চ্যান্সেলার ওলফ স্কোলজ এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর যৌথ সভাপতিত্বে আজ ভারত ও জার্মানির মধ্যে ষষ্ঠ পর্যায়ের আন্তঃসরকারি আলোচনা সম্পন্ন হয়। দুই নেতার পাশাপাশি মন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত দুটি প্রতিনিধি দল কথাও যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে।

ভারত যখন স্বাধীনতার ৭৫-তম বার্ষিকী উদযাপন করছে তখন জার্মানি ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা, অভিন্ন স্বার্থ, অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও মানবাধিকার তথা বিশ্বব্যাপি চ্যালেঞ্জের বহুপাক্ষিক মোকাবিলার মধ্যে প্রোথিত রয়েছে।

দুই দেশের সরকারই রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে এক কার্যকর আইন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রসংঘের সনদে উল্লিখিত আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিগুলির ওপর জোর দিয়েছে। একইসঙ্গে সমস্ত রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখন্ডতার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। দুই দেশই বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক মঞ্চের সংস্কার ও তাকে আরও শক্তিশালী করার উপর পুনরায় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

দুই নেতাই কোভিড-১৯ মহামারী থেকে অর্থ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারে নিজেদের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প বিস্তারের সময়ের তুলনায় অন্তত দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে রাখার ব্যাপারে অঙ্গীকার প্রকাশ করেছে। সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০৩০-এর মধ্যে যে সমস্ত বিষয় স্থির হয়েছে তা পুরণে উভয় দেশই প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী নিজেদের জাতীয় অঙ্গীকারের কথা আরও একবার বলেছে।

রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে আইনের শাসন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার গুরুত্বের ওপর দুই দেশই দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। ভারত ও জার্মানী এক কার্যকর ও সংস্কার সাধিত বহুপাক্ষিক মঞ্চের গুরুত্বের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র, বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা, গণতন্ত্রের প্রতি হুমকির মতো চ্যালেঞ্জগুলির প্রেক্ষিতে দুই দেশই বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে। আণবিক সরবরাহ গোষ্ঠীতে অবিলম্বে ভারতকে সামিল করার বিষয়েও জার্মানি তার সমর্থনের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে।

উভয় দেশই এক অবাধ, উন্মুক্ত ও সার্বিক ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। জার্মান সরকারের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কিত নীতি-নির্দেশিকার প্রাসঙ্গিকতা ভারত স্বীকার করে নিয়েছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে জার্মানির ক্রমবর্ধমান যোগাযোগ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে উল্লেখ করে উভয় পক্ষই গত জানুয়ারি মাসে মুম্বাইয়ে সেদেশের নৌবাহিনীর জাহাজ বায়ার্ণ-এর নোঙর করাকে স্বাগত জানিয়েছে। আগামী বছর জার্মানির একটি বন্দরেও ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজের নোঙর করার বিষয়টিকে সেদেশ স্বাগত জানিয়েছে।

ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে নিবিড় কৌশলগত সহযোগিতাকে ভারত ও জার্মানি স্বাগত জানিয়েছে। ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সুদৃঢ় করার বিষয়েও সহমত হয়েছে। ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে যোগাযোগ সম্পর্কিত অংশীদারিত্ব কার্যকর করার বিষয়েও উভয় পক্ষ অত্যন্ত আশাবাদী। এরফলে প্রযুক্তি ও নিরাপত্তাগত ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ দূর করা সম্ভব হবে।

উভয় পক্ষই আঞ্চলিক সংগঠন যেমন বিমস্টেক এবং জি২০-র মতো বহুপাক্ষিক মঞ্চে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে। ২০২৩-এ ভারতের নেতৃত্বে জি২০-র সভাপতিত্বের সময় সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করতে দুই দেশই অত্যন্ত আশাবাদী।

বর্তমানে জার্মানির নেতৃত্বে জি৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ভারত এবং জি৭-এর মধ্যে সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করার বিষয়েও উভয় পক্ষই সহমত হয়েছে। একইসঙ্গে শক্তিক্ষেত্রে রূপান্তরের লক্ষ্যে অন্য দেশের সরকারগুলির সঙ্গেও যৌথ কর্মসূচি গ্রহণে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে।

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর তরফে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অবৈধ এবং উস্কানিমূলক আগ্রাসনের পুনরায় কঠোর সমালোচনা করেছে জার্মানি। ইউক্রেনে বর্তমানে যে মানবিক সংকট চলছে তাতে ভারত ও জার্মানি দুই দেশই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উভয় দেশই ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের আশু প্রয়োজনীয়তার কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে। ভারত ও জার্মানি ইউক্রেনে সংঘর্ষের দরুণ অশান্ত পরিস্থিতি এবং সীমান্ত এলাকা তথা সারা বিশ্বে এর প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেছে। এই প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ইউক্রেনে চলতি সংকটের বিষয়ে ভারত ও জার্মানি উভয়ই নিজেদের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ বজায় রেখে চলবে।

আফগানিস্তানে মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান হিংসার ঘটনা তথা জঙ্গি হানার মতো বিষয়গুলিতেও দুই দেশ চিন্তা প্রকাশ করেছে। আফগানিস্তানে এক শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও স্থিতিশীল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দুই দেশই তাদের জোরালো সমর্থনের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছে। আফগানিস্তানবাসিকে মানবিক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। আফগানিস্তানের ভূখন্ড যাতে জঙ্গিদের নিরাপদ আস্তানা, প্রশিক্ষণের কেন্দ্র অথবা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদতের কেন্দ্র না হয়ে উঠে সে ব্যাপারেও দুই দেশ নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গীর কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে। আফগানিস্তানে পরিস্থিতি নিয়ে নিবিড় আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রাখার বিষয়েও ভারত ও জার্মানি সহমত হয়েছে।

দুই নেতাই সব ধরণের সন্ত্রাসবাদের কঠোর নিন্দা করেছেন। সেইসঙ্গে ছায়াযুদ্ধ ও সীমান্ত পারের সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আস্তানা ও পরিকাঠামো চিরতরে নির্মূল করতে দুই নেতাই সমস্ত দেশের প্রতি একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন কমিটির রীতি-নীতি অনুযায়ী উভয় নেতাই সমস্ত জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি ধর্মীয় মৌলবাদ দমনেও পারস্পরিক তথ্য বিনিময় অব্যাহত রাখতে দুই নেতা অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন।

অর্থ চোরাচালান এবং সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদত বন্ধ করতে উভয় নেতাই আন্তর্জাতিক আদর্শগুলি তুলে ধরার ওপর জোর দিয়েছেন।

দুই দেশের সরকার যৌথ সর্বাঙ্গীন কর্মপরিকল্পনার পূর্ণ রূপায়ণে তথা চলতি সমস্ত বোঝাপড়ার দ্রুত নিষ্পত্তিতে পৌঁছতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও নিবিড় করার লক্ষ্যে উভয় পক্ষই শ্রেণীবদ্ধ কিছু তথ্য বিনিময়ে চুক্তির জন্য বোঝাপড়া শুরু করার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছে। উভয় দেশই দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও নিবিড় করার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বিনিময় আরও সম্প্রসারিত করার বিষয়েও দুই দেশ সহমত হয়েছে।

দুই দেশের সরকার এই গ্রহের সুরক্ষায় নিজেদের যৌথ কর্তব্যের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে অভিন্ন, দীর্ঘস্থায়ী সর্বাঙ্গীন অগ্রগতির ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার ব্যাপারে আরও প্রয়াস গ্রহণে উদ্যোগী হয়েছে।

উভয় পক্ষই আন্তঃসরকারি আলাপ-আলোচনার কাঠামোর মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিবার্ষিক বৈঠক আয়োজনের বিষয়েও সহমত হয়েছে।

শক্তিক্ষেত্রে রূপান্তর, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, শহরাঞ্চলের ধারাবাহিক উন্নয়ন, পরিবেশ বান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা, চক্রাকার অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষিবিদ্যা, জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশের সুরক্ষা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সুদক্ষ ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে দুই দেশ একযোগে কাজ করবে বলে স্থির হয়েছে।

ভারত ও জার্মানির মধ্যে পরিবেশ বান্ধব ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই অনুযায়ী ভারত-জার্মান গ্রীন হাইড্রোজেন কর্মীগোষ্ঠীর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে। এছাড়াও সৌর বিদ্যুৎ ও অন্যান্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ ও প্রান্তিক কৃষকদের স্বার্থে প্রাকৃতিক সম্পদের সুদক্ষ ব্যবহার এবং কৃষিবিদ্যা সম্পর্কে সহযোগিতা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। লেহ্-হরিয়ানা গ্রীন এনার্জি করিডর বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে সহযোগিতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে। একইসঙ্গে অরণ্যের ভূ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা আরও নিবিড় করার কথা বলা হয়েছে।

ভারতের নীতি আয়োগ এবং সেদেশের বিএমজেড প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহরাঞ্চলীয় এসডিজি সূচক ও ড্যাশবোর্ড প্রণয়নে সহযোগিতা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল স্মার্ট সিটিজ নেটওয়ার্কের মধ্যে নগরোন্নয়ন সম্পর্কিত সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করার পাশাপাশি তা অব্যাহত রাখার বিষয়েও উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে শহরাঞ্চলীয় উন্নয়নের জন্য ভারত-জার্মান যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর নিয়মিত বৈঠক চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কৃষি, খাদ্য শিল্প ও গ্রাহক সুরক্ষা সম্পর্কিত যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর গঠনমূলক ভূমিকা পালনের কথা উভয় দেশই স্বীকার করে নিয়েছে। এই বিষয়গুলিতে বর্তমান সমঝোতাপত্রের ভিত্তিতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা এবং প্রত্যাশিত পরিণাম পাওয়ার বিষয়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

ভারতে শষ্যবীজ ক্ষেত্রে সফল ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোয় দুই দেশের সরকার প্রশংসা জানিয়েছে। ভারতের কৃষি বিপণন ব্যবস্থার মানোন্নয়নে গত বছর আগস্ট মাসে যে দ্বিতীয় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে সে কথাও উল্লেখ করা হয়।

উভয় পক্ষই বর্তমান সহযোগিতামূলক চুক্তির ভিত্তিতে খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও নিবিড় করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

কৃষিক্ষেত্রে ভারত-জার্মান উৎকর্ষ কেন্দ্র স্থাপনে জার্মান এগ্রি বিজনেস অ্যালায়েন্স এবং ভারতের কৃষি দক্ষতা পরিষদের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রকে উভয় পক্ষই স্বাগত জানিয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কৃষিকাজ ও খাদ্য সম্পর্কিত বিষয়ে প্রযুক্তি ও জ্ঞান আদান-প্রদানের লক্ষ্যে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সৌরজোট সম্পর্কে উভয় পক্ষই সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করতে একমত হয়েছে। সেইসঙ্গে ভারত ও জার্মানীর মধ্যে কৌশলগত অগ্রাধিকারের বিষয়গুলিতে সমন্বয় বজায় রাখার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য জোট গঠনের লক্ষ্যে উভয় পক্ষই বর্তমান সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করতে সম্মত হয়েছে।

উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের নিরিখে দুই দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াতেও উভয় দেশ একমত হয়েছে। আগামী বছর রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে জল সম্পদ নিয়ে যে সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে তারজন্য প্রস্তুতি গ্রহণে উভয় পক্ষই একে অপরের প্রশংসা করেছে।

বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থা এবং বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় উন্নয়নশীল দেশগুলির অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার গুরুত্বের কথা ভারত ও জার্মানী পুনরায় উল্লেখ করেছে। এই সংস্থার সংস্কারের ক্ষেত্রেও দুই দেশের সরকার নিজেদের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে।

ভারত ও জার্মানি বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার দেশ। এক অবাধ বাণিজ্য চুক্তির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতের মধ্যে আসন্ন বোঝাপড়ায় সহযোগিতার লক্ষ্যে উভয় দেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিশ্বব্যাপি কর্মসংস্থানে যে সংকট দেখা দিয়েছে তার প্রেক্ষিতে এক দীর্ঘস্থায়ী শ্রম নিবিড় বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার গুরুত্বের বিষয়টিতে উভয় পক্ষই জোর দিয়েছে। বিশ্ব শ্রম সংগঠনের ১৩৮ ও ১৮২-তম কনভেনশনে ভারতের পক্ষ থেকে যে সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, জার্মানি তাকে স্বাগত জানিয়েছে। দুই দেশ শিশু শ্রম এবং শ্রমদানে বাধ্য করার বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

দুই দেশ ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত, আর্থিক ও সামাজিক পরিবর্তনকে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। ডিজিটাল সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারত-জার্মান ডিজিটাল ডায়ালগ গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

কর আরোপ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষই গত বছরের ৮ই অক্টোবর বেস ইরোশন অ্যান্ড প্রফিট শিফ্টিং সম্পর্কিত সর্বাঙ্গীন কাঠামোয় পারস্পরিক সহমতের লক্ষ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশই তাকে স্বাগত জানিয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উভয় দেশ ভারত-জার্মান ফাস্ট ট্র্যাক মেকানিজমের সফল মডেল অব্যাহত রাখতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে।

দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রসারে দুই দেশই তাদের প্রস্তুতির কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে।

রেল ক্ষেত্রে জার্মানির সংস্থাগুলির কারিগরি দক্ষতার বিষয়টি ভারত স্বীকার করে নিয়েছে। দুই দেশই রেল সহযোগিতার ক্ষেত্রে নিজেদের আগ্রহের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে। ভারতীয় রেল ব্যবস্থাকে ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ কার্বন নিঃসরণ মুক্ত করে তুলতে উপযুক্ত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে।

গ্লোবাল প্রোজেক্ট কোয়ালিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ক্ষেত্রে ভারত-জার্মান কর্মী গোষ্ঠীর ভূমিকায় দুই দেশ একে অপরের প্রশংসা করেছে।

স্টার্টআপ ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও নিবিড় করতে উভয় দেশের সরকারই তাদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছে। এই লক্ষ্যে স্টার্টআপ ইন্ডিয়া এবং জার্মান অ্যাক্সেলেটর সংস্থার মধ্যে চলতি সহযোগিতায় দুই দেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

উভয় দেশ মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ সহ পড়ুয়া, শিক্ষাবীদ বিনিময়ের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানের করে তুলতেও উভয় পক্ষ একে অপরের প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছে।

শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতায় ভারত ও জার্মানি সন্তোষ প্রকাশ করে এই উদ্যোগকে আরও নিবিড় করতে সম্মত হয়েছে। ভারত সরকার স্টাডি ইন ইন্ডিয়া বা ভারতে পঠন-পাঠনের মতো কর্মসূচিগুলিতে জার্মানীর ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করার ওপর জোর দিয়েছে। উভয় দেশ কৌশলগত অনুসন্ধান ও উন্নয়ন মূলক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতার বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে।

বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ফেসিলিটি ফর অ্যান্টিপ্রোটোন অ্যান্ড আয়ন রিসার্চ ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে বাস্তবায়িত করতে দুই দেশ নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।

দক্ষ স্বাস্থ্য ও শুশ্রুষা কর্মীদের অভিবাসনের জন্য কেরালা সরকার এবং জার্মান ফেডারেল এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সির পক্ষ থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিকে দুই দেশের সরকার স্বাগত জানিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা ও সুস্বাস্থের বিষয়ে জার্মান সোস্যাল অ্যাক্সিডেন্ট ইনস্যুরেন্স এবং ভারতের ন্যাশনাল সেফ্টি কাউন্সিলের মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরকে দুই দেশ স্বাগত জানিয়েছে।

ভারত ও জার্মানির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়টিতে দুই দেশের সরকার সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

কোভিড-১৯ মহামারীর কঠিন পরিস্থিতি এখনও বিদ্যমান, একথা স্বীকার করে নিয়ে দুই দেশ চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ শৃঙ্খলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের বান্দায় বায়ো সেফ্টি লেভেল বা বিএসএল-৪ ল্যাবোরেটরি স্থাপনে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং সেদেশের রবার্ট-কচ ইন্সটিটিউটের মধ্যে যে সহযোগিতা গড়ে উঠেছে উভয় পক্ষই তাকে স্বাগত জানিয়েছে।

দুই দেশের সরকার চিকিৎসা সামগ্রী ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহযোগিতার লক্ষ্যে আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছে। এই লক্ষ্যে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কনট্রোল অর্গানাইজেশন এবং সেদেশের ফেডারেল ইন্সটিটিউট ফর ড্রাগস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।

ষষ্ঠ পর্যায়ে অন্তঃসরকারি আলোচনায় যে সমস্ত বিষয়ে কথা হয়েছে, তা নিয়ে দুই নেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ভারত-জার্মান কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সম্প্রসারিত ও নিবিড় করার বিষয়েও তারা নিজেদের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছেন। ষষ্ঠ আন্তঃসরকারি আলোচনায় যোগ দিতে যাওয়া ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে যে অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছে তারজন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী চ্যান্সেলার ওলফ স্কোলজ-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পরবর্তী আন্তঃসরকারি আলাপ-আলোচনা আয়োজনের জন্য ভারত অত্যন্ত আশাবাদী।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।