প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই নিম্ন-স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মেডিকেল / ডেন্টাল কোর্সে (এমবিবিএস / এমডি / এমএস / ডিপ্লোমা / বিডিএস / এমডিএস) সর্বভারতীয় কোটার আওতায় অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য ২৭ শতাংশ এবং আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ২৬ জুলাই এক বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন পড়ে থাকা আসন সংরক্ষণের এই সমস্যার কার্যকর সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রতি বছর এমবিবিএস কোর্সে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর প্রায় ১,৫০০ জন ছাত্রছাত্রী এবং নিম্ন-স্নাতক কোর্সে ২,৫০০ জন অনগ্রসর শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবেন। একইভাবে, এমবিবিএস কোর্সে প্রায় ৫৫০ জন আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রায় ১ হাজার ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবেন।
মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট মেধার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও চিকিৎসা-শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের অন্য রাজ্যে চিকিৎসা-শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে যে নির্দেশ দিয়েছিল তার প্রেক্ষিতে ১৯৮৬ সালে সর্বভারতীয় কোটার সূচনা হয়। সর্বভারতীয় কোটায় সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে অসংরক্ষিত শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য মোট আসনের ১৫ শতাংশ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মোট আসনের ৫০ শতাংশ সুনির্দিষ্ট হয়। ২০০৭ সালে সর্বভারতীয় কোটায় কোনও আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু ২০০৭ সালে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট সর্বভারতীয় কোটায় ১৫ শতাংশ আসন তপশিলি জাতি এবং ৭.৫ শতাংশ আসন তপশিলি উপজাতির চিকিৎসা-পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়। একইভাবে, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষণের বিষয়টিও স্বীকৃতি পায়। সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি চিকিৎসা-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সর্বভারতীয় কোটার আওয়তা আসন সংরক্ষণের সুবিধা রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলিতে সর্বভারতীয় কোটার সুবিধা চালু হয়নি। চলতি চিকিৎসা-শিক্ষাবর্ষে সর্বভারতীয় কোটার আওতায় অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর ২৭ শতাংশ এবং আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ১০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবেন। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী এবং আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের আসন সংরক্ষণের সুবিধা দিতে উপরোক্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গীকারকেই প্রতিফলিত করে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ছয় বছরে দেশে এমবিবিএস পর্যায়ে আসন সংখ্যা ২০১৪-র ৫৪,৩৪৮টি থেকে ৫৬ শতাংশ বেড়ে ২০২০-তে ৮৪,৬৪৯ হয়েছে। একইভাবে, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আসন সংখ্যা ২০১৪-র ৩০,১৯১ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়ে ২০২০-তে ৫৪,২৭৫ হয়েছে। আলোচ্য সময়ে সারা দেশে ১৭৯টি নতুন মেডিকেল কলেজ চালু করা হয়েছে। এর ফলে দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৫৮। এর মধ্যে ২৮৯টি সরকারি এবং ২৬৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।