১) প্রিয় ভাই ও বোনেরা, ৭৩তম স্বাধীনতা দিবস এবং পবিত্র রাখী বন্ধন উৎসবে আমি আপনাদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

২) আজ গোটা দেশ যখন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে, তখন দেশের অনেক জায়গায় মানুষ বন্যা কবলিত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কেন্দ্র, রাজ্য ও বিভিন্ন সংগঠন নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

৩) সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নতুন সরকার গঠনের ১০ সপ্তাহের মধ্যে ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ৭০ বছরে যে কাজ করা হয়নি, ৭০ দিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্যসভা ও লোকসভা – উভয় কক্ষেই ৩৭০ ও ৩৫ঈ ধারা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বাতিল করা হয়েছে।

৪) আমরা যদি সতীদাহ প্রথা রদ করতে পারি, কন্যাভ্রূণ হত্যা, বাল্যবিবাহ ও পণ প্রথার বিরুদ্ধে কঠোর আইন বলবৎ করতে পারি, তা হলে আমরা তিন তালাকের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে পারি। তাই, আমরা আমাদের মুসলমান নারীদের অধিকার রক্ষায় তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করেছি।

৫) জঙ্গী তৎপরতা মোকাবিলায় কঠোর সংশোধনী আনার মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট আইনগুলিকে আরও কার্যকরি করা হয়েছে।

৬) পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার আওতায় সুবিধাভোগীদের জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

৭) কৃষক ও ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদের জন্য পেনশন প্রকল্প চালু হচ্ছে, যা আগে কখনও ভাবা হয়নি।

৮) জলসঙ্কট মোকাবিলায় নতুন ‘জল শক্তি’ মন্ত্রক চালু হয়েছে।

৯) আগামী দিনে কেন্দ্র ও রাজ্য একযোগে জল – জীবন মিশনের রূপায়ণে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

১০) চিকিৎসক, স্বাস্থ্য পরিষেবার চাহিদা দেশে রয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষাকে আরও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

১১) শিশুদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে কঠোর আইন বলবৎ করা হয়েছে।

১২) ২০১৪ থেকে ২০১৯ এই সময় ছিল নানা চাহিদা পূরণের যুগ। ২০১৯ – এর পরে তা হবে নানা স্বপ্ন পূরণের যুগ।

১৩) জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের নাগরিকদের চাহিদা পূরণ এবং দেশের অন্যান্য অংশের দলিতদের মতো সেখানকার দলিতদেরও সমানাধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। একইভাবে, গুজ্জর, বাকারওয়াল, গাড্ডি, সিপ্পি অথবা বালতি সম্প্রদায়েরও রাজনৈতিক অধিকার পাওয়া সুনিশ্চিত করতে হবে। দেশ ভাগের পর যেসব উদ্বাস্তু মানুষ জম্মু ও কাস্মীরে এসেছিলেন, তাঁরা মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন।

১৪) জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ শান্তি ও সমৃদ্ধির আদর্শ উদাহরণ হতে পারে। দেশের উন্নয়নে এই অঞ্চলগুলি যথেষ্ট অবদান রাখতে পারে। আজ প্রতিটি ভারতবাসী গর্ব করে বলতে পারেন ‘এক দেশ, এক সংবিধান’ চালু হয়েছে।

১৫) জিএসটি-র মাধ্যমে ‘এক দেশ, এক কর’ ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়েছে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ‘এক দেশ, এক গ্রিড’ ব্যবস্থাও রূপায়িত হয়েছে। আমরা ‘এক দেশ, এক মোবিলিটি কার্ড’ ব্যবস্থাও কার্যকর করেছি। আর আজ ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক রীতি মেনেই বাস্তবায়িত হবে।

১৬) ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জনবিস্ফোরণ একটি বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু সমাজে এমন মানুষও আছেন, যাঁরা এই সমস্যাগুলির বিষয়ে অবগত। এই সমস্যার কথা সমাজের প্রতিটি স্তরে আমাদের জানাতে হবে।

১৭) দুর্নীতি ও স্বজন-পোষণ দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এগুলির মোকাবিলায় আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি।

১৮) স্বাধীন ভারতের জন্য ‘ইজ অফ লিভিং’ অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে দৈনন্দিন জীবনে সরকারের হস্তক্ষেপের কম প্রয়োজন হয়।

১৯) দেশ ধীর গতির উন্নয়নের জন্য আর অপেক্ষা করতে প্রস্তুত নয়। এখন থেকে বিপুল গতিতে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।

২০) আধুনিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে এই সময়ের জন্য ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং জীবনযাত্রার মানও বাড়বে।

২১) ভারতের স্বপ্ন ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থনীতি তৈরি করা। গত দু’বছরে আমাদের দেশের অর্থনীতির পরিমাণ ছিল মাত্র ২ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল্য। কিন্তু গত পাঁচ বছরে আমরা এটিকে ৩ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমপর্যায়ে নিয়ে গেছি। আর আমাদের পরিকল্পনা ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থনীতিতে পৌঁছনো।

২২) স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করতে হবে। প্রতিটি দরিদ্র মানুষ যাতে একটি পাকা বাড়ি পান, প্রতিটি পরিবার যেন বিদ্যুৎ সংযোগ পান, প্রতিটি গ্রামে যেন অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। দূরশিক্ষা ব্যবস্থার জন্য গ্রামগুলিতে যেন ব্রডব্যান্ড সংযোগ ব্যবহার করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।

২৩) আমরা মহাসমুদ্র-নির্ভর ‘ব্লু ইকনোমি’র ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের কৃষকরা যেন রপ্তানিকারক হন এবং দেশের প্রতিটি জেলা যেন একটি রপ্তানি ক্ষেত্র হয়ে ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিটি জেলা থেকে মূল্যযুক্ত পণ্য যেন আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছয়, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

২৪) ভারত সারা পৃথিবীর কাছে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে। পর্যটন ক্ষেত্রকে সকল ভারতবাসী উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট হতে হবে। কারণ, পর্যটন ক্ষেত্রে কম বিনিয়োগ করে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়, যার ফলে, অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।

২৫) একটি স্থায়ী সরকার যে কোনও নীতির বিষয়ে পূর্বাভাষ দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক। স্থিতাবস্থার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্তরে আস্থা অর্জন করা যায়। আজ রাজনৈতিক স্থিতাবস্থার জন্য ভারত বিশ্ববন্দিত।

২৬) ভারতের কাছে এটা খুব গর্বের বিষয় যে, আমাদের উন্নয়ন দ্রুতগতিতে হচ্ছে এবং মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

২৭) আমাদের অর্থনীতির ভিত অত্যন্ত দৃঢ়। জিএসটি এবং আইবিসি’র মতো সংস্কার এখানে আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। আমাদের বিনিয়োগকারীদের আরও বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে তাঁদের যেমন আয় বাড়বে, পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে। যাঁরা আমাদের সম্পদ সৃষ্টি করেন, তাঁদের আস্থা অর্জন করতে হবে। কারণ, তাঁরা সম্মান পাওয়ার যোগ্য। প্রচুর সম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমে বন্টনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে দরিদ্র মানুষের কল্যাণ হবে।

২৮) জঙ্গী কার্যকলাপের সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে ভারত লড়াই চালাচ্ছে। যেসব দেশ সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয় এবং তা রপ্তানি করে তাদের মুখোশ খুলে দিতে পৃথিবীর অন্য দেশের সঙ্গে ভারত একজোট হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের সমস্যা নিশ্চিহ্ন করতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ও সংস্থাগুলি দৃষ্টান্তমূলক কাজ করে চলেছে। আমি তাঁদের স্যালুট করি।

২৯) ভারতের প্রতিবেশীরা – বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও সন্ত্রাসবাদের শিকার। আমাদের খুব ভালো প্রতিবেশী আফগানিস্তানের শততম স্বাধীনতা দিবস আর চার দিন পর। লালকেল্লার এই প্রাকার থেকে আমি আফগানিস্তানের জনগণকে তাঁদের স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আমার অভিনন্দন জানাচ্ছি।

৩০) ২০১৪ সালে লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি স্বচ্ছতা অভিযান শুরু করেছিলাম। আজ থেকে কয়েক সপ্তাহ পর ২রা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর সার্ধ জন্ম শতবর্ষে ভারতে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম বন্ধ হবে।

৩১) আমাদের দেশে সশস্ত্র বাহিনীগুলির সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হয়ে আসছে। এর জন্য বিভিন্ন কমিশন নানা সময়েই তাঁদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এই বাহিনীগুলির মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে আমাদের দেশের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) পদ তৈরি করা হবে। এর ফলে, এই বাহিনীগুলি আরও কার্যকর হবে।

৩২) আমি চাইবো, দেশবাসী ২রা অক্টোবরের মধ্যে যেন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের জিনিস বর্জন করেন। এই লক্ষ্যে প্রতিটি নাগরিক, পুরসভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতকে একযোগে কাজ করতে হবে।

৩৩) আমাদের লক্ষ্য ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র পণ্য ব্যবহার করা। একটি সুন্দর আগামীর জন্য আমরা কি ভাবতে পারি যে, স্থানীয় স্তরে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী ব্যবহারের কথা? এর ফলে, গ্রামীণ অর্থনীতি এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের সুবিধা হবে।

৩৪) আমাদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী। আমরা আমাদের গ্রামের দোকান, ছোট বিপণী এবং ছোট ছোট শহরের শপিং মলগুলিতে আর্থিক লেনদেন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করবো।

৩৫) রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট করছি। গান্ধীজী যখন পথ দেখিয়েছিলেন, আমরা কি সেই পথ অনুসরণ করে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ১০ শতাংশ, ২০ শতাংশ অথবা ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারি না? আমি নিশ্চিত যে, আমাদের কৃষকরা আমার এই ইচ্ছেটি পূরণ করবেন।

৩৬) ভারতীয় পেশাদাররা আন্তর্জাতিক স্তরে সমাদৃত। আমাদের বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযানের মাধ্যমে তাঁদের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। চন্দ্রযান আজ চাঁদের যে অংশে যাত্রা করেছে, সেখানে আগে অন্য কোনও গবেষণার কাজ হয়নি।

৩৭) আগামী দিনে গ্রামগুলিতে দেড় লক্ষ ওয়েলনেস সেন্টার গড়ে তোলা হবে। তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য একটি করে মেডিকেল কলেজ, ২ কোটি দরিদ্র মানুষদের জন্য আবাসন, গ্রামীণ এলাকায় ১৫ কোটি বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ, ১.২৫ লক্ষ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ, প্রতিটি গ্রামে ব্রডব্যান্ড ও অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। ৫০ হাজারেরও বেশি নতুন উদ্যোগ ‘স্টার্ট আপ’ – এর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

৩৮) বাবাসাহেব আম্বেদকরের স্বপ্ন ভারতীয় সংবিধানের ৭০ বছর পূর্তি হ’ল। এই বছর গুরু নানক দেবজীর ৫৫০তম জন্ম জয়ন্তী। আসুন, আমরা বাবাসাহেব এবং গুরু নানক দেবের পথ অনুসরণ করে সুন্দর সমাজ ও উন্নত দেশ গড়ে তুলি।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi visits the Indian Arrival Monument
November 21, 2024

Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.

The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.