১) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৬ এবং ২৭শে মার্চ বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও ভারত এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে এই সফর। অর্ধ শতাব্দীর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এই সফরের মধ্য দিয়ে শক্তিশালী হয়েছে, পরিপূর্ণতা পেয়েছে এবং আদর্শ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উদাহরণ হিসেবে সমগ্র অঞ্চলের সামনে উঠে এসেছে।

২) সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ২৭শে মার্চ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মিঃ মহম্মদ আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কুচকাওয়াজ ময়দানে ২৬শে মার্চ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন ২৬শে মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

৩) প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে স্মরণ করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেছেন। তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি স্থলে শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

|

ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব

৪) উভয় প্রধানমন্ত্রী ২৭শে মার্চ বৈঠক করেন। এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনা অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঐতিহাসিক এবং শাশ্বত বন্ধনের ওপর দাঁড়িয়ে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, সে বিষয়ে দুই নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে সাম্য, আস্থা, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রতিফলিত হয়েছে।

৫) কোভিড মহামারীর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম বিদেশ সফরে বাংলাদেশে এসে এই উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সঙ্কটের সেই দিনে ভারতের জনসাধারণ এবং সরকার যে অকুন্ঠ সমর্থন বাংলাদেশের জনসাধারণকে যুগিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের ওপর দুই প্রধানমন্ত্রীই গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৯৭১-এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের আত্মবলিদানকে স্মরণ করে বাংলাদেশ সরকার আশুগঞ্জে যে সৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

|

৬) মুজিব বর্ষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের জনসাধারণকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা এবং মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের তিনি প্রশংসা করেছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

৭) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৯-এর অক্টোবরে দিল্লি সফরকালে এবং ২০২০-র ১৭ই ডিসেম্বর ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনের আলোচনাগুলি যথেষ্ট ফলপ্রসূ হওয়ায় উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে যৌথ পরামর্শদাতা কমিশনের ষষ্ঠ বৈঠকটিকে সফল বলে উভয় পক্ষ উল্লেখ করেছে এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্করের ৪ঠা মার্চ ঢাকা সফরটিকেও সফল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

|

৮) বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং উভয় পক্ষের মধ্যে আরও ভালো বোঝাপড়া গড়ে তোলার জন্য এ ধরনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের বিষয়ে উভয় প্রধানমন্ত্রীই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, বিশেষ করে কোভিড-১৯-এর সময়কালে দুই পক্ষের মধ্যে নিয়মিত বৈঠকের বিষয়ে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ঐতিহাসিক সম্পর্কের যৌথভাবে উদযাপন

৯) বাংলাদেশকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনস্বীকার্য অবদান এবং তাঁর সাহস সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আধুনিক যুগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন একজন মহান নেতা। শান্তি, নিরাপত্তা এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার কথা তিনি স্মরণ করেছেন। অহিংস এবং গান্ধীবাদের পন্থা অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর সামাজিক, আর্থিক এবং রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ গঠনকে স্বীকৃতি দিয়ে ২০২০ সালের গান্ধী শান্তি পুরস্কারের জন্য ভারত তাঁকে নির্বাচিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

|

১০) উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ঢাকা বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন। দুই অবিস্মরণীয় নেতার জীবন ও কর্মধারা -এর মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে। উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই মহান নেতার আদর্শের প্রতি আস্থা রেখেছেন যা সারা বিশ্ব জুড়ে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে অনুপ্রেরণার উৎস এবং শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উৎসাহ যোগায়।

১১) ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে উভয় পক্ষ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করেছে। ১৯৭১-এর ৬ই ডিসেম্বর যেদিন ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল – সেই দিনটিকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি চেয়ার ভারত তৈরি করবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক গঠনের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে উভয় দেশ যৌথভাবে ১৯টি রাষ্ট্রে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

১২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগালের নির্দেশনায় যে আত্মজীবনী তৈরি হচ্ছে তাতে উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এই চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শেষ হবে। মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত তথ্যচিত্র যত দ্রুত সম্ভব শুরু করার বিষয়ে উভয় পক্ষ সহমত পোষণ করেছে।

১৩) ভারতের ২০২০-র সাধারণতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তিন শাখার ১২২ জন সদস্যের অংশগ্রহণকে উভয় পক্ষ অভিনন্দন জানিয়েছে।

|

১৪) ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

১৫) এই মহান অনুষ্ঠানের উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের আমন্ত্রণে মংলা বন্দরে ভারতীয় নৌ-বাহিনীর দুই জাহাজ ‘সুমেধা’ ও ‘কুলিশ’ ৮-১০ই মার্চ অবস্থান করাকে দুই দেশই স্বাগত জানিয়েছে। ভারতীয় নৌ-বাহিনীর কোনও জাহাজের এটিই প্রথম মংলা বন্দরে নোঙর করা। যৌথ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর জাহাজ বিশাখাপত্তনম বন্দরে শীঘ্রই যাবে।

১৬) ভারতে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য ভারত সরকারের ১ হাজার সুবর্ণ জয়ন্তী বৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে।

|

১৭) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিব নগর থেকে নদীয়া পর্যন্ত ঐতিহাসিক সড়কটিকে ‘স্বাধীনতা সড়ক’ হিসেবে নাম দেওয়ার বাংলাদেশের প্রস্তাবকে ভারত মেনে নেওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নদীয়া থেকে মুজিব নগর পর্যন্ত এই রাস্তার উদ্বোধন যৌথভাবে খুব শীঘ্রই করা হবে।

জলসম্পদ সংক্রান্ত সহযোগিতা

১৮) তিস্তা নদীর জল বন্টন নিয়ে দীর্ঘদিনের বকেয়া আন্তর্বর্তী চুক্তিটি শীঘ্রই সম্পাদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন। তিস্তা অববাহিকার ওপর নির্ভরশীল লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনযাত্রা দীর্ঘদিন ধরে সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য তিস্তার জলের যথাযথ ভাগ পাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। এই চুক্তির খসড়া ২০১১ সালে উভয় সরকার গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন এই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে শীঘ্রই আলোচনা করে এটি রূপায়ন করা হবে। ফেণী নদীর জলের ভাগ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অন্তর্বর্তী চুক্তির খসড়া দ্রুত চূড়ান্ত করতে ভারত অনুরোধ জানিয়েছে। উভয় পক্ষই ২০১১ সালে এই বিষয়ে সহমত পোষণ করেছিল।

|

১৯) ছয়টি অভিন্ন নদী – মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা এবং দুধকুমার নদীর জলসম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে উভয় নেতা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে আলোচনা দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

২০) উজান সুর্মা কুশিয়ারা প্রকল্পের কুশিয়ারা নদীর জলকে সেচের জন্য ব্যবহার করতে রহিমপুর খাল খননের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে, ভারত যেন এ সংক্রান্ত অনুমতি শীঘ্রই দেয়। এই প্রসঙ্গে ভারতের অনুরোধ নিয়ে উভয় পক্ষ দ্রুত চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিও আলোচনা করেছে। ভারত জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চলছে।

|

২১) ২০১৯-এর অক্টোবরে ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ফেণী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক জল নেওয়ার বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছিল। ভারত বাংলাদেশকে এই চুক্তি দ্রুত সম্পাদনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

২২) গঙ্গা-পদ্মা জলাধার এবং ১৯৯৬ সালের গঙ্গার জলবন্টন চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ যাতে গঙ্গার জলের ভাগ নির্ধারিত পরিমাণে পেতে পারে সে বিষয়ে একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দুই প্রধানমন্ত্রী এই কমিটিকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দ্রুত তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন।

২৩) যৌথ নদী কমিশনের ইতিবাচক অবদানকে দুই নেতাই স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং দুই দেশের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব পর্যায়ের আলোচনাটি ফলপ্রসূ হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

|

ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নয়ন

২৪) শুল্কবিহীন ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন বাধা দূর করতে উভয় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন। এর মাধ্যমে দুটি দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ থেকে ‘সার্টিফিকেট অফ অরিজিন’ যাচাই করার জন্য ভারতীয় কাস্টমসের নতুন নীতি প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশ অনুরোধ জানিয়েছে। ভারতীয় পক্ষ জানিয়েছে, নতুন কাস্টমসের নিয়ম অনুযায়ী এই বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে ‘রুল অফ অরিজিন’-এর বিষয়ে বাণিজ্যিক চুক্তি বজায় থাকছে। উভয় পক্ষই ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশের জন্য বিভিন্ন নীতি, নির্দেশনা এবং প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।

২৫) ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস) / স্থল বন্দরগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে উভয় প্রধানমন্ত্রীই গুরুত্ব দিয়েছেন। এর ফলে দুটি দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা হবে।

২৬) আগরতলা-আখাউরা সুসংহত চেক পোস্ট থেকে শুরু হওয়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকায় কমপক্ষে একটি স্থলবন্দরে বন্দর সংক্রান্ত কোনরকমের বিধি-নিষেধ না রাখার বিষয়ে ভারত অনুরোধ জানিয়েছে। এর ফলে সহজেই অন্য দেশের বাজার ব্যবহার করা যাবে।

২৭) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য শংসাপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতি গ্রহণের ওপর উভয় প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট এবং ভারতের ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর মধ্যে এ বিষয়ে সহযোগিতা গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে যাতে দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরীক্ষাগারে বিভিন্ন পণ্যের পরীক্ষানিরীক্ষার কাজেও সুবিধা হয়।

২৮) এলডিসি তালিকা থেকে বাংলাদেশের মানোন্নয়নের জন্য ভারত সে দেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের যথেষ্ট সম্ভাবনার স্বীকৃতি দিয়ে উভয় পক্ষ সুসংহত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির বিষয়ে যে যৌথ পরীক্ষানিরীক্ষা চালাছে তা শেষ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে ।

২৯) বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পাট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ ভারতকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে সে দেশে চটকলে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন রকম চটজাত পণ্য উৎপাদনে সুবিধা হবে। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের চটজাত সামগ্রীর আমদানির ওপর ভারত যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ তা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে। এক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়টি বিবেচনা করে ভারত পাটজাত সামগ্রীর ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।

৩০) বিভিন্ন মন্ত্রকের টেন্ডারে ভারতীয় সংস্থাগুলি যাতে অংশ নিতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ভারত বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে। বাংলাদেশ জানিয়েছে, দেশ-ভিত্তিক কোনও নিষেধাজ্ঞা এই প্রক্রিয়ার আওতায় নেই।

৩১) দুই প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে সীমান্ত অঞ্চলে নতুন হাট গড়ে তোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। এর ফলে, উভয় দেশের সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের আর্থিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।

|

বিদ্যুৎ ও শক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং পারস্পরিক অংশীদারিত্ব

 

৩২) লাইন অফ ক্রেডিটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য উচ্চস্তরীয় নজরদারি কমিটির প্রথম বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এই বৈঠকে যেসব সুপারিশগুলি করা হয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

 

৩৩) বেসরকারি ক্ষেত্র সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বিষয়ে বিপুল সহযোগিতায় উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করার বিষয়ে দুই দেশই সহমতে পৌঁছেছে। সীমান্তের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিদ্যুতের ব্যবসার বিষয়ে নীতি নির্ধারণ চূড়ান্ত করতে ভারত গুরুত্ব দিয়েছে। কাটিহার-পার্বতীপুর-বরনগরের মধ্যে বিদ্যুতের আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ভারত অনুরোধ করেছে। ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ পাইপলাইন এবং মৈত্রী সুপার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং এই প্রকল্পগুলি শীঘ্রই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

৩৪) হাইড্রোকার্বনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তা দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর দুই নেতা জোর দিয়েছেন। এর ফলে, দুটি দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।

 

সমৃদ্ধির জন্য যোগাযোগ

 

৩৫) উভয় প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অখণ্ডতা গড়ে তুলতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির গুরুত্বের কথা স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ১৯৬৫ সালের আগের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে চালু করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়টিকে ভারত কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছে। এই একই উৎসাহ নিয়ে ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ডের মধ্যে ত্রিদেশীয় মহাসড়ক প্রকল্পে বাংলাদেশ যুক্ত হওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দুটি দেশের মধ্যে পণ্য এবং যাত্রী পরিবহণের ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ করা হচ্ছে। বিবিআইএন যানবাহন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য দুই নেতাই সহমত পোষণ করেছেন। এর ফলে, বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের মধ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে সুবিধা হবে। ভুটান পরবর্তীতে এই ব্যবস্থায় যোগ দেবে।

 

৩৬) বাংলাদেশের প্রস্তাব অনুযায়ী ভদ্রপুর-বৈরাগী-গলগলিয়া, বিরাটনগর-যোগমানি এবং বীরনগর-রক্সৌল-এর মধ্যে অতিরিক্ত স্থল বন্দর গঠন করার প্রস্তাবটিকে বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে। পরবর্তীকালে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি এবং বিরোল-রাধিকাপুরের মধ্যে বিকল্প রুটের ব্যবস্থা করা হবে। বিরোল-রাধিকাপুর এবং রোহনপুর-সিঙ্ঘাবাদ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিরাটনগর-যোগমানির সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে নেপালে রেল পরিবহণের মাধ্যমে পণ্য চলাচলে সুবিধা হবে। চিলাহাটি-হলদিবাড়ির মধ্যে নতুন যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়েছে তার সাহায্যে ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার প্রস্তাবটি বাংলাদেশ বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে। ভারত গুয়াহাটি থেকে চট্টগ্রাম এবং মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জ থেকে হিলি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাবটি বিবেচনা করতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে বিস্তারিতভাবে প্রস্তাব জমা দেওয়ার অনুরোধ করেছে।

 

৩৭) কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আগরতলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহণের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য পরিবহণের জন্য দ্রুত চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টিকে বিবেচনা করতে ভারত অনুরোধ জানিয়েছে। এর ফলে, পণ্য পরিবহণ ব্যয়সাশ্রয়ী হবে।

 

৩৮) ভারত মুন্সিগঞ্জ এবং পানগাঁও-এর মধ্যে আন্তর্দেশীয় জল পরিবহণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটোকল অনুযায়ী নৌ-পরিবহণ ব্যবস্থা শুরু করার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে। আশুগঞ্জে একটি কন্টেনার টার্মিনাল গড়ে তুলতে চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যতদিন না মুন্সিগঞ্জ এবং পানগাঁও-এর মধ্যে নৌ-পরিবহণের ব্যবস্থা শুরু হয়, ততদিন এটি কার্যকর থাকবে।

 

৩৯) প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ফেণী নদীর ওপর মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফেণী নদীর ওপর এই সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে বিশেষত উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে দৃঢ় করার বিষয়ে তাঁদের অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে। এই নতুন সেতু দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে দুটি দেশই ঐক্যমতে পৌঁছেছে।

 

৪০) উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিশেষত, ত্রিপুরার মানুষদের চট্টগ্রাম এবং শ্রীহট্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ব্যবহার করার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছেন। বাংলাদেশ আরও জানিয়েছে, এই অঞ্চলের লোকেদের ব্যবহারের জন্য সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি গড়ে তোলা হচ্ছে।

 

৪১) উভয় দেশেই টিকাকরণের কাজ পুরোদমে চলছে। দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য স্বাভাবিক বিমান পরিবহণ আবারও শুরু করার বিষয়ে আলাপ-আলোচনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব দুটি দেশের মধ্যে ট্রেন ও বাস পরিষেবা আবারও শুরু করা হবে। তবে, কোভিড পরিস্থিতি অনুযায়ী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভারত আশা করে যে দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

 

৪২) দুটি দেশের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতাকে স্বীকৃতি দিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীই পারস্পরিক স্বার্থ বজায় রেখে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন। দুই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে যৌথ ব্যবস্থাপনাকেও দুটি দেশ স্বাগত জানিয়েছে। মৎস্যচাষ, কৃষি, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এবং মহিলাদের ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন স্বল্প দৈর্ঘ্যর কর্মসূচিতে ভারতীয় যুবক-যুবতীদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং প্রযুক্তি, যুব ও ক্রীড়া এবং গণমাধ্যমে উভয় পক্ষ নিয়মিত আদানপ্রদানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।

 

জনস্বাস্থ্যে সহযোগিতা

 

৪৩) নিজ নিজ দেশে কোভিড মহামারীর বিষয়ে উভয় পক্ষ মতবিনিময় করেছে। সঙ্কটের এই সময়ে দুটি দেশেই যথাযথভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হচ্ছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ভারতে তৈরি অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনিকা কোভিশিল্ডের ৩২ লক্ষ ডোজ বাংলাদেশকে উপহার দেওয়ায় বাংলাদেশ ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। প্রথম ব্যাচে ৫০ লক্ষ ডোজ টিকা পাঠানোয় ভারতের প্রশংসা করা হয়েছে। নিয়মিতভাবে বাংলাদেশকে সেরাম ইনস্টিটিউট টিকা পাঠাবে। এক্ষেত্রে ভারত তার অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

 

৪৪) কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা ও গবেষণায় দুটি দেশের মধ্যে নিবিড় সহযোগিতার গুরুত্বের কথা উভয় প্রধানমন্ত্রীই উল্লেখ করেছেন। প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে। জৈব নিরাপত্তা, আর্থিক প্রবৃদ্ধি বর্তমানে সঙ্কটের মুখোমুখি। এই অবস্থায় জৈব নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য দুটি দেশের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলা যেতে পারে বলে বাংলাদেশ উল্লেখ করেছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করায় দুই প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন।

 

সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগিতা

 

৪৫) স্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং অপরাধমুক্ত সীমান্ত অঞ্চল নিশ্চিত করতে দুই নেতাই যথাযথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং কোনও নাগরিকের মৃত্যু যাতে না হয়, তার জন্য দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে। মানবিকতার খাতিরে রাজশাহী জেলার কাছে পদ্মা নদী বরাবর ১.৩ কিলোমিটার নদীপথ দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও বিধি-নিষেধ না রাখার ওপর বাংলাদেশ অনুরোধ জানিয়েছে। ভারতের ত্রিপুরা থেকে সমস্ত আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ দ্রুত শেষ করতে ভারত অনুরোধ জানিয়েছে। বাংলাদেশ এই বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনার করার আশ্বাস দিয়েছে।

 

৪৬) দুটি দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতার বিষয়ে উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। সহযোগিতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বিকাশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিফেন্স লাইন অফ ক্রেডিট বাস্তবায়নের জন্য ভারত অনুরোধ জানিয়েছে।

 

৪৭) বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা এবং বিপর্যয় পরবর্তী ক্ষেত্রে পরিস্থিতির মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, দুটি দেশই তাকে স্বাগত জানিয়েছে।

 

৪৮) আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ সবথেকে বড় বিপদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এ বিষয়ে বাংলাদেশ থেকে পাওয়া সবরকমের সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে উভয় পক্ষ তাদের অঙ্গীকার আবারও জানিয়েছে।

 

সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র

 

৪৯) বঙ্গবন্ধু কৃত্রিম উপগ্রহ বিএস-১ বাংলাদেশ উৎক্ষেপণ করেছে। ২০১৭ সালে উৎক্ষেপিত এটিই বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দ্বিতীয় উপগ্রহটি শীঘ্রই উৎক্ষেপণ করবে। মহাকাশ ও কৃত্রিম উপগ্রহ সংক্রান্ত গবেষণা এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরে দুই প্রধানমন্ত্রীই পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।

 

৫০) দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় নতুন নতুন ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করার বিষয়ে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, কৃত্রিম মেধা, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত পারমাণবিক প্রযুক্তি, বিগ ডেটা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ৫০ জন তরুণ শিল্পোদ্যোগীকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যাতে তাঁরা তাঁদের ধারণা ভারতের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন।

 

৫১) সফরসূচির অঙ্গ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী যশোরে যশোরেশ্বরী দেবী মন্দির এবং গোপালগঞ্জে ওড়াকান্দি মন্দির ২৭শে মার্চ দর্শন করেছেন। তিনি ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রশংসা করেছেন।

 

মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের উদ্বাস্তুরা

 

৫২) মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে যে ১১ লক্ষ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে এসেছেন তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। বাস্তুচ্যুত এইসব মানুষদের নিরাপদে দ্রুত তাঁদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার ওপর উভয় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে প্রত্যার্পণের বিষয়ে ভারত যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারত এক্ষেত্রে সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব

 

৫৩) রাষ্ট্রসঙ্ঘ সহ অন্যান্য বহুপাক্ষিক সংগঠনে দুটি দেশ একযোগে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

৫৪) কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে সার্ক ও বিমস্টেক-এর মতো আঞ্চলিক সংগঠনগুলির গুরুত্বের ওপর উভয় নেতাই জোর দিয়েছেন। ২০২০-র মার্চে সার্ক নেতৃবৃন্দের ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা এবং এই মহামারীর মোকাবিলায় সার্ক আপৎকালীন তহবিল গঠনে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

 

৫৫) আঞ্চলিক এবং উপ-আঞ্চলিক ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর উভয় নেতাই সহমত পোষণ করেছেন। বিমস্টেক-কে এর জন্য আরও শক্তিশালী করে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

৫৬) আইওআরএ-এর চেয়ারম্যান হিসেবে অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ দায়িত্ব গ্রহণ করবে। ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় সামুদ্রিক বাণিজ্য ও নৌ-চলাচলের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ভারতের সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

 

৫৭) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক দপ্তরের ডিরেক্টর হিসেবে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের প্রার্থীপদকে ভারত সমর্থন করায় বাংলাদেশ ধন্যবাদ জানিয়েছে।

 

৫৮) কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচারে বাংলাদেশ যোগ দেবে বলে ভারত আশা করেছে। বাংলাদেশ এই জোটে যোগ দিলে পরিকাঠামো, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে অর্জিত অভিজ্ঞতা অন্যান্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ভাগ করে নিতে পারবে।

 

৫৯) নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কে বাংলাদেশের যোগদানের সিদ্ধান্তকে ভারত স্বাগত জানিয়েছে।

 

দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর এবং দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পের উদ্বোধন

 

৬০) এই সফরের সময় নিম্নলিখিত দ্বিপাক্ষিক নথিগুলি স্বাক্ষর এবং হস্তান্তরিত হয়েছে :

 বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা এবং বিপর্যয় থেকে উত্তরণের জন্য সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর;

 বাংলাদেশ সমর শিক্ষার্থী বাহিনী এবং ভারতের জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনীর মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর;

 ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে একটি ফ্রেমওয়ার্ক গঠনের জন্য সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর;

 তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সরঞ্জাম, বিভিন্ন পাঠক্রম, রেফারেন্স বইয়ের সরবরাহ এবং বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টারের প্রশিক্ষণের জন্য ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা;

 রাজশাহী কলেজে ক্রীড়া সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা।

 

৬১) প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দুই প্রধানমন্ত্রী একযোগে নিম্নলিখিত প্রকল্পগুলির ঘোষণা / উদ্বোধন / সূচনা করেছেন :

 

 দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী ডাক টিকিট প্রকাশ

 ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর যেসব সদস্য শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের স্মরণে ব্রাহ্মণবেড়িয়ার আশুগঞ্জে প্রস্তাবিত স্মৃতিসৌধের শিলান্যাস

 রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের পাঁচটি প্যাকেজের (আমিনবাজার-কালিয়াকোর, রূপপুর-ঢাকা, রূপপুর-গোপালগঞ্জ, রূপপুর-ধামরাই, রূপপুর-বগুরা) শিলান্যাস

 নালিকাটা (ভারত)-সৈয়দাবাদ (বাংলাদেশ), রিংকু (ভারত)-বাগানবাড়ি (বাংলাদেশ) এবং ভোলাগঞ্জ (ভারত)-ভোলাগঞ্জ (বাংলাদেশ)-এ তিনটি সীমান্ত হাটের উদ্বোধন

 কুঠিবাড়িতে রবীন্দ্র ভবনের উদ্বোধন

 চিলাহাটি-হলদিবাড়ি হয়ে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকার মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেসের যাত্রী পরিষেবার উদ্বোধন

 মুজিব নগর থেকে নদীয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং স্বাধীনতা সড়ক হিসেবে এর নামকরণের ঘোষণা

 

৬২) প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাংলাদেশ সফরের সময় তাঁকে এবং তাঁর প্রতিনিধিদলের সদস্যদের প্রতি যে উষ্ণ আতিথেয়তা দেখানো হয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

  • Manoj Kumar September 23, 2024

    जय जय श्री राम मोदी जी योगी जी मिलकर बीजेपी पार्टी बनाएगी विश्व के बिगड़े काम जय जय श्री राम मोदी जी योगी जी हैं महान इन महापुरुषों के पास है गीता का ज्ञान जय जय श्री राम मोदी जी योगी जी बीजेपी पार्टी मिलकर बनाएगी विश्व के बिगड़े काम जय जय श्री राम मोदी जी योगी जी को मत करो बदनाम यमराज निकाल लेंगे प्राण जय जय श्री राम मोदी जी योगी जी मिलकर बनाएंगे विश्व के बिगड़े काम भाजपा पार्टी का साथ दो अगर तुम हो सच्चे इंसान जय जय श्री राम मोदी जी योगी जी बीजेपी पार्टी मिलकर बनाएगी विश्व के बिगड़े काम जय जय श्री राम जय जय श्री राम मेरा भारत महान
  • Mahendra singh Solanki Loksabha Sansad Dewas Shajapur mp October 31, 2023

    Jay shree Ram
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Average Electricity Supply Rises: 22.6 Hours In Rural Areas, 23.4 Hours in Urban Areas

Media Coverage

India’s Average Electricity Supply Rises: 22.6 Hours In Rural Areas, 23.4 Hours in Urban Areas
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi lays the foundation stone of Bageshwar Dham Medical and Science Research Institute
February 23, 2025
QuoteOur temples, our monasteries, our holy places have been centres of worship and resources on one hand and on the other they have also been centres of science and social consciousness: PM
QuoteIt was our sages who gave us the science of Ayurveda, the science of yoga, which has been acclaimed worldwide today: PM
QuoteWhen the country gave me the opportunity to serve, I made the mantra of 'Sabka Saath, Sabka Vikas' the resolution of the government, and this resolve of 'Sabka Sath, Sabka Vikas' is based on - treatment for all, health for all: PM

The Prime Minister, Shri Narendra Modi laid the foundation stone of Bageshwar Dham Medical and Science Research Institute in Garha village, Chhatarpur district, Madhya Pradesh today. Remarking that it was his good fortune to be back in Bundelkhand for the second time in a short span, Shri Modi said that the spiritual center Bageshwar Dham would soon be a health center too. He added that the Bageshwar Dham Medical and Science Research Institute would be built in an area of 10 acres and a 100 bed facility would be ready in the first phase. He congratulated Shri Dhirendra Shastri for the noble work and extended his greetings to the people of Bundelkhand.

|

The Prime Minister remarked that these days there was a class of political leaders who ridiculed religion and were involved in separating people. He added that at times, there was support to such individuals from foreign entities as well to weaken the nation and religion. He further said that the people who abhor Hindu religion have existed since a long time in various forms. The Prime Minister highlighted the persistent attacks on our beliefs, traditions, and temples and remarked that these elements attack our saints, culture, and principles. They target our festivals, customs, and rituals, and even dare to defame the inherently progressive nature of our religion and culture. Shri Modi underscored their agenda to divide our society and break its unity. In this context, he highlighted the efforts of Shri Dhirendra Shastri, who has been raising awareness about the mantra of unity in the country for a long time. Shri Modi announced that Shri Dhirendra Shastri had taken another pledge for the welfare of society and humanity in the form of establishing a cancer institute. Consequently, in Bageshwar Dham, the blessings of devotion, nourishment, and a healthy life will now be available, he added.

|

“Our temples, monasteries, and sacred sites have had dual roles as both centers of worship and hubs for scientific and social thought”, said the Prime Minister, remarking that our sages have provided us with the science of Ayurveda and Yoga, which is now globally recognized. He emphasized the belief that service to others and alleviating their suffering is true religion. He highlighted our tradition of serving all living beings with the sentiments of "Nara in Narayan" and "Shiva in all beings." Noting the widespread discussions about the Maha Kumbh, which is nearing completion with crores of people having participated, taken a holy dip, and received blessings from saints, Shri Modi hailed it as a “Maha Kumbh of Unity” and thanked all the sanitation workers and police officers for their dedicated service. He pointed out that amidst the Maha Kumbh, a ‘Netra Maha Kumbh’ was also being held, though it hasn't garnered as much attention, where over two lakh eye check-ups have been conducted, around one and a half lakh people have received free medicine and glasses, and about sixteen thousand patients have been referred to various hospitals for cataract and other surgeries. The Prime Minister acknowledged the numerous health and service-related initiatives taking place during the Maha Kumbh under the guidance of our sages, with thousands of doctors and volunteers participating selflessly. The attendees of the Kumbh have appreciated these efforts, he said.

|

The Prime Minister underlined the role of religious institutions in running large hospitals across India. He remarked that many health and science research institutes are managed by religious trusts, providing treatment and service to crores of poor people. He noted that the sacred pilgrimage site of Chitrakoot in Bundelkhand, associated with Lord Rama, was a major center for serving the differently-abled and patients. He also expressed happiness that Bageshwar Dham was adding a new chapter to this glorious tradition by offering blessings of health. He announced that two days later, on Mahashivaratri, there will be a mass wedding ceremony for 251 daughters. The Prime Minister praised Bageshwar Dham for this noble initiative and extended his heartfelt congratulations and blessings to all the newlywed couples and daughters for a beautiful life ahead.

Quoting the scripture, "Shariramadyam Khalu Dharma Sadhanam," emphasizing that our body and health are the primary means for achieving our religion, happiness, and success, the Prime Minister remarked that when the country entrusted him with the opportunity to serve, he made the mantra ‘Sabka Saath, Sabka Vikas’ as the Government's resolution. He highlighted that a major foundation of ‘Sabka Saath, Sabka Vikas’ was ‘Sabka Ilaaj, Sabko Aarogya’ meaning Healthcare for all and underscored the focus on disease prevention at various levels. Acknowledging that toilets had been constructed under the Swachh Bharat Abhiyan, Shri Modi pointed out that the construction of toilets had reduced diseases caused by unhygienic conditions. He cited a study indicating that households with toilets have saved thousands of rupees on medical expenses.

The Prime Minister remarked that before their Government came to power in 2014, the poor in the country feared the cost of treatment more than the illness itself and pointed out that a serious illness in a family would put the entire family in crisis. He shared that he also comes from a poor family and has witnessed such hardships and had resolved to reduce the cost of treatment and save more money for the people. Reiterating his commitment to ensuring that no needy person is left out of Government schemes, Shri Modi emphasized the importance of reducing the burden of medical expenses and highlighted the provision of free treatment for every poor person, up to Rs. 5 lakh, through the Ayushman Card. He urged those who have not to get it made as soon as possible.

|

Informing that Ayushman Cards were now being issued for free treatment to elderly individuals above 70 years of age, irrespective of whether the family is poor, middle-class, or wealthy, Shri Modi said these cards can be obtained online without any cost and urged that no one should pay for the Ayushman Card and asked people to report if someone demands money. The Prime Minister remarked that many treatments do not require hospital admission, as prescribed medicines can be taken at home. To reduce the cost of medicines, over 14,000 Jan Aushadhi Centers have been opened across the country, providing affordable medicines, he added. He also pointed out that kidney disease is another significant health issue requiring continuous dialysis and over 1,500 dialysis centers have been opened in more than 700 districts, offering free dialysis services. The Prime Minister urged everyone to spread awareness about these Government schemes among their acquaintances and ensure no one misses out on the benefits.

“Cancer has become a significant issue everywhere; the Government, society, and saints are all united in the fight against cancer”, highlighted Shri Modi. He remarked on the difficulties faced by villagers when someone is diagnosed with cancer. He highlighted the lack of early detection and the tendency to rely on home remedies for fever and pain, resulting in late diagnosis when the situation worsens. The Prime Minister noted the fear and confusion that grips families upon hearing the diagnosis of cancer, with many only knowing about treatment centers in Delhi and Mumbai. He emphasized the Government's efforts to address these challenges, including several announcements in this year's budget to combat cancer. He added that he was committed to making cancer medications more affordable and announced the opening of cancer daycare centers in every district over the next three years. These centers will provide both diagnostic and respite care services. Shri Modi also highlighted the opening of cancer clinics in district hospitals and medical centers in local neighborhoods to ensure easier access to treatment.

Emphasising the importance of being cautious and aware to protect against cancer, the Prime Minister remarked that early detection is crucial, as cancer becomes harder to combat once it spreads. He highlighted the ongoing campaign to screen all individuals above 30 years of age and urged everyone to participate and avoid negligence. He stressed the need for immediate cancer screening if there is any doubt. Underscoring the importance of accurate information about cancer, stating that it is not a contagious disease and does not spread through touch, Shri Modi pointed out that the risk of cancer increases with the use of bidi, cigarettes, gutka, tobacco, and spices, and advised staying away from these substances. He urged everyone to take care of their body and health and to adopt these precautions diligently to avoid any negligence.

|

Stressing his dedication to serving the people, the Prime Minister remarked on his previous visit to Chhatarpur, where he inaugurated and laid the foundation stones for projects worth thousands of crores. He highlighted the inclusion of the Rs. 45,000 crore Ken-Betwa Link Project, which had been pending for decades despite multiple governments and leaders visiting Bundelkhand. Shri Modi noted the persistent water scarcity in the region and questioned whether any previous government had fulfilled its promises. He emphasized that the work commenced only after receiving the people's blessings. He underlined the rapid progress in addressing the drinking water crisis. Under the Jal Jeevan Mission, or the Har Ghar Jal Project, piped water is being supplied to villages across Bundelkhand, he added. He also highlighted the ongoing efforts to alleviate the difficulties faced by farmers and increase their income, stating that the government is working tirelessly day and night.

Emphasizing the importance of empowering women for the prosperity of Bundelkhand, Shri Modi remarked on the introduction of initiatives like Lakhpati Didi and Drone Didi and announced the goal of making 3 crore women Lakhpati Didis. He highlighted that women are being trained to operate drones, which will be used for crop spraying and assisting in agriculture once irrigation water reaches Bundelkhand. The Prime Minister expressed confidence that these efforts will propel Bundelkhand rapidly towards prosperity.

The Prime Minister highlighted the significant use of drone technology in villages under the Swamitva Yojana for accurate land measurement and providing solid land records. He noted the successful implementation of this initiative in Madhya Pradesh, where people are now using these documents to easily obtain loans from banks, which are being utilized for businesses, thereby increasing people's income.

Concluding the address, the Prime Minister emphasized the relentless efforts of the Governments at Center and state in making Bundelkhand achieve new heights of development. He expressed hope that Bundelkhand continues on the path of prosperity and development and extended his best wishes to everyone.

The Governor of Madhya Pradesh, Shri Mangubhai Chhaganbhai Patel, Chief Minister of Madhya Pradesh, Shri Mohan Yadav were present among other dignitaries at the event.

Background

Bageshwar Dham Medical and Science Research Institute in Garha village, Chhatarpur district, Madhya Pradesh is being built to ensure better healthcare services for people from all walks of life. The Cancer hospital worth over Rs 200 crore will offer free treatment to underprivileged cancer patients and will be equipped with state-of-the-art machines and have specialist doctors.