নরেন্দ্র মোদীপ্রযুক্তির ক্ষমতায় দৃঢ় বিশ্বাসী। প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজে তন্বিষ্ঠ, শ্রী মোদীর চোখে প্রযুক্তি হচ্ছে এমন কিছুযা সহজ, কার্যকর ও সাশ্রয়ী, এর সঙ্গে মিলে আছে গতি, সহজ-সরলতা ও কাজে আসার গুণ। এরপ্রয়োগে কাজকর্ম হয় চটপটে, প্রক্রিয়া ও ব্যবস্হাদি হয় সহজ। এবং মানুষের কাজেলাগাতে এর মুনশিয়ানা দারুন। শ্রী মোদীর স্হির বিশ্বাস যে কম সমর্থকদের সক্ষম এবংশাসনকে আরও বেশি স্বচ্ছ বা খোলামেলা করে তুলতে প্রযুক্তির জুড়ি নেই।
২০১৪-র মে ক্ষমতায়আসা ইস্তক প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন সরকারি প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়াতে। তিনি শুরুকরেন ডিজিটাল ভারত উদ্যোগ। এই কর্মসূচির লক্ষ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমেঢিলেঢালা বা গয়ংগচ্ছ ভাব ছেড়ে সরকারি কাজকর্ম চাঙ্গা করে তোলা ও মানুষের সমস্যাসমাধান। প্রধানমন্ত্রী সূচনা করেছেন আরও এক প্রযুক্তিভিত্তিক অভিনব উদ্যোগ প্রগতি।এর বহুমুখী বা অনেক উদ্দেশ্য সাধন ও মাল্টি-নোডাল প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্নপ্রকল্পের কাজ এবং মানুষের সমস্যা মেটানোর দিকে নজর রাখা হয়। প্রত্যেক মাসের শেষবুধবার, হোমরা-চোমরা কর্তাদের সঙ্গে প্রগতির বৈঠকে বসে খোদ প্রধানমন্ত্রী বহুক্ষেত্রের অনেক অনেক দিক খতিয়ে দেখেন। এতে ফল মিলেছে বেশ ভালো।
ভারত সরকার দেশেরমানুষকে আরও উন্নত স্বাস্হ্য ও শিক্ষার দিতে বাড়াচ্ছে প্রযুক্তির ব্যবস্হার।এসএমএস মারফত কোটি কোটি চাষির কাছে পোঁছে দেওয়া হচ্ছে চাষবাসের তথ্য। কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা কৃষি-প্রযুক্তি পরিকাঠামো তহবিলের মাধ্যমে জাতীয় কৃষি বাজার এর উন্নয়নপ্রকল্পটি অনুমোদন করেছে। দেশের সব জায়গার নিয়ন্ত্রিত বাজারগুলির মধ্যে সমন্বয়আনবে এক সাধারণ ই-প্ল্যাটফর্ম। এর ফলে স্বচ্ছ উপায়ে সর্বাপেক্ষা কাম্য দামে ফসলকেনাবেচা করার সুযোগ পাবে চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
জুলাই ২০১৪-তেপ্রধানমন্ত্রী চালু করেন মাইগভ (My Gov) । নাগরিককে শাসন ও নীতি তৈরির এক প্রধান অংশ করার জন্য এই পোর্টালটিইন্টারনেটের কাজে লাগায়। বিভিন্ন মন্ত্রক ও দপ্তর মাইগভ থেকে তাদের কাজকর্ম সংক্রান্ততথ্যাদির সুলুকসন্ধান করে। প্রধানমন্ত্রী মাইগভ ব্যবহার করেছেন বারংবার, তা সে তারবেতার অনুষ্ঠান ‘ মনের কথা ’ হোক বা অন্য কোন উপলক্ষে।
সেপ্টেম্বর ২০১৫-তে তার আমেরিকা সফরে শ্রী মোদী সিলিকন ভ্যালিতে যান,কথাবার্তা বলেন তাবড় তাবড় প্রযুক্তি সংস্হার মুখ্য নির্বাহী আধিকারিকদের সঙ্গে।ফেসবুক সদর দপ্তরে গিয়ে তিনি অংশ নেন টাউনহল প্রশ্নোত্তর অধিবেশনে, হরেক বিষয়েপ্রশ্নের জবাব দেন। যান গুগল কার্যালয়েও। প্রযুক্তি উদ্ভাবনের যেসব কাজকর্ম চলছেতা দেখানো হয় তাকে। ডিজিটাল ভারত সান্ধ্যভোজে প্রযুক্তি জগতের কর্ণধারদের উপস্হিতিতেতিনি ডিজিটাল ভারত নিয়ে সরকারের দর্শন তুলে ধরেন।
ব্যক্তিগতভাবে শ্রী মোদীর সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তিরা মনে রাখেন তার প্রযুক্তিপ্রগতির কথা / সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়বিশ্ব নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন এবং ইনস্টাগ্রাম-কোথায় নেই তার ডিজিটাল উপস্হিতি। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ও তাদের কাছে থেকেপাওয়া তথ্য এবং তাদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তিনি সোশাল মিডিয়াকে কাজে লাগান।তিনি সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করেন একটা ইতিবাচক ফারাক গড়ার জন্য, তা সে লোকজনকেতাদের মেয়েদের সঙ্গে সেলফি শেয়ার করা বা ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া- আশ্চর্যজনক ভারতেরকোন দৃশ্য শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করাই হোক।
শ্রী মোদী খুব জোর দিচ্ছেন ক্রম-গভর্ন্যান্স বা মোবাইল শাসনেও। তার নিজেরমোবাইল অ্যাপ আছে, ‘ নরেন্দ্র মোদী মোবাইলঅ্যাপ ’ যা পাওয়া যায় অ্যাপস এবংঅ্যান্ড্রয়েড ফোনে। এই অ্যাপ মারফত যে কেউ সাম্প্রতিকতম খবর, তথ্য পেতে এবং শ্রীমোদীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। .
এই উপায়ে, শ্রী মোদী অক্লান্তভাবে ও স্হির প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে চলেছেন এমন একভারত গড়তে যেখানে ১২৫ কোটি মানুষ হবে প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত ও প্রযুক্তি-নির্ভরউদ্ভাবন সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। তিনি কাজ করছেন ডিজিটাল হাইওয়ের মাধ্যমে ভারতকে যুক্তকরতে এবং নেটিজেনকে (ইন্টারনেট ব্যবহারে সড়গড় নাগরিক) এক ক্ষমতাধর নাগরিকবানানোর জন্য।