১) প্রিয় ভাই ও বোনেরা, ৭৩তম স্বাধীনতা দিবস এবং পবিত্র রাখী বন্ধন উৎসবে আমি আপনাদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

২) আজ গোটা দেশ যখন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে, তখন দেশের অনেক জায়গায় মানুষ বন্যা কবলিত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কেন্দ্র, রাজ্য ও বিভিন্ন সংগঠন নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

৩) সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নতুন সরকার গঠনের ১০ সপ্তাহের মধ্যে ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ৭০ বছরে যে কাজ করা হয়নি, ৭০ দিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্যসভা ও লোকসভা – উভয় কক্ষেই ৩৭০ ও ৩৫ঈ ধারা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বাতিল করা হয়েছে।

৪) আমরা যদি সতীদাহ প্রথা রদ করতে পারি, কন্যাভ্রূণ হত্যা, বাল্যবিবাহ ও পণ প্রথার বিরুদ্ধে কঠোর আইন বলবৎ করতে পারি, তা হলে আমরা তিন তালাকের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে পারি। তাই, আমরা আমাদের মুসলমান নারীদের অধিকার রক্ষায় তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করেছি।

৫) জঙ্গী তৎপরতা মোকাবিলায় কঠোর সংশোধনী আনার মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট আইনগুলিকে আরও কার্যকরি করা হয়েছে।

৬) পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার আওতায় সুবিধাভোগীদের জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

৭) কৃষক ও ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদের জন্য পেনশন প্রকল্প চালু হচ্ছে, যা আগে কখনও ভাবা হয়নি।

৮) জলসঙ্কট মোকাবিলায় নতুন ‘জল শক্তি’ মন্ত্রক চালু হয়েছে।

৯) আগামী দিনে কেন্দ্র ও রাজ্য একযোগে জল – জীবন মিশনের রূপায়ণে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

১০) চিকিৎসক, স্বাস্থ্য পরিষেবার চাহিদা দেশে রয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষাকে আরও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

১১) শিশুদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে কঠোর আইন বলবৎ করা হয়েছে।

১২) ২০১৪ থেকে ২০১৯ এই সময় ছিল নানা চাহিদা পূরণের যুগ। ২০১৯ – এর পরে তা হবে নানা স্বপ্ন পূরণের যুগ।

১৩) জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের নাগরিকদের চাহিদা পূরণ এবং দেশের অন্যান্য অংশের দলিতদের মতো সেখানকার দলিতদেরও সমানাধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। একইভাবে, গুজ্জর, বাকারওয়াল, গাড্ডি, সিপ্পি অথবা বালতি সম্প্রদায়েরও রাজনৈতিক অধিকার পাওয়া সুনিশ্চিত করতে হবে। দেশ ভাগের পর যেসব উদ্বাস্তু মানুষ জম্মু ও কাস্মীরে এসেছিলেন, তাঁরা মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন।

১৪) জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ শান্তি ও সমৃদ্ধির আদর্শ উদাহরণ হতে পারে। দেশের উন্নয়নে এই অঞ্চলগুলি যথেষ্ট অবদান রাখতে পারে। আজ প্রতিটি ভারতবাসী গর্ব করে বলতে পারেন ‘এক দেশ, এক সংবিধান’ চালু হয়েছে।

১৫) জিএসটি-র মাধ্যমে ‘এক দেশ, এক কর’ ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়েছে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ‘এক দেশ, এক গ্রিড’ ব্যবস্থাও রূপায়িত হয়েছে। আমরা ‘এক দেশ, এক মোবিলিটি কার্ড’ ব্যবস্থাও কার্যকর করেছি। আর আজ ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক রীতি মেনেই বাস্তবায়িত হবে।

১৬) ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জনবিস্ফোরণ একটি বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু সমাজে এমন মানুষও আছেন, যাঁরা এই সমস্যাগুলির বিষয়ে অবগত। এই সমস্যার কথা সমাজের প্রতিটি স্তরে আমাদের জানাতে হবে।

১৭) দুর্নীতি ও স্বজন-পোষণ দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এগুলির মোকাবিলায় আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি।

১৮) স্বাধীন ভারতের জন্য ‘ইজ অফ লিভিং’ অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে দৈনন্দিন জীবনে সরকারের হস্তক্ষেপের কম প্রয়োজন হয়।

১৯) দেশ ধীর গতির উন্নয়নের জন্য আর অপেক্ষা করতে প্রস্তুত নয়। এখন থেকে বিপুল গতিতে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।

২০) আধুনিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে এই সময়ের জন্য ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং জীবনযাত্রার মানও বাড়বে।

২১) ভারতের স্বপ্ন ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থনীতি তৈরি করা। গত দু’বছরে আমাদের দেশের অর্থনীতির পরিমাণ ছিল মাত্র ২ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল্য। কিন্তু গত পাঁচ বছরে আমরা এটিকে ৩ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমপর্যায়ে নিয়ে গেছি। আর আমাদের পরিকল্পনা ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থনীতিতে পৌঁছনো।

২২) স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করতে হবে। প্রতিটি দরিদ্র মানুষ যাতে একটি পাকা বাড়ি পান, প্রতিটি পরিবার যেন বিদ্যুৎ সংযোগ পান, প্রতিটি গ্রামে যেন অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। দূরশিক্ষা ব্যবস্থার জন্য গ্রামগুলিতে যেন ব্রডব্যান্ড সংযোগ ব্যবহার করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।

২৩) আমরা মহাসমুদ্র-নির্ভর ‘ব্লু ইকনোমি’র ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের কৃষকরা যেন রপ্তানিকারক হন এবং দেশের প্রতিটি জেলা যেন একটি রপ্তানি ক্ষেত্র হয়ে ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিটি জেলা থেকে মূল্যযুক্ত পণ্য যেন আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছয়, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

২৪) ভারত সারা পৃথিবীর কাছে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে। পর্যটন ক্ষেত্রকে সকল ভারতবাসী উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট হতে হবে। কারণ, পর্যটন ক্ষেত্রে কম বিনিয়োগ করে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়, যার ফলে, অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।

২৫) একটি স্থায়ী সরকার যে কোনও নীতির বিষয়ে পূর্বাভাষ দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক। স্থিতাবস্থার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্তরে আস্থা অর্জন করা যায়। আজ রাজনৈতিক স্থিতাবস্থার জন্য ভারত বিশ্ববন্দিত।

২৬) ভারতের কাছে এটা খুব গর্বের বিষয় যে, আমাদের উন্নয়ন দ্রুতগতিতে হচ্ছে এবং মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

২৭) আমাদের অর্থনীতির ভিত অত্যন্ত দৃঢ়। জিএসটি এবং আইবিসি’র মতো সংস্কার এখানে আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। আমাদের বিনিয়োগকারীদের আরও বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে তাঁদের যেমন আয় বাড়বে, পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে। যাঁরা আমাদের সম্পদ সৃষ্টি করেন, তাঁদের আস্থা অর্জন করতে হবে। কারণ, তাঁরা সম্মান পাওয়ার যোগ্য। প্রচুর সম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমে বন্টনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে দরিদ্র মানুষের কল্যাণ হবে।

২৮) জঙ্গী কার্যকলাপের সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে ভারত লড়াই চালাচ্ছে। যেসব দেশ সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয় এবং তা রপ্তানি করে তাদের মুখোশ খুলে দিতে পৃথিবীর অন্য দেশের সঙ্গে ভারত একজোট হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের সমস্যা নিশ্চিহ্ন করতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ও সংস্থাগুলি দৃষ্টান্তমূলক কাজ করে চলেছে। আমি তাঁদের স্যালুট করি।

২৯) ভারতের প্রতিবেশীরা – বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও সন্ত্রাসবাদের শিকার। আমাদের খুব ভালো প্রতিবেশী আফগানিস্তানের শততম স্বাধীনতা দিবস আর চার দিন পর। লালকেল্লার এই প্রাকার থেকে আমি আফগানিস্তানের জনগণকে তাঁদের স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আমার অভিনন্দন জানাচ্ছি।

৩০) ২০১৪ সালে লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি স্বচ্ছতা অভিযান শুরু করেছিলাম। আজ থেকে কয়েক সপ্তাহ পর ২রা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর সার্ধ জন্ম শতবর্ষে ভারতে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম বন্ধ হবে।

৩১) আমাদের দেশে সশস্ত্র বাহিনীগুলির সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হয়ে আসছে। এর জন্য বিভিন্ন কমিশন নানা সময়েই তাঁদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এই বাহিনীগুলির মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে আমাদের দেশের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) পদ তৈরি করা হবে। এর ফলে, এই বাহিনীগুলি আরও কার্যকর হবে।

৩২) আমি চাইবো, দেশবাসী ২রা অক্টোবরের মধ্যে যেন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের জিনিস বর্জন করেন। এই লক্ষ্যে প্রতিটি নাগরিক, পুরসভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতকে একযোগে কাজ করতে হবে।

৩৩) আমাদের লক্ষ্য ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র পণ্য ব্যবহার করা। একটি সুন্দর আগামীর জন্য আমরা কি ভাবতে পারি যে, স্থানীয় স্তরে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী ব্যবহারের কথা? এর ফলে, গ্রামীণ অর্থনীতি এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের সুবিধা হবে।

৩৪) আমাদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী। আমরা আমাদের গ্রামের দোকান, ছোট বিপণী এবং ছোট ছোট শহরের শপিং মলগুলিতে আর্থিক লেনদেন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করবো।

৩৫) রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট করছি। গান্ধীজী যখন পথ দেখিয়েছিলেন, আমরা কি সেই পথ অনুসরণ করে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ১০ শতাংশ, ২০ শতাংশ অথবা ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারি না? আমি নিশ্চিত যে, আমাদের কৃষকরা আমার এই ইচ্ছেটি পূরণ করবেন।

৩৬) ভারতীয় পেশাদাররা আন্তর্জাতিক স্তরে সমাদৃত। আমাদের বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযানের মাধ্যমে তাঁদের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। চন্দ্রযান আজ চাঁদের যে অংশে যাত্রা করেছে, সেখানে আগে অন্য কোনও গবেষণার কাজ হয়নি।

৩৭) আগামী দিনে গ্রামগুলিতে দেড় লক্ষ ওয়েলনেস সেন্টার গড়ে তোলা হবে। তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য একটি করে মেডিকেল কলেজ, ২ কোটি দরিদ্র মানুষদের জন্য আবাসন, গ্রামীণ এলাকায় ১৫ কোটি বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ, ১.২৫ লক্ষ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ, প্রতিটি গ্রামে ব্রডব্যান্ড ও অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। ৫০ হাজারেরও বেশি নতুন উদ্যোগ ‘স্টার্ট আপ’ – এর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

৩৮) বাবাসাহেব আম্বেদকরের স্বপ্ন ভারতীয় সংবিধানের ৭০ বছর পূর্তি হ’ল। এই বছর গুরু নানক দেবজীর ৫৫০তম জন্ম জয়ন্তী। আসুন, আমরা বাবাসাহেব এবং গুরু নানক দেবের পথ অনুসরণ করে সুন্দর সমাজ ও উন্নত দেশ গড়ে তুলি।

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
How NPS transformed in 2025: 80% withdrawals, 100% equity, and everything else that made it a future ready retirement planning tool

Media Coverage

How NPS transformed in 2025: 80% withdrawals, 100% equity, and everything else that made it a future ready retirement planning tool
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
West Bengal must be freed from TMC’s Maha Jungle Raj: PM Modi at Nadia virtual rally
December 20, 2025
Bengal and the Bengali language have made invaluable contributions to India’s history and culture, with Vande Mataram being one of the nation’s most powerful gifts: PM Modi
West Bengal needs a BJP government that works at double speed to restore the state’s pride: PM in Nadia
Whenever BJP raises concerns over infiltration, TMC leaders respond with abuse, which also explains their opposition to SIR in West Bengal: PM Modi
West Bengal must now free itself from what he described as Maha Jungle Raj: PM Modi’s call for “Bachte Chai, BJP Tai”

आमार शोकोल बांगाली भायों ओ बोनेदेर के…
आमार आंतोरिक शुभेच्छा

साथियो,

सर्वप्रथम मैं आपसे क्षमाप्रार्थी हूं कि मौसम खराब होने की वजह से मैं वहां आपके बीच उपस्थित नहीं हो सका। कोहरे की वजह से वहां हेलीकॉप्टर उतरने की स्थिति नहीं थी इसलिए मैं आपको टेलीफोन के माध्यम से संबोधित कर रहा हूं। मुझे ये भी जानकारी मिली है कि रैली स्थल पर पहुंचते समय खराब मौसम की वजह से भाजपा परिवार के कुछ कार्यकर्ता, रेल हादसे का शिकार हो गए हैं। जिन बीजेपी कार्यकर्ताओं की दुखद मृत्यु हुई है, उनके परिवारों के प्रति मेरी संवेदनाएं हैं। जो लोग इस हादसे में घायल हुए हैं, मैं उनके जल्द स्वस्थ होने की कामना करता हूं। दुख की इस घड़ी में हम सभी पीड़ित परिवार के साथ हैं।

साथियों,

मैं पश्चिम बंगाल बीजेपी से आग्रह करूंगा कि पीड़ित परिवारों की हर तरह से मदद की जाए। दुख की इस घड़ी में हम सभी पीड़ित परिवारों के साथ हैं। साथियों, हमारी सरकार का निरंतर प्रयास है कि पश्चिम बंगाल के उन हिंस्सों को भी आधुनिक कनेक्टिविटी मिले जो लंबे समय तक वंचित रहे हैं। बराजगुड़ी से कृष्णानगर तक फोर लेन बनने से नॉर्थ चौबीस परगना, नदिया, कृष्णानगर और अन्य क्षेत्र के लोगों को बहुत लाभ होगा। इससे कोलकाता से सिलीगुडी की यात्रा का समय करीब दो घंटे तक कम हो गया है आज बारासात से बराजगुड़ी तक भी फोर लेन सड़क पर भी काम शुरू हुआ है इन दोनों ही प्रोजेक्ट से इस पूरे क्षेत्र में आर्थिक गतिविधियों और पर्यटन का विस्तार होगा।

साथियों,

नादिया वो भूमि है जहाँ प्रेम, करुणा और भक्ति का जीवंत स्वरूप...श्री चैतन्य महाप्रभु प्रकट हुए। नदिया के गाँव-गाँव में... गंगा के तट-तट पर...जब हरिनाम संकीर्तन की गूंज उठती थी तो वह केवल भक्ति नहीं होती थी...वह सामाजिक एकता का आह्वान होती थी। होरिनाम दिये जोगोत माताले...आमार एकला निताई!! यह भावना...आज भी यहां की मिट्टी में, यहां के हवा-पानी में... और यहाँ के जन-मन में जीवित है।

साथियों,

समाज कल्याण के इस भाव को...हमारे मतुआ समाज ने भी हमेशा आगे बढ़ाया है। श्री हरीचांद ठाकुर ने हमें 'कर्म' का मर्म सिखाया...श्री गुरुचांद ठाकुर ने 'कलम' थमाई...और बॉरो माँ ने अपना मातृत्व बरसाया...इन सभी महान संतानों को भी मैं नमन करता हूं।

साथियों,

बंगाल ने, बांग्ला भाषा ने...भारत के इतिहास, भारत की संस्कृति को निरंतर समृद्ध किया है। वंदे मातरम्...ऐसा ही एक श्रेष्ठ योगदान है। वंदे मातरम् का 150 वर्ष पूरे होने का उत्सव पूरा देश मना रहा है हाल में ही, भारत की संसद ने वंदे मातरम् का गौरवगान किया। पश्चिम बंगाल की ये धरती...वंदे मातरम् के अमरगान की भूमि है। इस धरती ने बंकिम बाबू जैसा महान ऋषि देश को दिया... ऋषि बंकिम बाबू ने गुलाम भारत में वंदे मातरम् के ज़रिए, नई चेतना पैदा की। साथियों, वंदे मातरम्…19वीं सदी में गुलामी से मुक्ति का मंत्र बना...21वीं सदी में वंदे मातरम् को हमें राष्ट्र निर्माण का मंत्र बनाना है। अब वंदे मातरम् को हमें विकसित भारत की प्रेरणा बनाना है...इस गीत से हमें विकसित पश्चिम बंगाल की चेतना जगानी है। साथियों, वंदे मातरम् की पावन भावना ही...पश्चिम बंगाल के लिए बीजेपी का रोडमैप है।

साथियों,

विकसित भारत के इस लक्ष्य की प्राप्ति में केंद्र सरकार हर देशवासी के साथ कंधे से कंधा मिलाकर चल रही है। भाजपा सरकार ऐसी नीतियां बना रही है, ऐसे निर्णय ले रही है जिससे हर देशवासी का सामर्थ्य बढ़े आप सब भाई-बहनों का सामर्थ्य बढ़े। मैं आपको एक उदाहरण देता हूं। कुछ समय पहले...हमने GST बचत उत्सव मनाया। देशवासियों को कम से कम कीमत में ज़रूरी सामान मिले...भाजपा सरकार ने ये सुनिश्चित किया। इससे दुर्गापूजा के दौरान... अन्य त्योहारों के दौरान…पश्चिम बंगाल के लोगों ने खूब खरीदारी की।

साथियों,

हमारी सरकार यहां आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर पर भी काफी निवेश कर रही है। और जैसा मैंने पहले बताया पश्चिम बंगाल को दो बड़े हाईवे प्रोजेक्ट्स मिले हैं। जिससे इस क्षेत्र की कोलकाता और सिलीगुड़ी से कनेक्टिविटी और बेहतर होने वाली है। साथियों, आज देश...तेज़ विकास चाहता है...आपने देखा है... पिछले महीने ही...बिहार ने विकास के लिए फिर से एनडीए सरकार को प्रचंड जनादेश दिया है। बिहार में भाजपा-NDA की प्रचंड विजय के बाद... मैंने एक बात कही थी...मैंने कहा था... गंगा जी बिहार से बहते हुए ही बंगाल तक पहुंचती है। तो बिहार ने बंगाल में भाजपा की विजय का रास्ता भी बना दिया है। बिहार ने जंगलराज को एक सुर से एक स्वर से नकार दिया है... 20 साल बाद भी भाजपा-NDA को पहले से भी अधिक सीटें दी हैं... अब पश्चिम बंगाल में जो महा-जंगलराज चल रहा है...उससे हमें मुक्ति पानी है। और इसलिए... पश्चिम बंगाल कह रहा है... पश्चिम बंगाल का बच्चा-बच्चा कह रहा है, पश्चिम बंगाल का हर गांव, हर शहर, हर गली, हर मोहल्ला कह रहा है... बाचते चाई….बीजेपी ताई! बाचते चाई बीजेपी ताई

साथियो,

मोदी आपके लिए बहुत कुछ करना चाहता है...पश्चिम बंगाल के विकास के लिए न पैसे की कमी है, न इरादों की और न ही योजनाओं की...लेकिन यहां ऐसी सरकार है जो सिर्फ कट और कमीशन में लगी रहती है। आज भी पश्चिम बंगाल में विकास से जुड़े...हज़ारों करोड़ रुपए के प्रोजेक्ट्स अटके हुए हैं। मैं आज बंगाल की महान जनता जनार्दन के सामने अपनी पीड़ा रखना चाहता हूं, और मैं हृदय की गहराई से कहना चाहता हूं। आप सबकों ध्यान में रखते हुए कहना चाहता हूं और मैं साफ-साफ कहना चाहता हूं। टीएमसी को मोदी का विरोध करना है करे सौ बार करे हजार बार करे। टीएमसी को बीजेपी का विरोध करना है जमकर करे बार-बार करे पूरी ताकत से करे लेकिन बंगाल के मेरे भाइयों बहनों मैं ये नहीं समझ पा रहा हूं कि पश्चिम बंगाल के विकास को क्यों रोका जा रहा है? और इसलिए मैं बार-बार कहता हूं कि मोदी का विरोध भले करे लेकिन बंगाल की जनता को दुखी ना करे, उनको उनके अधिकारों से वंचित ना करे उनके सपनों को चूर-चूर करने का पाप ना करे। और इसलिए मैं पश्चिम बंगाल की प्रभुत्व जनता से हाथ जोड़कर आग्रह कर रहा हूं, आप बीजेपी को मौका देकर देखिए, एक बार यहां बीजेपी की डबल इंजन सरकार बनाकर देखिए। देखिए, हम कितनी तेजी से बंगाल का विकास करते हैं।

साथियों,

बीजेपी के ईमानदार प्रयास के बीच आपको टीएमसी की साजिशों से भी उसके कारनामों से भी सावधान रहना होगा टीएमसी घुसपैठियों को बचाने के लिए पूरा जोर लगा रही है बीजेपी जब घुसपैठियों का सवाल उठाती है तो टीएमसी के नेता हमें गालियां देते हैं। मैंने अभी सोशल मीडिया में देखा कुछ जगह पर कुछ लोगों ने बोर्ड लगाया है गो-बैक मोदी अच्छा होता बंगाल की हर गली में हर खंबे पर ये लिखा जाता कि गो-बैक घुसपैठिए... गो-बैक घुसपैठिए, लेकिन दुर्भाग्य देखिए गो-बैक मोदी के लिए बंगाल की जनता के विरोधी नारे लगा रहे हैं लेकिन गो-बैक घुसपैठियों के लिए वे चुप हो जाते हैं। जिन घुसपैठियों ने बंगाल पर कब्जा करने की ठान रखी है...वो TMC को सबसे ज्यादा प्यारे लगते हैं। यही TMC का असली चेहरा है। TMC घुसपैठियों को बचाने के लिए ही… बंगाल में SIR का भी विरोध कर रही है।

साथियों,

हमारे बगल में त्रिपुरा को देखिए कम्युनिस्टों ने लाल झंडे वालों ने लेफ्टिस्टों ने तीस साल तक त्रिपुरा को बर्बाद कर दिया था, त्रिपुरा की जनता ने हमें मौका दिया हमने त्रिपुरा की जनता के सपनों के अनुरूप त्रिपुरा को आगे बढ़ाने का प्रयास किया बंगाल में भी लाल झंडेवालों से मुक्ति मिली। आशा थी कि लेफ्टवालों के जाने के बाद कुछ अच्छा होगा लेकिन दुर्भाग्य से टीएमसी ने लेफ्ट वालों की जितनी बुराइयां थीं उन सारी बुराइयों को और उन सारे लोगों को भी अपने में समा लिया और इसलिए अनेक गुणा बुराइयां बढ़ गई और इसी का परिणाम है कि त्रिपुरा तेज गते से बढ़ रहा है और बंगाल टीएमसी के कारण तेज गति से तबाह हो रहा है।

साथियो,

बंगाल को बीजेपी की एक ऐसी सरकार चाहिए जो डबल इंजन की गति से बंगाल के गौरव को फिर से लौटाने के लिए काम करे। मैं आपसे बीजेपी के विजन के बारे में विस्तार से बात करूंगा जब मैं वहां खुद आऊंगा, जब आपका दर्शन करूंगा, आपके उत्साह और उमंग को नमन करूंगा। लेकिन आज मौसम ने कुछ कठिनाइंया पैदा की है। और मैं उन नेताओं में से नहीं हूं कि मौसम की मूसीबत को भी मैं राजनीति के रंग से रंग दूं। पहले बहुत बार हुआ है।

मैं जानता हूं कि कभी-कभी मौसम परेशान करता है लेकिन मैं जल्द ही आपके बीच आऊंगा, बार-बार आऊंगा, आपके उत्साह और उमंग को नमन करूंगा। मैं आपके लिए आपके सपनों को पूरा करने के लिए, बंगाल के उज्ज्वल भविष्य के लिए पूरी शक्ति के साथ कंधे से कंधा मिलाकर के आपके साथ काम करूंगा। आप सभी को मेरा बहुत-बहुत धन्यवाद।

मेरे साथ पूरी ताकत से बोलिए...

वंदे मातरम्..

वंदे मातरम्..

वंदे मातरम्

बहुत-बहुत धन्यवाद