আজ এখানে এক ভিডিও কনফারেন্সের মঞ্চে ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’র সুফলভোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান প্রধান কল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলি যাতে সুনির্দিষ্ট সুফলভোগীদের কাছে সঠিক সময়ে পৌঁছে দেওয়ার কাজ নিশ্চিত করা যায়, সেই লক্ষ্যেই দেশব্যাপী ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’র সূচনা।
আলাপচারিতাকালে প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় ঘটে কর্ণাটকের টুমকুরের একটি গৃহস্থালীর সাজসরঞ্জামের দোকানের মালিক তথা ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’র সুফলভোগী শ্রী মুকেশের সঙ্গে। শ্রী মুকেশ প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে ‘প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা’র আওতায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ঋণ সহায়তা গ্রহণের মাধ্যমে তিনি তাঁর ব্যবসার সূচনা করেন। বর্তমানে তাঁর দোকানে নিযুক্ত রয়েছেন আরও তিনজন কর্মী।
শ্রী মুকেশ যেভাবে সরকারি সহায়তার সুযোগ গ্রহণ করে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন এবং সেইসঙ্গে একজন কর্মদাতার ভূমিকাতেও অবতীর্ণ হয়েছেন, তাতে আনন্দ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ঋণ সহায়তা পেতে কোনরকম অসুবিধা হয়েছে কিনা, সে সম্পর্কেও তিনি খোঁজখবর নেন শ্রী মুকেশের কাছে।
সমাজমাধ্যমের এক বার্তায় প্রথম ‘মুদ্রা যোজনা’র কথা জানতে পারেন শ্রী মুকেশ। এই যোজনার আওতায় ব্যাঙ্ক থেকে যে খুব সহজেই ঋণ পাওয়া সম্ভব, এই তথ্য তিনি সংগ্রহ করেন সমাজমাধ্যমের ঐ বার্তা থেকেই।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী মুকেশকে পরামর্শ দেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন করার জন্য। এই লক্ষ্যে ইউপিআই মঞ্চ ব্যবহারের কথাও বলেন তিনি। শ্রী মুকেশ জানান, বর্তমানে তিনি ৫০ শতাংশ লেনদেন ইউপিআই এবং ডিজিটাল ব্যবস্থাতেই করে থাকেন। তবে, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করে তিনি এখন থেকে ১০০ শতাংশ ব্যবসায়িক লেনদেনই ডিজিটাল পদ্ধতিতে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে জানান যে ব্যবসায়িক লেনদেনকে প্রযুক্তিচালিত করে তোলার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে ভবিষ্যতে বিনিয়োগ সহায়তা পাওয়া আরও সহজ হবে।
শ্রী মুকেশকে ভারতীয় যুব সমাজের সঙ্কল্প ও সহনশীলতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শ্রী মুকেশ শুধুমাত্র আত্মনির্ভরই হয়ে ওঠেননি, একইসঙ্গে অন্যদেরও কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন।
দেশের যুব সমাজের সঙ্গে এইভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করতে সরকার যে অঙ্গীকারবদ্ধ, এ কথাও এদিন আবার মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।