Quoteপ্রকৃতির যত্ন নেওয়া, পরিবেশকে রক্ষা করা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের ভারসাম্য বজায় আমাদের সবার দায়িত্ব হওয়া উচিত: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quote#MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী থাইল্যাণ্ডের গুহা ট্র্যাজেডি সম্পর্কে কথা বলেছেন, তরুণ ফুটবল দল, তাঁদের কোচ এবং উদ্ধারকারীদের প্রশংসা করেছেন
Quoteসবচেয়ে কঠিন মিশন সম্পন্ন করা যেতে পারে। এর জন্য এটাই প্রয়োজন যে আমরা শান্ত মনে স্থির চিত্তে নিজেদের লক্ষ্যে মনোনিবেশ করি: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteজুলাই হচ্ছে সেই মাস, যখন যুবকরা নিজের জীবনের নূতন পথে পদক্ষেপ করে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quote#MannKiBaat: মোদি বেশ কিছু শিক্ষার্থীর সংকল্প এবং আবেগের কথা বলছেন, যাঁরা জীবনের অনেক সমস্যা পার হয়ে সাফল্য অর্জন করেছে
Quote#MannKiBaat: রায় বেরিলির আই-টি প্রফেশনালদের উদ্ভাবনের জন্য তাঁদের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteআমাদের সাধু সন্ন্যাসীরা সর্বদা অন্ধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শিক্ষা দেন: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteলোকমান্য তিলকের উদ্যোগেই প্রথম সার্বজনীন গণেশ উৎসব উদ্‌যাপন শুরু হয়েছিল, এটা এখন সমাজ জাগরণ, একতা, সমদর্শিতা এবং সাম্যের মানসিকতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটা প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteচন্দ্রশেখর আজাদের সাহসিকতা এবং স্বাধীনতার জন্য আকুলতা অনেককেই প্রেরণা জুগিয়েছিল। আজাদ নিজের জীবন বাজী রেখেছিলেন কিন্তু বিদেশী শাসনের সামনে কখনও মাথা নোয়াননি: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quote#MannKiBaat: হিমা দাস, একতা ভয়ান, যোগেশ কটুনিয়া, সুন্দর সিং গুর্জর ও অন্যান্য ক্রীড়াবিদদের দুর্দান্ত পারফর্মান্সের জন্য তাঁদের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার!

আজকাল অনেক জায়গা থেকে ভালো বর্ষার খবর আসছে। কোথাও কোথাও অতিরিক্ত বর্ষা চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে কিছু জায়গায় মানুষ এখনও বর্ষার প্রতীক্ষা করছেন। ভারতের বিশালত্ব ও বিবিধতার কারণে কখনও কখনও বর্ষাও তার পছন্দ-অপছন্দ প্রকট করে। কিন্তু এজন্য বর্ষাকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। মানুষই প্রকৃতির সঙ্গে বিরোধের পথে এগিয়ে গেছে আর তারই ফলস্বরূপ কখনো কখনো প্রকৃতি আমাদের উপর বিরূপ হয়ে পড়ে। এই কারণে এটা আমাদের সবার দায়িত্ব যে আমরা প্রকৃতিকে ভালোবাসি, প্রকৃতিকে রক্ষা করি, প্রকৃতির উন্নয়নে সহায়তা করি। তাহলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকবে।

বিগত দিনে এই রকমই একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় পুরো বিশ্বের মনযোগ আকর্ষণ করেছে। মানুষের চিন্তা-ভাবনাকে উদ্বেলিত করেছে। আপনারা টিভি-তে নিশ্চয় দেখেছেন যে থাইল্যাণ্ডে ১২ জন কিশোর ফুটবল খেলোয়াড়ের একটি দল এবং তাদের কোচ একটি গুহাতে
বেড়াতে গিয়েছিল। ওখানে গুহাতে যেতে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সাধারণভাবে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু ঐ দিন ভাগ্যদেবীর অন্যরকম ইচ্ছা ছিল। ওরা যখন গুহার ভিতরে অনেকটা ঢুকে গেছে, তখন হঠাৎ প্রচুর বৃষ্টির কারণে গুহার মুখে প্রচুর জল জমে যায়।
খেলোয়াড়দের বাইরে বেরনোর রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। কোন রাস্তা না পাওয়াতে ওরা গুহার
ভেতরে একটি ছোট টিলার উপর আটকে ছিল, তাও একদিন-দুদিন নয় — ১৮ দিন!
কল্পনা করতে পারেন, মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ওই কিশোররা যখন এক-একটা মুহূর্ত কাটাচ্ছিল, তখন সেই সময়টা কেমন ছিল? একদিকে তারা যখন বিপদের সঙ্গে লড়াই করছিল, তখন অন্যদিকে সমগ্র বিশ্বের মানুষ একজোট হয়ে এই কিশোরদের নিরাপদে বাইরে বেরনোর জন্য প্রার্থনা করছিল। ওই কিশোরেরা কোথায় আছে, কি অবস্থায় আছে, ওদের কীভাবে বাইরে আনা যায় — সেটা জানার সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হয়। সময় মতো উদ্ধার না করা গেলে মনসুন-এর কারণে কয়েক মাস ওদের বার করে নিয়ে আসা সম্ভব হত না। যাই হোক, যখন ভালো খবর এলো, সারা বিশ্ব শান্তি পেল। খুশি হল। কিন্তু এই পুরো ঘটনাটিকে আমার একটু অন্যভাবে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে। এই পুরো অপারেশানটা কীভাবে চালানো হয় — প্রতিটি স্তরে সকলে যে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন সেটা সত্যিই অভূতপূর্ব! ওখানকার সরকার, বাচ্চাদের পিতা-মাতা, পরিবারের লোকজন, গণমাধ্যম, দেশের নাগরিকবর্গ — প্রত্যেকে শান্তি ও ধৈর্যের এক অনুকরণীয় আচরণ করে দেখিয়েছে। সবাই দলবদ্ধ ভাবে এই মিশনে সামিল হয়েছে। প্রত্যেকের এই সংযত ব্যবহার — আমার মনে হয় এটা শেখার ও আত্মস্থ করার বিষয়। মা-বাবার দুঃখ হয়নি বা মা চোখের জল ফেলেননি তা কিন্তু নয়। প্রত্যেকের ধৈর্য, সংযম, পুরো সমাজের শান্ত ব্যবহার সত্যিই আমাদের জন্য শিক্ষামূলক বিষয়। এই অপারেশানে থাইল্যাণ্ডের নৌবাহিনীর এক সৈন্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে। সমগ্র বিশ্ব আশ্চর্যান্বিত যে এইরকম বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতি সত্ত্বেও উদ্ধারকারীরা জলমগ্ন অন্ধকার গুহাতে সাহস ও ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করেছে, আশা ছাড়েনি। এই ঘটনা এটাই দেখায় যে যখন মানুষ জোটবদ্ধ হয়, তখন অনেক আশ্চর্য জিনিষ হয়। এটাই প্রয়োজন যে আমরা শান্ত মনে স্থির চিত্তে নিজেদের লক্ষ্যে মনোনিবেশ করি এবং তার জন্য কাজ করতে থাকি।

কিছুদিন আগে আমাদের দেশের জনপ্রিয় কবি নীরজ প্রয়াত হয়েছেন। কবি নীরজের বৈশিষ্ট্য ছিল — আশা, ভরসা, দৃঢ় সংকল্প এবং আত্মবিশ্বাস। কবি নীরজের সব কথা আমাদের সকল ভারতবাসীকে অনেক শক্তি, প্রেরণা দিতে পারে। উনি লিখেছেন —

অন্ধকার দূর হবেই

যতই তুফান উঠুক    যতই বজ্রপাত হোক

দীপ যখন জ্বলেছে তখন অন্ধকার দূর হবেই।

— কবি নীরজকে আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।

প্রধানমন্ত্রীজী নমস্কার! আমার নাম সত্যম। আমি এবছর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে অ্যাডমিশান নিয়েছি। আমাদের স্কুলের বোর্ড-পরীক্ষার সময় আপনি এক্‌জাম স্ট্রেস এবং এডুকেশনের কথা বলেছিলেন। আমাদের মত স্টুডেন্টদের জন্য এখন আপনার কী বক্তব্য আছে?

জুলাই এবং আগষ্ট মাস কৃষকদের জন্য এবং সব তরুণদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটাই হচ্ছে সেই সময় যখন কলেজগুলির জন্য ‘পিক সেশন’। সত্যমের মত লক্ষ লক্ষ যুবক স্কুল থেকে বেরিয়ে কলেজে যায়। ফেব্রুয়ারি আর মার্চ মাস যায় পরীক্ষা, প্রশ্ন-উত্তর লেখায়। এপ্রিল এবং মে মাস ছুটিতে আনন্দ করার সঙ্গে সঙ্গে রেজাল্ট, ভবিষ্যত জীবনের দিক নির্ণয় এবং ‘কেরিয়ার চয়েস’ করতে ব্যয় হয়। জুলাই হচ্ছে সেই মাস, যখন যুবকরা নিজের জীবনের নূতন পথে পদক্ষেপ করে। যখন ফোকাস ‘কোশ্চেন’ থেকে সরে ‘কাট-অফ’-এ চলে যায়। ছাত্রদের মনযোগ ‘হোম’ থেকে ‘হোস্টেল’-এ চলে যায়। ছাত্ররা ‘পেরেন্ট’দের ছত্রছায়া থেকে ‘প্রফেসর’দের ছত্রছায়াতে প্রবেশ করে। আমার বিশ্বাস, আমার যুব বন্ধুরা কলেজ জীবনের শুভারম্ভকে নিয়ে খুবই উৎসাহিত এবং খুশি। প্রথমবার বাড়ির বাইরে বেরনো, গ্রামের বাইরে যাওয়া, এক সুরক্ষিত পরিবেশ থেকে বাইরে বেরিয়ে নিজেকে নিজের পথ প্রদর্শক হতে হয়। এতসব যুবক নিজের ঘর ছেড়ে জীবনকে এক নূতন পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে বেরিয়ে পরে। অনেক ছাত্র কলেজে জয়েন করেছে, অনেকে জয়েন করবে। আপনাদের আমি এটাই বলবো যে, “Be Calm! Enjoy Life!” জীবনের আনন্দ পুরোপুরি উপভোগ করুন। বই ছাড়া কোনও উপায় নেই, পড়াশোনা তো করতেই হবে। কিন্তু নূতন নূতন বিষয় খোঁজার ইচ্ছা চালিয়ে যেতে হবে। পুরনো বন্ধুরা খুবই মূল্যবান। ছোটোবেলার বন্ধুত্ব অমূল্য। কিন্তু নূতন বন্ধু নির্বাচন, বন্ধুত্ব করা এবং চালিয়ে যাওয়া খুবই বুঝেশুনে করা দরকার। নূতন কিছু শিখুন। যেমন নতুন নতুন দক্ষতা, নতুন নতুন ভাষা শিখুন।

যে সমস্ত যুবক নিজের ঘর ছেড়ে বাইরে অন্য কোথাও পড়তে গেছেন, তাঁরা ঐ জায়গাকে আবিষ্কার করুন। ওখানকার সম্পর্কে, ওখানকার লোক, ভাষা, সংস্কৃতি সম্বন্ধে জানুন। ওখানকার যে সব বেরানোর জায়গা আছে, সেখানে যান, সে সম্পর্কে জানুন। নূতন অধ্যায় শুরু করছেন —সব নব যুবকদের জন্য আমার শুভকামনা রইল।

কলেজ মরশুমের কথা যখন উঠলই, তখন মধ্যপ্রদেশের ছাত্র আশারাম চৌধুরীর কথা বলতেই হয়। খবরে দেখছিলাম অত্যন্ত গরীব পরিবারের ছেলে এই আশারাম জীবনের কত সমস্যা পার হয়ে সাফল্য অর্জন করেছে। যোধপুর AIIMS–এর MBBSপরীক্ষায় প্রথম চেষ্টাতেই সে পাশ করে গেছে। তার বাবা আজীবন আস্তাকুঁড়ের আবর্জনা কুড়িয়ে পরিবারের ভরণপোষণ করে এসেছেন। সেই পরিস্থিতিতে এই সাফল্যের জন্য আমি আশারামকে অভিনন্দন জানাই। এমন কত দুঃস্থ পরিবারের ছাত্র আছে যারা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই নিজেদের পরিশ্রম আর মনযোগকে সম্বল করে এমন কিছু করে দেখিয়েছে, যা আমাদের সকলকে প্রেরণা যোগায়। যেমন দিল্লির প্রিন্স কুমার, যার বাবা ডি-টি-সি’র বাসচালক, কিংবা কলকাতার অভয় গুপ্তা, যে ফুটপাথে রাস্তার আলোর নীচে বসে পড়াশোনা করেছে — এদের মধ্যে আছে আমেদাবাদের মেয়ে আফরীন শেখ, যার বাবা অটো চালান, আছে নাগপুরের স্কুলবাস চালকের মেয়ে খুশি, হরিয়ানার চৌকিদারের ছেলে কার্তিক কিংবা ঝাড়খণ্ডের ইঁট-ভাঁটার মজদুরের ছেলে রমেশ সাহু। রমেশ নিজেও মেলায় খেলনা বিক্রি করত। গুরগাঁওয়ের প্রতিবন্ধী মেয়ে অনুষ্কা পাণ্ডে জন্ম থেকেই ‘স্পাইনাল মাসকুলার অটোপ্‌সি’ নামক বংশগত রোগের শিকার — এরা সবাই নিজেদের দৃঢ় সংকল্প আর মনের জোরে সব বাধা পার করে দুনিয়াকে দেখানোর মতো সাফল্য অর্জন করেছে। নিজেদের আশেপাশে তাকালে আমরা এমন কত উদাহরণই পেয়ে যাব।

দেশের যে কোনও প্রান্তের যে কোনও ভালো ঘটনা আমার মনকে শক্তি দেয়, প্রেরণা যোগায়। আর এই সব তরুণদের কথা আপনাদের বলতে গিয়ে আমার কবি নীরজের কথা মনে পড়ছে। জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে নীরজ বলেছিলেন —

আকাশের গান আমার পৃথিবীকে শোনাতে হবে,

সব আঁধারকে নিয়ে আসতে হবে আলোয়,

ফুলের সুবাস দিয়ে জয় করতে হবে তলোয়ারকে,

আর পাহাড়কে জাগাতে হবে গান গেয়ে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, কয়েক দিন আগে একটি খবর আমার চোখে পড়লো, যাতে লেখা ছিল — “মোদীর স্বপ্ন সফল করলেন দুই যুবক।” ভিতরের খবরটি পড়ার পর জানতে পারলাম আমাদের যুবশক্তি কীভাবে টেকনোলজি-র স্মার্ট এবং ক্রিয়েটিভ ইউজ-এর সাহায্যে সাধারণ মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে। ঘটনাটা ছিল এইরকম — একবার আমেরিকার ‘টেকনোলজি হাব’ সান জোস শহরে আমি ভারতীয় তরুণদের সঙ্গে আলোচনার সময় আমি তাঁদের কাছে আবেদন রেখেছিলাম তাঁরা যেন ভারতের জন্য নিজেদের ট্যালেন্টকে কীভাবে ব্যবহার করা যায় সেটা ভাবেন এবং সময় বের করে কিছু করেন। আমি ‘ব্রেন-ড্রেন’-কে ‘ব্রেন-গেইন’-এ বদলে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। রায়বেরিলির দুই আই-টি প্রফেশনাল যোগেশ সাহুজী এবং রজনীশ বাজপেয়ীজী আমার এই চ্যালেঞ্জকে স্বীকার করে এক অভিনব চেষ্টা চালিয়েছেন। নিজেদের প্রফেশনাল স্কিলকে ব্যবহার করে যোগেশজী এবং রজনীশজী মিলে একটি ‘স্মার্ট গাঁও অ্যাপ’ তৈরি করেছেন। এই অ্যাপ শুধু যে গ্রামের লোকেদের গোটা দুনিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করবে তা-ই নয়, এখন তাঁরা যে কোনও তথ্য বা সংবাদ নিজেদের মোবাইলেই পেয়ে যাবেন। তৌধকপুর নামে রায়বেরিলির এই গ্রামটির গ্রাম-প্রধান, ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, সি-ডি-ও সকলে মিলে এই অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য সাধারণ গ্রামবাসীকে উৎসাহ দিয়েছেন। এই অ্যাপ এক হিসেবে গ্রামে একরকমের ডিজিট্যাল বিপ্লব আনার কাজ করছে। গ্রামে যত উন্নয়নের কাজ হচ্ছে এই অ্যাপের মাধ্যমে সেগুলির রেকর্ড রাখা, ট্র্যাক করা, মনিটর করা সহজ হয়ে গেছে।
এই অ্যাপ-এ গ্রামের টেলিফোন ডিরেক্টরি, নিউজ সেকশান, ইভেন্টস লিস্ট, হেলথ সেন্টার, নফরমেশন সেন্টার — সবই দেওয়া আছে। এই অ্যাপ কৃষকদের জন্যও খুবই কাজের।
অ্যাপের  ফিচার, কিসানদের মধ্যে ‘FACT’ রেট একদিক থেকে তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রির জন্য বাজারের কাজ করছে। এই ঘটনাটিকে খতিয়ে দেখলে একটা ব্যাপার আপনাদের অবশ্যই মনে হবে যে এই তরুণেরা আমেরিকায় সেদেশের চলন-বলন, বিচার-বিবেচনার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন, হয়ত বেশ কিছু বছর আগে দেশ ছেড়েছেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের গ্রামের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়গুলি জানেন, চ্যালেঞ্জগুলিকে বোঝেন এবং গ্রামের সঙ্গে ইমোশনালি যুক্ত রয়েছেন। এই কারণেই সম্ভবত তাঁরা গ্রামের যা প্রয়োজন, ঠিক সেই অনুসারে কিছু বানাতে পেরেছেন। নিজের গ্রাম, নিজের শিকড়ের সঙ্গে এই যোগ এবং নিজের দেশের জন্য কিছু করে দেখাবার এই মানসিকতা সব ভারতবাসীর মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই রয়েছে। কিন্তু কখনও কখনও সময়ের জন্য, দূরত্বের জন্য, কখনও বা পরিস্থিতির জন্য তার ওপর হাল্কা একটা পর্দা পড়ে যায়। কিন্তু ছোট্ট একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গও যদি তাকে স্পর্শ করে তো সব কথা আবার জেগে ওঠে এবং   চলে যাওয়া দিনগুলির দিকে আমাদের আবার টেনে নিয়ে আসে। আমরাও বরং একটু পরখ করে নিই, আমাদের ক্ষেত্রেও এরকম কিছু ঘটেনি তো — অবস্থান, পরিস্থিতি বা দূরত্ব আমাদেরও বিচ্ছিন্ন করে দেয়নি তো — কোনও আস্তরণ পড়ে যায়নি তো! ভেবে দেখুন অবশ্যই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহাশয়, নমস্কার! আমি সন্তোষ কাকড়ে, কোলাপুর, মহারাষ্ট্র থেকে বলছি। পণ্ঢরপুরের বারী অর্থাৎ পুণ্যযাত্রা মহারাষ্ট্রের পুরনো ঐতিহ্য। প্রতি বছর এই উৎসব খুব উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে পালন করা হয়। প্রায় ৭-৮ লক্ষ বারকরী এতে যোগদান করেন। এই অভিনব অনুষ্ঠান সম্পর্কে দেশের বাকি মানুষ জানুক, তাই ‘বারী’ উৎসব সম্বন্ধে আরও কিছু জানান।

সন্তোষজী, আপনার ফোনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! সত্যিই পণ্ঢরপুরের
পুণ্যযাত্রা  এক অদ্ভুত উৎসব। বন্ধুগণ, আষাঢ় মাসের একাদশী, যেটা এবছর ২৩-শে জুলাই তারিখে ছিল, এই দিনে পণ্ঢরপুরের পুণ্যযাত্রা জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। পণ্ঢরপুর মহারাষ্ট্রের কোলাপুর জেলার পবিত্র শহর। আষাঢ় মাসের একাদশীর প্রায় ১৫-২০ দিন আগে থেকেই বারকরী অর্থাৎ তীর্থযাত্রীরা পালকি নিয়ে পণ্ঢরপুরের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করেন।
এই যাত্রা, যাকে ‘বারী’ বলা হয়ে থাকে, এতে লক্ষ লক্ষ বারকরী যোগদান করেন। সন্ত জ্ঞানেশ্বর আর সন্ত তুকারামের মত সন্ন্যাসীদের পাদুকা পালকিতে রেখে বিঠ্‌ঠল ভগবানের নামে নাচগান করতে করতে পণ্ঢরপুরের দিকে রওনা দেওয়া হয়। এই পুণ্যযাত্রা শিক্ষা, সংস্কৃতি আর শ্রদ্ধার ত্রিবেণী সঙ্গম। ভগবান বিট্‌ঠল, যাঁকে বিঠোবা বা পাণ্ডুরঙ্গ-ও বলা হয়, তাঁর দর্শনের জন্য ভক্তরা ওখানে পৌঁছন। ভগবান বিট্‌ঠল দরিদ্র, অসহায়, পীড়িতদের স্বার্থরক্ষা করেন। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গোয়া, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানার লোকেদের অপার শ্রদ্ধা এবং ভক্তি রয়েছে এই ভগবানের প্রতি। আপনারা পণ্ঢরপুরের বিঠোবা মন্দিরে যান, ওখানকার মাহাত্ম্য, সৌন্দর্য, আধ্যাত্মিক আনন্দের এক আলাদা অনুভূতি রয়েছে। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের শ্রোতাদের আমার অনুরোধ, যদি সুযোগ আসে পণ্ঢরপুরের পুণ্যযাত্রার অভিজ্ঞতা অবশ্যই অর্জন করবেন। জ্ঞানেশ্বর, নামদেব, একনাথ, রামদাস, তুকারাম — এরকম অসংখ্য সন্ন্যাসী মহারাষ্ট্রে আজও সাধারণ মানুষকে শিক্ষা প্রদান করছেন। এঁরা অন্ধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শক্তি দেন। ভারতের প্রতি প্রান্তে এইসব সন্ন্যাসী যুগ যুগ ধরে প্রেরণা দিয়ে আসছেন। ‘ভারূড’ বা ‘আভংগ’-এর মতো শ্লোকে আমরা ওঁদের কাছ থেকে সদ্ভাব, প্রেম আর ভ্রাতৃত্ববোধের উপদেশ পাই। অন্ধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শ্রদ্ধার সঙ্গে সমাজ লড়াই করতে পারে, এই মন্ত্র আমরা এঁদের কাছ থেকে পাই। এঁরাই সঠিক সময়ে সমাজকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন এবং সমাজ থেকে পুরনো কুসংস্কার দূর হোক, এটা সুনিশ্চিত করেছেন। মানুষের মধ্যে করুণা, সাম্য এবং শুচিতার ভাবনা নিয়ে এসেছেন। আমাদের এই ভারতভূমি বহু রত্নে খচিত বসুন্ধরা। সাধু-সন্ন্যাসীদের যেমন এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে আমাদের দেশে, ঠিক সেইরকম কর্মবীর মহাপুরুষেরা মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে জীবনদান করেছেন, নিজেদের সমর্পিত করেছেন। ঠিক এরকমই এক মহাপুরুষ ছিলেন লোকমান্য তিলক, যিনি অনেক ভারতীয়ের মনে গভীর ছাপ ফেলেছেন। আমরা ২৩-শে জুলাই তিলকজীর জন্মজয়ন্তী, আর ১-লা আগষ্ট ওঁর প্রয়াণদিবসে তাঁকে ভক্তি ভরে স্মরণ করি। লোকমান্য তিলক সাহস আর আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান ছিলেন। ব্রিটিশ শাসকদের ভুলভ্রান্তি দেখিয়ে দেওয়ার মতো ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা তাঁর ছিল। ইংরেজরা লোকমান্য তিলককে এতটাই ভয় পেত যে কুড়ি বছরের মধ্যে তিন-তিনবার তাঁর বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের অভিযোগ এনেছিল। এটা কোনও সামান্য কথা নয়! লোকমান্য তিলক এবং আমেদাবাদে তাঁর যে মূর্তি রয়েছে তা নিয়ে এক বিশেষ ঘটনার কথা আপনাদের আমি বলছি। ১৯১৬-র অক্টোবর মাসে লোকমান্য তিলকজী যখন আমেদাবাদে এসেছিলেন — ভাবুন, আজ থেকে ১০০ বছর আগে, তাঁকে স্বাগত জানাতে চল্লিশ হাজারেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এই সময় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সঙ্গে লোকমান্য তিলকজীর দীর্ঘক্ষণ কথা বলার সুযোগ হয়েছিল এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল লোকমান্য তিলকজীর দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছিলেন। ১-লা আগষ্ট, ১৯২০ লোকমান্য তিলকজীর মৃত্যু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমেদাবাদে তাঁর স্মারক মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। এরপর নগর কর্পোরেশনের মেয়র হয়েই বল্লভভাই প্যাটেল ব্রিটেনের মহারানীর নামাঙ্কিত ‘ভিক্টোরিয়া গার্ডেন’-এ মহামান্য তিলকের স্মারক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিক ভাবেই ব্রিটিশ শাসক এই বিষয়ে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয় এবং সেখানকার কালেক্টর বার বার ‘স্মারু হেলা’ নামক স্মারক নির্মাণের প্রস্তাব
নাকচ করে দিতে থাকেন। কিন্তু সর্দার সাহেব তো সর্দার সাহেব। প্রয়োজনে তিনি পদত্যাগ করবেন কিন্তু লোকমান্য তিলকের স্মারক মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়বেন। অবশেষে সর্দার প্যাটেল মূর্তি নির্মাণ করে ২৮-শে ফেব্রুয়ারি ১৯২৯-এ মহাত্মা গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানান সেই মূর্তির উদ্বোধন করতে। সেই মহা-উদ্‌ঘাটন অনুষ্ঠানে পূজনীয় বাপু বলেছিলেন, আমেদাবাদ পুরসভা মেয়র হিসেবে শুধু একজন ব্যক্তিকেই পায়নি, সেই সঙ্গে এমন এক শক্তি পেয়েছে, যার দ্বারা তিলকের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। আমার প্রিয় দেশবাসী, এই যে মূর্তি সর্দার প্যাটেল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তার একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে লোকমান্য তিলকজী চেয়ারে উপবিষ্ট। এই মূর্তির নীচে লেখা আছে, “স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার”। ইংরেজের কাছে এই লেখা ঈশ্বরের নির্দেশের মত শুনতে লেগেছিল। লোকমান্য তিলকের উদ্যোগেই প্রথম সার্বজনীন গণেশ উৎসব উদ্‌যাপন শুরু হয়েছিল। সার্বজনীন গণেশ উৎসব পরম্পরাগতভাবে শ্রদ্ধা ও আয়োজনে সমৃদ্ধ হয়ে উঠলেও একই সঙ্গে সমাজ জাগরণ, একতা, সমদর্শিতা এবং সাম্যের মানসিকতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটা প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। সেই সময়ের দাবীই ছিল ইংরেজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশবাসীকে একজোট করা। গণেশ উৎসব জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে জনসাধারণকে
সঙ্ঘবদ্ধ হতে সাহায্য করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই উৎসবের জনপ্রিয়তা বাড়তে লাগল।
এর থেকেই প্রমাণ হয় আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য এবং বীর নায়কদের প্রতি যুব সমাজের আজও craze আছে। এখন যে কোনও শহরের অলিতে গলিতে গণেশ মণ্ডপ দেখতে পাওয়া যায়। ঐ গলির সব পরিবার মিলেমিশে ঐ গণেশ উৎসবের আয়োজন করে। একটা টিম হিসেবে কাজ করে। আমাদের যুবসমাজের কাছে এ এক অতুলনীয় সুযোগ। এতে তাঁরা organisation ও leadership-এর মতো বিশেষ ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন এবং নিজেদের ভেতর সেগুলিকে বিকশিত করতে পারেন।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি গতবারেও বলেছি, আজ লোকমান্য তিলকজীকে স্মরণ করতে গিয়ে আবারও বলছি, এবারেও আপনারা গণেশ উৎসব ধুমধামের সঙ্গে পালন করুন কিন্তু ‘পরিবেশ-বন্ধব’ উৎসব উদ্‌যাপন করুন। গণেশজীর মূর্তি থেকে তাঁর সাজসজ্জা, পূজা সামগ্রী সব পরিবেশ-বন্ধব হোক। আমি চাই, প্রত্যেক শহরে ইকো-ফ্রেণ্ডলি গণেশ উৎসবের প্রতিযোগিতা হোক, তাঁদের পুরষ্কৃত করা হোক এবং ‘মাইগভ’ ও ‘নরেন্দ্র মোদী অ্যাপ’-এ এই পরিবেশ-বন্ধব গণেশ উৎসবের ব্যাপক প্রচার করা হোক। আমি অবশ্যই জনগণকে আপনাদের কথা জানাবো। লোকমান্য তিলকজী দেশবাসীকে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হতে আহ্বান করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার এবং সে অধিকার অর্জন করেই ছাড়বো।” আজ আমাদের আবার বলার সময় এসেছে, “স্বরাজ আমাদের জন্মগত অধিকার এবং সে অধিকার অর্জন করেই ছাড়বো।” সুশাসন এবং উন্নয়নের সুফল প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এভাবেই নতুন ভারত সৃষ্টি হবে। তিলকজীর জন্মের পঞ্চাশ বছর পরে ঠিক ওই দিন অর্থাৎ ২৩-শে জুলাই ভারতমাতার আর এক সুপুত্রর জন্ম হয়েছিল। যিনি নিজের জীবন সমর্পণ করেছিলেন যাতে করে দেশবাসী স্বাধীন ভারতে শ্বাস নিতে পারে। আমি চন্দ্রশেখর আজাদের কথা বলছি। ভারতে এমন কোনও নওজোয়ান আছেন, যিনি এই পংক্তি শুনে প্রেরণা পাবেন না —

সরফোরশি কি তমন্না অব হামারে দিল মে হ্যায়

দেখনা হ্যায় জোর কিতনা বাজু-এ-কাতিল মে হ্যায়।

এই কবিতার লাইনগুলি আশফাক উল্লাহ্‌ খান, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদের মতো তেজীদের প্রেরণা দিয়েছিল। চন্দ্রশেখর আজাদের সাহসিকতা এবং স্বাধীনতার জন্য আকুলতা অনেক যুবককেই প্রেরণা জুগিয়েছিল। আজাদ নিজের জীবন বাজী রেখেছিলেন কিন্তু বিদেশী শাসনের সামনে কখনও মাথা নোয়াননি। এটা আমার সৌভাগ্য যে মধ্যপ্রদেশে চন্দ্রশেখর আজাদের গ্রাম অলীরাজপুর যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এলাহাবাদের চন্দ্রশেখর আজাদ পার্কেও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার সুযোগ মিলেছে এবং চন্দ্রশেখর আজাদজী সেই বীর ছিলেন, যিনি বিদেশীদের গুলিতে মরতে চাইতেন না — বাঁচলে স্বাধীনতার জন্য লড়তে লড়তে বাঁচব আর মরলেও স্বাধীনতা অর্জন করেই মরবো — এই ছিল ওঁর বৈশিষ্ট্য। আরও একবার ভারতমাতার দুই মহান সন্তান লোকমান্য তিলকজী এবং চন্দ্রশেখর আজাদজীকে শ্রদ্ধাপূর্ণ নমস্কার জানাচ্ছি।

কিছুদিন আগে ফিনল্যাণ্ডে অনুষ্ঠিত জুনিয়র অনূর্ধ্ব কুড়ি বিশ্ব অ্যাথলেটিক্‌স চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটারের দৌড়ে ভারতের বাহাদুর কন্যা, কিষাণকন্যা হিমা দাস স্বর্ণপদক জিতে ইতিহাস
সৃষ্টি করেছে। দেশের আর এক কন্যা একতা ভয়ান আমার চিঠির জবাবে ইন্দোনেশিয়া থেকে
আমাকে ই-মেল করে। এখন ও ওখানে এশিয়ান গেমসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ই-মেলে একতা লিখছে — যে কোনও অ্যাথলিটের জীবনে মাহেন্দ্রক্ষণ সেটাই যখন সে তেরঙ্গা জড়িয়ে ধরে আর আমার গর্ব যে আমি তা করে দেখিয়েছি। একতা, আমাদের সবার আপনাকে নিয়ে গর্ব হয়। আপনি দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। টিউনিশিয়ায় বিশ্ব প্যারা-অ্যাথলেটিক্স গ্রাঁ প্রি, ২০১৮-তে একতা স্বর্ণপদক ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। ওর এই সাফল্য উল্লেখযোগ্য এই কারণে, যে ও নিজের চ্যালেঞ্জকে সাফল্যের মাধ্যম বানিয়ে নিয়েছে। ২০০৩-এ রোড অ্যাকসিডেণ্টে একতা ভয়ানের শরীরের নীচের অংশ অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু এই মেয়েটি সাহস হারায়নি এবং নিজেকে শক্তিশালী করে তুলে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছেছে। আরও একজন সাহসী যোগেশ কটুনিয়াজী।
ইনি বার্লিনে প্যারা-অ্যাথলেটিকদের গ্রাঁ প্রি-তে ডিস্‌কাস থ্রোয়িংয়ে বিশ্বরেকর্ড করে স্বর্ণপদক জিতেছেন। ওঁর সঙ্গে সুন্দর সিং গুর্জরও জ্যাভলিন থ্রোয়িংয়ে স্বর্ণপদক জেতেন। আমি একতা ভয়ানজী, যোগেশ কটুনিয়াজী, সুন্দর সিংজীকে তাঁদের সাহস ও সংগ্রামী মনোভাবের জন্য সেলাম জানাচ্ছি, অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনারা আরও এগিয়ে চলুন, খেলুন, উন্নতি করুন।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আগষ্ট মাস ইতিহাসের অনেক ঘটনা, উৎসবের ঘটনাপ্রবাহে ভরা। কিন্তু আবহাওয়ার জন্য কখনও কখনও অসুখও ঘরে প্রবেশ করে। আমি আপনাদের সকলের ভালো স্বাস্থ্যের জন্য, দেশভক্তির প্রেরণা জাগানো এই আগষ্ট মাসের জন্য এবং শতবর্ষ ধরে চলে আসা অনেক অনেক উৎসবের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ‘মন কি বাত’-এ আবার মিলিত হবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Rs 30,000 Crore Saved Via Jan Aushadhi Kendras In Last 10 Years; Over 15,000 Centres Opened, Nearly 10,000 More Planned: Government

Media Coverage

Rs 30,000 Crore Saved Via Jan Aushadhi Kendras In Last 10 Years; Over 15,000 Centres Opened, Nearly 10,000 More Planned: Government
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM Modi in TV9 Summit
March 28, 2025
QuoteToday, the world's eyes are on India: PM
QuoteIndia's youth is rapidly becoming skilled and driving innovation forward: PM
Quote"India First" has become the mantra of India's foreign policy: PM
QuoteToday, India is not just participating in the world order but also contributing to shaping and securing the future: PM
QuoteIndia has given Priority to humanity over monopoly: PM
QuoteToday, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM

श्रीमान रामेश्वर गारु जी, रामू जी, बरुन दास जी, TV9 की पूरी टीम, मैं आपके नेटवर्क के सभी दर्शकों का, यहां उपस्थित सभी महानुभावों का अभिनंदन करता हूं, इस समिट के लिए बधाई देता हूं।

TV9 नेटवर्क का विशाल रीजनल ऑडियंस है। और अब तो TV9 का एक ग्लोबल ऑडियंस भी तैयार हो रहा है। इस समिट में अनेक देशों से इंडियन डायस्पोरा के लोग विशेष तौर पर लाइव जुड़े हुए हैं। कई देशों के लोगों को मैं यहां से देख भी रहा हूं, वे लोग वहां से वेव कर रहे हैं, हो सकता है, मैं सभी को शुभकामनाएं देता हूं। मैं यहां नीचे स्क्रीन पर हिंदुस्तान के अनेक शहरों में बैठे हुए सब दर्शकों को भी उतने ही उत्साह, उमंग से देख रहा हूं, मेरी तरफ से उनका भी स्वागत है।

साथियों,

आज विश्व की दृष्टि भारत पर है, हमारे देश पर है। दुनिया में आप किसी भी देश में जाएं, वहां के लोग भारत को लेकर एक नई जिज्ञासा से भरे हुए हैं। आखिर ऐसा क्या हुआ कि जो देश 70 साल में ग्यारहवें नंबर की इकोनॉमी बना, वो महज 7-8 साल में पांचवे नंबर की इकोनॉमी बन गया? अभी IMF के नए आंकड़े सामने आए हैं। वो आंकड़े कहते हैं कि भारत, दुनिया की एकमात्र मेजर इकोनॉमी है, जिसने 10 वर्षों में अपने GDP को डबल किया है। बीते दशक में भारत ने दो लाख करोड़ डॉलर, अपनी इकोनॉमी में जोड़े हैं। GDP का डबल होना सिर्फ आंकड़ों का बदलना मात्र नहीं है। इसका impact देखिए, 25 करोड़ लोग गरीबी से बाहर निकले हैं, और ये 25 करोड़ लोग एक नियो मिडिल क्लास का हिस्सा बने हैं। ये नियो मिडिल क्लास, एक प्रकार से नई ज़िंदगी शुरु कर रहा है। ये नए सपनों के साथ आगे बढ़ रहा है, हमारी इकोनॉमी में कंट्रीब्यूट कर रहा है, और उसको वाइब्रेंट बना रहा है। आज दुनिया की सबसे बड़ी युवा आबादी हमारे भारत में है। ये युवा, तेज़ी से स्किल्ड हो रहा है, इनोवेशन को गति दे रहा है। और इन सबके बीच, भारत की फॉरेन पॉलिसी का मंत्र बन गया है- India First, एक जमाने में भारत की पॉलिसी थी, सबसे समान रूप से दूरी बनाकर चलो, Equi-Distance की पॉलिसी, आज के भारत की पॉलिसी है, सबके समान रूप से करीब होकर चलो, Equi-Closeness की पॉलिसी। दुनिया के देश भारत की ओपिनियन को, भारत के इनोवेशन को, भारत के एफर्ट्स को, जैसा महत्व आज दे रहे हैं, वैसा पहले कभी नहीं हुआ। आज दुनिया की नजर भारत पर है, आज दुनिया जानना चाहती है, What India Thinks Today.

|

साथियों,

भारत आज, वर्ल्ड ऑर्डर में सिर्फ पार्टिसिपेट ही नहीं कर रहा, बल्कि फ्यूचर को शेप और सेक्योर करने में योगदान दे रहा है। दुनिया ने ये कोरोना काल में अच्छे से अनुभव किया है। दुनिया को लगता था कि हर भारतीय तक वैक्सीन पहुंचने में ही, कई-कई साल लग जाएंगे। लेकिन भारत ने हर आशंका को गलत साबित किया। हमने अपनी वैक्सीन बनाई, हमने अपने नागरिकों का तेज़ी से वैक्सीनेशन कराया, और दुनिया के 150 से अधिक देशों तक दवाएं और वैक्सीन्स भी पहुंचाईं। आज दुनिया, और जब दुनिया संकट में थी, तब भारत की ये भावना दुनिया के कोने-कोने तक पहुंची कि हमारे संस्कार क्या हैं, हमारा तौर-तरीका क्या है।

साथियों,

अतीत में दुनिया ने देखा है कि दूसरे विश्व युद्ध के बाद जब भी कोई वैश्विक संगठन बना, उसमें कुछ देशों की ही मोनोपोली रही। भारत ने मोनोपोली नहीं बल्कि मानवता को सर्वोपरि रखा। भारत ने, 21वीं सदी के ग्लोबल इंस्टीट्यूशन्स के गठन का रास्ता बनाया, और हमने ये ध्यान रखा कि सबकी भागीदारी हो, सबका योगदान हो। जैसे प्राकृतिक आपदाओं की चुनौती है। देश कोई भी हो, इन आपदाओं से इंफ्रास्ट्रक्चर को भारी नुकसान होता है। आज ही म्यांमार में जो भूकंप आया है, आप टीवी पर देखें तो बहुत बड़ी-बड़ी इमारतें ध्वस्त हो रही हैं, ब्रिज टूट रहे हैं। और इसलिए भारत ने Coalition for Disaster Resilient Infrastructure - CDRI नाम से एक वैश्विक नया संगठन बनाने की पहल की। ये सिर्फ एक संगठन नहीं, बल्कि दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं के लिए तैयार करने का संकल्प है। भारत का प्रयास है, प्राकृतिक आपदा से, पुल, सड़कें, बिल्डिंग्स, पावर ग्रिड, ऐसा हर इंफ्रास्ट्रक्चर सुरक्षित रहे, सुरक्षित निर्माण हो।

साथियों,

भविष्य की चुनौतियों से निपटने के लिए हर देश का मिलकर काम करना बहुत जरूरी है। ऐसी ही एक चुनौती है, हमारे एनर्जी रिसोर्सेस की। इसलिए पूरी दुनिया की चिंता करते हुए भारत ने International Solar Alliance (ISA) का समाधान दिया है। ताकि छोटे से छोटा देश भी सस्टेनबल एनर्जी का लाभ उठा सके। इससे क्लाइमेट पर तो पॉजिटिव असर होगा ही, ये ग्लोबल साउथ के देशों की एनर्जी नीड्स को भी सिक्योर करेगा। और आप सबको ये जानकर गर्व होगा कि भारत के इस प्रयास के साथ, आज दुनिया के सौ से अधिक देश जुड़ चुके हैं।

साथियों,

बीते कुछ समय से दुनिया, ग्लोबल ट्रेड में असंतुलन और लॉजिस्टिक्स से जुड़ी challenges का सामना कर रही है। इन चुनौतियों से निपटने के लिए भी भारत ने दुनिया के साथ मिलकर नए प्रयास शुरु किए हैं। India–Middle East–Europe Economic Corridor (IMEC), ऐसा ही एक महत्वाकांक्षी प्रोजेक्ट है। ये प्रोजेक्ट, कॉमर्स और कनेक्टिविटी के माध्यम से एशिया, यूरोप और मिडिल ईस्ट को जोड़ेगा। इससे आर्थिक संभावनाएं तो बढ़ेंगी ही, दुनिया को अल्टरनेटिव ट्रेड रूट्स भी मिलेंगे। इससे ग्लोबल सप्लाई चेन भी और मजबूत होगी।

|

साथियों,

ग्लोबल सिस्टम्स को, अधिक पार्टिसिपेटिव, अधिक डेमोक्रेटिक बनाने के लिए भी भारत ने अनेक कदम उठाए हैं। और यहीं, यहीं पर ही भारत मंडपम में जी-20 समिट हुई थी। उसमें अफ्रीकन यूनियन को जी-20 का परमानेंट मेंबर बनाया गया है। ये बहुत बड़ा ऐतिहासिक कदम था। इसकी मांग लंबे समय से हो रही थी, जो भारत की प्रेसीडेंसी में पूरी हुई। आज ग्लोबल डिसीजन मेकिंग इंस्टीट्यूशन्स में भारत, ग्लोबल साउथ के देशों की आवाज़ बन रहा है। International Yoga Day, WHO का ग्लोबल सेंटर फॉर ट्रेडिशनल मेडिसिन, आर्टिफिशियल इंटेलीजेंस के लिए ग्लोबल फ्रेमवर्क, ऐसे कितने ही क्षेत्रों में भारत के प्रयासों ने नए वर्ल्ड ऑर्डर में अपनी मजबूत उपस्थिति दर्ज कराई है, और ये तो अभी शुरूआत है, ग्लोबल प्लेटफॉर्म पर भारत का सामर्थ्य नई ऊंचाई की तरफ बढ़ रहा है।

साथियों,

21वीं सदी के 25 साल बीत चुके हैं। इन 25 सालों में 11 साल हमारी सरकार ने देश की सेवा की है। और जब हम What India Thinks Today उससे जुड़ा सवाल उठाते हैं, तो हमें ये भी देखना होगा कि Past में क्या सवाल थे, क्या जवाब थे। इससे TV9 के विशाल दर्शक समूह को भी अंदाजा होगा कि कैसे हम, निर्भरता से आत्मनिर्भरता तक, Aspirations से Achievement तक, Desperation से Development तक पहुंचे हैं। आप याद करिए, एक दशक पहले, गांव में जब टॉयलेट का सवाल आता था, तो माताओं-बहनों के पास रात ढलने के बाद और भोर होने से पहले का ही जवाब होता था। आज उसी सवाल का जवाब स्वच्छ भारत मिशन से मिलता है। 2013 में जब कोई इलाज की बात करता था, तो महंगे इलाज की चर्चा होती थी। आज उसी सवाल का समाधान आयुष्मान भारत में नजर आता है। 2013 में किसी गरीब की रसोई की बात होती थी, तो धुएं की तस्वीर सामने आती थी। आज उसी समस्या का समाधान उज्ज्वला योजना में दिखता है। 2013 में महिलाओं से बैंक खाते के बारे में पूछा जाता था, तो वो चुप्पी साध लेती थीं। आज जनधन योजना के कारण, 30 करोड़ से ज्यादा बहनों का अपना बैंक अकाउंट है। 2013 में पीने के पानी के लिए कुएं और तालाबों तक जाने की मजबूरी थी। आज उसी मजबूरी का हल हर घर नल से जल योजना में मिल रहा है। यानि सिर्फ दशक नहीं बदला, बल्कि लोगों की ज़िंदगी बदली है। और दुनिया भी इस बात को नोट कर रही है, भारत के डेवलपमेंट मॉडल को स्वीकार रही है। आज भारत सिर्फ Nation of Dreams नहीं, बल्कि Nation That Delivers भी है।

साथियों,

जब कोई देश, अपने नागरिकों की सुविधा और समय को महत्व देता है, तब उस देश का समय भी बदलता है। यही आज हम भारत में अनुभव कर रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण देता हूं। पहले पासपोर्ट बनवाना कितना बड़ा काम था, ये आप जानते हैं। लंबी वेटिंग, बहुत सारे कॉम्प्लेक्स डॉक्यूमेंटेशन का प्रोसेस, अक्सर राज्यों की राजधानी में ही पासपोर्ट केंद्र होते थे, छोटे शहरों के लोगों को पासपोर्ट बनवाना होता था, तो वो एक-दो दिन कहीं ठहरने का इंतजाम करके चलते थे, अब वो हालात पूरी तरह बदल गया है, एक आंकड़े पर आप ध्यान दीजिए, पहले देश में सिर्फ 77 पासपोर्ट सेवा केंद्र थे, आज इनकी संख्या 550 से ज्यादा हो गई है। पहले पासपोर्ट बनवाने में, और मैं 2013 के पहले की बात कर रहा हूं, मैं पिछले शताब्दी की बात नहीं कर रहा हूं, पासपोर्ट बनवाने में जो वेटिंग टाइम 50 दिन तक होता था, वो अब 5-6 दिन तक सिमट गया है।

साथियों,

ऐसा ही ट्रांसफॉर्मेशन हमने बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर में भी देखा है। हमारे देश में 50-60 साल पहले बैंकों का नेशनलाइजेशन किया गया, ये कहकर कि इससे लोगों को बैंकिंग सुविधा सुलभ होगी। इस दावे की सच्चाई हम जानते हैं। हालत ये थी कि लाखों गांवों में बैंकिंग की कोई सुविधा ही नहीं थी। हमने इस स्थिति को भी बदला है। ऑनलाइन बैंकिंग तो हर घर में पहुंचाई है, आज देश के हर 5 किलोमीटर के दायरे में कोई न कोई बैंकिंग टच प्वाइंट जरूर है। और हमने सिर्फ बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर का ही दायरा नहीं बढ़ाया, बल्कि बैंकिंग सिस्टम को भी मजबूत किया। आज बैंकों का NPA बहुत कम हो गया है। आज बैंकों का प्रॉफिट, एक लाख 40 हज़ार करोड़ रुपए के नए रिकॉर्ड को पार कर चुका है। और इतना ही नहीं, जिन लोगों ने जनता को लूटा है, उनको भी अब लूटा हुआ धन लौटाना पड़ रहा है। जिस ED को दिन-रात गालियां दी जा रही है, ED ने 22 हज़ार करोड़ रुपए से अधिक वसूले हैं। ये पैसा, कानूनी तरीके से उन पीड़ितों तक वापिस पहुंचाया जा रहा है, जिनसे ये पैसा लूटा गया था।

साथियों,

Efficiency से गवर्नमेंट Effective होती है। कम समय में ज्यादा काम हो, कम रिसोर्सेज़ में अधिक काम हो, फिजूलखर्ची ना हो, रेड टेप के बजाय रेड कार्पेट पर बल हो, जब कोई सरकार ये करती है, तो समझिए कि वो देश के संसाधनों को रिस्पेक्ट दे रही है। और पिछले 11 साल से ये हमारी सरकार की बड़ी प्राथमिकता रहा है। मैं कुछ उदाहरणों के साथ अपनी बात बताऊंगा।

|

साथियों,

अतीत में हमने देखा है कि सरकारें कैसे ज्यादा से ज्यादा लोगों को मिनिस्ट्रीज में accommodate करने की कोशिश करती थीं। लेकिन हमारी सरकार ने अपने पहले कार्यकाल में ही कई मंत्रालयों का विलय कर दिया। आप सोचिए, Urban Development अलग मंत्रालय था और Housing and Urban Poverty Alleviation अलग मंत्रालय था, हमने दोनों को मर्ज करके Housing and Urban Affairs मंत्रालय बना दिया। इसी तरह, मिनिस्ट्री ऑफ ओवरसीज़ अफेयर्स अलग था, विदेश मंत्रालय अलग था, हमने इन दोनों को भी एक साथ जोड़ दिया, पहले जल संसाधन, नदी विकास मंत्रालय अलग था, और पेयजल मंत्रालय अलग था, हमने इन्हें भी जोड़कर जलशक्ति मंत्रालय बना दिया। हमने राजनीतिक मजबूरी के बजाय, देश की priorities और देश के resources को आगे रखा।

साथियों,

हमारी सरकार ने रूल्स और रेगुलेशन्स को भी कम किया, उन्हें आसान बनाया। करीब 1500 ऐसे कानून थे, जो समय के साथ अपना महत्व खो चुके थे। उनको हमारी सरकार ने खत्म किया। करीब 40 हज़ार, compliances को हटाया गया। ऐसे कदमों से दो फायदे हुए, एक तो जनता को harassment से मुक्ति मिली, और दूसरा, सरकारी मशीनरी की एनर्जी भी बची। एक और Example GST का है। 30 से ज्यादा टैक्सेज़ को मिलाकर एक टैक्स बना दिया गया है। इसको process के, documentation के हिसाब से देखें तो कितनी बड़ी बचत हुई है।

साथियों,

सरकारी खरीद में पहले कितनी फिजूलखर्ची होती थी, कितना करप्शन होता था, ये मीडिया के आप लोग आए दिन रिपोर्ट करते थे। हमने, GeM यानि गवर्नमेंट ई-मार्केटप्लेस प्लेटफॉर्म बनाया। अब सरकारी डिपार्टमेंट, इस प्लेटफॉर्म पर अपनी जरूरतें बताते हैं, इसी पर वेंडर बोली लगाते हैं और फिर ऑर्डर दिया जाता है। इसके कारण, भ्रष्टाचार की गुंजाइश कम हुई है, और सरकार को एक लाख करोड़ रुपए से अधिक की बचत भी हुई है। डायरेक्ट बेनिफिट ट्रांसफर- DBT की जो व्यवस्था भारत ने बनाई है, उसकी तो दुनिया में चर्चा है। DBT की वजह से टैक्स पेयर्स के 3 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा, गलत हाथों में जाने से बचे हैं। 10 करोड़ से ज्यादा फर्ज़ी लाभार्थी, जिनका जन्म भी नहीं हुआ था, जो सरकारी योजनाओं का फायदा ले रहे थे, ऐसे फर्जी नामों को भी हमने कागजों से हटाया है।

साथियों,

 

हमारी सरकार टैक्स की पाई-पाई का ईमानदारी से उपयोग करती है, और टैक्सपेयर का भी सम्मान करती है, सरकार ने टैक्स सिस्टम को टैक्सपेयर फ्रेंडली बनाया है। आज ITR फाइलिंग का प्रोसेस पहले से कहीं ज्यादा सरल और तेज़ है। पहले सीए की मदद के बिना, ITR फाइल करना मुश्किल होता था। आज आप कुछ ही समय के भीतर खुद ही ऑनलाइन ITR फाइल कर पा रहे हैं। और रिटर्न फाइल करने के कुछ ही दिनों में रिफंड आपके अकाउंट में भी आ जाता है। फेसलेस असेसमेंट स्कीम भी टैक्सपेयर्स को परेशानियों से बचा रही है। गवर्नेंस में efficiency से जुड़े ऐसे अनेक रिफॉर्म्स ने दुनिया को एक नया गवर्नेंस मॉडल दिया है।

साथियों,

पिछले 10-11 साल में भारत हर सेक्टर में बदला है, हर क्षेत्र में आगे बढ़ा है। और एक बड़ा बदलाव सोच का आया है। आज़ादी के बाद के अनेक दशकों तक, भारत में ऐसी सोच को बढ़ावा दिया गया, जिसमें सिर्फ विदेशी को ही बेहतर माना गया। दुकान में भी कुछ खरीदने जाओ, तो दुकानदार के पहले बोल यही होते थे – भाई साहब लीजिए ना, ये तो इंपोर्टेड है ! आज स्थिति बदल गई है। आज लोग सामने से पूछते हैं- भाई, मेड इन इंडिया है या नहीं है?

साथियों,

आज हम भारत की मैन्युफैक्चरिंग एक्सीलेंस का एक नया रूप देख रहे हैं। अभी 3-4 दिन पहले ही एक न्यूज आई है कि भारत ने अपनी पहली MRI मशीन बना ली है। अब सोचिए, इतने दशकों तक हमारे यहां स्वदेशी MRI मशीन ही नहीं थी। अब मेड इन इंडिया MRI मशीन होगी तो जांच की कीमत भी बहुत कम हो जाएगी।

|

साथियों,

आत्मनिर्भर भारत और मेक इन इंडिया अभियान ने, देश के मैन्युफैक्चरिंग सेक्टर को एक नई ऊर्जा दी है। पहले दुनिया भारत को ग्लोबल मार्केट कहती थी, आज वही दुनिया, भारत को एक बड़े Manufacturing Hub के रूप में देख रही है। ये सक्सेस कितनी बड़ी है, इसके उदाहरण आपको हर सेक्टर में मिलेंगे। जैसे हमारी मोबाइल फोन इंडस्ट्री है। 2014-15 में हमारा एक्सपोर्ट, वन बिलियन डॉलर तक भी नहीं था। लेकिन एक दशक में, हम ट्वेंटी बिलियन डॉलर के फिगर से भी आगे निकल चुके हैं। आज भारत ग्लोबल टेलिकॉम और नेटवर्किंग इंडस्ट्री का एक पावर सेंटर बनता जा रहा है। Automotive Sector की Success से भी आप अच्छी तरह परिचित हैं। इससे जुड़े Components के एक्सपोर्ट में भी भारत एक नई पहचान बना रहा है। पहले हम बहुत बड़ी मात्रा में मोटर-साइकल पार्ट्स इंपोर्ट करते थे। लेकिन आज भारत में बने पार्ट्स UAE और जर्मनी जैसे अनेक देशों तक पहुंच रहे हैं। सोलर एनर्जी सेक्टर ने भी सफलता के नए आयाम गढ़े हैं। हमारे सोलर सेल्स, सोलर मॉड्यूल का इंपोर्ट कम हो रहा है और एक्सपोर्ट्स 23 गुना तक बढ़ गए हैं। बीते एक दशक में हमारा डिफेंस एक्सपोर्ट भी 21 गुना बढ़ा है। ये सारी अचीवमेंट्स, देश की मैन्युफैक्चरिंग इकोनॉमी की ताकत को दिखाती है। ये दिखाती है कि भारत में कैसे हर सेक्टर में नई जॉब्स भी क्रिएट हो रही हैं।

साथियों,

TV9 की इस समिट में, विस्तार से चर्चा होगी, अनेक विषयों पर मंथन होगा। आज हम जो भी सोचेंगे, जिस भी विजन पर आगे बढ़ेंगे, वो हमारे आने वाले कल को, देश के भविष्य को डिजाइन करेगा। पिछली शताब्दी के इसी दशक में, भारत ने एक नई ऊर्जा के साथ आजादी के लिए नई यात्रा शुरू की थी। और हमने 1947 में आजादी हासिल करके भी दिखाई। अब इस दशक में हम विकसित भारत के लक्ष्य के लिए चल रहे हैं। और हमें 2047 तक विकसित भारत का सपना जरूर पूरा करना है। और जैसा मैंने लाल किले से कहा है, इसमें सबका प्रयास आवश्यक है। इस समिट का आयोजन कर, TV9 ने भी अपनी तरफ से एक positive initiative लिया है। एक बार फिर आप सभी को इस समिट की सफलता के लिए मेरी ढेर सारी शुभकामनाएं हैं।

मैं TV9 को विशेष रूप से बधाई दूंगा, क्योंकि पहले भी मीडिया हाउस समिट करते रहे हैं, लेकिन ज्यादातर एक छोटे से फाइव स्टार होटल के कमरे में, वो समिट होती थी और बोलने वाले भी वही, सुनने वाले भी वही, कमरा भी वही। TV9 ने इस परंपरा को तोड़ा और ये जो मॉडल प्लेस किया है, 2 साल के भीतर-भीतर देख लेना, सभी मीडिया हाउस को यही करना पड़ेगा। यानी TV9 Thinks Today वो बाकियों के लिए रास्ता खोल देगा। मैं इस प्रयास के लिए बहुत-बहुत अभिनंदन करता हूं, आपकी पूरी टीम को, और सबसे बड़ी खुशी की बात है कि आपने इस इवेंट को एक मीडिया हाउस की भलाई के लिए नहीं, देश की भलाई के लिए आपने उसकी रचना की। 50,000 से ज्यादा नौजवानों के साथ एक मिशन मोड में बातचीत करना, उनको जोड़ना, उनको मिशन के साथ जोड़ना और उसमें से जो बच्चे सिलेक्ट होकर के आए, उनकी आगे की ट्रेनिंग की चिंता करना, ये अपने आप में बहुत अद्भुत काम है। मैं आपको बहुत बधाई देता हूं। जिन नौजवानों से मुझे यहां फोटो निकलवाने का मौका मिला है, मुझे भी खुशी हुई कि देश के होनहार लोगों के साथ, मैं अपनी फोटो निकलवा पाया। मैं इसे अपना सौभाग्य मानता हूं दोस्तों कि आपके साथ मेरी फोटो आज निकली है। और मुझे पक्का विश्वास है कि सारी युवा पीढ़ी, जो मुझे दिख रही है, 2047 में जब देश विकसित भारत बनेगा, सबसे ज्यादा बेनिफिशियरी आप लोग हैं, क्योंकि आप उम्र के उस पड़ाव पर होंगे, जब भारत विकसित होगा, आपके लिए मौज ही मौज है। आपको बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

धन्यवाद।