এক হাজারেরও বেশি আদিবাসীকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল।

এই জনজাতি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন গোবিন্দ গুরুজী, যার জীবন প্রতিটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। আজ আমি সেই সকল জনজাতি শহীদ ও গোবিন্দ গুরুজীর অদম্য সাহস আর শৌর্যকে প্রণাম জানাচ্ছি। এই অমৃতকালে ভগবান বিরসা মুন্ডা, গোবিন্দ গুরুজী ও অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আদর্শ আমরা যত নিষ্ঠা ভরে পালন করব আমাদের দেশ ততই উন্নতির শিখর স্পর্শ করতে পারবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আগামী ৮ই নভেম্বর গুরুপুরব। গুরু নানকজীর প্রকাশপর্ব আমাদের বিশ্বাসের জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। গুরু নানক দেবজী নিজের সারা জীবন মানবতার আলোকবর্তিকা হয়ে ছিলেন। গুরুদের আলোকময় পথ নির্দেশ প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে অনেক প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। গুরু নানক দেবজীর ৫৫০তম প্রকাশ পর্ব দেশে ও বিদেশে ব্যাপকভাবে উদযাপন করার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছিল। অনেক দশকের প্রতীক্ষার পর কর্তারপুর সাহিব করিডোর নির্মাণ করতে পারাও ততটাই আনন্দদায়ক। কিছুদিন আগেই হেমকুন্ড সাহিবের জন্য রোপওয়ের শিলান্যাস করার সৌভাগ্যও আমার হয়েছে। আমাদের গুরুদের ভাবনা থেকে ক্রমাগত শিক্ষা নিতে হবে, তাদের প্রতি সমর্পিত থাকতে হবে।

সেই দিন কার্তিক পূর্ণিমাও রয়েছে। এদিন আমরা তীর্থে, নদীতে স্নান করি, সেবা ও দান করি। আমি আপনাদের সকলকে এই উৎসব উপলক্ষ্যে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আগামী কিছুদিনের মধ্যে অনেক রাজ্য নিজেদের রাজ্য দিবসও উদযাপন করবে। অন্ধ্রপ্রদেশ নিজেদের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করবে, কেরালা পিরাভি পালন করবে, কর্ণাটক রাজ্যোৎসব উদযাপন করবে। অনুরূপভাবে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও হরিয়ানাও নিজেদের রাজ্য দিবস উদযাপন করবে। আমি এই সব রাজ্যের মানুষদের শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের সব রাজ্যে একে অন্যের থেকে শেখার, সহযোগিতা করার এবং মিলেমিশে কাজ করার স্পিরিট যত মজবুত হবে দেশ ততই উন্নতি করবে। আমি বিশ্বাস করি আমরা এই ভাবনা নিয়েই অগ্রসর হব। আপনারা সকলে নিজেদের খেয়াল রাখুন, সুস্থ থাকুন। মন কি বাতের পরবর্তী সাক্ষাৎ পর্যন্ত আমাকে বিদায় নেওয়ার অনুমতি দিন।

নমস্কার, ধন্যবাদ।

 

 

 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to participate in ‘Odisha Parba 2024’ on 24 November
November 24, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will participate in the ‘Odisha Parba 2024’ programme on 24 November at around 5:30 PM at Jawaharlal Nehru Stadium, New Delhi. He will also address the gathering on the occasion.

Odisha Parba is a flagship event conducted by Odia Samaj, a trust in New Delhi. Through it, they have been engaged in providing valuable support towards preservation and promotion of Odia heritage. Continuing with the tradition, this year Odisha Parba is being organised from 22nd to 24th November. It will showcase the rich heritage of Odisha displaying colourful cultural forms and will exhibit the vibrant social, cultural and political ethos of the State. A National Seminar or Conclave led by prominent experts and distinguished professionals across various domains will also be conducted.