The country was saddened by the insult to the Tricolour on the 26th of January in Delhi: PM Modi
India is undertaking the world’s biggest Covid Vaccine Programme: PM Modi
India has vaccinated over 30 lakh Corona Warriors: PM Modi
Made in India vaccine is, of course, a symbol of India’s self-reliance: PM Modi
India 75: I appeal to all countrymen, especially the young friends, to write about freedom fighters, incidents associated with freedom, says PM Modi
The best thing that I like in #MannKiBaat is that I get to learn and read a lot. In a way, indirectly, I get an opportunity to connect with you all: PM
Today, in India, many efforts are being made for road safety at the individual and collective level along with the Government: PM

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। যখন আমি ‘মন কি বাত’ বলি তখন এমন মনে হয়, যেন আপনাদের মাঝে, আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে উপস্থিত রয়েছি। আমাদের ছোট-ছোট কথা, যা একে-অন্যকে কিছু শিখিয়ে যায়, জীবনের টক-মিষ্টি অভিজ্ঞতা যা প্রাণ ভরে জীবন যাপনের প্রেরণা হয়ে ওঠে – এটাই তো ‘মন কি বাত’। আজ, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিন। আপনারাও কি আমার মতই এটা ভাবছেন যে কিছু দিন আগেই তো ২০২১ সাল শুরু হল। মনেই হয় না যে পুরো জানুয়ারি মাস কেটে গেল – একেই তো বলে সময়ের গতি। কয়েকটা দিন আগের কথাই তো মনে হয় যখন আমরা একে অপরকে শুভকামনা জানাচ্ছিলাম, আবার আমরা ‘লোহরী’ পালন করলাম, মকর সংক্রান্তি পালন করলাম, পোঙ্গল, বিহু পালন করলাম। দেশের ভিন্ন ভিন্ন অংশে উৎসবের ধুম পড়ে গিয়েছিল। ২৩শে জানুয়ারি আমরা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন ‘পরাক্রম দিবস’ হিসাবে পালন করলাম, আর ২৬শে জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র দিবসের’ চমকপ্রদ প্যারেডও দেখেছি। সংসদের সংযুক্ত অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের ভাষণের পর ‘বাজেট অধিবেশনও’ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সব কিছুর মধ্যে আরও একটা কাজ হল যার জন্য আমরা সবাই অপেক্ষা করে থাকি – এটা হল পদ্ম সম্মানের ঘোষণা। অসাধারণ কর্মের নিদর্শন রাখা ব্যক্তিদের রাষ্ট্র সম্মানিত করেছে তাঁদের কীর্তি আর মানবতার জন্য অবদানের কারণে। এই বছরও সম্মান প্রাপকদের মধ্যে সেই সব মানুষ রয়েছেন, যাঁরা, ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্যসাধারণ কাজ করেছেন, নিজেদের কর্মের মাধ্যমে কারও জীবন বদলে দিয়েছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ মাটির কাছে থেকে কাজ করা নীরবে লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যারা কাজ করেন, তাঁদের পদ্ম সম্মান দেওয়ার যে পরম্পরা দেশ শুরু করেছিল কয়েক বছর আগে, সেটা, এই বছরও বজায় রাখা হয়েছে। আপনাদের সবার কাছে আমার অনুরোধ, যে, এই সব মানুষদের সম্পর্কে, তাঁদের অবদান সম্পর্কে অবশ্যই জানুন, পরিবারের মধ্যে তাঁদের সম্পর্কে আলোচনা করুন। দেখবেন, সবাই কীভাবে এতে প্রেরণা পান।      

            এই মাসে, ক্রিকেট পিচ থেকেও খুব ভালো খবর এসেছে। আমাদের ক্রিকেট টিম প্রারম্ভিক সমস্যার পর, চমকপ্রaদ প্রত্যাবর্তন করে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতেছে। আমাদের খেলোয়াড়দের কঠিন পরিশ্রম আর দলগত সংহতি প্রেরণা দেওয়ার মত। এই সবকিছুর মধ্যে, দিল্লিতে, ২৬শে জানুয়ারি তেরঙ্গার অপমান দেখে, দেশ খুব দুঃখও পেয়েছে। আগামী সময়কে আমাদের নতুন আশা আর নতুনত্বের ছোঁয়ায় ভরিয়ে তুলতে হবে। আমরা গত বছর অসাধারণ সংযম আর সাহসের পরিচয় দিয়েছি। এই বছরও আমাদের কঠিন পরিশ্রম করে নিজেদের প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করতে হবে। নিজেদের দেশকে, আরও দ্রুত গতিতে, এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

         আমার প্রিয় দেশবাসী, এই বছর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের প্রায় এক বছর পূর্ণ হয়ে গেল। যেমনভাবে করোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই এক দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে, তেমনই, আমাদের টিকাকরণ কর্মসূচীও পৃথিবীতে এক দৃষ্টান্তে পরিণত হচ্ছে। আজ ভারত পৃথিবীর সবথেকে বড় কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচী চালাচ্ছে। জানেন কি আপনারা, আরও গর্বের বিষয় কী? আমরা সবথেকে বড় টিকাকরণ কর্মসূচীর সঙ্গে পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে দ্রুত গতিতে নিজেদের নাগরিকদের টিকাও দিচ্ছি। কেবল পনেরো দিনে, ভারত, নিজের তিরিশ লক্ষেরও বেশি করোনা যোদ্ধার টিকাকরণ করেছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত সমৃদ্ধ দেশেরও এই কাজে আঠেরো দিন লেগেছিল আর ব্রিটেনের লেগেছিল ছত্রিশ দিন।       

      বন্ধুরা, মেড ইন ইণ্ডিয়া টিকা আজ ভারতের আত্মনির্ভরতার প্রতীক তো বটেই, ভারতের আত্মগৌরবের প্রতীকও বটে। ‘নমো অ্যাপে’ ইউ পি থেকে হিমাংশু যাদব লিখেছেন ‘মেড ইন ইণ্ডিয়া’ টিকা দেখে মনে এক নতুন আত্মবিশ্বাস এসে গিয়েছে। মাদুরাই থেকে কীর্তি জি লিখছেন যে ওঁর অনেক বিদেশি বন্ধু মেসেজ পাঠিয়ে ভারতের প্রতি ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। কীর্তি জির বন্ধুরা ওঁকে লিখেছেন যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত যেভাবে দুনিয়াকে সাহায্য করেছে তাতে তাদের মনে ভারতের প্রতি সম্মান আরও বেড়ে গিয়েছে। কীর্তি জি, দেশের এই গৌরবগাঁথা শুনে, ‘মন কি বাতের’ শ্রোতাদেরও গর্ব হচ্ছে। আজকাল আমিও ভিন্ন ভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি আর প্রধানমন্ত্রীদের কাছে থেকে ভারতের জন্য এমন বার্তা পাচ্ছি। আপনারাও দেখেছেন যে, সম্প্রতি, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি ট্যুইট করে যেভাবে ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, সেটা দেখে প্রত্যেক ভারতবাসীর কতটা ভালো লেগেছে। হাজার-হাজার  কিলোমিটার দূরে, দুনিয়ার দূর-সুদূর প্রান্তের অধিবাসীদের রামায়ণের সেই প্রসঙ্গ সম্পর্কে এতটা জ্ঞান রয়েছে, তাদের মনে এত গভীর ছাপ রয়েছে – এটা আমাদের সংস্কৃতির বিশিষ্টতা।

    বন্ধুরা, এই টিকাকরণ কর্মসূচীতে আরও একটা বিষয়ের প্রতি আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন। সঙ্কটের সময় ভারত দুনিয়ার সেবা এই কারণে করতে পারছে কারণ ভারত আজ ওষুধ এবং টিকার ক্ষেত্রে সক্ষম, আত্মনির্ভর। এই ভাবনা আত্মনির্ভর ভারত অভিযানেরও অন্তর্ভুক্ত। ভারত যত সক্ষম হবে ততই বেশি মানবতার সেবা করবে, ততই বেশি লাভ হবে দুনিয়ার।  

        আমার প্রিয় দেশবাসী, প্রত্যেকবার আপনাদের কাছ থেকে অনেক চিঠি পাই। নমো অ্যাপ এবং মাই গভ-এ মেসেজ, ফোন কলের মাধ্যমে আপনাদের কথা জানার সুযোগ পাই। এই এতো বার্তার মধ্যে একটি আমার বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। এই বার্তাটি হল প্রিয়াঙ্কা পাণ্ডের। তেইশ বছরের প্রিয়াঙ্কা হিন্দী সাহিত্যের ছাত্রী এবং বিহারের সিওয়ানের বাসিন্দা। প্রিয়াঙ্কা নমো অ্যাপ এ লিখেছেন যে দেশের পনেরোটি পর্যটনস্থলে যাওয়ার ব্যাপারে আমার পরামর্শে উনি খুব অনুপ্রাণিত হয়েছেন,  তাই উনি পয়লা জানুয়ারী একটি বিশেষ জায়গার জন্য রওনা দেন। সেই জায়গাটা হল ওঁর ঘর থেকে পনেরো কিলোমিটার দূরে, দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদের পৈত্রিক নিবাস। প্রিয়াঙ্কাজী খুব সুন্দর কথা লিখেছেন যে নিজের দেশের মহান ব্যক্তিত্বদের জানার লক্ষ্যে এটি ওঁর প্রথম পদক্ষেপ। প্রিয়াঙ্কাজী ওখানে ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদের লেখা বই, অনেক ঐতিহাসিক ছবির সন্ধান পান। প্রিয়াঙ্কাজী, আপনার এই অভিজ্ঞতা অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবে।              

    বন্ধুরা, এই বছর থেকে ভারত স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরের সমারোহ – অমৃত মহোৎসব আরম্ভ করবে। যে সব মহানায়কদের  জন্য দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে, তাঁদের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় জায়গাগুলির সন্ধান করা, সেগুলি সম্পর্কে জানার এই উপযুক্ত সময়।           

    বন্ধুরা, আমরা স্বাধীনতার আন্দোলন এবং বিহারের কথা বলছিলাম এবং এই প্রসঙ্গে আমি নমো অ্যাপে চর্চিত আর একটি বিষয়ের উল্লেখ করতে চাই। মুঙ্গেরবাসী জয়রাম বিপ্লব  আমাকে তারাপুর শহীদ দিবস সম্পর্কে লিখে পাঠিয়েছেন। পনেরোই ফেব্রুয়ারী, ১৯৩২ তে, দেশভক্তদের একটি  দলের বহু বীর নবযুবককে ইংরেজরা অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করে। ওঁদের একমাত্র অপরাধ ছিল তাঁরা “বন্দে মাতরম” এবং “ভারত মাতার জয়” স্লোগান দিচ্ছিলেন। আমি সেই বীর শহীদদের প্রণাম জানাচ্ছি এবং তাদের সাহসকে শ্রদ্ধাপূর্বক স্মরণ করছি। এই বিষয়টি সকলের সামনে নিয়ে আসার জন্য আমি জয়রাম বিপ্লব জীকে ধন্যবাদ জানাই। এটি এমন একটি বিষয় যার সম্পর্কে কখনও যথাযথ আলোচনা হয়নি।                       

    আমার প্রিয় দেশবাসী, ভারতের সব জায়গায়, সব মফস্বল এবং গ্রামে স্বাধীনতার লড়াই সমস্ত শক্তি দিয়ে লড়া হয়েছিল। ভারতের প্রত্যেক অঞ্চলে এমন মহান পুত্র ও বীরাঙ্গনাদের জন্ম হয়েছে যাঁরা রাষ্ট্রের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমাদের উচিৎ তাঁদের সংগ্রাম এবং তার সঙ্গে  সম্পৃক্ত স্মৃতিগুলি যথাযথ সম্মানের সঙ্গে বাঁচিয়ে রাখা, এই বিষয়গুলি আগামী প্রজন্মের জন্য লিপিবদ্ধ  করে রাখা, যাতে তাঁদের স্মৃতি অমলিন থাকে। আমি সমস্ত দেশবাসীকে, বিশেষ করে আমার যুব  বন্ধুদের আহ্বান জানাই যে তাঁরা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্পর্কে, স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত ঘটনাগুলি সম্পর্কে লিখুন। নিজেদের অঞ্চলে স্বাধীনতার সময়ের শৌর্য, বীর্যের গাথা নিয়ে বই লিখুক।  ভারত যখন স্বাধীনতার পঁচাত্তরতম বর্ষপূর্তি উদযাপন করবে তখন আপনাদের লেখাগুলি  সেই সব বীর নায়কদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হবে। ‘ইন্ডিয়া ৭৫’ উপলক্ষে তরুণ লেখকদের জন্য একটি   বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সমস্ত রাজ্যের এবং সব ভাষার যুব লেখকরা উৎসাহ পাবেন। দেশে এমন বহু লেখক তৈরি হবে যাঁদের ভারতীয় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীর পড়াশোনা থাকবে, জ্ঞান থাকবে। আমাদের এরকম উঠতি প্রতিভাদের সম্পুর্ন সহযোগিতা করা উচিৎ। এর ফলে ভবিষ্যৎ এর দিকনির্ধারন করার জন্য ‘থট লিডার’দের একটি দল তৈরি হবে। আমি আমাদের যুব বন্ধুদের এই উদ্যগের অংশীদার হওয়ার এবং নিজেদের সাহিত্যিক প্রতিভার প্রয়োগ করার আমন্ত্রন জানাই। এই সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন শিক্ষা মন্ত্রকের ওয়েব সাইট থেকে।          

        আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে, শ্রোতাদের কী ভাল লাগে তা আপনারাই ভাল জানেন। কিন্তু আমার ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে সব চেয়ে ভাল লাগে যে আমি অনেক কিছু জানতে পারি, শিখতে পারি, পড়তে পারি। পরোক্ষভাবে আপনাদের সকলের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ মেলে। কারো কোনও বিশেষ উদ্যোগ, কারো দেশের জন্য করা কোন বিশেষ কাজ, তাদের প্রাণশক্তি – এই সব আমাকে খুবই অনুপ্রাণিত করে, উজ্জীবিত করে।

       হায়দ্রাবাদের বইনপল্লীতে এক স্থানীয় সব্জি বাজার কিভাবে তাদের দ্বায়িত্বপালন করছে সেটা পড়ে আমার খুব ভাল লেগেছে। আমরা দেখেছি, নানা কারণে সব্জি বাজারে অনেক সব্জি নষ্ট হয়। এই সব পচা সব্জি এদিক ওদিক পড়ে থাকে, ময়লা ছড়ায়। কিন্তু বইনপল্লীতে সব্জি বাজারের সকলে সিদ্ধান্ত নেয় যে রোজ যে সব্জিগুলি বেঁচে যাবে সেগুলি এভাবে শুধু শুধু ফেলা হবে না।                            সমস্ত বাজারের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। নষ্ট হয়ে যাওয়া সবজি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে আপনারা হয়তো কখনো শুনে থাকতে পারেন। এটাই তো উদ্ভাবনের শক্তি। বইনপল্লীর বাজারে আগে যা নষ্ট হত তা থেকেই আজ সম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে। এটাই তো আবর্জনা থেকে সোনা তৈরীর যাত্রা। ওখানে প্রতিদিন প্রায় ১০ টন বর্জ্য পদার্থ সংগৃহীত হয়। তাকে একটি প্ল্যান্টে একত্রিত করা হয়। প্ল্যান্টের ভেতরে প্রতিদিন এই বর্জ্য থেকে ৫০০ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, আর প্রায় ৩০ কিলো জৈব জ্বালানীও তৈরী হয়। এই বিদ্যুতেই সবজি বাজার আলোকিত হয়়, আর যে জৈব জ্বালানী তৈরী হয় তা দিয়ে বাজারের ক্যান্টিনে খাবার প্রস্তুত করা হয়। বলুন তো, এ এক আশ্চর্য প্রয়াস না! এমনই আরেকটি অভাবনীয় কাজ হরিয়ানার পঞ্চকুলার বড়োত গ্রাম পঞ্চায়েতও করে দেখিয়েছে। এই পঞ্চায়েতের জমিতে জল নিকাশির সমস্যা ছিল। তার ফলে নোংরা জল এখানে সেখানে জমে থাকত, রোগ ছড়াত। কিন্তু বড়োতের অধিবাসীরা ঠিক করলেন এই বর্জ্য জল থেকেই সম্পদ সৃষ্টি করবেন। গ্রাম পঞ্চায়েত পুরো গ্রাম থেকে আসা নোংরা জলকে এক জায়গায় একত্রিত করে ফিল্টার করতে শুরু করলেন, এবং ফিল্টার করা এই জল এখন গ্রামের কৃষকরা ক্ষেতে সেচের জন্য ব্যবহার করছেন। অর্থাৎ দূষণ, আবর্জনা এবং রোগ থেকে মুক্তিও হচ্ছে, আবার ক্ষেতের জলসেচও।         

            বন্ধুরা, পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে কিভাবে উপার্জনের রাস্তা খুলে যায় তার একটি উদাহরণ অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়েও দেখার সুযোগ হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশের এই পাহাড়ি এলাকায় বহু শতাব্দী ধরেই "মন শুগু" নামের একটি কাগজ তৈরি করা হয়। এই কাগজ এখানকার স্থানীয় শুগু শেং নামের একটি গাছের ছাল থেকে বানানো হয়, তাই এই কাগজ তৈরি করার জন্য গাছ কাটতে হয় না। এছাড়া এটি বানাতে কোন কেমিক্যালও ব্যবহৃত হয় না। অর্থাৎ এই কাগজ পরিবেশ ও স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই নিরাপদ। এমনও একটা সময় ছিল যখন এই কাগজ রফতানি হতো, কিন্তু যখন আধুনিক প্রযুক্তিতে বহুল পরিমাণে কাগজের উৎপাদন শুরু হল তখন এই স্থানীয় শিল্প অবলুপ্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল। এখন এক স্থানীয় সামাজিক উদ্যোক্তা গোম্বু এই শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়াস করেছেন। এর ফলে এখানকার আদিবাসী ভাই-বোনেদের উপার্জনও হচ্ছে। আমি কেরলেরও একটি খবর দেখেছি যা আমাদের সবার নিজস্ব দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে। কেরলের কোট্টায়ামের এক ভিন্ন ভাবে সক্ষম প্রবীণ – এন এস রাজাপ্পান সাহেব। রাজাপ্পানজি প্যারালাইসিস এর জন্যে চলাফেরায় অসমর্থ। কিন্তু এতে  স্বচ্ছতার প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার কোন খামতি হয়নি। তিনি বিগত কয়েক বছর ধরে  নৌকা করে ভেম্বানাদ ঝিলে যান এবং ঝিলে ফেলা প্লাস্টিকের বোতল বার করে আনেন। ভাবুন রাজাপ্পানজির চিন্তাভাবনা কতটা মহৎ। আমাদেরও রাজাপ্পানজির থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বচ্ছতার জন্যে যেখানে যেখানে সম্ভব, সেই সব জায়গায় অংশগ্রহণ করা উচিত।

        আমার প্রিয় দেশবাসী, কিছুদিন আগে আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো থেকে বেঙ্গালুরুর জন্য একটি নন স্টপ ফ্লাইটের কমান্ড ভারতের চার মহিলা পাইলট সামলেছেন। দশ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সফর অতিক্রম করে এই ফ্লাইট সোয়া দু'শোর বেশি যাত্রীদের ভারতে নিয়ে এসেছে। আপনারা এবার ২৬ শে জানুয়ারির প্যারেডেও নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, যেখানে ভারতীয় বায়ুসেনার দুই মহিলা অফিসার নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন। ক্ষেত্র যাই হোক দেশের নারীদের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে, কিন্তু প্রায়শই আমরা দেখে থাকি, দেশের গ্রামে গ্রামে ঘটে চলা এই ধরনের পরিবর্তনের বিষয়ে তেমন চর্চা হয় না। তাই যখন আমি মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের একটি খবর দেখলাম তখন আমার মনে হল যে এর উল্লেখ তো ‘মন কি বাতে’ আমার অবশ্যই করা উচিত। এই খবর  অনেকের মধ্যে অনুপ্রেরণা যোগাবে। জবলপুরের চিচগাঁওতে কিছু আদিবাসী মহিলা একটি রাইস মিলে দৈনিক মজুরিতে কাজ করতেন। বিশ্বজুড়ে করোনা  মহামারী যেভাবে পৃথিবীর সব মানুষকে প্রভাবিত করেছে সেই ভাবেই এই মহিলারাও প্রভাবিত হয়েছিলেন। তাদের চাল কলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এটা স্বাভাবিক যে তার ফলে উপার্জনের সমস্যা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তারা নিরাশ হননি। তারা হার মানেননি।   তাঁরা ঠিক করলেন একসঙ্গে মিলে  তাঁরা নিজেদের জন্য একটি চাল কল চালু করবেন। যে মিলে তাঁরা কাজ করতেন তারা তাদের মেশিনও বিক্রি করতে চাইছিল। এদের মধ্যে মিনা রাহংগডালে জি সব মহিলাদের একত্রিত করে "স্বয়ং সহায়তা সমূহ" প্রতিষ্ঠা করলেন এবং সবাই নিজেদের সঞ্চিত পুঁজি দিয়ে পয়সা যোগাড় করলেন।       

 

 

 

যে টুকু অর্থের অভাব হয়েছিল "আজীবিকা মিশন" এর মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেললেন, আর এখন দেখুন এই জনজাতি বোনেরা আজ সেই চাল কল কিনে ফেললেন।   যেখানে তাঁরা একসময়ে কিছু কাজ করতেন। আজ তাঁরা নিজেদের চাল কল চালাচ্ছেন। এতোদিনে এই মিল প্রায় তিন লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করেছে। এই মুনাফা দিয়ে মিনা জী ও তাঁর সহযোগিরা প্রথমে ব্যাংকের ঋণ শোধ করেছেন এবং নিজেদের ব্যবসা বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। করোনা যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল তাকে মোকাবিলা করতে দেশের আনাচে-কানাচে এধরনের কর্মকান্ড ঘটেছে।         
            আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি যদি আপনাদের বুন্দেলখন্ডের কথা বলি কোন কথা আপনাদের আপনাদের মনে পড়বে?  ইতিহাসের চর্চা যাঁরা করেন এ ক্ষেত্রে ঝাঁসির রাণী লক্ষ্মীবাই এর কথা বলবেন। আবার অনেকে সুন্দর ও শান্ত ওর্ছার কথা  ভাববেন। অনেকের এই অঞ্চলের অত্যধিক গরমের কথাও মনে পড়বে, কিন্তু এখন এখানে এমন কিছু অভিনব ঘটছে যা খুবই উৎসাহ ব্যঞ্জক এবং যার সম্বন্ধে আমাদের অবশ্যই জানা উচিৎ। কিছু দিন আগে ঝাঁসিতে মাসব্যাপী স্ট্রবেরী উৎসব শুরু হয়েছিল। যে কেউ অবাক হয়ে       ভাববেন স্ট্রবেরী আর বুন্দেলখণ্ড! কিন্তু এটাই সত্যি। এখন বুন্দেলখণ্ডে স্ট্রবেরী  খামার নিয়ে উৎসাহ বাড়ছে, আর এই উদ্যোগে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন ঝাঁসির এক কন্যা গুরলিন চাওলা। আইনের ছাত্রী গুরলিন প্রথমে নিজের বাড়িতে এবং ক্ষেতে সফলভাবে স্ট্রবেরী -র চাষ করে ঝাঁসিতেও যে স্ট্রবেরী চাষ হতে পারে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করেছেন। ঝাঁসির স্ট্রবেরী উৎসব, বাড়ি থেকে কাজ করার  ওপর জোর দেয়।এই মহোৎসবের মাধ্যমে কৃষক ও যুবদের নিজেদের বাড়ির পেছনে কি ছাদে টেরেস গার্ডেনে বাগান করার ও সেখানে স্ট্রবেরী চাষের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে  দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যে স্ট্রবেরী  এক সময় পাহাড়ের ফল হিসেবে পরিচিত ছিল আজ কচ্ছ- এর মতো রুক্ষ জমিতেও তার চাষ হচ্ছে এবং কৃষকদের আয়   বাড়ছে।          
         বন্ধুরা,  স্ট্রবেরী উৎসব  মতো চিন্তাভাবনা উদ্ভাবনের এর মানসিকতা প্রদর্শন তো করছে,  আবার আমাদের কৃষি ক্ষেত্রে যে নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ হচ্ছে তারও  জানান দিচ্ছে।  বন্ধুরা,  চাষবাস আধুনিক করার জন্য সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং অনেক পদক্ষেপও নিচ্ছে। সরকারের এই প্রয়াস আগামী দিনেও চালু থাকবে।
          আমার প্রিয় দেশবাসী! কিছুদিন আগে আমি একটা ভিডিও দেখেছি। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা গ্রামের এক চিত্রকর সরমুদ্দিনের ভিডিও ছিল। তিনি আনন্দের সঙ্গে বলছিলেন রামায়ণ নির্ভর ওঁর পেইন্টিং দুলাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এতে তাঁর  গ্রামবাসীদেরও আনন্দ হয়েছে। এই ভিডিও দেখার পর এই বিষয়ে আমার জানার আগ্রহ হয়েছে। এই ভাবে পশ্চিমবঙ্গের একটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগের বিষয়ে জানতে পারি যা  আমি আপনাদেরকে অবশ্যই জানাতে চাই। পর্যটন মন্ত্রকের আঞ্চলিক দপ্তর মাসের শুরুতে বাংলার গ্রামে একটি   অতুল্য ভারত, সপ্তাহান্ত গেটওয়ে-র শুরু করেছে। এখানে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূ্‌ম, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমানের হস্তশিল্পীরা বেড়াতে আসা মানুষদের জন্য হ্যান্ডিক্র‍্যাফট  ওয়ার্কশপ আয়োজন করেছিলেন। আমি এও জেনেছি অতুল্য ভারত, সপ্তাহান্ত গেটওয়ের সময় হস্তশিল্পের যে সব সামগ্রী  যে বিক্রি হয়েছে, তাতে হস্তশিল্পীরা যথেষ্ট উৎসাহিত হয়েছেন। সারা দেশের মানুষেরা নতুন নতুন পদ্ধতিতে আমাদের শিল্পকলা  জনপ্রিয় করে তুলছেন। ওড়িষার রাউরকেল্লার ভাগ্যশ্রী সাহু কে দেখুন। এমনিতে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং-  এর ছাত্রী ছিলেন কিন্তু কিছুদিন তিনি পটচিত্র আঁকা শিখতে শুরু করেন এবং সাফল্য লাভ করেন।  কিন্তু আপনারা কি জানেন, তিনি তাঁর পেইন্টিং কোথায় এঁকেছেন ౼সফট স্টোন্সে! সফট স্টোন্স এর ওপর। কলেজ যাতায়াতের পথে ভাগ্যশ্রীর যে সফট স্টোন্স পেয়েছিলেন সেগুলো যোগাড় করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করেছিলেন। তারপর দিনে দু’ ঘন্টা এই পাথরের ওপর পটচিত্র স্টাইলে পেইন্টিং করেছেন। উনি এই পাথরে পেইন্ট করে বন্ধুদের গিফট দিতে শুরু করেন। লকডাউনের সময় তিনি বোতলের ওপরেও পেইন্টিং করতে থাকলেন। এখন তো তিনি এই স্কিল্পের কর্মশালাও আয়োজন করছেন। কিছুদিন আগে সুভাষবাবুর জন্মদিনে ভাগ্যশ্রী পাথরের ওপর এঁকে তাঁকে ব্যতিক্রমী শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন। তাঁর আগামী সাফল্যের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর্ট এন্ড কালার্স এর মাধ্যমে অনেক নতুন কিছু শেখা যায়, করা যায়। ঝাড়খন্ডের দুমকায় এই ধরনের এক সুন্দর প্রয়াসের কথা আমাকে বলা হয়েছে। সেখানে মিডল স্কুলের এক প্রিন্সিপ্যাল  বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য ও শেখানোর জন্য গ্রামের দেওয়ালে ইংরেজি এবং হিন্দি অক্ষর এঁকে দিয়েছেন, তারসঙ্গে আলাদা আলাদা ছবিও এঁকে দিয়েছেন। এর ফলে গ্রামের বাচ্চাদের অত্যন্ত সুবিধা হয়েছে। আমি এমন সব মানুষদের অভিনন্দন জানাচ্ছি, যাঁরা এই ধরনের চেষ্টায় যুক্ত আছেন।       

            আমার প্রিয় দেশবাসী, ভারত থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে, অনেক মহাসাগরের পারে একটি দেশ আছে, যার নাম চিলি, ভারত থেকে চিলি পৌঁছতে অনেক বেশি সময় লাগে। কিন্তু ভারতীয় সংস্কৃতির সুগন্ধ, ওখানে অনেক আগের থেকেই ছড়িয়ে আছে। আরেকটি বিশেষ কথা হল, ওখানে যোগ অনেক জনপ্রিয়। আপনাদের এটা জেনে ভালো লাগবে যে চিলির এ রাজধানী স্যান্টিয়াগোতে ৩০ এর থেকেও  বেশি যোগ বিদ্যালয় আছে।  চিলিতে  আন্তর্জাতিক যোগ দিবসও খুব উৎসাহের সঙ্গে পালন করা হয়। আমাকে বলা হয়েছে যে, হাউজ অফ ডেপুটিসে যোগ দিবস নিয়ে অনেক উৎসাহ ভরা পরিবেশের সৃষ্টি হয়। করোনার এই সময়ে  রোগ প্রতিরোধের  উপর জোর দিতে এবং রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে যোগের  উপযোগিতা দেখে, এখন তাঁরাও যোগকে আগের থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। চিলির কংগ্রেস, অর্থাৎ ওখানকার সংসদও এক প্রস্তাব পাস করেছেন।  ওখানে চৌঠা নভেম্বর জাতীয় যোগ দিবস  ঘোষণা করা হয়েছে। এখন আপনারা এটা ভাবতে পারেন যে  চৌঠা নভেম্বরে এমন কি আছে? চৌঠা নভেম্বর ১৯৬২ তে চিলির "হোজে রাফাল এস্ট্রাডা" সেই দেশে প্রথম যোগ সংস্থা স্থা্পন করেন। এই দিনেই জাতীয় যোগ দিবস ঘোষণা করে  এস্ট্রাডা জিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে। চিলির সংসদের  পক্ষ একটা বিশেষ সম্মান,  যার জন্য প্রত্যেক ভারতীয় গর্ববোধ করেন। আসলে চিলির সংসদের সঙ্গে যুক্ত একটা আরো কথা আপনার ভালো লাগবে। চিলির সেনেটের  ভাইস প্রেসিডেন্ট এর নাম রবীন্দ্রনাথ কুইয়েন্টেরাস। ওঁর এই নাম বিশ্বকবি গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের প্রেরণায় রাখা হয়েছে।                        

          আমার প্রিয় দেশবাসী, মাই গভ- এর উপর মহারাষ্ট্রের জালনার ডাক্তার স্বপ্নীল মন্ত্রী,  আর কেরালার পলক্কড়ে প্রহ্লাদ রাজগোপালনও অনুরোধ করেছেন যে আমি 'মন কি বাত' এ পথসুরক্ষা নিয়েও আপনাদের সঙ্গে কথা বলি। এই মাসে ১৮ ই জানুয়ারি থেকে ১৭  ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমাদের দেশ 'পথ নিরাপত্তা মাস' অর্থাৎ রোড সেফটি মান্থ হিসেবে পালন করছে। পথ দুর্ঘটনা আজ শুধু আমাদের দেশেই নয় পুরো বিশ্বেই এক দুশ্চিন্তার বিষয়।  আজ ভারতে রোড সেফটি বা পথ সুরক্ষার জন্য সরকারের সঙ্গে ব্যক্তিগত এবং সমষ্টিগত স্তরে অনেক রকমের চেষ্টা করা হচ্ছে। জীবন বাঁচানোর এই চেষ্টায় আমাদের আমাদের সকলেরই সক্রিয় অংশ নেওয়া উচিত। বন্ধুরা, আপনারা লক্ষ্য করে থাকবেন, বর্ডার রোড অরগানাইজেশন, যে রাস্তা তৈরি করে, সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় আপনি অনেক  নতুন ধরণের স্লোগান দেখতে পাবেন। 'দিস ইজ হাইওয়ে নট রানওয়ে ' অথবা  ' বি মিস্টার লেট দ্যান লেট মিস্টার '। এই শ্লোগানগুলো পথ সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে যথেষ্ট  প্রভাবশালী। এখন আপনারাও এমনই আকর্ষণীয় স্লোগান অথবা ক্যাচ ফ্রেজ, মাই গভে পাঠাতে পারেন, আপনার ভালো স্লোগানগুলো এই অভিযানে ব্যবহার করা হবে। পথ নিরাপত্তা নিয়ে আমি নমো অ্যাপে কলকাতার অপর্না দাসের একটা পোস্টের আলোচনা করতে  চাই। অপর্ণা জীও আমাকে 'ফাস্ট্যাগ’ কর্মসূচী   নিয়ে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন। ওঁর বক্তব্য হলো 'ফাস্ট্যাগ’  এ যাত্রার অভিজ্ঞতাই বদলে গেছে। এতে সময়ও বেঁচে যায়, টোল প্লাজায়  দাঁড়ানো, ক্যাশ পেমেন্ট করার ঝামেলা মিটে যায়। অপর্ণা জীর কথাই ঠিক। আগে আমাদের এখানে টোল প্লাজায় এক একটি   গাড়িতে ৭ থেকে ৮ মিনিট লেগে যেত, কিন্তু  'ফাস্ট্যাগ' আসার পর এখন এই সময় মাত্র দেড় দুই মিনিটে দাঁড়িয়েছে। টোল প্লাজাতে অপেক্ষার সময়  কম হওয়ার জন্যে  গাড়ির জ্বালানীরও সাশ্রয় হচ্ছে। এতে দেশবাসীর প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।  অর্থাৎ পয়সার সাশ্রয় আর সময়েরও সাশ্রয়। আপনাদের সবার কাছে আমার আবেদন, সবাই দিকনির্দেশগুলি পালন করুন, নিজেদের খেয়াল রাখুন, আর অন্যদেরও জীবন বাঁচান।              

           আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের এখানে বলা হয়- 'জলবিন্দু নিপাতেন ক্রমশ পূর্যতে ঘটঃ'। অর্থাৎ এক এক বিন্দুতেই কলসি ভরে ওঠে।  আমাদের প্রতিনিয়ত চেষ্টাতেই সংকল্প সিদ্ধ হয়। এই কারণে, ২০২১ এর শুরু যে লক্ষ্যের সাথে আমরা করেছি, সেটা সবাই মিলেই পূর্ণ করতে হবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই বছর কে সার্থক করার জন্য নিজের নিজের পা বাড়াই। আপনারা আপনাদের বার্তা, নিজের আইডিয়াগুলিও পাঠাতে থাকুন। সামনের মাসে আমাদের আবার দেখা হবে।   ইতি- বিদা পুনর্মিলনায়।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Cabinet approves minimum support price for Copra for the 2025 season

Media Coverage

Cabinet approves minimum support price for Copra for the 2025 season
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 ডিসেম্বর 2024
December 21, 2024

Inclusive Progress: Bridging Development, Infrastructure, and Opportunity under the leadership of PM Modi