ফরাসী প্রেসিডেন্ট মি. ফ্রাঙ্ক এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত অংশীদারিত্বের ২৫তম বর্ষপূর্তিতে ফ্রান্সের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাকের মধ্যে এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের এক পরম বন্ধুর ভূমিকা পালন করে আসছে ফ্রান্স। আজ দুই নেতা তাঁদের বৈঠকে পারস্পরিক বোঝাপড়াকে মজবুত করার উপর জোর দেন। গত ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে দু-দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যে বোঝাপড়া রয়েছে, তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।
দুদেশের রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক বোঝাপড়ার সবচেয়ে বড় ভিত্তি হল পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে। আর্থিক ক্ষেত্রে আমাদের বোঝাপড়া দুদেশের সমৃদ্ধি ও সার্বভৌমত্বকে মজবুত করেছে।
দুই নেতাই পরিবেশবান্ধব শক্তি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সমুদ্র রক্ষা এবং পরিবেশদূষণ মোকাবিলার মতো ইস্যুগুলির ক্ষেত্রে বোঝাপড়ার উপর জোর দেন এবং ডিজিটাল, উদ্ভাবন ও স্টার্টআপকে নতুন অগ্রগতির ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেন।
শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে দু-দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার উপর জোর দেওয়া হয়। বর্তমানে অস্থির সময়ে আগের তুলনায় অংশীদারিত্বের অর্থ বদলে গেছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সুরক্ষা ও শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ, দূষণ মুক্ত শক্তি, খাদ্য সুরক্ষা, দারিদ্র এবং উন্নয়নের মতো বিষয়গুলি।
আজ আমরা আগামী ২৫ বছরের যাত্রাপথের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। যখন দেশের স্বাধীনতা শতবর্ষ উদযাপন করবো, তখন আমাদের কূটনৈতিক বোঝাপড়ারও শতবর্ষ পূর্ণ হবে।
আগামী ২৫ বছর আমাদের দু-দেশের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দু-দেশের মানুষের আরও ভালো ভবিষ্যতের জন্য বোঝাপড়া গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত কৌশলগত বোঝাপড়ার দিকনির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে।