১। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিস মেট্টে ফ্রেড্রিক্সেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৮শে সেপ্টেম্বর যৌথভাবে একটি ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের পৌরহিত্য করেছেন।

২। প্রধানপমন্ত্রী শ্রী মোদী এবং প্রধানমন্ত্রী মিস ফ্রেড্রিক্সেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে উষ্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করেছেন। আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ বান্ধব বিষয় সহ উভয় পক্ষ কোভিড -১৯ মহামারী এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁরা স্থিতিশীল অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে একটি অভিন্ন সমঝোতায় পৌঁছেছেন।

৩। তারা ঐতিহাসিক যোগাযোগ, সাধারণ গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অব্যাহত বিকাশের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

৪। বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে যৌথ আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে দুই প্রধানমন্ত্রী ভারত-ডেনমার্ক সম্পর্ককে পরিবেশ বান্ধব কৌশলগত অংশীদারিতে উন্নীত করতে সম্মত হন। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ভারত ও ডেনমার্কের মধ্যে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি যৌথ সহযোগিতা কমিশন গড়ে তোলার জন্য সাক্ষরিত চুক্তিটি সুদৃঢ় ও সুসংহত করবে যা রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্র; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি; পরিবেশ; শক্তি; শিক্ষা এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে । এছাড়াও এটি পূনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, নগর উন্নয়ন, পরিবেশ, কৃষি ও পশুপালন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জাহাজ চলাচল, শ্রম এবং ডিজিটাইজেশন সম্পর্কিত যৌথ কর্মী গোষ্ঠীর কাজে সহায়তা করবে।

৫। পরিবেশবান্ধব কৌশলগত অংশীদারিত্ব হ'ল রাজনৈতিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং পরিবেশ বান্ধব ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ এবং নানান সুযোগ মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদার করার জন্য পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে প্যারিস চুক্তি এবং রাষ্ট্রসংঘের স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নের উপর গুরত্ব দেওয়া হয়েছে।

৬। উভয় প্রধানমন্ত্রী পরিবেশবান্ধব কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার গুরুত্ব স্বীকার করেছেন, যার আওতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান এবং অংশীদারদের মাধ্যমে ভারত ও ডেনমার্ক সহযোগিতা করবে।

 

পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন

 

৭। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীই পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ এবং সমাধানে নিবিড় অংশীদারিত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সমুদ্র উপকূলে বায়ু এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উপর কৌশলগত ক্ষেত্রে সহযোগিতা, পাশাপাশি বায়ু শক্তির উপর দক্ষতা বৃদ্ধি, জ্ঞান-অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর বিষয়ে ভারত-ডেনমার্ক এনার্জি পার্টনারশিপ (আইএনডিইপি); আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জ্বালানী ব্যবস্থাপনা ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির সংহতকরণ , পরিবেশ বান্ধব উদ্যোগ বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের পথে কয়েকটি সাধারণ আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উভয় পক্ষই আগামী বছরগুলিতে জ্বালানি অংশীদারিত্বকে আরও দৃঢ় করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করবে।

৮। জলবায়ু পরিবর্তন আটকাতে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে ভারত এবং ডেনমার্ক সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিতে সম্মত হয়েছে। উভয় দেশ জলবায়ু এবং শক্তির উপর অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে যা প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়নে ভূমিকা নেবে। দুই দেশ উচ্চাভিলাষী জলবায়ু এবং স্থিতিশীল জ্বালানীর বিষয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর বিষয়ে সারা বিশ্বকে পথ দেখাবে।

৯। উভয় দেশ জলবায়ু পরিবর্তন ও পূনর্নবীকরণ জ্বালানীর বিষয়ে বিভিন্ন স্তরে নিয়মিত পরামর্শ ও সংলাপ চালাতে সম্মত হয়েছে।

 

 
 

পরিবেশ / জল ও অর্থনৈতিক চক্র

 

১০। দুই প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ / জল এবং অর্থনীতির চক্রতে বিদ্যমান সরকারী স্তরে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। তারা জল সম্পদের দক্ষ ভাবে ব্যবহার এবং জলের অপচয় আটকাতে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন এবং এই প্রসঙ্গে ভারতীয় জল শক্তি মন্ত্রক এবং ডেনিশ পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা এবং ডেনমার্কের পরিবেশ ও খাদ্য মন্ত্রককে প্রাথমিক ভাবে একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করতে ২০২১ থেকে ২৩ সাল ౼ তিন বছরের মধ্যে নির্দেশ দিয়েছে।
 

 

১১। ইন্দো-ড্যানিশ প্রযুক্তি জোটের মাধ্যমে দুই প্রধানমন্ত্রী জল সরবরাহ, জল বন্টন, বর্জ্য জল পরিশোধন, নিকাশী ব্যবস্থা, পরিশোধিত বর্জ্য জল পুনরায় ব্যবহার, জল ব্যবস্থাপনা এবং জলের জন্য শক্তির যথাযথ ব্যবহার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে তাদের সম্মতি জানিয়েছেন।

 

স্মার্ট সিটি সহ স্থিতিশীল নগর উন্নয়নঃ-

১২। উভয় পক্ষই ২২ শে জুন, ২০২০ সালে স্থিতিশীল নগর উন্নয়নের বিষয়ে দ্বিতীয় ভারত-ডেনমার্ক যৌথ কর্মী গোষ্ঠীর অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে এবং গোয়ায় আরবান লিভিং ল্যাবের মাধ্যমে স্মার্ট সিটি সহ স্থিতিশীল নগর উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়।

১৩। উভয় পক্ষই উদয়পুর ও আড়াহুস এবং টুমাকুরু ও আলবার্গের মধ্যে নগরোন্নয়ন সংক্রান্ত সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।

 

১৪। ডেনিশ সংস্থাগুলি ভারতে পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলির নকশায় ভূমিকা রাখায় তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং স্থিতিশীল নগর উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে ডেনিশ পক্ষের ব্যাপক অংশগ্রহনকে স্বাগত জানিয়েছেন ।

 

ব্যবসা বাণিজ্য ও জাহাজ চলাচল

 

১৫। দুই প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ ও জলবায়ু-বান্ধব প্রযুক্তিতে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে দু'দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িকদের মধ্যে অংশীদারিত্বের বিকাশের ধারণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা পরিবেশ বান্ধব জ্বালানীর বিষয়ে সরকারি এবং বেসরকারী বিনিয়োগকে সাহায্য করার জন্য নিয়ামক কাঠামোর শর্তগুলির গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

১৬। উভয় নেতা সমুদ্র বিষয়ক বিষয়ে গভীর সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং জাহাজ নির্মাণ ও নকশা, সামুদ্রিক পরিষেবা এবং পরিবেশ বান্ধব জাহাজ চলাচলের পাশাপাশি বন্দর উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাব্যতা উল্লেখ করেন।

১৭। দু'ই প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন যে তারা ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের উৎসাহিত করবেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির জন্য বাজার খুলে দেবেন এবং সহজে ব্যবসসা করার পরিবেশ গড়ে তুলবে।

১৮। ভারত ও ডেনমার্ক বৌদ্ধিক সম্পত্তি অধিকারের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, যা উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ক্ষেত্রে তাদের জাতীয় বৌদ্ধিক সম্পত্তি ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।

 

বিজ্ঞান , প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ডিজিটাইজেশন

 

১৯। ভারত ও ডেনমার্ক প্রযুক্তি বিকাশ এবং সমস্যার নতুন সমাধানের প্রয়োগকে ত্বরান্বিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসাবে শক্তিশালী সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের (এসটিআই) বিনিয়োগের প্রচার ও সুবিধার্থে গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়। এসটিআই-তে সহযোগিতা কর্তৃপক্ষ, ছোট ও বড় সংস্থাগুলি এবং ভারত এবং ডেনমার্কের গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্কের প্রচার জোরদার করে পরিবেশ বান্ধব কৌশলগত অংশীদারিত্বকে সমর্থন করে। উভয় পক্ষ বিদ্যুৎ, জল, জৈব-সম্পদ এবং আইসিটি-র মতো প্রকল্পগুলির জন্য শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক এসটিআই অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে।

২০। দুই নেতা ডিজিটালাইজেশন , ডিজিটাল পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধান এবং ব্যবসায়িক মডেলগুলির জন্য পরিবেশ বান্ধব ক্ষেত্রে তাদের অংশীদারিত্বের আগ্রহকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং পরিবেশ বান্ধব বিকাশকে সাহায্য করার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিকাশও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

খাদ্য ও কৃষি

 

২১। কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার অপরিসীম সম্ভাবনা বিবেচনা করে দুই প্রধানমন্ত্রী খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও খাদ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা সংস্থাগুলির পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধধরণের ক্ষেত্রগুলির মধ্যে গভীর ও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতাকে উত্সাহিত করেছেন।

 

স্বাস্থ্য ও জীব বিজ্ঞান

 

২২। উভয় পক্ষ স্বাস্থ্য খাতে সংলাপ ও সহযোগিতা জোরদার করার সম্ভাবনা এবং অভিন্ন চাহিদার উপর জোর দিয়েছিলেন। তারা বিশেষত কোভিড -১৯ এবং ভবিষ্যতের মহামারী মোকাবেলায় মহামারী এবং ভ্যাকসিন সহ স্বাস্থ্য নীতি সম্পর্কিত বিষয়গুলির বিষয়ে আলাপ আলোচনা বাড়ানো এবং সর্বোত্তম পদ্ধতিগুলি ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে তাদের আগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা গবেষণা, সহযোগিতা সহ জীবন বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে ব্যবসা বাণিজ্যর সুযোগসুবিধা বৃদ্ধিতে কাজ করতে সম্মত হন।

 

সাংস্কৃতিক সহযোগিতা জনসাধারনের মধ্যে যোগাযোগ ও শ্রমশক্তির চলাচল

 

২৩। দুই প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে ভারত ও ডেনমার্কের মধ্যে দীর্ঘ দিনের দৃঢ় সম্পর্ক ও জনসাধারণের মধ্যে যোগাযোগের ফলে এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বৃহত্তর সচেতনতা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ান সম্ভব হবে।

 

২৪। উভয় পক্ষ শ্রমশক্তি চলাফেরার সম্ভাবনাগুলি যাচাইয়ের পাশাপাশি দু'দেশের মধ্যে জনসাধারণের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করার জন্য এবং পর্যটন খাতে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য দুটি দেশের মধ্যে সহজে ভ্রমণ বিষয়ে বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে ।

 

বহুপাক্ষিক সহযোগিতা

 

২৫। দু'ই প্রধানমন্ত্রী একটি নিয়ম-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে সাহায্য ও প্রচার করার প্রচেষ্টায় যোগ দিতে সম্মত হন। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানী ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বজুড়ে উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক জ্বালানী সংস্থা, আন্তর্জাতিক পূণর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানী সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সৌর জোটের সাধারণ প্রতিশ্রুতি পুরণে জোরালো বহুপাক্ষিক সহযোগিতা।

 

২৬। উভয় পক্ষই বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের প্রচারের জন্য ডব্লিউটিওর অধীনে একটি মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নিয়ম-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার সমর্থন করেছে।

২৭। উভয় পক্ষই ডব্লিউটিওর সংস্কারের জন্য আলোচনার পক্ষে মত প্রকাশ করেছে। উভয় পক্ষই সহযোগিতা জোরদার করার এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ব্যাপক সংস্কারে অবদান রাখার বিষয়টিকে দৃঢ়তার সঙ্গে নিশ্চিত করেছেন। উভয় পক্ষই একমত হয়েছেন স্বচ্ছভাবে সংস্কারগুলি অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং সেগুলি পরিচালনা করা দরকার। ডাব্লুটিওর দ্বন্দ্ব বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার অংশ হিসাবে আপিল বডিকে কার্যকর করার বিষয়ে উচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

 

২৮। ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার ও দৃঢ় করার লক্ষ্যে উভয় পক্ষই ইইউ এবং ভারতের মধ্যে একটি উচ্চাভিলাষী, ন্যায্য, এবং পারস্পরিক উপকারী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তির জন্য কাজ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

২৯। উভয় পক্ষই একমত হয়েছে যে সুমেরু পরিষদের কাঠামোর মধ্যে সুমেরু অঞ্চলের সহযোগিতার একটি আন্তর্জাতিক মাত্রা রয়েছে এবং এটি পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অপরিহার্য। এই ধারনা থেকেই উভয় পক্ষই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সুমেরু পরিষদের কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতার জন্য তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

৩০। দুই নেতাই মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের বিষয়ে অভিন্ন মূল্যবোধকে স্বীকার করেছেন এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্নে বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে পারষ্পরিক সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছেন।

উপসংহার

৩১। ডেনমার্ক এবং ভারতের মধ্যে পরিবেশবান্ধব কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগী সম্পর্ক এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে বলে এই দুই নেতা মনে করেন।

৩২। উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য এবং ক্রিয়াকলাপের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হবে এবং একটি কর্মসূচীর রূপরেখা চিহ্নিত করা হবে। যা কার্যকর করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব সেটিকে সাহায্য করা হবে।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India emerges as major hub for global capacity centers

Media Coverage

India emerges as major hub for global capacity centers
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the Odisha Parba
November 24, 2024
Delighted to take part in the Odisha Parba in Delhi, the state plays a pivotal role in India's growth and is blessed with cultural heritage admired across the country and the world: PM
The culture of Odisha has greatly strengthened the spirit of 'Ek Bharat Shreshtha Bharat', in which the sons and daughters of the state have made huge contributions: PM
We can see many examples of the contribution of Oriya literature to the cultural prosperity of India: PM
Odisha's cultural richness, architecture and science have always been special, We have to constantly take innovative steps to take every identity of this place to the world: PM
We are working fast in every sector for the development of Odisha,it has immense possibilities of port based industrial development: PM
Odisha is India's mining and metal powerhouse making it’s position very strong in the steel, aluminium and energy sectors: PM
Our government is committed to promote ease of doing business in Odisha: PM
Today Odisha has its own vision and roadmap, now investment will be encouraged and new employment opportunities will be created: PM

जय जगन्नाथ!

जय जगन्नाथ!

केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी श्रीमान धर्मेन्द्र प्रधान जी, अश्विनी वैष्णव जी, उड़िया समाज संस्था के अध्यक्ष श्री सिद्धार्थ प्रधान जी, उड़िया समाज के अन्य अधिकारी, ओडिशा के सभी कलाकार, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

ओडिशा र सबू भाईओ भउणी मानंकु मोर नमस्कार, एबंग जुहार। ओड़िया संस्कृति के महाकुंभ ‘ओड़िशा पर्व 2024’ कू आसी मँ गर्बित। आपण मानंकु भेटी मूं बहुत आनंदित।

मैं आप सबको और ओडिशा के सभी लोगों को ओडिशा पर्व की बहुत-बहुत बधाई देता हूँ। इस साल स्वभाव कवि गंगाधर मेहेर की पुण्यतिथि का शताब्दी वर्ष भी है। मैं इस अवसर पर उनका पुण्य स्मरण करता हूं, उन्हें श्रद्धांजलि देता हूँ। मैं भक्त दासिआ बाउरी जी, भक्त सालबेग जी, उड़िया भागवत की रचना करने वाले श्री जगन्नाथ दास जी को भी आदरपूर्वक नमन करता हूं।

ओडिशा निजर सांस्कृतिक विविधता द्वारा भारतकु जीबन्त रखिबारे बहुत बड़ भूमिका प्रतिपादन करिछि।

साथियों,

ओडिशा हमेशा से संतों और विद्वानों की धरती रही है। सरल महाभारत, उड़िया भागवत...हमारे धर्मग्रन्थों को जिस तरह यहाँ के विद्वानों ने लोकभाषा में घर-घर पहुंचाया, जिस तरह ऋषियों के विचारों से जन-जन को जोड़ा....उसने भारत की सांस्कृतिक समृद्धि में बहुत बड़ी भूमिका निभाई है। उड़िया भाषा में महाप्रभु जगन्नाथ जी से जुड़ा कितना बड़ा साहित्य है। मुझे भी उनकी एक गाथा हमेशा याद रहती है। महाप्रभु अपने श्री मंदिर से बाहर आए थे और उन्होंने स्वयं युद्ध का नेतृत्व किया था। तब युद्धभूमि की ओर जाते समय महाप्रभु श्री जगन्नाथ ने अपनी भक्त ‘माणिका गौउडुणी’ के हाथों से दही खाई थी। ये गाथा हमें बहुत कुछ सिखाती है। ये हमें सिखाती है कि हम नेक नीयत से काम करें, तो उस काम का नेतृत्व खुद ईश्वर करते हैं। हमेशा, हर समय, हर हालात में ये सोचने की जरूरत नहीं है कि हम अकेले हैं, हम हमेशा ‘प्लस वन’ होते हैं, प्रभु हमारे साथ होते हैं, ईश्वर हमेशा हमारे साथ होते हैं।

साथियों,

ओडिशा के संत कवि भीम भोई ने कहा था- मो जीवन पछे नर्के पडिथाउ जगत उद्धार हेउ। भाव ये कि मुझे चाहे जितने ही दुख क्यों ना उठाने पड़ें...लेकिन जगत का उद्धार हो। यही ओडिशा की संस्कृति भी है। ओडिशा सबु जुगरे समग्र राष्ट्र एबं पूरा मानब समाज र सेबा करिछी। यहाँ पुरी धाम ने ‘एक भारत श्रेष्ठ भारत’ की भावना को मजबूत बनाया। ओडिशा की वीर संतानों ने आज़ादी की लड़ाई में भी बढ़-चढ़कर देश को दिशा दिखाई थी। पाइका क्रांति के शहीदों का ऋण, हम कभी नहीं चुका सकते। ये मेरी सरकार का सौभाग्य है कि उसे पाइका क्रांति पर स्मारक डाक टिकट और सिक्का जारी करने का अवसर मिला था।

साथियों,

उत्कल केशरी हरे कृष्ण मेहताब जी के योगदान को भी इस समय पूरा देश याद कर रहा है। हम व्यापक स्तर पर उनकी 125वीं जयंती मना रहे हैं। अतीत से लेकर आज तक, ओडिशा ने देश को कितना सक्षम नेतृत्व दिया है, ये भी हमारे सामने है। आज ओडिशा की बेटी...आदिवासी समुदाय की द्रौपदी मुर्मू जी भारत की राष्ट्रपति हैं। ये हम सभी के लिए बहुत ही गर्व की बात है। उनकी प्रेरणा से आज भारत में आदिवासी कल्याण की हजारों करोड़ रुपए की योजनाएं शुरू हुई हैं, और ये योजनाएं सिर्फ ओडिशा के ही नहीं बल्कि पूरे भारत के आदिवासी समाज का हित कर रही हैं।

साथियों,

ओडिशा, माता सुभद्रा के रूप में नारीशक्ति और उसके सामर्थ्य की धरती है। ओडिशा तभी आगे बढ़ेगा, जब ओडिशा की महिलाएं आगे बढ़ेंगी। इसीलिए, कुछ ही दिन पहले मैंने ओडिशा की अपनी माताओं-बहनों के लिए सुभद्रा योजना का शुभारंभ किया था। इसका बहुत बड़ा लाभ ओडिशा की महिलाओं को मिलेगा। उत्कलर एही महान सुपुत्र मानंकर बिसयरे देश जाणू, एबं सेमानंक जीबन रु प्रेरणा नेउ, एथी निमन्ते एपरी आयौजनर बहुत अधिक गुरुत्व रहिछि ।

साथियों,

इसी उत्कल ने भारत के समुद्री सामर्थ्य को नया विस्तार दिया था। कल ही ओडिशा में बाली जात्रा का समापन हुआ है। इस बार भी 15 नवंबर को कार्तिक पूर्णिमा के दिन से कटक में महानदी के तट पर इसका भव्य आयोजन हो रहा था। बाली जात्रा प्रतीक है कि भारत का, ओडिशा का सामुद्रिक सामर्थ्य क्या था। सैकड़ों वर्ष पहले जब आज जैसी टेक्नोलॉजी नहीं थी, तब भी यहां के नाविकों ने समुद्र को पार करने का साहस दिखाया। हमारे यहां के व्यापारी जहाजों से इंडोनेशिया के बाली, सुमात्रा, जावा जैसे स्थानो की यात्राएं करते थे। इन यात्राओं के माध्यम से व्यापार भी हुआ और संस्कृति भी एक जगह से दूसरी जगह पहुंची। आजी विकसित भारतर संकल्पर सिद्धि निमन्ते ओडिशार सामुद्रिक शक्तिर महत्वपूर्ण भूमिका अछि।

साथियों,

ओडिशा को नई ऊंचाई तक ले जाने के लिए 10 साल से चल रहे अनवरत प्रयास....आज ओडिशा के लिए नए भविष्य की उम्मीद बन रहे हैं। 2024 में ओडिशावासियों के अभूतपूर्व आशीर्वाद ने इस उम्मीद को नया हौसला दिया है। हमने बड़े सपने देखे हैं, बड़े लक्ष्य तय किए हैं। 2036 में ओडिशा, राज्य-स्थापना का शताब्दी वर्ष मनाएगा। हमारा प्रयास है कि ओडिशा की गिनती देश के सशक्त, समृद्ध और तेजी से आगे बढ़ने वाले राज्यों में हो।

साथियों,

एक समय था, जब भारत के पूर्वी हिस्से को...ओडिशा जैसे राज्यों को पिछड़ा कहा जाता था। लेकिन मैं भारत के पूर्वी हिस्से को देश के विकास का ग्रोथ इंजन मानता हूं। इसलिए हमने पूर्वी भारत के विकास को अपनी प्राथमिकता बनाया है। आज पूरे पूर्वी भारत में कनेक्टिविटी के काम हों, स्वास्थ्य के काम हों, शिक्षा के काम हों, सभी में तेजी लाई गई है। 10 साल पहले ओडिशा को केंद्र सरकार जितना बजट देती थी, आज ओडिशा को तीन गुना ज्यादा बजट मिल रहा है। इस साल ओडिशा के विकास के लिए पिछले साल की तुलना में 30 प्रतिशत ज्यादा बजट दिया गया है। हम ओडिशा के विकास के लिए हर सेक्टर में तेजी से काम कर रहे हैं।

साथियों,

ओडिशा में पोर्ट आधारित औद्योगिक विकास की अपार संभावनाएं हैं। इसलिए धामरा, गोपालपुर, अस्तारंगा, पलुर, और सुवर्णरेखा पोर्ट्स का विकास करके यहां व्यापार को बढ़ावा दिया जाएगा। ओडिशा भारत का mining और metal powerhouse भी है। इससे स्टील, एल्युमिनियम और एनर्जी सेक्टर में ओडिशा की स्थिति काफी मजबूत हो जाती है। इन सेक्टरों पर फोकस करके ओडिशा में समृद्धि के नए दरवाजे खोले जा सकते हैं।

साथियों,

ओडिशा की धरती पर काजू, जूट, कपास, हल्दी और तिलहन की पैदावार बहुतायत में होती है। हमारा प्रयास है कि इन उत्पादों की पहुंच बड़े बाजारों तक हो और उसका फायदा हमारे किसान भाई-बहनों को मिले। ओडिशा की सी-फूड प्रोसेसिंग इंडस्ट्री में भी विस्तार की काफी संभावनाएं हैं। हमारा प्रयास है कि ओडिशा सी-फूड एक ऐसा ब्रांड बने, जिसकी मांग ग्लोबल मार्केट में हो।

साथियों,

हमारा प्रयास है कि ओडिशा निवेश करने वालों की पसंदीदा जगहों में से एक हो। हमारी सरकार ओडिशा में इज ऑफ डूइंग बिजनेस को बढ़ावा देने के लिए प्रतिबद्ध है। उत्कर्ष उत्कल के माध्यम से निवेश को बढ़ाया जा रहा है। ओडिशा में नई सरकार बनते ही, पहले 100 दिनों के भीतर-भीतर, 45 हजार करोड़ रुपए के निवेश को मंजूरी मिली है। आज ओडिशा के पास अपना विज़न भी है, और रोडमैप भी है। अब यहाँ निवेश को भी बढ़ावा मिलेगा, और रोजगार के नए अवसर भी पैदा होंगे। मैं इन प्रयासों के लिए मुख्यमंत्री श्रीमान मोहन चरण मांझी जी और उनकी टीम को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

ओडिशा के सामर्थ्य का सही दिशा में उपयोग करके उसे विकास की नई ऊंचाइयों पर पहुंचाया जा सकता है। मैं मानता हूं, ओडिशा को उसकी strategic location का बहुत बड़ा फायदा मिल सकता है। यहां से घरेलू और अंतर्राष्ट्रीय बाजार तक पहुंचना आसान है। पूर्व और दक्षिण-पूर्व एशिया के लिए ओडिशा व्यापार का एक महत्वपूर्ण हब है। Global value chains में ओडिशा की अहमियत आने वाले समय में और बढ़ेगी। हमारी सरकार राज्य से export बढ़ाने के लक्ष्य पर भी काम कर रही है।

साथियों,

ओडिशा में urbanization को बढ़ावा देने की अपार संभावनाएं हैं। हमारी सरकार इस दिशा में ठोस कदम उठा रही है। हम ज्यादा संख्या में dynamic और well-connected cities के निर्माण के लिए प्रतिबद्ध हैं। हम ओडिशा के टियर टू शहरों में भी नई संभावनाएं बनाने का भरपूर हम प्रयास कर रहे हैं। खासतौर पर पश्चिम ओडिशा के इलाकों में जो जिले हैं, वहाँ नए इंफ्रास्ट्रक्चर से नए अवसर पैदा होंगे।

साथियों,

हायर एजुकेशन के क्षेत्र में ओडिशा देशभर के छात्रों के लिए एक नई उम्मीद की तरह है। यहां कई राष्ट्रीय और अंतर्राष्ट्रीय इंस्टीट्यूट हैं, जो राज्य को एजुकेशन सेक्टर में लीड लेने के लिए प्रेरित करते हैं। इन कोशिशों से राज्य में स्टार्टअप्स इकोसिस्टम को भी बढ़ावा मिल रहा है।

साथियों,

ओडिशा अपनी सांस्कृतिक समृद्धि के कारण हमेशा से ख़ास रहा है। ओडिशा की विधाएँ हर किसी को सम्मोहित करती है, हर किसी को प्रेरित करती हैं। यहाँ का ओड़िशी नृत्य हो...ओडिशा की पेंटिंग्स हों...यहाँ जितनी जीवंतता पट्टचित्रों में देखने को मिलती है...उतनी ही बेमिसाल हमारे आदिवासी कला की प्रतीक सौरा चित्रकारी भी होती है। संबलपुरी, बोमकाई और कोटपाद बुनकरों की कारीगरी भी हमें ओडिशा में देखने को मिलती है। हम इस कला और कारीगरी का जितना प्रसार करेंगे, उतना ही इस कला को संरक्षित करने वाले उड़िया लोगों को सम्मान मिलेगा।

साथियों,

हमारे ओडिशा के पास वास्तु और विज्ञान की भी इतनी बड़ी धरोहर है। कोणार्क का सूर्य मंदिर… इसकी विशालता, इसका विज्ञान...लिंगराज और मुक्तेश्वर जैसे पुरातन मंदिरों का वास्तु.....ये हर किसी को आश्चर्यचकित करता है। आज लोग जब इन्हें देखते हैं...तो सोचने पर मजबूर हो जाते हैं कि सैकड़ों साल पहले भी ओडिशा के लोग विज्ञान में इतने आगे थे।

साथियों,

ओडिशा, पर्यटन की दृष्टि से अपार संभावनाओं की धरती है। हमें इन संभावनाओं को धरातल पर उतारने के लिए कई आयामों में काम करना है। आप देख रहे हैं, आज ओडिशा के साथ-साथ देश में भी ऐसी सरकार है जो ओडिशा की धरोहरों का, उसकी पहचान का सम्मान करती है। आपने देखा होगा, पिछले साल हमारे यहाँ G-20 का सम्मेलन हुआ था। हमने G-20 के दौरान इतने सारे देशों के राष्ट्राध्यक्षों और राजनयिकों के सामने...सूर्यमंदिर की ही भव्य तस्वीर को प्रस्तुत किया था। मुझे खुशी है कि महाप्रभु जगन्नाथ मंदिर परिसर के सभी चार द्वार खुल चुके हैं। मंदिर का रत्न भंडार भी खोल दिया गया है।

साथियों,

हमें ओडिशा की हर पहचान को दुनिया को बताने के लिए भी और भी इनोवेटिव कदम उठाने हैं। जैसे....हम बाली जात्रा को और पॉपुलर बनाने के लिए बाली जात्रा दिवस घोषित कर सकते हैं, उसका अंतरराष्ट्रीय मंच पर प्रचार कर सकते हैं। हम ओडिशी नृत्य जैसी कलाओं के लिए ओडिशी दिवस मनाने की शुरुआत कर सकते हैं। विभिन्न आदिवासी धरोहरों को सेलिब्रेट करने के लिए भी नई परम्पराएँ शुरू की जा सकती हैं। इसके लिए स्कूल और कॉलेजों में विशेष आयोजन किए जा सकते हैं। इससे लोगों में जागरूकता आएगी, यहाँ पर्यटन और लघु उद्योगों से जुड़े अवसर बढ़ेंगे। कुछ ही दिनों बाद प्रवासी भारतीय सम्मेलन भी, विश्व भर के लोग इस बार ओडिशा में, भुवनेश्वर में आने वाले हैं। प्रवासी भारतीय दिवस पहली बार ओडिशा में हो रहा है। ये सम्मेलन भी ओडिशा के लिए बहुत बड़ा अवसर बनने वाला है।

साथियों,

कई जगह देखा गया है बदलते समय के साथ, लोग अपनी मातृभाषा और संस्कृति को भी भूल जाते हैं। लेकिन मैंने देखा है...उड़िया समाज, चाहे जहां भी रहे, अपनी संस्कृति, अपनी भाषा...अपने पर्व-त्योहारों को लेकर हमेशा से बहुत उत्साहित रहा है। मातृभाषा और संस्कृति की शक्ति कैसे हमें अपनी जमीन से जोड़े रखती है...ये मैंने कुछ दिन पहले ही दक्षिण अमेरिका के देश गयाना में भी देखा। करीब दो सौ साल पहले भारत से सैकड़ों मजदूर गए...लेकिन वो अपने साथ रामचरित मानस ले गए...राम का नाम ले गए...इससे आज भी उनका नाता भारत भूमि से जुड़ा हुआ है। अपनी विरासत को इसी तरह सहेज कर रखते हुए जब विकास होता है...तो उसका लाभ हर किसी तक पहुंचता है। इसी तरह हम ओडिशा को भी नई ऊचाई पर पहुंचा सकते हैं।

साथियों,

आज के आधुनिक युग में हमें आधुनिक बदलावों को आत्मसात भी करना है, और अपनी जड़ों को भी मजबूत बनाना है। ओडिशा पर्व जैसे आयोजन इसका एक माध्यम बन सकते हैं। मैं चाहूँगा, आने वाले वर्षों में इस आयोजन का और ज्यादा विस्तार हो, ये पर्व केवल दिल्ली तक सीमित न रहे। ज्यादा से ज्यादा लोग इससे जुड़ें, स्कूल कॉलेजों का participation भी बढ़े, हमें इसके लिए प्रयास करने चाहिए। दिल्ली में बाकी राज्यों के लोग भी यहाँ आयें, ओडिशा को और करीबी से जानें, ये भी जरूरी है। मुझे भरोसा है, आने वाले समय में इस पर्व के रंग ओडिशा और देश के कोने-कोने तक पहुंचेंगे, ये जनभागीदारी का एक बहुत बड़ा प्रभावी मंच बनेगा। इसी भावना के साथ, मैं एक बार फिर आप सभी को बधाई देता हूं।

आप सबका बहुत-बहुत धन्यवाद।

जय जगन्नाथ!